ঝালকাঠিতে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে স্থানীয় এক সৌদি প্রবাসী কামাল হোসেনের স্ত্রীর ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহ মো. আল আমিন তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত রিপন মল্লিক (৫০) ঝালকাঠি পৌর শহরের ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি পৌর এলাকার মৃত আবদুল মল্লিকের ছেলে।
এটি একটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারনা করছে পুলিশ। এ ছাড়া ঘটনার সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক থাকতে পারে বলেও মনে করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে শিরিন বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ, নিহতের স্বজন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কৃষ্ণকাঠি মল্লিক বাড়ির বাসিন্দা আওয়ামী লীগ নেতা রিপন মল্লিক প্রায়ই সৌদি প্রবাসী কামালের স্ত্রী শিরিন আক্তারের ঘরে আসা যাওয়া করতেন। কামাল হোসেনের স্ত্রীর সাথে রিপন মল্লিকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিন শিরিন তার ঘরে একা ছিলেন। শিরিনের ছেলে ইমন হোসেন চার দিন আগে ঢাকায় যায়।
স্থানীয়রা মৃতদেহ প্রতিবেশী সৌদি আরব প্রবাসী কামাল হোসেন এর বাসায় রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে ৯৯৯ এর মাধ্যমে ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশকে খবর দেয়। মরদেহ রাতেই উদ্ধার করেছে পুলিশ।
প্রতিবেশী হারিছ হোসেন বলেন, ‘রাত সাড়ে ১০ টায় শিরিন তার ঘরের ভেতর থেকে ডাক চিৎকার করছিলেন। এ সময় আমিসহ আশপাশের মানুষ ঘরে ঢুকে দেখি রিপন মল্লিক অর্ধ উলঙ্গবস্থায় মেঝেতে পড়ে ছিল। সবাই মিলে তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানের ডাক্তার জানান রিপন মারা গেছে। তারপর আমরা রিপনের লাশ তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেই।’
নিহত রিপনের ভাই সমির মল্লিক বলেন, ‘আমাকে স্থানীয়রা ফোনে জানায় আমার ভাইকে মেরে মাথা ফাটিয়েছে। তারপর আমি শিরিনের ঘরে এসে দেখি মেঝেতে রক্ত লেগে আছে। আর আমার ভাইকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। তখন শিরিন তার ঘরেই বসা ছিল।’
ঝালকাঠি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মো. মুহিতুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কাছে মনে হচ্ছে এটা হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনার সঙ্গে পরকীয়ার কোনো কারণ থাকতে পারে। ৯৯৯ এর মাধ্যমে তথ্য পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’