পরকীয়া সম্পর্কের জেরে জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে স্বামীকে হত্যা করে দীর্ঘ ২২ বছর পলাতক থাকার পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ডলি বেগমকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
রোববার (১৬ জুলাই) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট র্যাব-৫ সিপিসি-৩ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানান, পাঁচবিবি উপজেলার মঠপাড়া গ্রামের ফয়েজের ছেলে আবুল হোসেনের সঙ্গে একই উপজেলার কুটাহারা গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে ডলির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আবুল হোসেন তার শ্বশুরবাড়িতে ঘর জামাই থাকতেন। সে সময় পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ চলছিল। এ সময় ডলি মোস্তাফিজুর নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এই অবৈধ সম্পর্ক স্বামী জেনে গেলে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে স্ত্রী ডলি। সেই মোতাবেক ২০০১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে আসামিরা শ্বাসরোধ করে আবুলকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরের দিন তার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ।
এ ঘটনায় ২৯ সেপ্টেম্বর নিহতের বাবা বাদী হয়ে পাঁচবিবি থানায় মামলা করেন। গত ২৬ জুন দুপুরে জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র বিচারক নুর ইসলাম ৪ জন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কুটাহারা গ্রামের আবুল হোসেনের স্ত্রী ডলি বেগম, মৃত নিগমা উড়াওয়ের ছেলে সুরেন উড়াও, ধলু মন্ডলের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ও দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার বলরামপুর গ্রামের ফিরাজ উদ্দীনের ছেলে কাফা।
এর মধ্যে ডলি বেগম পলাতক ছিলেন। মামলা হওয়ার পর থেকেই আসামি ডলি বেগম (৪২) গ্রেপ্তার এড়াতে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে থাকে।
গত শনিবার র্যাব ৪ (সিপিএসসি) এবং র্যাব ৫ (সিপিসি-৩) এর যৌথ অভিযানে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ডলিকে ঢাকা হতে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে গ্রেপ্তাকৃত আসামিকে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পাঁচবিবি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।