আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

পুলিশ প্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর দাবি চট্টগ্রামের পুলিশ সদস্যদের

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ আগস্ট ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

সারাদেশে বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দেশবাসীর সার্বিক সহযোগিতা ও সহমর্মিতার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশের অধস্তন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সদস্যরা। এতে সিএমপির কয়েজন উধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরে দামপাড়াস্থ সিএমপির পুলিশ লাইন্সে এক প্রতিবাদ সভায় সাধারণ কনস্টেবল থেকে পরিদর্শক পদের পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় লিখিত বক্তব্যে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে পুলিশ সদস্যরা বলেন, আপনাদের একটি নতুন বাংলাদেশে স্বাগতম। গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি, সেসব শহীদদের যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত হয়েছেন। তাদের পরিবারের প্রতি আমরা সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। পাশাপাশি আন্দোলনে আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করছি।

তারা বলেন, একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীর সদস্য হিসেবে এবং সরকারি আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, আমাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা খুবই ক্ষীণ। তথাপিও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে শুরু থেকেই পুলিশের অধিকাংশ সদস্য মৌনভাবে একাত্মতা পোষণ করে এসেছে বলে আমরা দ্ব্যর্থ কণ্ঠে বলতে চাই।

বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীসহ প্রতিটি বাহিনী একটি চেইন অব কমান্ড অনুসরণ করে চলে। চেইন অব কমান্ড অনুসরণ করেই পুলিশ বাহিনীর অধস্তনরা তাদের দায়িত্ব পালন করেছে মাত্র। আর সেই দায়িত্ব পালন করতে গিয়েই পুলিশ বাহিনী আজ ছাত্র-জনতার মুখোমুখি। এছাড়াও বরাবরই পুলিশের প্রতি কিছু সংখ্যক সাধারণ জনাতার একটা ক্ষোভ কাজ করে, কিন্তু কেউ কখনো এটা ভাবে না আমরাও তাদের মতো কারো সন্তান, তাদের মতো কখনো ছাত্র ছিলাম, এখন চাকরির জন্য দায়িত্বের খাতিরে ঊর্ধ্বতনদের আদেশ মানতে আমরা বাধ্য, সেখানে আমাদের দোষটা কোথায়।

তারা দেশবাসীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এবং ৫ আগস্ট সরকারের পদত্যাগের পর থেকে একটি শ্রেণি কর্তৃক টার্গেট করে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর অনেক সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে এবং ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে বিভিন্ন পুলিশ লাইনে, খানা, পুলিশ ফাড়ি, পুলিশ বক্স এবং যানবাহনে। আহত হয়েছে শত শত পুলিশ সদস্য। আমরা এসব ধ্বংসযজ্ঞের নিন্দা জানাই। আমরা বিশ্বাস করি মুক্তিকামী সাধারণ ছাত্র-জনতা কখনোই এসব ধ্বংসযজ্ঞের পক্ষে না। একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীর সদস্য হিসেবে আমরা সর্বদা জনগণের জানমাল এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষার্থে আইনানুযায়ী বদ্ধপরিকর।

গত ৫ আগস্ট সরকারের পদত্যাগের পর থেকেই আমরা দেখেছি, আমাদের অভিভাবকরা কোনো ধরনের নির্দেশনা ছাড়াই আত্মগোপনে চলে যান যা আমাদের নিরাপত্তাহীনতায় ফেলে দেয়। যথাযথ নির্দেশনার অভাবে আমরা অনেক পুলিশ সদস্যদের হারিয়েছি। বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। একটি নির্দিষ্ট শ্রেণি কর্তৃক পুলিশ সদস্যদের বাসাবাড়িতেও হামলা চালানো হচ্ছে। জীবন রক্ষার্থে অনেকে আত্মগোপনে আছেন। এমতাবস্থায়, পুলিশ বাহিনীর প্রতিটি সদস্যদের নিরাপত্তা এবং নিম্নোক্ত দাবি নিশ্চিত না হওয়া অবধি আমরা পুলিশ বাহিনীর অধস্তনরা কর্মবিরতি ঘোষণা করছি। দেশের বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষত অধস্তন কর্মকর্তা-কর্মচারীর সার্বিক সামাজিক এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে

নিম্নোক্ত দাবিগুলো পেশ করা হলো-

১. চলমান ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশ হত্যাসহ সব পুলিশি স্থাপনায় ধ্বংসযজ্ঞ চালানো ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে অতি দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।

২. নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে এককালীন আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান, আজীবন পেনশন-রেশন প্রাপ্তি এবং পরিবারের একজন সদস্যের সরকারি চাকরি নিশ্চিত করা। আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা এবং গুরুতর আহত পুলিশ সদস্যদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা।

৩. পুলিশের নিয়োগ বিধিমালা বিশেষত সাব-ইন্সপেক্টর এবং সার্জেন্ট নিয়োগ পিএসসির অধীনে এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টারের অধীনে কনস্টেবল নিয়োগে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।

৪. সাব-ইন্সপেক্টর/সার্জেন্ট পদে বিদ্যমান পদোন্নতি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন করা। সেক্ষেত্রে পুলিশ পরিদর্শক পদ থেকে সহকারী পুলিশ কমিশনার পদে ৩০ শতাংশ সরাসরি এবং ৭০ শতাংশ পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ এবং সেটি যথাসময়ে নিশ্চিত করা। সাব-ইন্সপেক্টর/সার্জেন্ট থেকে ইন্সপেক্টর পদে পিএল হওয়ার ১ বছরের মধ্যে পদোন্নতি দিতে হবে। এছাড়া কনস্টেবল/নায়েক/এটিএসআই/এএসআই পদোন্নতির ক্ষেত্রে পরীক্ষায় পাসকৃতদের পরবর্তী বছর পুনঃপরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা বাতিল এবং পদোন্নতি দেওয়ার ক্ষেত্রে পাশসকৃতদের সিনিয়রিটি অনুসরণ করা।

৫. আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, পুলিশের কর্মঘণ্টা কমিয়ে ৮ ঘণ্টা করা এবং অতিরিক্ত কর্মঘণ্টায় জন্য ওভারটাইম প্রদানের ব্যবস্থা করা অথবা বছরে ২টি বেসিকের সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করা।

৬. পুলিশের ঝুঁকি ভাতা বৃদ্ধিকরণ, টিএ/ডিএ বিল প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে প্রদান এবং প্রযোজ্য সকল সেক্টরে সোর্স মানী ফ্রেশ মানী নিশ্চিত করতে হবে।

৭. পুলিশ সদস্যদের বাৎসরিক ২০ দিন নৈমিত্তিক ছুটি বৃদ্ধি করে অন্যান্য বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে ৬০ দিন করতে হবে। দেশ এবং জনগণের স্বার্থে ছুটি ছাড়া সম্ভব না হলে অভোগকৃত ছুটির বিনিময়ে আর্থিক সুবিধা প্রদান করতে হবে।

৮. পুলিশ বাহিনীর প্রচলিত পুলিশ আইন এবং পুলিশ রেগুলেশন অব বেঙ্গল সংস্কার করে যুগোপযোগী এবং কার্যকরী করতে হবে যার মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীর মর্যাদা এবং অধস্তন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অধিকার নিশ্চিত হয়।

৯. পুলিশ বাহিনীকে যেন কোনো দলীয় সরকার তার রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যবহার করতে না পাবে সেজন্য স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন করতে হবে।

১০. পুলিশের সকল থানা, ফাড়ি এবং ট্র্যাফিক বক্স আধুনিকায়ন করতে হবে এবং অধস্তন অফিসারদের জন্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

১১. নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের অধস্তন কর্মকর্তাদের জন্য আবাসিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে এবং সকল ব্যারাকে বিদ্যমান আবাসন সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন করে ব্যারাকগুলোকে আধুনিকায়ন করতে হবে।

প্রিয় দেশবাসী, একটি নিরপেক্ষ এবং যুগোপযোগী পুলিশ বাহিনী গড়ে উঠুক সেটি আপনাদেরও দাবি। আর সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় আইন সংস্কার ও প্রণয়ন এবং উল্লিখিত দাবিগুলো অনতিবিলম্বে বিবেচনায় নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সেই সঙ্গে দেশবাসী সবার কাছে অনুরোধ করছি আপনারা পুলিশের প্রতি এই ক্ষোভ রেখে দয়া করে আমাদের একটু বোঝার চেষ্টা করেন।

পরে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মিছিল করেন উপস্থিত সিএমপির সকল পুলিশ সদস্যরা।


আরও খবর



এইচএসসি পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে ঢুকে পড়লো হাজারো শিক্ষার্থী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলমান এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে ঢুকে পড়েছেন প্রায় হাজার খানেক শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকাল থেকে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে জড়ো হন তারা। দাবি আদায়ে দুপুরের দিকে তারা সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন।

এসময় শিক্ষার্থীরা শ্লোগান দিতে থাকেন। পরে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দশ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি এবং আলোচনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যান।

এদিকে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আশ্বাস দেন বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সুমন নামে একজন শিক্ষার্থী বলেন, দেড় মাসের পরীক্ষা আমরা কয়েক মাস ধরে ঝুলে আছি। তারা আমাদেরকে কয়েকদিন আগেও জানিয়েছিল সেপ্টেম্বরের ১১ তারিখে পরীক্ষা হবে। তাহলে আরও এক মাস লাগবে পরীক্ষার জন্য। এরপর একমাসব্যাপী পরীক্ষা হবে। এত সময় নিলে আমাদের ফলাফল প্রকাশ করবে কখন? আর আমরা ভর্তি হব কবে?

তিনি আরও বলেন, একটা বোর্ড পরীক্ষা কিভাবে ৬-৭ মাস পর্যন্ত ঝুলে থাকে? সেজন্য আমরা এটা মানি না। আমরা চাই যেসব পরীক্ষা হয়েছে সে অনুযায়ী পরীক্ষার ফলাফল দেওয়া হোক। দাবি না মানলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।


আরও খবর



সীমান্ত হত্যার কড়া প্রতিবাদ জানাল বিজিবি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।  ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে বিএসএফের গুলিতে জয়ন্ত কুমার সিংহ (১৫) নামে এক কিশোর হত্যার ঘটনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সীমান্ত হত্যার কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজিবি।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ী সীমান্তে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পঞ্চগড়-১৮ বিজিবির ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিয়াউল হক প্রতিবাদের বিষয়টি জানিয়েছেন।

বিজিবি জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ভারতের অভ্যন্তরে তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ী আইসিপিতে বিজিবির উত্তর পশ্চিম রিজিয়ন কমান্ডার ও ভারতের আইজি বিএসএফ নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার কমান্ডারের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সাক্ষাতে বিজিবির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, রংপুরের উত্তর পশ্চিম রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার শফিকুজ্জামান, ঠাকুরগাঁও সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মুহাম্মদ তৌহিদুর রহমানসহ বিজিবির অন্যান্য কর্মকর্তারা।

অপরদিকে বিএসএফের পক্ষে নর্থবেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার কমান্ডার ইন্সপেক্টর জেনারেল শ্রী সুরিয়া কান্ত শর্মা, শিলিগুড়ি ও কিশানগঞ্জ সেক্টর কমান্ডারসহ অন্যান্য বিএসএফ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে গত ৯ সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী এলাকায় বিএসএফ টহল দল গুলি করে বাংলাদেশি নাগরিক জয়ন্ত কুমার সিংহকে (১৫) হত্যা করে। এর তীব্র নিন্দা জানায় বিজিবি। এসময় বিএসএফ নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার কমান্ডার এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে বিএসএফ কর্তৃক সীমান্তে কোনো বাংলাদেশি নাগরিকের ওপর গুলি চালানো হবে না বলে বিজিবি প্রতিনিধি দলকে জানান তারা।

পরে দুদেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সব নাগরিকের মধ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম এবং আন্তঃসীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধকল্পে বিজিবি-বিএসএফ যৌথভাবে কাজ করার জন্য একমত পোষণ করে।


আরও খবর



চিড়িয়াখানায় চাকরি পেলেন নিহত ইশমামের ভাই

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত হন চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার সন্তান ইশমাম। সোমবার (১২ আগস্ট) তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। এসময় আশ্বাস দিয়েছিলেন ইশমামের বড় ভাইকে একটি চাকরির ব্যবস্থা করে দিবেন। সেই কথা রাখলেন তিনি। দুদিনের মাথায় ইশমামের বড় ভাই মুহিবুল হককে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৪ আগস্ট) সকাল ১১টায় নিজ কার্যালয়ে মুহিবুল হকের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

জেলা প্রশাসক বলেন, গত সোমবার আমরা চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার কৃতি সন্তান শহীদ ইশমামের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। সেখানে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি পরিবারের একজন সদস্যকে চাকরির আশ্বাস দেই। তারই ধারাবাহিকতায় আজ (বুধবার) শহীদ ইশমামের বড় ভাই মুহিবুল হকের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হচ্ছে। মুহিবুল জেলা প্রশাসনের আওতাধীন চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় অফিস সহায়ক হিসেবে কাজ করবেন।

শুধুমাত্র শহীদ ইশমাম নয়, আন্দোলনে শহীদ ও আহত ছাত্রজনতার জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে যোগ করেন আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

তিনি আরো বলেন, আহত ছাত্র-জনতার সুচিকিৎসার জন্য আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। তাদের চিকিৎসার পাশাপাশি আমরা আর্থিক সহায়তা দিব। এছাড়াও তাদের পরিবারের অন্তত একজন সদস্যকে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করবো।

ইশমামের বড় ভাই মুহিবুল হক বলেন, গত সোমবার চাকরির আশ্বাস দিয়েছিলেন। দুদিনের মাথায় নিয়োগপত্র পেলাম। জেলা প্রশাসনের দ্রুত এমন উদ্যোগের জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমার ভাইকে (ইশমাম) হারিয়ে পরিবারের সবাই দিশেহারা। এমন সময়ে আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য জেলা প্রশাসককে অনেক ধন্যবাদ প্রকাশ করেন তিনি।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) লুৎফুন নাহার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রাকিব হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল.এ) তানভীর-আল-নাসীফ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক এবং শিক্ষা ও আইসিটি) মো. সাদিউর রহিম জাদিদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) একেএম গোলাম মোর্শেদ, লোহাগাড়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ইনামুল হাছান, সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নেজারত ডেপুটি কালেক্টর ফারহানুর রহমানসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।


আরও খবর



১৩ মন্ত্রণালয়ে নতুন জনসংযোগ কর্মকর্তা

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তথ্য ও জনসংযোগের দায়িত্ব পালনের জন্য ১৩ মন্ত্রণালয়ে ১৩ জন কর্মকর্তাকে এসব মন্ত্রণালয়ের সংযুক্ত করা হয়েছে।

বুধবার (১৪ আগস্ট) তথ্য অধিদফতর থেকে এ বিষয়ে অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিসিএস (তথ্য সাধারণ) ক্যাডারের সদস্য এ অধিদফতরের এসব কর্মকর্তাদের তথ্য ও জনসংযোগের দায়িত্ব পালনের জন্য এসব মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হলো।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) এক অফিস আদেশে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে কর্মরত ৪২ জন জনসংযোগ কর্মকর্তার সংযুক্তি বাতিল করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।


আরও খবর



২৩ মাসে রপ্তানি ২৬ বিলিয়ন ডলার বেশি দেখানো হয়

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

বড় ধরনের গড়মিল দেখা দিয়েছে প্রকৃত রপ্তানির সঙ্গে সরকারি সংস্থা রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) দেওয়া তথ্যে। গত ২৩ মাসে সংস্থাটি রপ্তানি বেশি দেখিয়েছে ২৬ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকৃত রপ্তানির তথ্য প্রকাশের পর এটি প্রকাশ্যে এসেছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রকৃত রপ্তানির তথ্য প্রকাশ করেছে।

এতে দেখা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এর আগের অর্থবছরের তুলনায় রপ্তানি ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ কমে ৪০ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে।

ইপিবি সর্বশেষ গত মে মাস পর্যন্ত রপ্তানির তথ্য প্রকাশ করে। সংস্থাটি ২৩ মাসে রপ্তানি দেখিয়েছিল ১০৭ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার, যদিও প্রকৃতপক্ষে রপ্তানি হয় ৮০ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার। ২৩ মাসে রপ্তানি বেশি দেখানো হয় ২৬ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার।

আইএমএফের চাপে বাংলাদেশ ব্যাংক গত এপ্রিলে মাসভিত্তিক প্রকৃত রপ্তানির তথ্য প্রকাশ করতে শুরু করে। এরপরই ইপিবির তথ্যে বড় ধরনের গড়মিল ধরা পড়ে। এরপর থেকে রপ্তানি তথ্য প্রকাশ বন্ধ রেখেছে ইপিবি। সাধারণত প্রতি মাস শেষ হওয়ার পরবর্তী সপ্তাহে তথ্য প্রকাশ করে সংস্থাটি। কিন্তু চলতি আগস্ট মাস শেষ হতে চললেও এখন পর্যন্ত জুনের তথ্য প্রকাশ করেনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছে ৪ হাজার ৮১ কোটি ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রকৃত রপ্তানি ছিল ৪ হাজার ৩৩৬ কোটি ডলার। সেই হিসাবে গত অর্থবছর ২৫৫ কোটি ডলার বা ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ কমেছে রপ্তানি।

২০২২-২৩ অর্থবছরে ইপিবি রপ্তানি দেখিয়েছিল ৫ হাজার ৫৫৬ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যের সঙ্গে মেলালে দেখা যায়, রপ্তানি ১২ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার বেশি দেখিয়েছে সংস্থাটি।

গত অর্থবছরের মে পর্যন্ত ইপিবি রপ্তানি দেখিয়েছিল ৫ হাজার ১৫৪ কোটি ডলার। কিন্তু প্রকৃত তথ্য বলছে, ওই মাস পর্যন্ত রপ্তানি হয় ৩ হাজার ৭৩৪ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের ১১ মাসে বেশি দেখানো হয়েছে ১৪ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, এতদিন একই রপ্তানি একাধিকবার হিসাব করা হয়। এ ছাড়া শিপমেন্ট বাতিল হলেও তা রপ্তানির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়নি। এভাবে রপ্তানি বেশি দেখানো হচ্ছিল বিভিন্ন পন্থায়। এর পর বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্যের সব হিসাব ওলট-পালট হয়ে গেছে।

এদিকে রপ্তানির প্রকৃত তথ্য প্রকাশের পর দেখা গেছে, গত অর্থবছর ২২ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্য ঘাটতি ছিল। যদিও গত মার্চ পর্যন্ত মাত্র ৪ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি দেখানো হয়েছিল। প্রকৃত তথ্যের ভিত্তিতে হিসাব করে দেখা গেছে, গত অর্থবছর চলতি হিসাবে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার। গত মার্চ পর্যন্ত যেখানে চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত দেখানো হয় ৫ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার। আর্থিক হিসাবে আসলে ৪ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার উদ্বৃত্ত হয়েছে। গত মার্চ পর্যন্ত যেখানে আর্থিক হিসাবে ঘাটতি দেখানো হয় ৯ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অবশ্য সামগ্রিক ঘাটতির হিসাবে তেমন কোনো হেরফের হয়নি। গত অর্থবছর এ ক্ষেত্রে ৪ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলারের ঘাটতি হয়েছে।


আরও খবর