আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

পথে বসেছে জয়পুরহাটে এমটিএফই’র বিনিয়োগকারীরা

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ আগস্ট 20২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ আগস্ট 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

অফিসে সাজ-সজ্জার অভাব ছিল না। নতুনদের অভ্যর্থনায় দেওয়া হতো ক্রেস্ট, রজনীগন্ধার স্টিক, ফুলের তোরা, গলায় মালা, টি-শার্ট। নামি-দামি রেস্তোরাঁয় খাওয়ার ব্যবস্থাও ছিল। এসবই ছিল বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য। সভা-সেমিনারে অতিথি ছিল এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। আর সিইওদের চমকপ্রদ বক্তব্যে ছিল লোভনীয় অফার। সবকিছু শুনে অফার মিস করতে চাননি অনেকেই। অফার লুফে নিয়ে বিনিয়োগ করেছিলেন তারা।

তবে কয়েকমাস যেতেই লুফে নেওয়া অফারের ব্যক্তিদের মাথায় হাত। নিজের নামে করা অ্যাকাউন্টে জমানো টাকা শূন্য, এমনটি সাজ-সজ্জার সেই অফিসেও তালা। নেই সিইওদের খোঁজ। মুহূর্তেই বিনিয়োগকারীদের খোয়া গেছে কোটি কোটি টাকা। বলছিলাম কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া অনলাইনভিত্তিক এমটিএফই অ্যাপের কথা। উচ্চ মুনাফার লোভে এখানে বিনিয়োগ করেছিলেন জয়পুরহাটের স্বল্প শিক্ষিত, বেকার ও কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। মুনাফাতো দূরের কথা, তারা নিজেদের বিনিয়োগ করা টাকাও হারিয়েছেন।

জানা গেছে, মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জ গ্রুপ অর্থাৎ এমটিএফই একটি অ্যাপ। শুয়ে-বসে কাজ করলেই অ্যাকাউন্টে আসবে ডলার। আর এতে বিনিয়োগ করতে হবে। যে যত বেশি বিনিয়োগ করবে, তার তত ডলার আসবে। এক কথায় বিনিয়োগ করলেই মিলবে উচ্চ মুনাফা। এমনই অফার দিয়েছিলেন ওই প্রতিষ্ঠানটির সিইওরা। তাদের টার্গেট ছিল স্বল্প শিক্ষিত, বেকার ও কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। আর সেই টার্গেট কাজেও এসেছে।

জয়পুরহাট জেলার প্রায় দেড় হাজার বিভিন্ন পেশার মানুষ এতে টাকা বিনিয়োগ করেন। কেউ এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে, কেউ জমি বন্ধক রেখে, ব্যাংক ঋণ নিয়ে, গরু-ছাগল কিংবা সোনা-গহনাও বিক্রি করে অ্যাপটিতে বিনিয়োগ করেন। সর্বনিম্ন ৪ হাজার টাকা থেকে ১০ লাখ ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগকারী ছিল। উচ্চ মুনাফার পাওয়ার আশায় ১১ কোটির বেশি টাকা খোয়া গেছে বিনিয়োগকারীদের।

এমটিএফইতে বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী সৌখিন। তিনি জয়পুরহাট শহরের দেওয়ানপাড়ায় থাকেন। সৌখিন বলেন, সাদ আলম চৌধুরী নামে একজন সিইও ছিলেন। তিনিই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাদের অফার ছিল টাকা বিনিয়োগ করলে বসে বসে মুনাফা পাওয়া যাবে। ৫০ হাজার টাকায় প্রতি সপ্তাহে ৬ হাজার থেকে সাড়ে ৬ হাজার টাকা পাওয়া যাবে। আমি দুইটি আইডিতে ৪০২ ডলার বিনিয়োগ করেছিলাম। এরপর অ্যাপে ঢুকে এআই রোবট অন করে দেই। সাত দিন পর ৪০ ডলার জমা হয়েছিল। প্রথমে ৫ হাজার ৮০০ টাকা তুলেছি। কিন্তু এরপর আর কোনো টাকা তুলতে পারিনি। তাদেরকে বললে বলে সাইট আপডেট হচ্ছে। এই বলতে বলতে আমার বিনিয়োগ করা সব টাকায় শেষ। গতকাল (সোমবার) থেকে আর অ্যাপে ঢোকা যাচ্ছে না।

জয়পুরহাটের সিইও পদে কয়েকজন ছিলেন। তাদের মধ্যে সাদ আলম চৌধুরী নামে একজন প্রধান ভূমিকা রাখেন। প্রতারণার অভিযোগ এনে সাদ আলমের বিরুদ্ধে জয়পুরহাট থানায় অভিযোগ করেছেন বিনিয়োগকারী ইমন হোসেন। গত ২০ আগস্ট রাতে তিনি অভিযোগটি করেন। ইমন হোসেন শহরের দেওয়ানপাড়ার বাসিন্দা।

তিনি লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, জয়পুরহাট শহরের ইরাক নগরের বাসিন্দা সাদ আলম চৌধুরী সবুজনগরে এমটিএফইর অফিস খোলেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সরাসরি সভা-সেমিনারে ডেকে নিয়ে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে কোম্পানির শেয়ার কেনার নামে ইমনের কাছ থেকে ৬৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। এখন অফিস তালাবদ্ধ রয়েছে আর সাদ আলম চৌধুরী পলাতক রয়েছেন। ওই অভিযোগে আরও চার জন ভুক্তভোগীর নাম রয়েছে। তাদের কাছ থেকে মোট ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। ইমন হোসেন বলেন, আমার মতো অনেকেই এমটিএফই অ্যাপে প্রতারিত হয়েছেন। সাদ আলম চৌধুরী আমাকে অ্যাপে বিনিয়োগ করতে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। এখন তো সব শেষ। আমরা চাই প্রশাসন এই প্রতারকদের আইনের আওতায় নিয়ে আসুক।

লোকলজ্জায় মোটা অঙ্কের বিনিয়োগকারীরা কেউই প্রকাশ্যে আসতে চাচ্ছেন না। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান, এমটিএফই অ্যাপে সিইও ছিলেন সাদ আলম চৌধুরী। তাছাড়া সাদের বাবা সহিদুল আলম, তামান্না আক্তার সুরভী, সুমন খন্দকার, আল হোসেন রাব্বী, শাহিনুর, মঈনুল খন্দকার, মোশারফ হোসেন সিইও হিসেবে ছিলেন। তারা সভা-সেমিনার করে এমটিএফই অ্যাপে বিনিয়োগ করতে উদ্বুদ্ধ করেন। এসব সভা-সেমিনারে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা থাকতেন। তাদের কারণে তারা আস্থা পেয়ে বিনিয়োগ করেছিলেন। প্রতারিত হবেন তা কখনো ভাবেননি বিনিয়োগকারীরা।

এ ব্যাপারে জানতে সাদ আলমের মোবাইলে ফোন করে তার বন্ধ পাওয়া যায়। ২২আগষ্ট মঙ্গলবার   দুপুর জয়পুরহাট শহরের ইরাক নগর মহল্লায় সাদ আলম চৌধুরীদের বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। তার মা রেজিয়া সুলতানা বলেন, আমার তিন সন্তানের মধ্যে সাদ আলম চৌধুরী সবার ছোট। সে কলেজে অর্নাস করছে। পড়াশোনার পাশাপাশি আউট সোর্সিংয়ের কাজ করতো। এক সপ্তাহ আগে বাড়ি থেকে চলে গেছে। তার স্বামীও বাড়িতে নেই। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি। তার ছেলে সাদ আলম চৌধুরী কারও সঙ্গে প্রতারণা করেনি বলে দাবি করেন তিনি।

জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম বলেন, এই বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তর কাজ করছে। আমাদের বিভিন্ন এজেন্সি কাজ করছে । খুব অল্প সময়ে অপরাধীদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

নিউজ ট্যাগ: জয়পুরহাট

আরও খবর



কত ভোটে হারলেন হেলেনা জাহাঙ্গীর

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে মাহমুদ কলি-নিপুণ আক্তার প্যানেল থেকে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছিলেন প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে জেল ফেরত হেলেনা জাহাঙ্গীর। তবে জয়ের স্বাদ পাননি তিনি।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সমালোচিত এ নারীর বাক্সে ভোট পড়েছে ১৭০ টি।

এদিকে হেলেনা জাহাঙ্গীর ছাড়াও কার্যনির্বাহী সদস্য পদে হেরেছেন সুজাতা আজিম, সঞ্জু জন, স্বপ্না, সাইফ, মো. সাইফুল, মো. ফিরোজ মিয়া, বাদল শেখ, পীরজাদা শহীদুল হারুন, নাদের চৌধুরী, নিরঞ্জন সরকার, নাসরিন, তানভীর তনু, জেসমিন আক্তার, সাদিয়ায় মির্জা, ইউসুফ খান।

নিপুণের হাত ধরে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। সেসময় অভিযোগ উঠেছিল নীতিমালা না মেনে এই তাকে শিল্পী সমিতির সদস্য পদ দিয়েছে সদ্য ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণের নেতৃত্বাধীন কমিটি।

সমিতির সদস্য হওয়ার জন্য একজন শিল্পীর যে যোগ্যতা লাগে (ন্যূনতম পাঁচটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অবিতর্কিত চরিত্রে অভিনয় করতে হয়) তা তার ছিল না। তারপরও হেলেনা জাহাঙ্গীরকে সমিতির সদস্য পদ দেয়া হয়।

নির্বাচনে অংশ নিয়েই হেলেনা জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আমার গার্মেন্টস কারখানা আছে। সংস্কৃতি অঙ্গনের যাদের চাকরি লাগবে, তাদের আমি চাকরি দিতে পারব। এ জন্য কলি-নিপুণ পরিষদের যে অফার ছিল তা লুফে নিয়েছি।

সেসময় তার এ মন্তব্যে চলচ্চিত্রাঙ্গণে সমালোচনা শুরু হয়। বিতর্কিত হেলেনা জাহাঙ্গীরের সদস্য হওয়ার খবরে নিন্দা জানান শিল্পীরা।


আরও খবর



আগামীকাল থেকে শুরু ডিপিএলের সুপার লিগ

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

তীব্র গরমের কারণে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) সুপার লিগের প্রতি রাউন্ডের পর দুদিনের বিরতি রেখেছে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম)।

সোমবার (২২ এপ্রিল) ডিপিএলের প্রথম পর্ব শেষে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ ছয় দলকে নিয়ে শুরু হবে সুপার লিগ।

প্রাথমিকভাবে প্রতি রাউন্ডের পর একদিন বিরতি দিয়ে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে এবারের আসর শেষ করতে চেয়েছিলো সিসিডিএম। কিন্তু আবহাওয়া বিবেচনায় নিয়ে নিজেদের সিদ্বান্ত বদল করেছে সিসিডিএম। কারণ, প্রচন্ড গরমের কারণে খেলোয়াড়রা ক্র্যাম্পিং ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

এদিকে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের আগে জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা চলতি ডিপিএলে অংশ নিচ্ছে। এজন্য যে কোনো সময় বড় ধরণের ইনজুরিতে পড়তে পারে তারা।

সুপার লিগের টিকিট পাওয়া ছয়টি দল হলো...

১। আবাহনী লিমিটেড

২। শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব

৩। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব

৪। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব

৫। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব

৬। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সুপার লিগের প্রথম রাউন্ডে আবাহনীর মুখোমুখি হবে প্রাইম ব্যাংক এবং বিকেএসপিতে গাজী গ্রুপের বিপক্ষে খেলবে শাইনপুকুর। দিনের অন্য ম্যাচে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে শেখ জামালের প্রতিপক্ষ মোহামেডান।

এদিকে, ২৩ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া রেলিগেশন লিগে খেলবে গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমি, সিটি ক্লাব এবং রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব। এই পর্বে দলগুলো একে অপরের বিপক্ষে একবার করে খেলবে। সব ম্যাচ শেষে টেবিলের তলানিতে থাকা দুই দল প্রিমিয়ার লিগ থেকে বাদ পড়ে যাবে। রেলিগেশন লিগেও প্রতি ম্যাচের পর দুদিন করে বিরতি রাখা হয়েছে।


আরও খবর



মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বিজিপির আরও ৫ সদস্য বাংলাদেশে

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

মিয়ানমারে আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘাতের জেরে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ৫ সদস্য বাংলাদেশে ঢুকে আশ্রয় নিয়েছেন।

রবিবার (১৫ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তের খারাংখালি পয়েন্ট দিয়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। পরে তাদেরকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবির) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘাত চলছে। এ কারণে প্রায়ই টেকনাফ সীমান্তে মর্টারশেল ও গোলার শব্দ ভেসে আসে। এর মধ্যেই গতকাল রবিবার সকালে নতুন করে বিজিপির ৯ সদস্য টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। পরে একই দিন রাত ১১টার দিকে খারাংখালি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে আরও বিজিপির ৫ সদস্য বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। পরে তাদের বিজিবির সদস্যরা নিরস্ত্র করেন।

এর আগে উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ৩৩০ জন এবং নাইকংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১৮০ জন মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য আশ্রয় নিয়েছিল। পরবর্তীতে ৩৩০ জনকে মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। এ ছাড়া নাইকংছড়ি বিজিবি হেফাজতে রয়েছে ১৮০ জন সদস্য।


আরও খবর



তীব্র গরমে প্রাথমিক-মাধ্যমিকে অনলাইনে ক্লাস চালুর চিন্তা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খোলেনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গত ২১ এপ্রিল ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। ২৬ ও ২৭ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার হওয়ায় ৭ দিন বন্ধের পর ২৮ এপ্রিল পুনরায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা।

তবে তাপপ্রবাহ না কমায় এ ছুটি বাড়ছে নাকি ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। অভিভাবকদের একটি অংশ এবং অভিভাবক ঐক্য ফোরাম নামে একটি সংগঠন অনলাইনে ক্লাস চালু রাখার দাবি তুলেছে। অনেকে আবার আরও কিছুদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার পক্ষে মত দিচ্ছেন।

এমন পরিস্থিতিতে কী ভাবছে শিক্ষা প্রশাসন? এমন প্রশ্নের অবশ্য সরাসরি জবাব মেলেনি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া এবং বিকল্প উপায় নিয়ে আলাপ-আলোচনা চালানোর কথা জানিয়েছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তদারককারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা।

শিক্ষা প্রশাসন বলছে, তীব্র গরমে ছুটি বাড়ানো কিংবা অনলাইনে ক্লাস নেওয়া নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তই এখনো হয়নি। শিক্ষামন্ত্রী বিদেশ সফরে থাকায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ এ নিয়ে আলোচনা করেনি। আলোচনা চললেও প্রাথমিক বিদ্যালয় নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরও।

তবে মাধ্যমিক, কারিগরি ও মাদরাসা এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে অনলাইনে ক্লাস চালুর বিষয়ে জোর আলোচনা রয়েছে। হাফ পিরিয়ড বা স্বল্প পরিসরে ক্লাস চালু করতেও মত দিচ্ছেন অনেকে। পাশাপাশি অ্যাসাইনমেন্টসহ ঘরে বসেই শিক্ষার্থীরা করতে পারেএমন কাজ দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন তারা।

তাপপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে শিশু শিক্ষার্থীরা। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখা বা খোলা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তই হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) শাহ রেজওয়ান হায়াত।

তিনি বলেন, ছুটি বাড়ানো, ক্লাস কমিয়ে হাফ পিরিয়ড বা স্বল্প পরিসরে নেওয়া কিংবা অনলাইনে ক্লাস চালু করাসব বিষয় সামনে রেখেই আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি। তবে কোনো সিদ্ধান্তই এখনো চূড়ান্ত হয়নি। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিষয়টি নিয়ে আলোচনা এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। যে সিদ্ধান্তই আসুক, তা শিক্ষার্থীদের জন্য অবশ্যই ইতিবাচক হবে। নেতিবাচক সিদ্ধান্ত সরকার নেবে না।

অন্যদিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছুটি আর বাড়ছে না বলেই জানিয়েছেন শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তাপপ্রবাহ যদি না কমে, সেক্ষেত্রে অনলাইনে ক্লাস চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হতে পারে। শিক্ষার্থীদের বেশি বেশি অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে অ্যাকটিভ (সক্রিয়) রাখার জন্যও শিক্ষকদের পরামর্শ দেওয়া হতে পারে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক সৈয়দ জাফর আলী বলেন, আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি। আলাপ-আলোচনা চলছে। ক্লাস একেবারে বন্ধ রাখার চেয়ে অনলাইন ক্লাস কিংবা বাড়ির কাজ (অ্যাসাইনমেন্ট) দিয়ে শিক্ষার্থীদের কীভাবে পড়ালেখার মধ্যে রাখা যায় সেটা নিয়েও চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। তবে কোনো ব্যাপারেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।


আরও খবর



ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: আইএইএ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইরানে সরাসরি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে দেশটির ইসফাহানে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এখানে একটি বড় বিমান ঘাঁটির পাশাপাশি রয়েছে পারমাণবিক স্থাপনাও।

তবে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)। এছাড়া ইসফাহানের কাছে অবস্থিত পারমাণবিক স্থাপনাটি স্বাভাবিক ভাবে’ কাজ করছে বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি।

আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা বলেছে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় কোনো ক্ষতি হয়নি বলে তারা নিশ্চিত করতে পারে।

এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রোসি সবার কাছ থেকে সর্বোচ্চ সংযমের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, পারমাণবিক স্থাপনাগুলো কখনোই সামরিক সংঘাতের লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়।’

এদিকে ইসফাহানের কাছে পারমাণবিক স্থাপনাটি স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে’ কাজ করছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় টিভি। ইরানের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন নিউজ নেটওয়ার্ক প্রেস টিভি জানিয়েছে, ইসফাহান শহরের কাছে অবস্থিত ওই পারমাণবিক স্থাপনায় বিস্ফোরণ বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো চিহ্ন’ নেই।

প্রেস টিভির এই প্রতিবেদনে পারমাণবিক স্থাপনাটি চিহ্নিত করা হয়নি, তবে ইরানের প্রধান পারমাণবিক কেন্দ্রটি ইসফাহানের উত্তরে নাতাঞ্জ শহরে অবস্থিত। এই শহরটি আবার ইসফাহান প্রদেশের মধ্যে অবস্থিত।

এর আগে ইরানের আধা-সরকারি ফারস নিউজ এজেন্সি জানায়, শুক্রবার ভোরে ইরানের ইসফাহান শহরের উত্তর-পশ্চিমে একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ফারস জানিয়েছে, শহরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে বিস্ফোরণটি ঘটেছে। তবে বিস্ফোরণের সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি এই নিউজ এজেন্সি।

ইরানের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত এই ইসফাহান প্রদেশে একটি বড় বিমান ঘাঁটি, বড় ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কমপ্লেক্স এবং বেশ কয়েকটি পারমাণবিক স্থাপনা রয়েছে।

এছাড়া ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনা নিরাপদে’ রয়েছে বলে আগেই জানায় ইরানের আরেক রাষ্ট্রীয় টিভি ও সম্প্রচারকারী আইআরআইবি। নির্ভরযোগ্য সূত্র’কে উদ্ধৃত করে সংস্থাটি বলেছে, ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনা সম্পূর্ণ নিরাপদ’।

অন্যদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির সংবাদদাতা বলেছেন, ইসফাহান শহরও নিরাপদ’ রয়েছে।

নাতাঞ্জ পরমাণু কেন্দ্রটি এর আগেও অবশ্য নাশকতামূলক হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। ২০২১ সালে একই অবকাঠামোতে একটি নিয়ন্ত্রিত’ বিস্ফোরণের খবরও রিপোর্ট করা হয়েছিল।


আরও খবর