ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় পুলিশকে কল দিয়ে নিজের বিয়ে বন্ধ করলেন এক স্কুলছাত্রী। সোমবার (২১ নভেম্বর) সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রোববার (২০ নভেম্বর) সকালে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
আছিয়া আক্তার (১৫) ফরিদপুরের সালথা উপজেলার
দরগা গট্টি গ্রামের আতিক মাতুব্বরের মেয়ে। তিনি জয়ঝাপ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির
ছাত্রী। সোমবার (২১ নভেম্বর) ফরিদপুর কোর্টে তার বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল বলে জানা
গেছে।
আছিয়ার বাবা আতিক মাতুব্বর জানান, আছিয়া
নবম শ্রেণিতে পড়াশুনা করে। তিন আগে পাত্রপক্ষ দেখতে এসে আমার মেয়ে আছিয়াকে নাকফুল পড়িয়ে
যান। বিয়ের দিন তারিখ এখনও ঠিক হয়নি। অভিযোগ পেয়ে রোববার সকালে সালথা থানার ওসি আমাদেরকে
থানায় ডেকে নিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন।
স্কুলছাত্রী আছিয়া জানান, আমার খুব ইচ্ছা
লেখাপড়া করার। আমি এখন বিয়ে করতে চাই না। আমার পরিবার আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে ঠিক
করে। বিষয়টি আমি নিজে ওসি স্যারকে ফোনে জানালে তিনি আমার বিয়ে বন্ধ করে দেন।
জয়ঝাপ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান মো. মিরাজ
আলী জানান, রোববার সকালে সালথা থানার ওসি আছিয়ার বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন। তিনি
আছিয়ার লেখাপড়ার খরচ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
মো. শেখ সাদিক জানান, রোববার সকালে আছিয়া আমাকে মোবাইলে ফোন দিয়ে বলে আমি লেখাপড়া করতে
চাই। বাবা-মা ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোড় করে আমাকে বিয়ে দিতে চাইছে।
তিনি আরও জানান, খবর পাওয়ার পর একজন এসআইকে
তার বাড়িতে পাঠিয়ে আছিয়াসহ তার পরিবারকে থানায় নিয়ে আসি। এ সময় তাদেরকে বাল্য বিয়ের
কুফল সম্পর্কে বুঝাই এবং আছিয়াকে লেখাপড়া করার সুযোগ দেওয়ার জন্য তাদের অনুরোধ করি।