রাজশাহীর গোদাগাড়ী
উপজেলায় এক প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে সাড়ে তিন বছর বয়সী এক শিশুর বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার
করেছে পুলিশ। বুধবার (১৬ নভেম্বর) সকাল থেকে সে নিখোঁজ ছিল।
তবে সন্ধ্যার
পর উপজেলার আলোকছত্র গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের বাড়ির ভেতর থেকে ওই শিশুর বস্তাবন্দী
মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত শিশুর নাম সুমাইয়া খাতুন মাহী। সে ওই গ্রামের মিলন খানের
মেয়ে।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, বুধবার সকালে মৃত নুরুল ইসলামের
১১ বছর বয়সী ছেলের সঙ্গে খেলা কর ছিল সুমাইয়া। পরে মেয়েকে খুঁজতে খুঁজতে সুমাইয়ার মা
সন্ধ্যায় নুরুল ইসলামের বাড়িতে যান। এ সময় তিনিই একটি ঘরের ভেতর বস্তাবন্দী অবস্থায়
মেয়ের মরদেহ দেখতে পান। পরে থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার
করে।
তিনি জানান, মৃত
নুরুল ইসলামের স্ত্রী একজন স্কুলশিক্ষকা। সারাদিন তিনি বাড়িতে ছিলেন না। বাড়িতে শুধু
তার ছেলে ছিল। বিকেলে ওই স্কুলশিক্ষকা বাড়ি এলে তার ছেলে ঘরের দরজা খুলে দিয়েছে। কিন্তু
বাড়িতে মরদেহ কেন, সে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে না তারা। তাই কিশোর ছেলেটিকে কাঁকনহাট
পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ওসি
আরও জানান, সুমাইয়ার গলায় চার্জারের ক্যাবল পেঁচানো পাওয়া ছিল। তাই দেখে প্রাথমিকভাবে
ধারণা করা হচ্ছে সুমাইয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে সুরতহাল করার সময় ধর্ষণের
কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের
মর্গে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হত্যা মামলা হবে।