পটুয়াখালীর দশমিনায় তেতুলিয়া নদীর মোহনায়
ঝড়ের কবলে পরে বিয়ের ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ বর ও তার মাসহ নিখোঁজ পাঁচজনের মরদেহ
উদ্ধার করেছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। আজ
রোববার (৩০ এপ্রিল) সকালে তিনজন এবং দুপুরে একজনের মরদেহ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের
সদস্যরা। এর আগে গত শুক্রবার একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার
সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. রেজওয়ান।
আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে প্রেমিকার হাতে প্রেমিক খুনের অভিযোগ
যাঁদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তাঁরা
হলেন দশমিনা উপজেলার গুলি আউলিয়াপুর এলাকার মনির হাওলাদারের ছেলে (বর) রাব্বি হাওলাদার
(২০), বরের মা সেলিনা আক্তার (৪০) এবং ফুপু লিপি বেগম (৩০)। এ ছাড়া উপজেলার উত্তর রণগোপালদী
এলাকার ধলু হাওলাদারের মেয়ে খাদিজা (৫) এবং উত্তর চর শাহজালাল এলাকার বেল্লাল মুন্সির
মেয়ে মানসুরার (৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে খেলতে গিয়ে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার দুপুরে
উপজেলার রণগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর গ্রামের মনির হাওলাদরের ছেলে রাব্বির সঙ্গে উত্তর
শাহজালাল গ্রামের হুমায়ুন কবিরের মেয়ে সুমাইয়ার বিয়ে হয়। বিকেল চারটার দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা
শেষে সেখান থেকে বরযাত্রীর ট্রলার আউলিয়াপুরের উদ্দেশে রওনা দেয়। এ সময় তেঁতুলিয়া নদীর
চর আপতি এলাকায় পৌঁছালে ঝড়ের কবলে পড়ে ২০ জন বরযাত্রীসহ ট্রলারটি ডুবে যায়। তাৎক্ষণিক
১৫ জন সাঁতরে তীরে উঠলেও নিখোঁজ হন বর রাব্বী, তাঁর মা সেলিনা বেগম, ফুপু লিপি বেগম,
ফুপাতো বোন খাদিজা ও চাচাতো শ্যালিকা মারিয়া। পরে স্থানীয়রা ওই দিনই ফুপু লিপি বেগমের
ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে।
এ নিয়ে জানতে চাইলে দশমিনার উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা (ইউএনও) নাফিসা নাজ নীরা জানান, মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া
চলছে। নিহতদের পরিবারকে জনপ্রতি ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।