নির্বাচন কমিশনের
(ইসি) দায়ের করা প্রতারণার মামলায় ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে আদালতে হাজির করতে প্রোডাকশন
ওয়ারেন্ট (হাজিরা পরোয়ানা) জারি করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত
চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ আদেশ দেন।
এদিন সাবরিনার
আইনজীবী প্রণব কুমার কান্তি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা সাবরিনাকে প্রথম শ্রেণির
মর্যাদা চেয়ে আবেদন ও তার উপস্থিতিতে শুনানির আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী
২২ নভেম্বর ধার্য তারিখে সাবরিনাকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেন আদালত।
বাড্ডা থানার
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রণপ কুমার এ তথ্য
জানান।
২০২০ সালের ৩১
আগস্ট ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া বাদী
হয়ে রাজধানীর বাড্ডা থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় বলা হয়,
মিথ্যা তথ্য দিয়ে দ্বৈত ভোটার হয়ে এবং একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আইন অনুযায়ী অপরাধ
করেছেন সাবরিনা। তার দুটি এনআইডির তথ্য তুলে ধরে বিবাদীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে
বলা হয়েছে।
২০১০ সালের জাতীয়
পরিচয় নিবন্ধন আইনের ১৪ ও ১৫ ধারায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৪ ধারায় মিথ্যা তথ্য
দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের
বিধান আছে। আর ১৫ ধারায় একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলেও একই শাস্তি
হতে পারে।
এ মামলায় ২০২০
সালের ২২ নভেম্বর জামিন পান সাবরিনা।
চলতি বছর সালের
১৯ জুলাই করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের
শীর্ষ কর্মকর্তা ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী ও তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীসহ আট আসামিকে
পৃথক তিন ধারায় ১১ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে এ মামলায় কারাগারে
রয়েছেন সাবরিনা।