মৌসুমের শুরুতেই জমে উঠেছে বরিশাল-পিরোজপুর-ঝালকাঠি এই তিন জেলার সীমান্ত এলাকায় ভাসমান পেয়ারা বাজার। দখিণের এই পেয়ারা রাজ্যে প্রতিদিনই বাড়ছে ভ্রমণ পিপুসুদের ভিড়। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে ভীমরুলি-আদমকাঠি-আটঘর-কুড়িয়ানা এই চার স্থানে মূলতো পর্যটনদের উচ্ছেপড়া ভীর থাকে।
বিশেষ করে ঝালকাঠি সদরের ভীমরুলি গ্রামের ভাসমান বাজার বসছে প্রাচীনকাল থেকেই। তবে পেয়ারার মৌসুমকে কেন্দ্র করে শ্রাবণ ও ভাদ্র মাস জুড়ে এ বাজারটি জমজমাট হয়ে ওঠে। নৌকা ট্রলারে পেয়ারার বেচা-কেনার অপরূপ দৃশ্য দেখতে প্রতি বছরই ভিড় করেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকরা। গত কবছর ধরে এখনে বেড়াতে আসছে বিদেশীরাও। এ বছর মৌসুম শুরুতেই জমে উঠেছে পেয়ারা পর্যটন এলাকাগুলো। বিশেষ করে সপ্তাহের ছুটির দিনগুলোতে ভিড় করছেন অগণিত মানুষ। কেউ পরিবার পরিজন আবার কেউবা দলবেঁধে ছুটে আসছেন দূর-দূরান্ত থেকে। তাই ভীমরুলি খালের ওপর নৌকায় ঘুরে সময় কাটছে পর্যটকের আনন্দঘন মুহুর্ত। ছবিতে কেউ কেউ ফ্রেমেবন্দী করেন ভ্রমণের নৈসর্গিক মূহুর্তগুলো।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টটুল প্রতিবেদককে জানান, দেশ-বিদেশের পর্যটকরা এখানে এসে যাতে নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারেন, সে লক্ষ্যে নিয়মিত পুলিশ টহলসহ নিরাপত্তায় নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
উল্লেখ্য জুলাই এবং আগস্ট এই দু’মাসে ঝালকাঠির ভীমরুলির ভাসমান পেয়ারা বাজারে লাখ লাখ ভ্রমণ পিপাসুদের আগমন ঘটে। তাছাড়া প্রতিবছর পাইকার চাষিদের মাঝে কেনা বেচা হয় প্রায় ৩০ কোটি টাকার পেয়ার। এ তথ্য জানিয়েছে এলাকার পেয়ার চাষিরা। এখানে পেয়ারা বাগানে নিজস্ব অর্থায়নে বেশ কিছু পার্ক গড়ে উঠেছে যা ইতিমধ্যে পর্যটনদের মুগ্ধ করেছে। তবে এখানকার পরিবেশ সুন্দও ও নির্বিঘ্ন রাখতে পারলে এলাকাটি পর্যটন এলাকার পাশাপাশি অন্যতম একটি অর্থনৈতিক জোন হিসাবেও গড়ে উঠবে।