দেশে ফিরে নুরুল হক নুরুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেন ড. রেজা কিবরিয়া। এই মুহূর্তে দেশের বাইরে অবস্থান করায় ফিরে এসে ব্যবস্থা নেবেন তিনি।
মঙ্গলবার (২০ জুন) গণমাধ্যমকে এ কথা জানান সাবেক অর্থমন্ত্রীর ছেলে রেজা কিবরিয়া।
গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক পদে অন্য কাউকে দায়িত্ব দেয়ার সিদ্ধান্তকে অবৈধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রয়োজনে ভিপি নুকে বহিষ্কার করবেন।
সোমবার (১৯ জুন) রাতে গণঅধিকার পরিষদের প্যাডে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ড. রেজা কিবরিয়া জানান, রোববার (১৮ জুন) তার সভাপতিত্বে জরুরি সভায় দলীয় শৃঙ্খলার স্বার্থে সদস্য সচিবের কাছে প্রবাসী অধিকার পরিষদের কমিটি পুনর্গঠন, এরই মধ্যে সংগৃহীত অর্থের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি, রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে বৈঠক, ইসরায়েলের বিতর্কিত মোসাদ সদস্য মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে গোপন বৈঠক, দলীয় নেতাদের নিয়ে অসত্য সংবাদ প্রচারের জন্য ভিপি নুরকে দায়ী করে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। এতে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির উদ্ভব হলে তিনি (রেজা) সভাস্থল ত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন>> আগামী জাতীয় নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং: কাদের
রেজা কিবরিয়ার সংবাদ বিজ্ঞপ্তির পর নিজের ফেসবুক পেজে ভিপি নুর পাল্টা অভিযোগ তুলে বিবৃতি দেন।
গত রোববার সন্ধ্যায় গুলশান ২ নম্বর সেক্টরের ৫৫ নম্বর রোডের ২০ নম্বর বাড়িতে দলের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়ার বাসার ছাদে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সংসদের বৈঠক বসে। সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু হয়ে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত আড়াই ঘণ্টাব্যাপী ওই বৈঠকে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়।
দলের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বৈঠকে আসেন সাড়ে ৮টার দিকে। এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রেজা কিবরিয়া। তিনি বলেন, ৭টার বৈঠকে কেন সদস্য সচিব সাড়ে ৮টায় উপস্থিত হবেন? এরপর থেকেই উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় চলতে থাকে। যার রেশ থাকে শেষ পর্যন্ত। রাত ৯টা নাগাদ এক পর্যায়ে রাগ করে উঠে বাসায় চলে যান রেজা কিবরিয়া।
এদিকে গণঅধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়কের দায়িত্ব দেয়া হয় সংগঠনের ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাশেদ খাঁনকে। গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পূর্বনির্ধারিত কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক ও দপ্তর সমন্বয়ক শাকিল উজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তা জানানো হয়।