পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরে বাড়িতে বিস্ফোরণে তৃণমূলের এক নেতাসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কাঁথির ভগবানপুর-২ ব্লকের ভূপতিনগর থানার অর্জুননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাড়য়াবিলা গ্রামে ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দু’জন।
নিহত তৃণমূল
নেতার নাম রাজকুমার মান্না। এলাকার তৃণমূলের বুথ সভাপতি হিসাবে রাজকুমার পরিচিত। স্থানীয়রা
জানিয়েছেন, নিহত বাকি দু’জন দেবকুমার মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েন। রাজকুমার এবং দেবকুমার সম্পর্কে
দুই ভাই। আহতদের উদ্ধার করে পশ্চিম মেদিনীপুরে একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে বিজেপির
অভিযোগ, রাজকুমার নিজের বাড়িতে বোম তৈরি করছিলেন। তখনই অসাবধানতার কারণে বোমা ফেটে
এই বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের মাত্রা এতটাই বেশি ছিল যে, বাড়ি পর্যন্ত উড়ে যায়। নিহত
এবং আহতরা তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী বলেও স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ।
ভগবানপুরে বিধায়ক বিজেপি নেতা রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, ‘‘রাতের অন্ধকারে বোমা বাঁধতে গিয়েই এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের উপস্থিতিতে মৃতদেহ গায়েব করার চক্রান্ত চলছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি না করে পশ্চিম মেদিনীপুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মৃতের সংখ্যা আরও বেশি বলে মনে করছি। বিষয়টি পুলিশ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।’’ ভগবানপুরের বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনি এনআইএ তদন্তের দাবি জানাবেন বলেও জানিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ।
কাঁথি সাংগঠনিক
জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার দোলুই বলেন, ‘‘তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বাঁধতে
গিয়ে এই বিপত্তি ঘটেছে। তৃণমূল নেতা-সহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি আমরা আরও খোঁজখবর নিয়ে দেখছি।’’
অন্যদিকে, ভগবানপুরের
প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতি বলেন, ‘‘আমরা এখনও এই বিষয়ে কিছু জানি না। খোঁজ খবর নিচ্ছি। কিছু জানতে পারলেই
জানাব।’’
বিধানসভা নির্বাচনের
সময় থেকেই উত্তপ্ত ভূপতিনগর। রাতের অন্ধকারে বোমাবাজি ও গুলির শব্দ প্রায় দিনই শোনা
যায় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। দু’সপ্তাহ আগেই তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মিহির ভৌমিককে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ
উঠেছিল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।