রোগ ও পোকা মাকড়ের আক্রমণ না থাকায় এবার পটুয়াখালীতে আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় কৃষকদের মুখে হাসির আনন্দ বইছে। এছাড়া বিগত বছরের চাইতে এবার ফলনও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা দেখছে বলে জানান কৃষকরা।
কৃষকরা জানান, কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী আমন ধানের আবাদ করায় বাম্পার ফলনের আশা তাদের। এছাড়া মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাড়তি সুবিধা পেয়েছেন তারা।
পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২০২৪ খরিপ-২ মৌসুমে পটুয়াখালী জেলায় আমন জমি আবাদের লক্ষ্যমাত্র ছিল ১ লক্ষ ৮৯ হাজার ৯৫০ হেক্টর। এ লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে ১০ হাজার ১৬৯ হেক্টর বেশী জমি আবাদ হয়েছে। এছাড়া আবাদকৃত আমনের মধ্যে উফশী জাতের ১ লক্ষ ১৪ হাজার ২৬৩ হেক্টর, স্থানীয় জাতের ৭৫ হাজার ৭৩০ হেক্টর ও হাইব্রিড জাতের ১২৬ হক্টর।
উক্ত আবাদের মধ্যে সদর উপজেলায় উফশী ৯,২৭৯ হেক্টরসহ স্থানীয় মোট ২৪,৪৯৩ হেক্টর, বাউফলে উফশী ১৮,৫৪১ হেঃ সহ স্থানীয় মোট ৩৪,৭০১ হেক্টর, গলাচিপায় উফশী ২৭,২৫০ হেক্টরসহ স্থানীয় মোট ৩৬,০০৫ হেক্টর, কলাপাড়ায় উফশী ২৩,০৪২ হেক্টরসহ স্থানীয় মোট ৩০,৭০১ হেক্টর, দশমিনায় উফশী ১২,৯৭০ হেঃসহ স্থানীয় মোট ১৮,১৬২ হেক্টর, মির্জাগঞ্জে উফশী ১,৩৮১ সহ স্থানীয় ১০,০৫৬ হেক্টর, দুমিকে উফশী ২,৮১০ হেক্টরসহ স্থানীয় মোট ৬,৬৪১ হেক্টর ও রাঙ্গাবালী উপজেলায় উফশী জাতের ১৮,৯৯০ হেক্টরসহ স্থানীয় মোট ২৯,৩৬০ হেক্টর আবাদ হয়েছে।
সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের বশাকবাজার এলাকার কৃষক বেল্লাল মাদবর জানান, এ বছর ৬০ কাঠা জমিতে আমন চাষ করেছি। এতে প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এবার আমন ফলন ভাল দেখাচ্ছে। যদি কোন বালা মছিবত ও পোকা মাকড় দেখা নাগেলে প্রতিকাঠায় ৬০ কেজি করে ৯০ মন ধান পাওয়া যাবে। যার দাম হবে প্রতিমন ১ হাজার টাকা হলে ৯০ হাজার টাকা, প্রতি মন ৯০০ টাকা হলে হইবে ৮১ হাজার টাকা হলে লাভ ভাল হইবে আশাকরি।
পটুয়াখালী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ির উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, কোন ধরনে দুর্যোগ ও পোকার আক্রমন না হলে আমন ফলন বেশী আশা করা যায়।