যারা ঢাকায় থাকেন, তারা অনেকেই জানেন না যে, অল্প সময়ে ঢাকার আশপাশে ঘুরতে যাওয়ার মতো জায়গাগুলো কোথায়। দিনে গিয়ে দিনে চলে আসতে পারেন পরিবার-পরিজন নিয়ে। এরকম কয়েকটি দর্শনীয় জায়গার বর্ণনা তুলে ধরা হলো:
নরসিংদী: নরসিংদীর উয়ারী বটেশ্বরে বিরাট ধানক্ষেতের পাশে একটি সরকারি গেস্ট হাউস রয়েছে। তার বৈশিষ্ট্য হলো দ্বিতীয় তলায় বিশাল কক্ষের সামনে বড় একটি খোলা ছাদ। অসাধারণ একটি জায়গা। এই গেস্ট হাউসটিতে বুকিং দেয়া একদম সহজ এবং ভাড়াও কম। বাজার ও রান্নার দায়িত্ব অনায়াসে দেওয়া যায় কেয়ারটেকারের ওপর।
যেভাবে যাবেন: মহাখালী থেকে বিআরটিসির ভৈরবগামী বাসে বা চলনবিল/অনন্যা সুপার পরিবহনের বাসে করে ভৈরবের মরজাল বাসস্ট্যান্ডে নেমে যান। সময় লাগবে দুই ঘণ্টা। সেখান থেকে খনন কার্যের জায়গা যাওয়া যায় সিএনজি করে।
জল-জংগলের কাব্য, পুবাইল, গাজীপুর: টঙ্গীর পুবাইলের পাইলট বাড়ির কথা হয়তো অনেকে জানেন। প্রাকৃতিক ভূমিকে অবিকৃত রেখে আরও সুন্দর করা হয়েছে ডিজাইনারের নিপুণ ছোঁয়ায়। যে কোনো জ্যোৎস্না রাতে আগে থেকে খবর দিয়ে চলে যান সেখানে। প্রাকৃতিক গাছপালা আর শান্ত বিলের পারে বসে কাটিয়ে দিন একটা দিন।
যেভাবে যাবেন: মহাখালী থেকে নরসিংদী বা কালীগঞ্জগামী যে কোনো বাসে উঠুন। যানজট না থাকলে ১ ঘণ্টা পর পুবাইল কলেজগেট এলাকায় নেমে পড়ুন। এরপর একটা ব্যাটারিচালিত রিকশায় করে পাইলট বাড়ি। তবে অবশ্যই আগে বুকিং থাকতে হবে নাস্তা, দুপুর ও রাতের খাবারসহ।
বেলাই বিল, গাজীপুর: গাজীপুরের চিলাই নদী এবং তার কাছেই বেলাই বিল হতে পারে ১টা দিন কাটাবার আদর্শ জায়গা। বিশাল জলাভূমিতে নৌকায় করে সারাটা দিন পার করুন আর দেখুন জেলেদের মাছ ধরা। সকালে ও বিকেলে তাজা মাছ পাওয়া যায়। আসার সময়ও কিনে নিয়ে আসতে পারেন তরতাজা মাছ। কানাইয়া বাজারের পাশেই চিলাই নদী। এখানে একটা নৌকা ভাড়া করে নিন। ছোট নৌকা হলে সারাদিন নেবে ৫-৬শ’ টাকা। আর বড় নৌকা ২০০০ টাকা। রাতে নৌকাতেই থাকতে পারেন। এটা করলে বাজার কমিটিকে জানিয়ে রাখবেন আগেভাগেই।
যেভাবে যাবেন: মতিঝিল বা মহাখালী থেকে গাজীপুরগামী বিআরটিসি বা গাজীপুর পরিবহনের বাসে উঠুন। নামবেন গাজীপুর শিববাড়ী মোড়ে। একটু হেঁটে সামনে গিয়ে কানাইয়া বাজার যাবার জন্য টেম্পো পাওয়া যাবে। ৩০ মিনিট সময় লাগবে টেম্পোতে কানাইয়া বাজারে যেতে।
ধনবাড়ী রয়্যাল রিসোর্ট, টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে একটা পুরনো রাজবাড়ী আছে, যা এখন রিসোর্ট হিসেবে চালু হয়েছে। নাম ধনবাড়ী রয়্যাল রিসোর্ট। কাচারি বাড়িটা ভাড়া নিতে পারেন আর সামনে বিশাল মাঠে বসে ১টা রাত কাটান। উপভোগ করুন সুন্দর সময়কে।
যেভাবে যাবে: ঢাকার মহাখালী থেকে সরাসরি ধনবাড়ীর বাস ছাড়ে। সময় নেবে ৪ ঘণ্টা। রয়্যাল রিসোর্টের ভাড়া ২০০০ টাকা থেকে শুরু।
রিভার প্যালেস, ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ শহর পার হয়ে মুক্তাগাছার দিকে মাইল তিনেক গেলে হাতের ডানে খাগডহরে ব্রহ্মপুত্র নদী তীরে গড়ে উঠেছে রিভার প্যালেস নামে অনিন্দ্য সুন্দর এক রিসোর্ট। এ রিসোর্টের বারান্দায় বা পেছনের নদীতীরে বসে একটা রাত নয় গোটা জীবনটাই পার করে দেয়া যায়।
যেভাবে যাবেন: ময়মনসিংহ পর্যন্ত বাসে। বাসস্ট্যান্ড থেকে কাচিঝুলি পর্যন্ত যাবেন রিকশায়। এরপর মুক্তাগাছার ম্যাক্সিতে উঠে বসবেন। রিসোর্ট ভাড়া ১০০০, ১৫০০ এবং ২০০০ টাকা। এখানে খেতে গেলে মেন্যু থেকে বেছে দিলে সেভাবে রান্না করে দেয়। জনপ্রতি ৩০০-৩৫০ টাকা লাগে খেতে।
মৈনট ঘাট, দোহার: দোহারের মৈনট ঘাট গিয়ে দেখা পাবেন পদ্মা নদীর। পদ্মা পাড়ের বিস্তৃত প্রান্তর সময় কাটনোর জন্য এক দারুণ জায়গা।
যেভাবে যাবেন: মৈনট ঘাটে গুলিস্তান থেকে ‘যমুনা ডিলাক্স’ বাস পাবেন। যেতে সময় লাগে দুই ঘণ্টার মতো।