আজঃ সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3
শিরোনাম

প্রথম আলোতে ভিত্তিহীন সংবাদ: সম্পাদক ফোরামের নিন্দা ও প্রতিবাদ

প্রকাশিত:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মহান স্বাধীনতা দিবসে দৈনিক প্রথম আলোয় প্রকাশিত ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক সংবাদের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরামের । গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে তারা এই প্রতিবাদ জানান। বিবৃতিতে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকার জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন তারা।

বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরামের নিন্দা ও প্রতিবাদ

 গতকাল বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরামের এক বিবৃতিতে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলা হয়েছে, গণতন্ত্রের জন্য স্বাধীন গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিহার্য। কিন্তু আমরা মনে করি গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে মিথ্যা ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ পরিবেশন, স্বাধীন সাংবাদিকতা নীতিমালা এবং বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার পরিপন্থি ও অপরাধমূলক। সম্প্রতি দৈনিক প্রথম আলো যেভাবে মিথ্যা ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ পরিবেশন করে রাষ্ট্র এবং জাতির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের চেষ্টা করা হয়েছে আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

তারা বলেন, অবশ্যই পত্রিকাটির যে কোনো সংবাদ পরিবেশনের অধিকার আছে কিন্তু সে সংবাদ যদি হয় মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক তা অবশ্যই সাংবাদিকতা নীতিমালার পরিপন্থি নিন্দনীয় ও অপরাধ মূলক কাজ। এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট মামলা হতে পারে তবে একজন সাংবাদিককে রাতের আঁধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তুলে নেয়াটাও সমর্থনযোগ্য নয়। ভবিষ্যতে এ ধরনের মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ পরিবেশন এর মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের চেষ্টা থেকে সবাইকে বিরত থাকার জন্য আমরা আহ্বান জানাই। বিবৃতিতে স্বাক্ষরদাতারা হলেন- বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরামের পক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল সোবাহান চৌধুরী, আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন ও সদস্য সচিব ফারুক আহমেদ তালুকদার।

বিবৃতিতে বলা হয়, উল্লেখিত প্রতিবেদনটিতে মূলত একজন শিশুর ছবির নিচে ক্যাপশনের পরিবর্তে একজন দিনমজুরের বক্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে, যে বক্তব্যে দেশের স্বাধীনতাকে ব্যঙ্গ করা হয়েছে। এছাড়া ক্যাপশনে একজন দিনমজুরের বক্তব্য হিসেবে ওই মন্তব্য প্রকাশ করা হলেও ছবিতে কোনো প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে দেখা যাচ্ছে না। অন্য একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে ওই শিশুকে তার দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে প্রলুব্ধ করে ছবিটি তোলা হয়েছে। সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে একাধিক পক্ষ থাকলেও সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহের বক্তব্য না নেয়া, অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া এবং অভিভাবকের অনুপস্থিতি অপ্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির ছবির তোলা কিংবা তার বক্তব্য ধারণ করা সংবাদপত্রের নীতিমালা পরিপন্থি। একজনের ছবির সঙ্গে আরেকজনের উদ্ধৃতি প্রকাশ ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিকর ছবি ও বক্তব্য প্রকাশ পাঠকের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। তারা বলেন, এ ঘটনা মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনকালে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে বাসন্তী নামের একজনকে জাল পরিয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের ঘটনাকে স্মরণ করিয়ে দেয়। ওই বাসন্তীকাণ্ড যে দেশে-বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সাজানো হয়েছিল তা পরবর্তীকালে প্রমাণিত হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, করোনা এবং ইউক্রেন যুদ্ধের সংকট মোকাবিলা করে যে মুহূর্তে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর সংবাদ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে, সেই মুহূর্তে দেশের একটি জাতীয় দৈনিক সরকারের বিরোধিতার নামে রাষ্ট্রকে অকার্যকর করার অপচেষ্টা কোনোভাবে মেনে নেয়া যায় না। এ ধরনের সংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি এবং সেই সঙ্গে ওই গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া ব্যবস্থা নিতে সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।


আরও খবর



বাইডেনকে ওবায়দুল কাদের

ট্রাম্পকে আগে সামলান, তারপর এসব ভিসা-টিসা

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

ভিসানীতি প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ট্রাম্পকে আগে সামলান, তারপর এসব ভিসা-টিসা। আমাদের এত ছোটখাটো বিষয় নিয়ে কেন মাথা ঘামান?

তিনি বলেন, বাইডেন সাহেব (জো বাইডেন) এতবড় বিশ্বনেতা! আপনার দেশে জনমত জরিপে এখন ট্রাম্পের সংখ্যা বেশি। আপনি প্রেসিডেন্ট, প্রেসিডেন্ট থাকেন। আমাদের আপত্তি নেই। নিজের দেশে ট্রাম্পকেই সামলাতে পারেন না। এক ট্রাম্পই আপনার ঘুম হারাম করে দিয়েছে।’ বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে টঙ্গী সরকারি কলেজ মাঠে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা অপেক্ষা রয়েছি ঢাকা দখল কে করে, কেমনে করে। দেখিয়ে দেবো হাসিনা ম্যাজিক। একটু অপেক্ষা করেন। হাসিনার ম্যাজিক উন্নয়নের ম্যাজিক, মুক্তিযুদ্ধের ম্যাজিক, জাতীয় পতাকার ম্যাজিক, স্বাধীনতার ম্যাজিক। হাসিনা ম্যাজিকেরই জয় হবে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ফাইনাল খেলা। নানান মতের জগাখিচুড়ির ঐক্য দিয়ে শেখ হাসিনার সরকারকে হটানো যাবে না।

মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি এখন কথায় কথায় কান্না করেন। এত কান্না কোথায় ছিল? ৪৮ মিনিট খালেদা জিয়ার জন্য একটা আন্দোলন করতে পারেন না। এবার ব্যর্থতার জন্য পদত্যাগ করেন। মির্জা ফখরুল ব্যর্থ সেক্রেটারি। ঘরের আগুনে মির্জা ফখরুলের ঘুম হারাম। অক্টোবরে আমাদের বিদায় দেবে তো। নিজেরা কয়ভাগে ভাগ হয়। তাদের যে ঘরের মধ্যে আগুন জ্বলছে সেই আগুনেই তারা পুড়ে মরবে। আমরা এ অক্টোবরেও আছি আগামী অক্টোবরেও আছি। আমাদের নেত্রী দয়া দেখিয়ে, মহানুভবতা দেখিয়ে খালেদা জিয়াকে আজকে বাসায় রেখেছে।

তিনি বলেন, আমাদের ক্যাপ্টেন শেখ হাসিনা আসছে, খেলা হবে। তিনি ওয়াশিংটন আছেন, সেখান থেকে আসলে খেলা হবে। তিনি সবাইকে বলেছেন তৈরি হয়ে যাও। খেলা হবে দুর্নীতি, অর্থ লুটপাট ও হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে, বিএনপির দুঃশাসনের বিরুদ্ধে। তারেকের বিরুদ্ধে।

মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার আমলে ১৮ ঘণ্টা লোডশেডিং ছিল। আর এখন ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এখন নারীরা, পুলিশ, বিচারক, পাইলট, মেট্রোরেল চালক, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ে অবদান রাখছেন। এগুলো শেখ হাসিনার অবদান।

গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, প্রেসিডিয়াম সদস্য সিমিন হোসেন রিমি, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লা মণ্ডল প্রমুখ।


আরও খবর



দোহারে স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

ঢাকার দোহার উপজেলায় স্থানীয় সরকার দিবস উন্নয়ন মেলা উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৮ সেপ্টম্বর) দোহার উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা প্রাঙ্গণ থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি উপজেলার প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে পুনরায় উপজেলা পরিষদে এসে শেষ হয়। তিনদিন ব্যাপী এ মেলা ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।

উপস্থিত ছিলেন দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোবাশের আলম, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শামীম হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা করম আলীসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ।

পরে উন্নয়ন মেলার বিভিন্ন স্টলগুলো পরিদর্শন করেন আগত অতিথিবৃন্দ।


আরও খবর



‘উন্নয়ন সমৃদ্ধি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চাইলে শেখ হাসিনার বিকল্প নাই’

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রাহাত (পিরোজপুর)

Image

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, উন্নয়ন সমৃদ্ধি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চাইলে শেখ হাসিনার বিকল্প নাই। আর যদি চান জঙ্গীদের উত্থান হোক, দুর্নীতির উত্থান হোক তাহলে ভিন্ন শিবিরে যাবেন। এখন সিদ্ধান্ত আপনি নেবেন। আপনার সন্তানরা সুদিন পাবে, আপনার ভবিষ্যৎ, আপনার এলাকার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখাবেন, নাকি দেশকে ওই পিছনের দিকে নিয়ে যাবেন। সে সিদ্ধান্ত আপনাদের নিতে হবে।

মন্ত্রী আজ রবিবার দুপুরে পিরোজপুর সদর উপজেলা চত্ত্বরে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত উন্নয়ন মেলা ও উপজেলা অডিটরিয়ামে আলোচনা সভার প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুসহ সকল বিষ্ময়কর উন্নয়নের বার্তা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বর, দলীয় নেতৃবৃন্দকে ঘরে ঘরে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। কারণ অনেকে অনেক কিছু জানেন না। তাদেরকে বোঝানো দরকার যে, শেখ হাসিনা স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করে সাজিয়েছেন। আজকে বঞ্চিতদের জন্য  নানাবিধ ভাতার ব্যবস্থা করেছেন।

মন্ত্রী বলেন, আমার বিশ্বাস পিরোজপুরবাসীরা উন্নয়নের পক্ষে থাকবে, সমৃদ্ধির পক্ষে থাকবে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পক্ষে থাকবে, আধুনিক বাংলাদেশের বিনির্মানের পক্ষে থাকবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের পক্ষে থাকবে।

জেলা প্রশাসক জাহেদুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহামেদ সাব্বির সাজ্জাদ, সহকারি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মুকিদ হাসান খান, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার যুগ্ম-পরিচালক আব্দুল কাদের প্রমূখ।

এর আগে মন্ত্রী দিন ব্যাপী উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন করেন। মেলায় ১১টি ষ্টল স্থান পায়। সকালে নাজিরপুর উপজেলা চত্ত্বরে একই কর্মসূচি উদ্বোধন ও আলোচনায় অংশ নেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডাক্তার সঞ্জিব দাশ, উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাকির হোসেন মিয়া, নজিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির, কৃষকলীগের আহবায়ক এস  এম নজরুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ আব্দুল লতিফ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সেখ মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জু, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহারিয়ার ফেরদৌস রুনা, শেখমাটিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান চৌধুরী নান্নু, খালিদ হোসেন সজল প্রমূখ।


আরও খবর



অস্ত্রোপচার ছাড়াই ৪৮ ঘণ্টায় ১৭ শিশুর জন্ম

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
যশোর প্রতিনিধি

Image

যশোরের চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত ৪৮ ঘণ্টায় অস্ত্রোপচার ছাড়াই ১৭ শিশুর জন্ম হয়েছে। এর মধ্যে ৯টি মেয়ে ও ৮টি ছেলে। শিশু ও প্রসূতি মায়েরা সুস্থ আছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, চলতি সেপ্টেম্বর মাসের ১৬ তারিখ পর্যন্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে স্বাভাবিক প্রসব হয়েছে ৭৩ প্রসূতির। এর মধ্যে ১৪ সেপ্টেম্বর রাত থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর সকাল পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টায় স্বাভাবিক ডেলিভারি হয়েছে ১৭ প্রসূতির। হাসপাতালটিতে সেপ্টেম্বরের ২ থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত সিজারিয়ান ডেলিভারি হয়েছে ৪১ প্রসূতির।

আর বৃহস্পতিবার ও শনিবার সিজারিয়ান ডেলিভারি হয়েছে ৯ প্রসূতির। এর আগের মাসে হাসপাতালটিতে স্বাভাবিক ডেলিভারি হয় ১২৩ এবং সিজারিয়ান ডেলিভারি হয় ৮৮ প্রসূতির।

সিজারের নামে বাণিজ্য, দালালচক্র ও অদক্ষ ধাত্রীর হাত থেকে প্রসূতিদের রক্ষা এবং নিরাপদে স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের লক্ষে চৌগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কয়েকজন চিকিৎসক কাজ শুরু করে ২০১০ সাল থেকে। এ বিষয়ে প্রসূতিদের উদ্বুদ্ধকরণে তারা বিভিন্নভাবে প্রচারও চালান।

চিকিৎসা কর্মকর্তারা বলছেন, প্রসব পূর্ববর্তী চিকিৎসার সময় স্বাভাবিক প্রসবের জন্য প্রসূতি মায়েদের কাউন্সিলিং এবং হাসপাতালে চিকিৎসক ও সেবিকাদের সমন্বয়ে কাজের ফলেই হাসপাতালে স্বাভাবিক প্রসূতি বেড়েছে।

এ বিষয়ে হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে কর্তব্যরত মিডওয়াইফ তামান্না আক্তার বলেন, আমরা প্রসূতিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও তাদের প্রসবের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত করার কারণেই হাসপাতালে স্বাভাবিক প্রসূতি বেড়েছে।

হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আল এমরান বলেন, আমাদের মিডওয়াইফরা হাসপাতালে কোনো প্রসূতি এলে তাদের শারীরিক পরীক্ষার পাশাপাশি মানসিকভাবে প্রস্তুত করে তোলেন। তাদের স্বাভাবিক প্রসবের জন্য উৎসাহিত করেন। এজন্য হাসপাতালে স্বাভাবিক প্রসব বেড়েছে।

চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন্নাহার বলেন, গত কিছুদিন ধরে হাসপাতালে স্বাভাবিক প্রসবের পরিমাণ কিছুটা কমে যাচ্ছিল। বিষয়টি নিয়ে চিকিৎসক, সেবিকা, মিডওয়াইফ ও স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে মিটিং করে এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। আমাদের এএনসি কর্নারে (প্রসব পূর্ববর্তী সেবাকেন্দ্র) হাসপাতালে সেবা নিতে আসা সব প্রসূতির মোবাইল নম্বর রাখা হয়। প্রসবের দিনের ২৪ ঘণ্টা আগে তারা হাসপাতালে না এলে তাদের কল করে হাসপাতালে আনা হয়।

প্রসূতি স্বাস্থ্য সেবায় উপজেলা পর্যায়ে দেশ সেরা এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি প্রসূতি সেবায় উপজেলা পর্যায়ে দেশ সেরার স্বীকৃতি হিসেবে রাষ্ট্রীয় পদক পেয়েছে ১৩ বার।


আরও খবর



ডেঙ্গু চিকিৎসায় ফ্লুইড ম্যানেজমেন্টে সতর্ক হতে হবে: বিএসএমএমইউর উপাচার্য

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ‘‘ডেঙ্গু ম্যানেজমেন্ট ডিলেমা শীর্ষক মাসিক সেন্ট্রাল সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ-ব্লক মিলনায়তনে এ সেমিনারটির আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল সেমিনার সাব কমিটি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আফজালুন নেসা ডাইনামেকিস অব ডেঙ্গু ভাইরাস ইন বাংলাদেশ এন্ড ডেঙ্গু ভ্যাকসিন আপডেটস, শিশু বিভাগের অধ্যাপক ডা. মাহবুব মোতানাব্বি ক্লনিক্যাল প্রেসেন্টেশন এন্ড ম্যানেজমেন্ট অব ডেঙ্গু: প্যাডেয়াট্রক অ্যাসপেক্ট ও ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফজলে রাব্বী চৌধুরী ম্যানেজমেন্ট অব ডেঙ্গু ইনফেকশন: টিফস এন্ড ট্যাকটিস  শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। প্যানেল অব এক্সপার্ট হিসেবে ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ মতামত প্রদান করেন।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বক্তব্য রাখেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনায় দেশ সেরা। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে এডাল্ট ৭০০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ৩ জন রোগী মারা গেছে। আমাদের শিশু বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২০০ জন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। যারা সবাই সুস্থ হয়েছে। আমাদের সেবার মান আগের থেকে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। যার প্রশংসা দেশের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিরা করছেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ডেঙ্গু চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধ করাই উত্তম। ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। ডেঙ্গুর মশা এডিস নিধনে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, এনজিও কর্মী এবং রাজনৈতিক কর্মীদের সম্পৃক্ত করতে হবে। রাজনৈতিক  ব্যক্তিদের বর্তমান সময়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধের উপর গুরুত্ব দিয়ে কর্মসূচি পালন করা উচিত।

তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা শুধু যে মেডিসিনি বিভাগের চিকিৎসকরা করবে এমন নয়। বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকদের এতে সম্পৃৃক্ত হতে হবে।  সাধারণ মানুষ ধারণা করেন প্লাটিলেট ১০ হাজারের নিচে নামলে রক্ত দেয়া লাগে। এজন্য প্লাটিলেট কমলে তারা চিকিৎসককে রক্ত দেবার জন্য পীড়াপীড়ি করেন। ১০ হাজারের নিচে প্লাটিলেট নামলে রক্ত দিতে হবে কি না সেটি চিকিৎসক নির্ধারণ করবে। চিকিৎসকদের প্রতি অনুরোধ কোন অবস্থায় চিকিৎসা প্রটোকল ভাঙ্গা যাবে না। প্রটোকোল অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে হবে। ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসায় ফ্লইড ম্যানেজমেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফ্লুইড ম্যানেজমেন্টে যথাযথ সতকর্তা অবলম্বন করতে হবে। কারণ ওভার ফ্লুইড এবং ফ্লুইডের অভাব রোগীর জন্য ক্ষতিকর। এমন কি রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

সেমিনারে বলা হয়, ডেঙ্গু জ্বরের গুরুত্বপূর্ণ সময় যখন রোগীর জ্বর ছেড়ে যায়। জ্বর ছেড়ে যাবার পরবর্তী ৪৮-৭২ ঘণ্ট ডেঙ্গু রোগীর ক্রিটিক্যাল সময়। এটি ডঙ্গু জ্বরের গুরুত্বপূর্ণ কারণ এসময় রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। ডেঙ্গু জ্বরের বিপজ্জনক উপসর্গ হলো - অনবরত বমি হওয়া, রক্তক্ষরণ হওয়া, তীব্র দুর্বলতা অনুভব করা, তীব্র পেট ব্যাথা, ফুসফুসো পানি জমা, তীব্র শ্বাসকষ্ট হওয়া।  গর্ভবতী মা, ক্যান্সার রোগী, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস,  কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে দ্রুত ভর্তি করতে হবে। ডেঙ্গু রোগীদের প্লাটিলেট ১০ হাজারের নিচে নামলেও রক্ত পরিসঞ্চালনের কোন প্রয়োজন নেই, সঞ্চালন করলে রক্ত (হোল ব্লাড) সঞ্চালন করাই শ্রেয়, প্লাটিলেট নয়। ডেঙ্গু জ্বরের রোগীর রক্তচাপ কমে গেলে, তা রেফার করা ঠিক নয়। ডেঙ্গু শক ৪-৬ ঘণ্টার মধ্যে ম্যানেজ করতে হয়। রক্তচাপ কমের রোগীকে রেফার করলে পথেই রোগী খারপ হতে পারে।

সুতরাং ডেঙ্গু শকের রোগীকে রেফার না করে ওই হাসপাতালেই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। ডেঙ্গু জ্বরে আলাদা করে ডাব, পেপে পাতা, পেপে জুস, ড্রাগন ফল বেদানা ইত্যাদি খাওয়ার আলাদা কোন প্রয়োজন নাই। ডেঙ্গু রোগী ব্যবস্থাপনায় অনেক বেশী পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রয়োজন নেই। সিবিসি টেস্টই যথেষ্ট। সিবিসি টেস্টের মধ্যে ডব্লিবিসি নিপ কাউন্ট এবং হেমাটোক্রিট ঐঈঞ কাউন্ট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুদের প্রতি বেশী যত্নশীল হতে হয়। কারণ শিশুদের শরীরে কোন সমস্যা দেখা দিলে তা স্পষ্ট করে বলতে পারে না। ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুদের বাইরে থেকে স্বাভাবিক মনে হলেও যেকোন সময় শিশুরা ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোমে চলে যেতে পারে। তাই ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুদের যথাযথ মনিটোরিং করতে হবে। যাতে কোন সমস্যা হলে দ্রুত ব্যবস্থাপনা করা যায়। ডেঙ্গু ভ্যাকসিন ৩ ধরণের আছে। এটি ভ্রমণকারীদের জন্য অনুমোদিত। জনসাধারণের জন্য ভ্যাকসিন ব্যবহারের পূর্বে আর গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ মনিরুজ্জামান খান, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, শিশু অনুষেদর ডিন অধ্যাপক ডা. রনজিৎ রঞ্জন রায়, মেডিকেল টেকোনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবতোষ পাল, সেন্ট্রাল সাব কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মোঃ শহীদুল্লাহ্ সবুজ।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সেন্ট্রাল সাব কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. বেলায়েত হোসেন সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রেসপিরিটোরি বিভাগরে সহকারী অধ্যাপক ডা. সম্প্রীতি ইসলাম। সেমিনারে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক,  কনসালটেন্ট, চিকিৎসক  ও রেসিডেন্টগণ উপস্থিত ছিলেন। 

নিউজ ট্যাগ: বিএসএমএমইউ

আরও খবর