আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

পুঁজিবাজারে আবারও কমলো লেনদেন-সূচক

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবসে উত্থানের পর চতুর্থ কর্মদিবসে পুঁজিবাজারে আবারও দরপতন হয়েছে। বুধবার (৬ জুলাই) সূচকের পাশাপাশি কমেছে লেনদেন ও অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

এর ফলে মঙ্গলবার উত্থানের পর পুঁজিবাজারে আবারও দরপতন হলো। এর আগে নতুন অর্থবছরের প্রথম ও দ্বিতীয় কর্মদিবস (রবি ও সোমবার) দেশের পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছিল।

বুধবার সূচক বৃদ্ধির মধ্যদিয়ে লেনদেন শুরু হলেও মাত্র আধা ঘণ্টার পর থেকে শেয়ার কেনার চেয়ে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির চাহিদা বেশি ছিল। ফলে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। তাতে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ৬ পয়েন্ট। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ২০ পয়েন্ট।

ডিএসইর তথ্য মতে, বুধবার ডিএসইতে ৩৮১টি প্রতিষ্ঠানের ২৪ কোটি ৮৫ লাখ ৮৫ হাজার ৪৫টি শেয়ার ও ইউনিট কেনা-বেচা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৫৯টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৩টির দাম।

অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ৬ দশমিক ৮ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩৬৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে কমেছে দশমিক ৫ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক কমেছে ২ পয়েন্ট।

এদিন ডিএসইতে ৯৬০ কোটি ৭৯ লাখ ৬১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয় ৯৬০ কোটি ৭৯ লাখ ৬১ হাজার টাকার শেয়ার।

বুধবার সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। এরপর যথাক্রমে রয়েছে, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ফরচুন সুজ, জেনেক্স ইনফোসেস, ইন্ট্রাকো, ফুওয়াং ফুড, ওরিয়ন ফার্মা, সোনালী পেপার, শাইনপুকুর সিরামিক এবং বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার।

দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২০ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৭৪৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। বাজারটিতে ৩০২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৮৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৭২টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৩টির।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৬ কোটি ৬১ লাখ ৯ হাজার ৭৯৭ টাকা। এর আগের লেনদেন হয়েছিল ৪০ কোটি ৪১ লাখ ২০ হাজার ৪৬২ টাকা।


আরও খবর
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




স্বরূপকাঠিতে মা ও বোনসহ গাঁজা ব্যবসায়ী গ্রেফতার

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
হযরত আলী হিরু, স্বরূপকাঠি

Image

পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে মাদক ব্যবসায়ী মো. বেল্লাল হোসেনকে (২৭) সহ তার মা দেলোয়ারা বেগম (৫০) ও বোন জায়েদা আক্তার স্বর্ণাকে (২৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে সাড়ে তিনকেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় গ্রেফতার বেল্লালের পিতা মাদক ব্যবসায়ী জহিরুল হক পালাতক রয়েছেন। আসামীরা সকলেই এলাকায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী এবং তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মাদকের মামলা রয়েছে।

গ্রেফতারকৃতদের শনিবার সকালে পিরোজপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নেছারাবাদ থানার এসআই মো. আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল উপজেলার পূর্ব সোহাগদল গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী মো. জহিরুল হকের ঘরে অভিযান চালায়। এসময় পুলিশ জহিরুলের ছেলে বেল্লাল হোসেন, স্ত্রী দেলোয়ারা ও মেয়ে স্বর্ণাকে আটক করে। পুলিশের উপস্থিতিটের পেয়ে জহিরুল সটকে পড়েন। আটককৃতদের দেয়া  তথ্যানুযায়ী পুলিশ জহিরুলের পাকাঘরের মাটির নিচে পুতে রাখা ড্রাম থেকে অনুমানিক সাড়ে তিন কেজি গাঁজা উদ্ধার করে।

নেছারাবাদ থানার ওসি মো. গোলাম ছরোয়ার বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামীদের পিরোজপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।


আরও খবর



মেঘনায় ভ্রমণতরি ডুবে নারীর মৃত্যু, পুলিশসহ নিখোঁজ ৮

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে বালুভর্তি বলগেটের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ভ্রমণতরি ডুবে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ১২ জনকে। পুলিশ সদস্যসহ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরও আট যাত্রী। শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মেঘনার পাড় সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে এ ঘটনা ঘটে।

ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিখোঁজ যাত্রীরা হলেন পুলিশের কন্সটেবল সোহেল রানা, তার স্ত্রী মৌসুমি, সাত বছরের মেয়ে মাহমুদা ও পাঁচ বছরের ছেলে রায়সুল, শহরের নিউটাউন এলাকার আরাদ্দা, বেলাল দে, নরসিংদীর রায়পুরা এলাকার আনিকা আক্তার এবং অজ্ঞাতপরিচয় এক নারী।

তাৎক্ষণিক উদ্ধার হওয়া নারীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

নিখোঁজের প্রতিবেশী রত্না বেগম বলেন, আমাদের পাশের বাড়ির সাতজন নৌকায় ছিল। চারজন উদ্ধার হয়েছে। তবে আরদ্দা, বেলাল মিয়া ও একজন মহিলাকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

নিখোঁজ আনিকার চাচা রুবেল মিয়া বলেন, আমার ভাতিজি আনিকা ও তার বান্ধবী রুবা বিকালে ব্রিজের নিচে ঘুরতে আসে। পরে ট্রলারের ধাক্কায় ভ্রমণতরি ডুবে যায়। ভাতিজির বান্ধবী রুবা বেঁচে গেলেও আনিকাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন বলেন, একটি বালুবাহী বলগেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ভ্রমণতরিটি ডুবে যায়। এতে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। আর ১২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তবে আরও আটজন নিখোঁজ রয়েছেন। রাতে অন্ধকারে উদ্ধারকর্মীরা কাজ করতে পারে না। এজন্য উদ্ধার কাজ আপাতত বন্ধ করা হয়েছে। শনিবার সকালে কিশোরগঞ্জ থেকে ডুবুরিদল এলে আবার উদ্ধার কাজ শুরু হবে।

এ বিষয়ে নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। স্থানীয়রা আটজনকে উদ্ধার করেছে। আনুমানিক ২০ জন ছিল শুনেছি। এতে একাধিক নৌ পুলিশটিম ও ফায়ার সার্ভিস টিম উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছে।


আরও খবর



ঈদের আনন্দ থেকে কেউ যেন বঞ্চিত না হয়: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সমাজের সচ্ছল ব্যক্তিদেরকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রপ্রধান বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনের ক্রিডেনশিয়াল হলে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেওয়া এক শুভেচ্ছা বক্তব্যে দেশবাসীকে ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে ঈদের আনন্দ মিলেমিশে উপভোগের অনুরোধ জানান।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তিনি দেশে ও প্রবাসে বসবাসকারী বাংলাদেশিসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান। এই ঈদের মধ্যেও ফিলিস্তিনসহ বিশ্বব্যাপী অনেক মানুষ অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টের মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছেন উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতি ফিলিস্তিনের নির্মমতার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বলেন, একজন মানুষ হিসেবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব তাদের পাশে দাঁড়ানো। তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে নিজের সাধ্যমত চেষ্টা করা।

মনে রাখতে হবে দুঃখ একলা ভোগ করা যায়, কিন্তু আনন্দ একলা ভোগ করা যায় না-সকলকে নিয়ে আনন্দ করতে হয়, বলেন রাষ্ট্রপতি।

মো. সাহাবুদ্দিন আশা প্রকাশ করেন, ঈদ সবার মধ্যে গড়ে তুলুক সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি আর ঐক্যের বন্ধন। ঈদুল ফিতরের শিক্ষা সকলের মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক, গড়ে উঠুক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।

ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম উল্লেখ করে রাষ্ট্র প্রধান বলেন, মানবিক মূল্যবোধ, সাম্য, পারস্পরিক সহাবস্থান ও সহযোগিতা- ইসলামের এই সুমহান বার্তা ও আদর্শ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ঈদের আনন্দ থেকে পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব কেউ যেন বঞ্চিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার ও তাগিদ দেন।

তিনি ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্মাট বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। এর আগে রাষ্ট্রপতি এবং তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা বঙ্গভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

রাষ্ট্রপতি রাজনীতিবিদ, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, কূটনৈতিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিচারক, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী এবং বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এবং বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



কেজিতে জিরার দাম কমলো ৫৫০ টাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র রমজান ও ঈদ মাথায় রেখে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে বেড়েছে জিরা আমদানি। ফলে প্রতি কেজিতে ৫৫০ টাকা দাম কমেছে মসলাজাতীয় পণ্যটির। আগামীতে এর দর আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

সোমবার (১ এপ্রিল) রাতে হিলি বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, এখন কেজিপ্রতি জিরা বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। গত ডিসেম্বরে যা ছিল ১১৫০ টাকা। অর্থাৎ মাত্র ৩ মাসের ব্যবধানে কেজিতে মূল্য হ্রাস পেয়েছে ৫৫০ টাকা। সারাদেশের বাজারে যার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। গোটা দেশে প্রকারভেদে এই মসলা বিকোচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৪০ টাকায়।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন এবং হাকিমপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুনুর রশিদ হারুন বলেন, চলতি বছর ভারত থেকে জিরা আমদানি বেশি হয়েছে। ফলে দাম কমতে শুরু করেছে। গত জানুয়ারি থেকে ৩ মাসে পর্যায়ক্রমে জিরার দরপতন ঘটেছে কেজিপ্রতি ৫৫০ টাকা।

তিনি বলেন, বর্তমানে ভারত থেকে আমদানি করা ভালো মানের জিরা কাকা ৬০০ টাকা, বাবা ৬২০ টাকা, মধু ৬২০ টাকা, অমরিত ৬০০ টাকা, সোনা ৬৩০ টাকা এবং ডিবিগোল্ড ৬৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

দাম কমায় ক্রেতার পাশাপাশি খুশি বিক্রেতারাও। তারা জানান, এতে বেড়েছে কেনাবেচা। হিলি বাজারের মসলা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতে নতুন জিরা ওঠায় বন্দর দিয়ে আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারণে দর কমছে।

গত বছর রোজা শুরুর আগে দেশের বাজারে কেজিপ্রতি জিরা বিক্রি হয় ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়। তবে ডলার সংকট, আমদানি শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা অজুহাতে কয়েক দফা বেড়ে গত ডিসেম্বরে খুচরা পর্যায়ে ভারতীয় জিরা বিক্রি হয় সর্বোচ্চ ১২০০ টাকায়। এখন সেই জিরাই পাওয়া যাচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৪০ টাকা কেজিতে।


আরও খবর
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম গড়েছেন ৩ হাজার ৬০৪ জন বাংলাদেশি

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রবাসে বাংলা

Image

মালয়েশিয়ায় গত ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সেকেন্ড হোম গড়েছেন সাড়ে তিন হাজারের বেশি বাংলাদেশি। দেশটিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সেকেন্ড হোম গড়ার তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন বাংলাদেশিরা।

মালয়েশিয়ার পর্যটন, শিল্প ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী দাতুক সেরি তিয়ং কিং সিং দেশটির মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম (এমএম২এইচ) কর্মসূচির আওতায় সেকেন্ড হোম গড়া বাংলাদেশিদের এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছেন। দেশটির সংসদে বাংলাদেশিসহ অন্যান্য দেশের নাগরিকদের মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম গড়ার এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন তিনি।

দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মালয় মেইলের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় ৩ হাজার ৬০৪ জন বাংলাদেশি সেকেন্ড হোম গড়েছেন বলে জানিয়েছেন দাতুক সেরি তিয়ং কিং সিং।

সংসদে দেওয়া লিখিত বক্তব্যে দাতুক সেরি তিয়ং বলেছেন, ২০২৪ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় ৫৬ হাজার ৬৬ জন সক্রিয় ‌‌সেকেন্ড হোম’ পাসধারী রয়েছেন। তাদের মধ্যে অংশগ্রহণকারী পাসধারীর পাশাপাশি নির্ভরশীল পাসধারীও রয়েছেন।

গত ১১ মার্চ দেশটির সংসদকে তিনি জানান, মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম গড়ায় সবার শীর্ষে আছেন চীনের নাগরিকরা। দেশটিতে চীনের ২৪ হাজার ৭৬৫ জন নাগরিকের মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম পাস রয়েছে। এরপরই এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া; দেশটির এই সংখ্যা ৯ হাজার ২৬৫ জন। দক্ষিণ কোরিয়ার ৪ হাজার ৯৪০ জন, জাপানের ৪ হাজার ৭৩৩ জন, বাংলাদেশের ৩ হাজার ৬০৪ জন ও যুক্তরাজ্যের ২ হাজার ২৩৪ জন।

মালয় মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ছাড়া এই কর্মসূচিতে তাইওয়ান, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর ও ভারতের এক হাজারের বেশি করে এমএম২এইচ পাসধারী আছেন। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে মালয়েশিয়ার সরকার সেকেন্ড হোম কর্মসূচিতে সংস্কার আনে। সেই সময় এই কর্মসূচিকে তিন স্তরে বিভক্ত করা হয়।

নতুন এই ব্যবস্থার আওতায় আবেদনকারীদের যোগ্যতার ভিত্তিতে বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত করা হয়। দেশটির সরকার তখন বলেছিল, প্রাথমিকভাবে আবেদনের পর এমএম২এইচ কর্মসূচিতে পরীক্ষামূলকভাবে এক বছর থাকতে হবে। পরবর্তীতে অন্যান্য শর্তাবলি পর্যালোচনা করে কর্মসূচিতে সমন্বয় করা হবে। নতুন ব্যবস্থায় আবেদনকারীদের বয়সসীমা ৩০ বছর কিংবা তার বেশি নির্ধারণ করা হয়।

তিন স্তরবিশিষ্ট ব্যবস্থার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল আবেদনকারীদের আর্থিক সক্ষমতার ভিত্তিতে বিভক্ত করা। এই তিন স্তর হলো— প্লাটিনাম, গোল্ড ও সিলভার। নতুন নিয়মে প্লাটিনাম স্তরের আওতায় আবেদনকারীদের ৫০ লাখ রিঙ্গিত, গোল্ড স্তরে ২০ লাখ ও সিলভার স্তরে ৫ লাখ রিঙ্গিত স্থায়ী আমানত থাকতে হবে বলে জানানো হয়। এ ছাড়া নির্বাচিত সব স্তরের অংশগ্রহণকারীদের বছরে মোট ৬০ দিন মালয়েশিয়ায় বসবাস করতে হবে।


আরও খবর