আজঃ রবিবার ১২ মে ২০২৪
শিরোনাম

পরিবারে প্রবীণ সদস্যের ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

যেকোনো দেশের মোট জনসংখ্যার একটি অংশ থাকেন প্রবীণ। তবে, প্রবীণদের কখনোই পরিবার বা সমাজের বোঝা ভাবা উচিত নয়। বরং তারা একটি পরিবারের অবিচ্ছেদ্য ও গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তারা পরিবার ও সমাজের অনেক কিছুতেই অবদান রাখতে পারেন। তাই প্রবীণ সদস্যকে বোঝা না ভেবে তার দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। তার অবদানকে গুরুত্ব দিতে হবে। সাধারণত পরিবারের একজন প্রবীণ সদস্য নানাভাবে ভূমিকা রাখতে পারেন। কখনো শিক্ষক, কখনো পরামর্শদাতা, বন্ধু কিংবা গাইড হিসেবে তারা একটি পরিবারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।

ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি: বিশ্বব্যাপী ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন প্রজন্মের বিচিত্র মনোভাবকে গুরুত্ব দিচ্ছে। তারা প্রতিষ্ঠানের পুরনো কর্মচারী, এমনকি অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রাধান্য দিচ্ছে। পুরোনোদের মতামত ও তরুণদের মতামত মিলিয়ে কাজ করছে তারা। যদিও আমরা প্রায়ই বৈচিত্র্যকে শুধু সাংস্কৃতিক পরিভাষায় চিন্তা করি। তবে বিভিন্ন প্রজন্মের যে কাজের ভিন্নতা বা দৃষ্টিভঙ্গিতে পার্থক্য আছে, তার মূল্যায়নে কিন্তু ভালো ফল পাওয়া যায়। একইভাবে আমাদের বাবা-মা, দাদা-দাদি এবং বয়স্ক আত্মীয়দের জ্ঞান বিভিন্ন সময়ের বিবর্তনকে বুঝতে সহায়তা করতে পারে। এ ছাড়া আমাদের বর্তমান অবস্থান নিয়ে ভাবতে কিংবা তুলনা করতে সহায়তা করে।

সমাজের প্রতিচ্ছবি: শিশুরা ধীরে ধীরে তরুণ হয়ে ওঠে। তরুণ বয়স সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়ে তাদের বয়স্ক আত্মীয়দের সঙ্গে সময় কাটাতে উৎসাহিত করা উচিত। কারণ প্রবীণ মানুষগুলো বিভিন্ন মূল্যবোধের সঙ্গে বেড়ে উঠেছেন। তাদের সমাজ নিয়ে বিস্তৃত অভিজ্ঞতা আছে। বয়স্করা তাদের এসব অভিজ্ঞতা তরুণদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারেন। আর দাদা-দাদি বা বয়স্ক আত্মীয়ের সঙ্গে সময় কাটালে নিজস্ব মূল্যবোধ প্রতিফলিত হয়। কারণ, পরিবারের প্রবীণ সদস্যটি আমাদের কাছে একটি সমাজের ভিন্ন ভিন্ন সময়ের প্রতিচ্ছবি।

যত্নশীল: ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ায় দাদা-দাদিরা প্রতি সপ্তাহে আনুমানিক ৫৮ ঘণ্টা পরিবারের ছোট সদস্যের যত্নে ব্যয় করেছেন। আর এটি তাদের সন্তানদের কর্মক্ষেত্রে নিশ্চিন্ত থাকতে সহায়তা করেছে। একই সঙ্গে তারা নাতি-নাতনির জন্য বাড়িতে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করেছেন এবং শিশুদের যত্নের বিষয়টিও সহজ করেছেন। তাই আপনার শিশুকে দাদা-দাদির সঙ্গে মিশতে দিন। তাহলে আপনার প্যারেন্টিংও সহজ হয়ে যাবে, সন্তানকে সামলানোর চাপ কমবে। এতে নিশ্চিন্তে অফিসসহ যেকোনো কাজে মনোযোগী হতে পারবেন। তা ছাড়া পরিবারের প্রবীণ সদস্যটির ছোটদের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য অনেক সময় থাকে এবং তারা এটি পছন্দ করেন। আর এতে আপনার সন্তানের সময়গুলোও মজার হবে।

টিপস অ্যান্ড ট্রিকস: প্যারেন্টিং এমন একটি দক্ষতা, যা আমরা চাকরি থেকে শিখতে পারি না কিংবা কখনোই পুরোপুরি আয়ত্ত করি না। অন্যদিকে প্রতিবছর শিশুর মধ্যে নতুন পরিবর্তন আসে, কারণ প্রতিটি শিশু আলাদা। আবার এমন কোনো বই নেই, যা আপনাকে প্যারেন্টিংয়ের যাবতীয় সবকিছু শিখিয়ে দিতে পারে। তাই আপনি দাদা-দাদি, খালা, চাচা, বড় চাচাতো ভাই বা পারিবারিক বন্ধুদের কাছ থেকে টিপস ও পরামর্শ নিতে পারেন। তারা আপনাকে প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করতে পারবেন। এসব বিষয়ে তাদের আছে বিস্তর অভিজ্ঞতা। আপনি কীভাবে আরও ভালো অভিভাবক হয়ে উঠতে পারবেন, তার একমাত্র সমাধান কিন্তু এই প্রবীণরাই।

অনুপ্রেরণার উৎস: আমাদের পরিবারের বয়স্ক সদস্যরা প্রায়ই বিভিন্নভাবে লড়াই করেছেন এবং কঠিন সময় পার করে এসেছেন। তাই তারা পরিবারের তরুণ সদস্যদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। তাদের প্রতীক লতার গল্প বা দীর্ঘ সময় ধরে জীবনের সঙ্গে লড়াইয়ের গল্প তরুণদের পরিশ্রমী হতে সহায়তা করে। তরুণদের উপলব্ধি করতে শেখায়, জীবনে কঠিন সময় আসবে। আর এটাই জীবনের স্বাভাবিক নিয়ম। কিন্তু, কোনো পরিস্থিতিতে হাল ছাড়া যাবে না। বরং শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে হবে। আবার পরিবারের একজন বয়স্ক সদস্য প্রায়ই পরামর্শদাতার ভূমিকা পালন করতে পারেন। যা তরুণদের অনুসরণ করতে উৎসাহিত এবং অনুপ্রাণিত করতে পারে। অনেক সময় বাবা-মা-সন্তানের সম্পর্ক চ্যালেঞ্জিং হয়। তখন একজন দাদা-দাদি নিঃশর্ত ভালোবাসার বিমূর্ত প্রতীক হতে পারেন।

খুব বৃদ্ধ ভাববেন না: পরিবারের প্রবীণ সদস্যকে কখনোই খুব বৃদ্ধ ভাববেন না। বরং আপনার উচিত তাকে সামাজিকভাবে সক্রিয় রাখার এবং পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার সুযোগ দেয়া। মানুষের সঙ্গে কথা বলা, ইন্টারঅ্যাক্ট করা মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখে। এতে প্রবীণদের জ্ঞানশক্তি হ্রাস প্রক্রিয়ার গতি ধীর হয়ে যায়, যা তাদের জন্য খুবই ইতিবাচক একটি দিক। আবার ব্যায়াম এবং সামাজিক সম্পৃক্ততা ডিমেনশিয়া প্রতিরোধে দারুণ কাজ করে। তাই তাদের সামাজিকভাবে সক্রিয় থাকার সুযোগ দিন। তাদের সবার সঙ্গে দেখা করতে, দোকানে আড্ডা দিতে, সম্মিলিত ব্যায়ামে অংশ নিতে, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে বা বাইরে ঘুরতে সহায়তা করুন। পরিবারের প্রবীণ সদস্যরা একটি পরিবারের জ্ঞানের উৎস, শান্ত, নির্ভরযোগ্যতা এবং নিঃশর্ত ভালোবাসার প্রতীক। তারা তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যতের পথ প্রদর্শক। এই প্রবীণরা শিশু ও তরুণদের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। তাদের এই অবদানকে স্বীকৃতি দেয়া উচিত।

নিউজ ট্যাগ: প্রবীণ

আরও খবর



শিশু হাসপাতালে আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রাজধানীর শিশু হাসপাতালের ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ৫ ইউনিটের তৎপরতায় আজ দুপুর প্রায় ২টা ২০ মিনিটে হাসপাতালটির আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এর আগে আগুন লাগার ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম বলেছেন, আজ শুক্রবার ১টা ৪৭ মিনিটে শিশু হাসপাতালে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়।

খবর পেয়ে দ্রুত প্রথমে দুই ইউনিট ও পরে আরও তিন ইউনিট হাসপাতালে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করছে। এখন পর্যন্ত ৫ ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে।

তবে প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের কোনো খবর এখনও জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।


আরও খবর



লক্ষীপুরের ৫ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন যারা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

Image

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, বাঙ্গাখাঁ, লাহারকান্দি ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। রাতে ফলাফল ঘোষণা করে স্ব-স্ব রিটার্নিং অফিসার।

দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মীর শাহ আলম। তিনি ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৬২৪৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল উদ্দিন চৌধুরী চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ২৬৯৮ ভোট।

দালাল বাজার ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন নজরুল ইসলাম। চশমা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬৩৫৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নুর নবী চৌধুরী অটোরিকশা প্রতীকে পেয়েছেন ৪৭৬০ ভোট।

বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নে মিজানুর রহমান চশমা প্রতীকে ৬৪০১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ জামাল রিপন মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩৯০ ভোট।

লাহারকান্দি ইউনিয়নে টেলিফোন প্রতীকে আশরাফুল আলম বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৫৫৮৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খোরশেদ আলম শাহীন অটোরিকশা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৭৭৩ ভোট।

তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে ওমর হুসাইন ভুলু আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৭৫৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বোরহান চৌধুরী পেয়েছেন অটোরিকশা প্রতীকে ৬২৩৯ ভোট।

দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার এবং তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসার রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা স্বপন কুমার ভৌমিক ও বাঙ্গাখাঁ এবং লাহারকান্দি ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসার সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম চৌধুরী ফলাফলের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


আরও খবর



ঢাকার বাতাস আজও সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকার বাতাসের মান আজও সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৮টা ৫৯ মিনিটে ১৯৯ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শহরটির অবস্থান ১৫তম।

ভারতের দিল্লি, মিসরের কায়রো ও নেপালের কাঠমান্ডু যথাক্রমে ৩৮৫, ১৮৭ ও ১৭১ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।

১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে বাতাসের মান সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর, ১৫১ থেকে ২০০-এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে অস্বাস্থ্যকর বিবেচনা করা হয়। এ ছাড়া ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

২০১৯ সালের মার্চে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।


আরও খবর



আমতলী উপজেলা নির্বাচন: ১২ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

বরগুনা আমতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ পদে ৪ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন সহ মোট ১২ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিনে নির্ধারিত সময় বিকাল ৪টা পর্যন্ত আমতলী উপজেলা নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রার্থীরা মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।

চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করা প্রার্থীরা হলেন- আমতলী উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাড. এম এ কাদের মিয়া, গোলাম সরোয়ার ফোরকান, আলতাফ হাওলাদার, এলমান উদ্দিন আহমেদ সুহাদ, অ্যাড. মোশাররফ হোসেন মোল্লা।

নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন তিনজন। তারা হলেন- আমতলী উপজেলা পরিষদের বর্তমান নারী ভাইস চেয়ারম্যান তামান্না আফরোজ মনি, জেসিকা তারতিলা জুথী, মাকসুদ আক্তার জোছনা।

এছাড়া পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা, কমান্ডার একেএম শামসুদ্দিন শানু, মোয়াজ্জেম হোসেন খান, নাজমুল হাসান সোহাগ, অ্যাড. মঈন পহলান।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, আমতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনটি পদে ১৭ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন।

আগামী ১২ মে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে তিনটি পদে দাখিলকৃত প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। ১৩ ও ১৫ মে প্রার্থীদের আপীল, ১৬ থেকে ১৮ মে প্রার্থীদের আপীল নিস্পত্তি, ১৯ মে প্রার্থীতা প্রত্যাহার, ২০ মে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ ও ৫ জুন ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি


আরও খবর



দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ ধরা শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চাঁদপুর প্রতিনিধি

Image

দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মধ্যরাত থেকে ফের ইলিশ ধরতে নদীতে নেমেছেন জেলেরা। এদিন মধ্যরাতে চাঁদপুরের চরভৈরবী থেকে ষাটনল পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার নদী এলাকায় বিচরণ করছেন প্রায় অর্ধলক্ষাধিক জেলে। যৌথ অভিযানে জাটকা সংরক্ষণ অভিযান সফল হওয়ায় এবার ইলিশ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছয় লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছে জেলা মৎস্য অফিস।

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই জেলেরা জাল, নৌকা ও ট্রলার নিয়ে ইলিশসহ অন্য মাছ শিকারে প্রস্তুতি নেন।

জেলা মৎস্য অফিস জানিয়েছে, এবার ৫৭৫টি অভিযান, ১২৮টি মোবাইল কোর্ট, ৩৩৪ জন জেলেকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, প্রায় ৫৩ দশমিক ৯১০ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। এদিকে, ৩ দশমিক ৪১৬ মেট্রিক টন জাটকা আটক করে দুস্থ ও এতিমদের মাঝে বিতরণ করে দেওয়া হয়েছে। আর জরিমানা আদায় করা হয়েছে ছয় লাখ ৫০৫ টাকা।

নৌ পুলিশ জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার সময় ১ মার্চ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ইলিশ অভয়াশ্রমে অভিযান চালিয়ে ১৯ কোটি ১৩ লাখ মিটার অবৈধ জাল, ১৭ হাজার ৮১৯ কেজি মাছ, ২৪৪টি নৌকাসহ এক হাজার ১১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে চাঁদপুর জেলার নৌ থানা পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে ১৭০টি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। এছাড়া ২২৬ আসামিকে ৪৮টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। ২১৩ জনকে ছয় লাখ ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ১৫২ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় অভিভাবকের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, জেলেদের খাদ্য সহায়তা হিসেবে জনপ্রতি ৪০ কেজি করে চার কিস্তিতে মোট ১৬০ কেজি চাল সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ফলে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, কোস্টগার্ড ও জেলা টাস্কফোর্সের যৌথ অভিযানে জাটকা সংরক্ষণ অভিযান সফল হওয়ায় ইলিশ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছয় লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে। তাছাড়া অসাধু জেলেদের আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

দেশের ইলিশ সম্পদ রক্ষায় সরকার প্রতি বছর ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল দুই মাসের কর্মসূচি ঘোষণা করে। এই নির্দিষ্ট সময়ে মাছ ধরা, পরিবহন, বিক্রি ও মজুত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ২০০৬ সাল থেকে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস চাঁদপুরের বিস্তীর্ণ নদী সীমাকে ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষণা করে জাটকা রক্ষা কর্মসূচি পালিত হয়ে আসছে।


আরও খবর