আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে রাশেদুলের বাড়ি!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ এপ্রিল ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ এপ্রিল ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

লালমনিরহাট প্রতিনিধি:

১৭০০ বর্গফুটের একটি বাড়ি, তাতে নেই কোনো ইট। এর বদলে কাজে লাগানো হয়েছে ৮০ হাজার পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতল। এ রকম এক অদ্ভুত নির্মাণ উপকরণ দিয়ে বাড়ি বানিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন লালমনিরহাটের এক শিক্ষক দম্পতি।

প্রতিদিন দলে দলে লোক আসছে কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী নওদাবাস গ্রামের এ বাড়িটি দেখতে। বাড়িটি শুধু যে বসবাসযোগ্য তাই নয়, অন্যান্য পাকা বাড়ির চেয়ে শক্তপোক্ত এবং নিরাপদ।


এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগ যারা নিয়েছেন, সেই রাশেদুল আলম ও তার স্ত্রী আসমা খাতুন দুজনে ঢাকার শেখ বোরহান উদ্দিন কলেজে পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয়ে লেখাপড়া করেন। পরে তারা সেখানে খণ্ডকালীন শিক্ষকতাও করেন কিছুদিন।

এই দম্পতির দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে রাফিদুল বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। ছোট ছেলেটিরও বাকপ্রতিবন্ধিতা আছে। তাদের কোলাহলমুক্ত পরিবেশে রাখতে বাবা-মাকে পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। এ জন্য শহর ছেড়ে শান্ত পরিবেশে পারিবারিক ভিটায় সন্তানদের নিয়ে এসেছেন ওই শিক্ষক দম্পত্তি।

বাড়িতে এসে তারা ভাবতে থাকেন কী ধরনের বাড়ি করবেন। ইন্টারনেট থেকে স্ত্রী আসমা খাতুন জানতে পারেন পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে ইকো-হাউস নামে পরিবেশবান্ধব বাড়ি তৈরি করছেন জাপানিরা। এতে উৎসাহিত হয়ে এ দম্পত্তি প্লাস্টিকের বাড়ি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। দুজন মিলে রপ্ত করতে থাকেন বাড়ি তৈরির কলাকৌশল। সেই সঙ্গে তারা বোতল সংগ্রহ করা শুরু করেন।

শুরুর দিকে অনেকে উপহাস করেছেন। ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রা বাধা দিয়েছেন। বলেছেন, এ রকম বাড়ি টেকসই হবে না। কিন্তু কারও কথাই কান দেননি এ দম্পতি।

এমন বাড়ি নির্মাণের খবর গণমাধ্যমে প্রচার হলে এটি দেখতে অনেক মানুষ ভিড় করতে থাকে। ইতোমধ্যে বাড়িটি বোতল হাউজ হিসেবে এলাকায় পরিচিতি লাভ করেছে।


সরেজমিনে দেখা গেছে, বাড়িটিতে চার রুমের থাকার ঘর আছে। আছে দুটি বাথরুম, রান্নাঘর ও বারান্দা।

১৭০০ বর্গফুটের বাড়িটি নির্মাণে বিভিন্ন আকৃতির প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকি বাথরুমের সেপটিক ট্যাংক ও মেঝেতেও ব্যবহার করা হয়েছে বোতল। বাড়ির ভিত্তিমূলে এক লিটার এবং দেয়ালে ব্যবহার করা হয়েছে আধা লিটারের প্লাস্টিকের বোতল।

বোতলগুলো বালুতে ভর্তি করার পর সিমেন্ট দিয়ে তা দেয়ালে গাঁথা হয়। বোতলে বালু দেয়ায় স্বাভাবিক ইটের তুলনায় ১৫ থেকে ২০ গুণ বেশি শক্ত হয় বলে জানান রাশেদুল। এ ছাড়া বালু গরমে তাপ শোষণ করে ঘরকে অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা রাখে বলে জানান তিনি।

রাশেদুল জানায়, পরিবেশ রক্ষার দায়বদ্ধতা থেকে অভিনব এই বাড়ির কাজে হাত দিয়েছেন তিনি। স্ত্রী আসমা খাতুন তাকে সার্বক্ষণিক সাহস জোগাচ্ছেন। পরিবেশবান্ধব, তাপ শোষক, অগ্নিনিরোধক, ভূমিকম্পসহ বাড়িটি নির্মাণে ইটের তৈরি বাড়ি থেকে ৪০ শতাংশ কম ব্যয় হয়েছে।

নির্মাণকাজ পুরোটা আগামী এক মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এখনও অনেক লোকজন দেখতে আসছে বলে বোতল ঢাকতে দেয়াল প্লাস্টার করা হয়নি।

রাশেদুল বলেন, আমরা বাড়ি তৈরি করব, কিন্তু ইট দিয়ে নয়। কারণ, ইট তৈরিই হয় পরিবেশের ক্ষতি করে। বোতলের মধ্যে যদি বালু ভরাট করা হয়, তাহলে দুটি বোতল একটি ইটের কাজ করবে।

বাড়িটি তৈরি করতে ৮০ হাজার প্লাস্টিকের বোতল লেগেছে। ওজনে তারা ৬০ মণ বোতল কিনেছিলেন। প্রতি কেজি বোতল প্রকারভেদে কিনতে হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। টিনের চালা বাদে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার মধ্যে বাড়ির পুরো কাজ শেষ হবে বলে আশা করছেন তারা।

বাড়ির নির্মাণ শুরু হয় ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। এ পর্যন্ত ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। এখন শুধু প্লাস্টার করা বাকি। এখনই বাড়িতে বসবাস শুরু করেছেন তারা।

রাশেদুল বলেন, প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে বাড়ি করলে আগুন সহজে লাগবে না। এটি শক্তিশালী ফায়ার প্রুফ হিসেবে কাজ করবে। আগুন লাগলে প্লাস্টিকের বোতল গলে যাবে, তখন ভেতরের বালু ঝরে পড়বে, ফলে আগুন নিভে যাবে।

প্লাস্টিকের বোতলে বালু ভরাট করায় এটি ভূমিকম্পসহও হবে। গবেষণাগারে পরীক্ষায় দেখা গেছে, বোতল দিয়ে বানানো বাড়ি রিখটার স্কেলে আট মাত্রার ভূমিকম্প প্রতিরোধ করতে পারে। তা ছাড়া ইটের তৈরি বাড়ির চেয়ে এটি অনেক শক্ত ও টেকসই।

রাশেদুল আরও বলেন, সীমান্ত এলাকার ক্যাম্পগুলোতে বালু দিয়ে বস্তা ভর্তি করে বাংকার তৈরি করে বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি)। সে ক্ষেত্রে খালি বোতলে বালু ভরাট করে বাংকার তৈরি করলে তা আরও শক্তিশালী হবে। ইট দিয়ে এ বাড়ি তৈরি করলে চার লাখের মতো টাকা ব্যয় হতো। বোতলের বাড়ি নির্মাণে খরচ হয়েছে আড়াই লাখ টাকা।

এ গ্রামের বাসিন্দা প্রবীণ সাংবাদিক শেখ আব্দুল আলিম বলেন, ফেলনা বোতল দিয়ে যে বাড়ি করা যায়, তা রাশেদুলের এই বাড়ি না দেখলে কারও বিশ্বাস হতো না। তার এই বাড়ি দেখে এলাকার অনেকে উদ্বুব্ধ হচ্ছেন। অনেকে তাদের কাছ থেকে বাড়ির নকশা করে নিয়ে যাচ্ছেন।

গ্রামের বাসিন্দা রহিম উদ্দিন বলেন, এত কম ট্যাকায় মজবুত বাড়ি হয়, এটা আগোত জানলে হামরাও প্লাস্টিকের বোতল কুড়ায় বাড়ি কইরবার পানু হয়।

পরিবেশবান্ধব হলেও বাড়ি নির্মাণে প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহারের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন হওয়া উচিত বলে মনে করেন কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আবু তৈয়ব মো. শামছুজ্জামান।

তিনি বলেন, এটি পরিবেশবান্ধব হতে পারে। কারণ ইট দিয়ে বাড়ি পরিবেশের জন্য হুমকি। এটি ট্রায়াল দিয়ে দেখা যেতে পারে। আরও কিছু বাড়ি হলে বোঝা যাবে, এটি কতটা শক্তিশালী। তবে এটি যে তাপ শোষণ করার ক্ষেত্রে ভালো কাজ করবে, এতে সন্দেহ নেই। গরমকালে শীতল থাকবে বাড়িটি।

নিউজ ট্যাগ: লালমনিরহাট

আরও খবর



লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

লালমনিরহাটের বুড়িরহাট সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মুরুলী চন্দ্র (৪৩) নামে এক বাংলাদেশি রাখাল নিহত হয়েছেন। এ সময় বিএসএফের গুলিতে আরও ২ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দিবাগত মধ্যরাতে কালীগঞ্জ উপজেলার বুড়িরহাট সীমান্তের ৯১৩ নম্বর পিলারের একশত গজ ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।

মুরুলী চন্দ্র কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের উত্তর বালাপাড়া গ্রামের সুশীল চন্দ্রের ছেলে। আহতরা হলেন একই এলাকার চন্দ্রপুর গ্রামের আজিমুল হকের ছেলে মিজানুর রহমান (৩৩) ও নুর ইসলামের ছেলে লিটন মিয়া (৪৩)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো শুক্রবার রাতে ৪/৫ জনের একটি পাচারকারী চক্র ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সহায়তায় গরু পাচার করতে ভারতে প্রবেশ করেন। গরুর রাখালরা ভারতীয় গরু নিয়ে বুড়িরহাট সীমান্ত দিয়ে ফিরছিলেন। এ সময় বিএসএফ তাদেরকে লক্ষ করে কয়েক রাউন্ড গুলি করে। এতে ৩ জন বাংলাদেশি রাখাল গুলিবিদ্ধ হন। পরে বাকিরা আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে রংপুরে নেওয়ার পথে মুরুলী চন্দ্র মারা যান। বাকি দুইজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

কালীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির বলেন, সীমান্ত এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মুরলী চন্দ্র নামে একজনের মরদেহ আমরা উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়েছি। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মোফাজ্জল হোসেনের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি।

নিউজ ট্যাগ: লালমনিরহাট

আরও খবর



এক রাতে ৮০টির বেশি ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তাইওয়ান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

একে একে ৮০টির বেশি ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তাইওয়ান। স্থানীয় সময় সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার ভোররাত পর্যন্ত তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে এসব ভূকম্পন অনুভূত হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পনটি ছিল ৬ দশমিক ৩ মাত্রার। দ্বীপ ভূখণ্ডটির আবহাওয়া প্রশাসন এসব এতথ্য নিশ্চিত করেছে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একের পর এক আঘাত হানা এসব ভূমিকম্পের কয়েকটি আবার রাজধানী তাইপেইর ভবনগুলোতেও কম্পন সৃষ্টি করে।

তাইওয়ানের আবহাওয়া প্রশাসন বলেছে, পূর্বাঞ্চলীয় প্রত্যন্ত হুয়ালিয়েন কাউন্টি ছিল এসব ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল। ওই এলাকায় চলতি মাসের শুরুর দিকে রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে ১৪ জনের প্রাণহানি ঘটে।

হুয়ালিয়েনের দমকল বিভাগ মঙ্গলবার ভোরে জানিয়েছে, গত ৩ এপ্রিল ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া একটি হোটেল আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ঝুঁকে পড়েছে। অবশ্য আগের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে এটি বন্ধই ছিল। তবে এতে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১৩ কিলোমিটার যানজট

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

ঈদে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষের যানবাহনের চাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশে ১৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এবং কুমিল্লার দাউদকান্দি অংশেও যানজট রয়েছে বলে জানা গেছে।

সরেজমিন শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকাল ১০টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের বাউশিয়া পাখির মোড় এবং তেতৈতলা হাস পয়েন্ট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ঢাকামুখী লেনে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও কুমিল্লামুখী লেনে যান চলাচল প্রায় বন্ধ। গজারিয়া অংশের ১৩ কিলোমিটার এলাকায় যানজট রয়েছে। এ ছাড়া কুমিল্লার দাউদকান্দি এবং নারায়ণগঞ্জের অংশেও যানজট রয়েছে।

ফেনীগামী প্রাইভেটকারচালক বলেন, কাঁচপুর থেকেই জ্যামে পড়ি আমরা। কাঁচপুর থেকে গজারিয়ার ভবেরচরে আসতে ২ ঘণ্টার বেশি সময় লেগে গেল। রাস্তায় কোথাও এক্সিডেন্ট হয়েছে বা গাড়ি নষ্ট হয়েছে এ রকম কিছু দেখলাম না, কিন্তু রাস্তায় প্রচুর যানবাহন।

গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবির বলেন, যানজট নয়; তবে যানবাহনের ধীরগতি রয়েছে। মহাসড়কে একটি গাড়ি বিকল হয়েছিল তা আমরা সরিয়ে দিয়েছি। মূলত ঈদযাত্রা শুরু হওয়ায় যানবাহনের অত্যাধিক চাপই ধীরগতির কারণ। পাশাপাশি কুমিল্লার দাউদকান্দির বলদাখাল এলাকায় মহাসড়কের এক পাশ দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে, সে জন্যও গাড়ি চলাচলের সময় লাগছে। হাইওয়ে পুলিশ যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।


আরও খবর



আনোয়ারায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত, সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় নুরজাহান বেগম (৬৩) নামে এক নারীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে দশটায় দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নুরজাহান বেগম হাইলধর ইউনিয়নের খাসখামা এলাকার মো. শাহ আলমের স্ত্রী।

নিহতের ফুফাতো ভাই তৌহিদুল হক জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে রাস্তা পার হচ্ছিলেন আমার ফুফি, এমন সময় দ্রুতগতির একটি মাইক্রোবাস এসে তাকে ধাক্কা দিলে গুরুতর আহত হন তিনি। এক পা ভেঙে যায় তার। স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমার ফুফিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে একই জায়গায় বার বার দুর্ঘটনা ঘটনার পর কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় উত্তেজিত জনতা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে সড়ক অবরোধ করে রাখেন। কিছুক্ষণ সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। পরে পুলিশ এসে যানচলাচল স্বাভাবিক করে দেন।

জানতে চাইলে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমদ বলেন, দুর্ঘটনার খবরে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশ। সড়ক দুর্ঘটনায় এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছে। দুর্ঘটনার পর পুলিশ মাইক্রোবাস উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



বুড়িচং সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রবিউল বাশার খান, কুমিল্লা

Image

কুমিল্লার বুড়িচং সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বিল্লাল হোসেন (২৮) নামের এক বাংলাদেশি যুবক আহত হয়েছেন। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চড়ানল তেঁতুলতলা সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।

আহত বিল্লাল হোসেন রাজাপুর ইউনিয়নের লড়িবাগ এলাকার আলী আহমদের ছেলে।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, আহত বিল্লাল হোসেন চোরাই মাল নামানোর কাজের শ্রমিক। ভারত থেকে অবৈধপথে আসা চিনি ও অন্যান্য পণ্য ওঠা-নামার শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন তিনি। সোমবার রাত ৮টার দিকে তেঁতুলতলা সীমান্ত দিয়ে অবৈধপথে আসা চিনি নামানোর সময় বিএসএফের সদস্যরা গুলি চালায়। তাদের ছোড়া ছররা গুলিতে আহত হন বিল্লাল। তার শরীরে ৩০টির মতো ছররা গুলি লেগেছে। পরে তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

এ বিষয়ে বিজিবির সংকুচাইল বিওপির কামান্ডার ফারুক কামাল বলেন, আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আমরা এ বিষয়ে কোনো তথ্য বা বক্তব্য দিতে পারব না।

কুমিল্লা বিজিবির সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও কেউ ফোন রিসিভ না করায় কারও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


আরও খবর