প্রধান নির্বাচন
কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচনকালে দায়িত্ব পালনকারী সাংবাদিক
নীতিমালা নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। প্রয়োজনে এ নীতিমালা সংশোধন করা হবে। সংযোজন-বিয়োজন
করা হবে। বুধবার নীতিমালা জারির পর থেকেই নানা মহলের সমালোচনার মুখে পড়ে কমিশন। সেই
সকল
সমালোচনার সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনে কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকদের জন্য একটা নীতিমালা জারি করেছি। এটা নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। সেটা আমরা মিডিয়া থেকে জানতে পেরেছি। বিষয়টা নিয়ে আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছি।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন ও নিরপেক্ষ : সিইসি
নির্বাচনের
খবর সংগ্রহের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞাসহ নানা বিধি-নিষেধ
আরোপ করে জারি করা নীতিমালা ফের যাচাই-বাছাই করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এসময় সিইসি আরও বলেন, আমরা বলতে চাই কোনো ডকুমেন্ট কিন্তু চিরস্থায়ী নয়। যদি প্রয়োজন হয়, সময়ের সঙ্গে পরিবর্তন করা যায়। আমরা যে নীতিমালা জারি করেছি, সেটা নিয়ে আমরা নিজেদের মধ্যে আরও আলোচনা করব। বিভিন্ন সূত্র থেকে যেসব মতামত বা সমালোচনা আসবে বা এসেছে, সেগুলো আমরা বিবেচনায় নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখব। নীতিমালায় কোনো অধিকতর সংশোধন, সংযোজন বা বিয়োজনের কোনো প্রয়োজন আছে কিনা তা দেখা হবে। সে বিষয়গুলো আমরা দেখে যথা সময়ে সিদ্ধান্ত নেবো। এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।
আরও পড়ুন: অংশীদারিত্বপূর্ণ নির্বাচন করাই আমাদের উদ্দেশ্য : সিইসি
তিনি বলেন,
নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছতা চায়। কমিশন সুশৃঙ্খল, সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক
সেই জিনিসটা চায়। সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা সব বিষয়ে একটি শৃঙ্খলা বিধানের চেষ্টা করবো।
অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, সেই জিনিসটা মাথায় রেখেই হয়তো নীতিমালাটা
করেছি। তারপরও যেহেতু আপনারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণের কাজটা করবেন, আপনাদের মতামতগুলো
নিয়ে আমরা বসে আরও আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো এবং আপনাদের যথা সময়ে অবহিত করবো।