নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৯ কর্মীকে প্রত্যাহার করেছে সংস্থাটি। গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) বিমানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রত্যাহারকৃতরা হলেন—মোটর ট্রান্সপোর্ট
শিডিউলিং সুপারভাইজার মাহবুব আলম শরীফ, ট্রাফিক আবদুল মালেক, আল আমিন, আলমগীর হোসেন,
তাপস কুমার, আইয়ুব উদ্দিন, মোটর ট্রান্সপোর্ট অপারেটর নজরুল ইসলাম, ফারুক হোসাইন, মিজানুর
রহমান, মহসীন আলী।
গত ৫ জুলাই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের
(ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ ৩০ জনের বিরুদ্ধে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় চার্জশিট
জারি করে। এর মধ্যে ২৬ জনই বিমানের কর্মী। চার্জশিটে বলা হয়, অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন সংগ্রহ, ফাঁস করে এরপর চাকরিপ্রত্যাশীদের
মধ্যে বিতরণ করতেন।
আরও পড়ুন<< প্রত্যাহার হলো কয়লাবাহী জাহাজের আটকাদেশ
ইলেকট্রিশিয়ান, মেকানিক, ওয়েল্ডার, পেইন্টার,
অপারেটর এবং টেইলার্সের ১০টি পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে চলতি বছরের
১ জানুয়ারি বিমানের গ্রাউন্ড সার্ভিস ইকুইপমেন্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক এবং নিরাপত্তা বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মেজর তাইজ ইবনে
আনোয়ারকে প্রত্যাহার করা হয়। তিনি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি কমিটির অন্যতম সদস্য
ছিলেন।
এ ঘটনায় একই বছরের ১৪ জুন উপসচিব ও বিমানের প্রশাসন ও মানবসম্পদ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক
মো. নিজাম উদ্দিন আহমেদকেও প্রত্যাহার করা হয়।এর আগে ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর বিমানের
সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহিদ হোসেনকেও প্রত্যাহার
করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন<< স্ত্রীসহ গুলশান থানার সাবেক ওসির কারাদণ্ড
এই ঘটনার জের ধরে চলতি বছরের জানুয়ারিতে,
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় বিমান কর্তৃপক্ষকে প্রশ্নফাঁসে জড়িতদের
বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটি নীতিমালা তৈরি করার নির্দেশনা দিয়েছিল। কিন্তু
সেই নির্দেশনা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি বলে জানা গেছে।