৫৭ কোটি টাকার
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাকির হোসেন
বিদেশ যেতে পারবেন না। দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিন
স্থগিত করেননি আপিল বিভাগ। তবে তার পাসপোর্ট দাখিল করার শর্তে জামিন বহাল রাখা হয়েছে।
তার জামিন বাতিল চেয়ে দুদকের করা আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহীমের চেম্বার আদালত বুধবার এ আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ খুরশীদ আলম খান। পরে খুরশীদ আলম খান জানান, জাকির দেশ ছাড়তে পারবেন না। তিনি এখনও মন্ত্রণালয়ে কর্মরত আছেন।
আরও পড়ুন>> যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তিক্ততা সৃষ্টির চেষ্টা করছে কিছু গোষ্ঠী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গত ১৭ সেপ্টেম্বর
হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ জাকিরের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। পরে ওই জামিন স্থগিত
ও বাতিল চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সে আবেদনের ওপর শুনানি
অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ। এর আগে গত ২৯ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক
ফয়সাল বিন আতিক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন।
বিভিন্ন ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিটের (এফডিআর) রসিদের তথ্য, বাড়ি, ফ্ল্যাট ও গাড়িসহ অবৈধ উপায়ে অর্জিত প্রায় ৫৭ কোটি টাকা সম্পদের খোঁজ মিলেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনের। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেননি আপিল বিভগের চেম্বার আদালত। তবে তার পাসপোর্ট দাখিল করার শর্তে বহাল রাখা হয়েছে জামিন।
খুরশীদ আলম
খান বলেন, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা মামলায় উচ্চ আদালত ছয় সপ্তাহের মধ্যে জাকির
হোসেনকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দিয়েছিলেন। উচ্চ আদালতের সেই নির্দেশনা অনুযায়ী
আসামি ২৯ আগস্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। তবে আদালত তার জামিন আবেদন নাকচ করে
তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। ১৭ সেপ্টেম্বর
অবকাশকালীন আদালত তার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। বর্তমানে মামলা তদন্তাধীন রয়েছে বলেও
জানান দুদকের আইনজীবী।
গত ১৪ মার্চ
জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১৫ কোটি
৪০ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলের অভিযোগ আনা হয়।