আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

প্রতিরোধ বাহিনীর শান্তি আলোচনার প্রস্তাব, ‘আত্মসমর্পণ’ করতে বলল তালেবান

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় পাঞ্জশির উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী জাতীয় প্রতিরোধ ফ্রন্টের (এনআরএফএ) প্রধান আহমদ মাসউদ যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে আলোচনার যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তালেবান তা নাকচ করে দিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য টাইমসের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এ খবর জানিয়েছে।

ডেইলি মেইল জানিয়েছে, এনআরএফএর শান্তি আলোচনার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে তালেবান কমান্ডার মৌলভি মোহাম্মদ ফারুক বলেন, পাঞ্জশিরের বিদ্রোহী নেতাদের প্রতি আমাদের বার্তা হলো—‘আত্মসমর্পণ করো

আমরা তোমাদের হত্যা করতে চাই না- কিন্তু, তোমাদের অবশ্যই আত্মসমর্পণ করতে হবে। আমাদের বিজয় অবশ্যম্ভাবী, যোগ করেন তালেবান কমান্ডার।

এর কয়েক ঘণ্টা আগে গতকাল রবিবার এনআরএফএর নেতা আহমদ মাসউদ বলেছিলেন, পাঞ্জশির, কাপিসা, পারওয়ান ও আন্দারাব অঞ্চলে তালেবান হামলা বন্ধ করলে প্রতিরোধ ফ্রন্টও যুদ্ধ বন্ধ করতে রাজি আছে। তিনি এ ব্যাপারে তালেবানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে নিজের প্রস্তুতির কথা ঘোষণা করেন।

কয়েক দিন ধরে তালেবান ঘোষণা করে আসছিল যে, পাঞ্জশিরের কমান্ডারদের সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে। ফলে, সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে ওই উপত্যকা দখল করা হবে।পাঁচ দিন ধরে তালেবান পাঞ্জশির উপত্যকা দখলে অভিযান চালাচ্ছে। গতকাল রবিবার বিকেলে তালেবান দাবি করেতারা ওই উপত্যকার প্রায় পুরো অংশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিয়েছে।

২০০১ সালে দুই তালেবান সদস্যের আত্মঘাতী হামলায় পাঞ্জশিরের সিংহ হিসেবে পরিচিত আহমদ শাহ মাসউদ যখন নিহত হন, তখন তাঁর ছেলে আহমদ মাসউদ ছিলেন ১২ বছর বয়সি কিশোর। তৎকালীর রুশ বাহিনীর দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন আহমদ শাহ মাসউদ। তিনি পাঞ্জশিরে রুশ বাহিনীর আধিপত্য মেনে নেননি। তাঁর ছেলে আহমদ মাসউদ ঘোষণা করেছেনতিনি বেঁচে থাকতে ওই উপত্যকায় তালেবানের আধিপত্য মেনে নেবেন না।



আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন

কেন্দ্রে থাকবে সর্বোচ্চ পুলিশ-আনসার, প্রতি ইউনিয়নে ম্যাজিস্ট্রেট

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ সংখ্যক সশস্ত্র সদস্য মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

সভা শেষে সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ সংখ্যক সশস্ত্র সদস্য মোতায়েন করা হবে। ভোটকেন্দ্রগুলোতে ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য থাকবে। এর আগে কখনো এত বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ভোটকেন্দ্রে ছিল না।

তিনি জানান, প্রতিটি বুথ ব্যবস্থাপনার জন্য সর্বনিম্ন ১০ জন আনসার সদস্য থাকবে ও ৬টির বেশি বুথ আছে, এমন জায়গাগুলোতে একজন করে অতিরিক্ত আনসার থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে অস্ত্রসহ চার পুলিশ সদস্য থাকবে। আনসার থাকবে তিনজন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোট ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য থাকবে।

সচিব বলেন, ভোটের দিন ব্যালট পেপার পৌঁছানো হবে। এটা পৌঁছানোর কাজে নিয়োজিত থাকবে মোবাইল ফোর্স, স্ট্রাইকিং ফোর্স। ব্যালট পেপার সেন্টারে পৌঁছানোর পর তাদের এলাকাভিত্তিক যে দায়িত্ব বণ্টন করা হবে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার ও রিটার্নিং অফিসার যেটা বলবেন, সেভাবে তারা (আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য) দায়িত্ব পালন করবে।

স্বরাষ্ট্রসচিব বলেন, প্রতিটি ইউনিয়ন একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। প্রতিটি উপজেলায়ও একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। ভোটের আগের দিন ও পরের দিন পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবেন। গড়ে ৫টি সেন্টারের জন্য স্ট্রাইকিং ফোর্স ও মোবাইল ফোর্স থাকবে। আনসার, পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব ও কোস্ট গার্ডের সমন্বয়ে এই মোবাইল ফোর্স গঠন করা হবে। আর উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বিজিবির বদলে কোস্টগার্ড বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। পার্বত্য এলাকার কিছু দুর্গম সেন্টারে হেলিকপ্টারে পোলিং কর্মকর্তা ও ভোটের উপকরণ পৌঁছানো হবে।


আরও খবর



মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আসলো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। আগামীকাল মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় আনুষ্ঠানিকভোবে ঘোষণা হবে টি-২০ বিশ্বকাপের বাংলাদেশ দল। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ জাতীয় দলের লাল-সবুজ জার্সি গায়ে কোন ১৫ জন মাঠে নামবেন? তাদের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হবে এ সময়।

বিসিবি মিডিয়া ম্যানেজার ও বিশ্বকাপে জাতীয় দলের টিম অপারেশন্স ম্যানেজার রাবিদ ইমাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এদিকে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুও আজ সোমবার দুপুরে নিশ্চিত করেন, পেসার তাসকিন আহমেদের জন্যই মূলত অপেক্ষা করছে টিম ম্যানেজমেন্ট।

তাসকিনের এমআরআই করানো হয়েছে। সেই রিপোর্টটা হাতে পেলেই ডাক্তাররা তার ব্যাপারে ঘোষণা দেবেন। প্রধান নির্বাচক আরও জানান, ঠিক সাইড স্ট্রেইন নয়। যে ম্যাচে বাংলাদেশ ৫ রানে জিতেছে, সেই ম্যাচে ফিল্ডিং করতে গিয়ে তাসকিন কোমরের ডান অংশে ব্যথা পেয়েছেন। সেই ডান পাঁজরের আশপাশের একটা নরম হাড়ে খানিক আঁচড় লেগেছে। সেটাই তাকে ভোগাচ্ছে।

এদিকে তাসকিনের এমআরআই রিপোর্ট পেলেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বড় বড় অর্থপেডিক বিশেষজ্ঞদের মতামত নেবে বিসিবি। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

বোর্ডের উচ্চ পর্যায়ের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, যদি চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেন যে তাসকিন বিশ্বকাপের আগে ইনজুরিমুক্ত হয়ে মাঠে নামতে পারবেন, পুরো শক্তি ও রান আপে বোলিং করতে পারবেন, তাহলে তাকে দলে নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে স্ট্যান্ডবাই হিসেবে এক বা একাধিক পেসার নিয়ে যাওয়া হবে যুক্তরাষ্ট্রে।

যদি চিকিৎসকরা জানান, নাহ! তাসকিনের পক্ষে বিশ্বকাপের আগে আর বল হাতে মাঠে নামা সম্ভব হবে না, তাহলে তাকে বাদ দিয়েই স্কোয়াড ঘোষণা করা হবে। তখন মোস্তাফিজ, শরিফুলের সাথে তানজিম সাকিব ও সাইফউদ্দিন দুজনকেই দলে রাখা হবে।

আজ (সোমবার) পুরো দিনটি তাসকিন ইস্যুতেই রেখেছে বিসিবি এবং সংশ্লিষ্ট সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে, সোমবার রাতের মধ্যেই বিভিন্ন বিশেষজ্ঞর মতামত নিয়ে তাসকিনের ব্যাপারটা ফয়সালা করা হবে। এরপর মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে।


আরও খবর



নাইজেরিয়ায় মসজিদে তালা লাগিয়ে আগুন, নিহত ১১

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় একটি মসজিদে আগুন ধরিয়ে দিলে কমপক্ষে ১১ মুসল্লি প্রাণ হারিয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। দেশটির কানো প্রদেশের একটি মসজিদে বাইরে থেকে তালা আটকে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনার সময় মুসল্লিরা ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদের ভেতরে ছিলেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় কানো প্রদেশের একটি মসজিদে এক ব্যক্তির হামলায় অন্তত ১১ জন মুসল্লি নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। তারা বলেছে, এক ব্যক্তি মসজিদে পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন লাগানোর আগে সব দরজা বন্ধ করে দেয় এবং এতে মসজিদের ভেতরে প্রায় ৪০ মুসল্লি আটকা পড়েন।

উত্তরাধিকার এবং সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে এ হামলা হয়েছে বলে জানিয়ে পুলিশ। তারা এই ঘটনায় ৩৮ বছর বয়সী সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। কানো প্রদেশের গেজাওয়া এলাকায় বুধবার মুসল্লিরা ফজরের নামাজে অংশ নেয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।

বাসিন্দারা বলেছেন, হামলার পর মসজিদে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় মুসল্লিদের আর্তনাদের আওয়াজ শোনা যায় এবং তারা ভেতর থেকেই তালাবদ্ধ দরজা খুলতে চেষ্টা করেন। অবশ্য বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পর প্রতিবেশীরা ভেতরে আটকে পড়াদের সাহায্য করতে ছুটে আসেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এসব তথ্য উঠে এসেছে।


আরও খবর



ফের মিয়ানমারে ভারী গোলাবর্ষণ, কাঁপছে টেকনাফ সীমান্ত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপের উত্তরে সুধাপাড়াসহ কয়েকটি এলাকায় দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘাতের জেরে ব্যাপক ভারী গোলাবর্ষণ হচ্ছে। এর বিকট শব্দে কাঁপছে কক্সবাজারে টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত। এতে সীমান্তঘেঁষা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সোমবার (১৩ মে) রাত থেকে মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুর ২টা পর্যন্ত টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাইট্যং পাড়া থেকে সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ এলাকা পর্যন্ত নাফ নদীর বিভিন্ন সীমান্তে গোলাবর্ষণের বিকট শব্দ শুনেছেন তারা। এখনো মাঝে মধ্যে গোলাবর্ষণের শব্দ শোনা যাচ্ছে।

 সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন বলেন, সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত সাবরাং ইউনিয়নের আছারবনিয়া, ডেগিল্যারবিল, নয়াপাড়া ও শাহপরীরদ্বীপসহ কয়েকটি এলাকায় নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তরে থেমে থেমে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা গেছে। মাঝে মধ্যে ভারী গোলাবর্ষণের বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে এপারের সীমান্তের জনবসতিসহ বিভিন্ন স্থাপনা।

তিনি আরও বলেন, দুপুরে মিয়ানমার থেকে ভেসে আসা পর পর কয়েকটি ভারী গোলাবর্ষণের বিকট শব্দে শাহপরীরদ্বীপ সীমান্ত কেঁপে উঠলে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। এ সময় নাফ নদীর পাড়ে থাকা অনেককে নিরাপদে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে। কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপের উত্তরে সুধাপাড়াসহ কয়েকটি এলাকায় আরাকান আর্মি ও দেশটির সরকারি বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। সেখানকার দখল-বেদখলের জেরে সংঘর্ষের কারণে বিস্ফোরণ ও গোলাবর্ষণে বিকট শব্দ ভেসে আসছে।

তবে নাফ নদী সীমান্তের অন্তত তিন কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে মিয়ানমার অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষে বিবাদমান উভয়পক্ষের ছোড়া কোনো গোলাবারুদ এপারে আসেনি বলে জানান নুর হোসেন।

টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, সোমবার রাত থেকে টেকনাফ পৌরসভা ও সদর ইউনিয়নের নাইট্যংপাড়া, চৌধুরীপাড়া, জালিয়াপাড়া, কুলালপাড়া, নাজিরপাড়া, পল্লানপাড়া, কাঁয়ুকখালী পাড়া ও অলিয়াবাদসহ কয়েকটি এলাকায় থেমে থেমে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বেশী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

তিনি আরও বলেন, বিস্ফোরণের বিকট শব্দে সীমান্তে বসবাসকারী বাসিন্দাদের বসতঘর কেঁপে ওঠে। আতঙ্কে রাত কাটিয়েছেন তারা। এখনো বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসা অব্যাহত থাকায় স্থানীয়রা আতঙ্কে রয়েছেন।

বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটানিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাত মিয়ানমারের আভ্যন্তরীণ বিষয়। অনুপ্রবেশসহ সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

টেকনাফের ইউএনও আদনান চৌধুরী বলেন, সীমান্তে উদ্ভুদ পরিস্থিতি সম্পর্কে বিজিবি ও কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্টরা সজাগ রয়েছে। তবে যেকোনো পরিস্থিতিতে যেন কোনভাবে অনুপ্রবেশ না ঘটে, এ ব্যাপারে সীমান্ত সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।


আরও খবর



স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে গুলি, অবস্থা শঙ্কাজনক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো গতকাল বুধবার আততায়ীর গুলিতে মারাত্মক আহত হয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। অন্যদিকে সন্দেহভাজনকে আটক করেছে পুলিশ। খবর বিবিসি।

খবরে বলা হয়, রাজধানীর উত্তর-পূর্বে হ্যান্ডলোভা শহরে একটি সাংস্কৃতিক কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। সেখানে সরকারি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে- পেট, হাত ও পায়ে গুলি লেগেছে ফিকোর। একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তিনি তিনটি গুলির শব্দ শুনেছেন।

ফিকোর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে, প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি ছোড়া হয়েছে এবং তার জীবন আশঙ্কাজনক। তাকে হেলিকপ্টারে করে বাঙ্কসা বায়াসত্রিকাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ঘটনার সময় দেশটির পার্লামেন্টে অধিবেশন চলছিল। প্রধানমন্ত্রী গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর শোনার পর বিষয়টি সংসদ সদস্যদের অবহিত করেন ডেপুটি স্পিকার লুবোস ব্লাহা।

গুলির ঘটনায় দেশটির বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জুজানা ক্যাপুতোভা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ওপর নৃশংস ও নির্মম হামলার ঘটনায় তিনি হতবাক। হামলার নিন্দা জানিয়ে ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেন, আমাদের সমাজে এমন সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এটা গণতন্ত্রকে হেয় করে।


আরও খবর