পটুয়াখালীতে পৃথক
ঘটনায় তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পটুয়াখালীর বাউফলে নির্বাচনী সহিংসতায় গুরতর
আহত নৌকা প্রতীকের সমর্থক আমির হোসেন মৃধা (৭০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
গতকাল সোমবার
(১৮ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টায় দিকে বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সূত্রে
জানা যায়, গত ৮ জুলাই বিকেলে নৌকা প্রতীকের সমর্থকেরা একটি মোটরসাইকেল বহর বের করেন।
বহরটি নাজিরপুর বাংলা বাজার থেকে তাঁতেরকাঠি ব্রিজের কাছে পৌঁছালে বিদ্রোহী প্রার্থী
মহসিনের সমর্থকেরা ওই বহরে হামলা চালান। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। তাদের
মধ্যে গুরুতর আহত আমির হোসেন মৃধাকে বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পরে আমির হোসেনের
মৃত্যুর ঘটনার পর পরই রাত সাড়ে ৯টার দিকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এস এম মহসিনকে
তাঁতেরকাঠির বাসভবন থেকে আটক করে পুলিশ।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন জানান, নির্বাচনী এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে।
ওই এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে পটুয়াখালীর
কুয়াকাটায় একটি আবাসিক হোটেল থেকে সাদিকা আক্তার রিচী (১৮) নামে এক নারী পর্যটকের মরদেহ
উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার রাত ৯টায়
ওই হোটেলের চার তলার একটি কক্ষ থেকে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ
উদ্ধার করা হয়।
হোটেলের রেজিষ্টার
অনুযায়ী নিহত রিচী শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ থানার শহিদুল ইসলামের মেয়ে।
পুলিশ ও হোটেল
কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত ৯টায় ওই তরুণী রায়হান নামের এক যুবকের সঙ্গে
স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলে উঠেন। পরে সোমবার সন্ধ্যায় রায়হানের সঙ্গে বাড়ি ফেরা নিয়ে
রিচীর কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় তারা দুজনই চারতলা থেকে হোটেলের নিচে নামেন।
এ সময় হঠাৎ রিচী
নীচ থেকে কক্ষে চলে যান। পরে রায়হান এসে হোটেলের কক্ষ ভিতর থেকে আটকানো দেখে অনেক ডাকাডাকি
করেন। পরে খবর দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই কক্ষের দরজা ভেঙে রিচীর মরদেহ উদ্ধার
করে।
মহিপুর থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী
মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে পটুয়াখালীর
মহিপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে মো. মুছা নামের দেড় বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।