
শরীয়তপুরে প্রেমিকের
মা ও বড়ভাইয়ের করা অপমান সহ্য করতে না পেরে শরীয়তপুরে এক স্কুলছাত্রী (১৫) আত্মহত্যা
করেছে। তার নাম সুরুভী আক্তার।
বৃহস্পতিবার
(১ আগস্ট) দুপুরে সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। সুরুভী
স্থানীয় সুবচনী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণি ছিল। সে লক্ষ্মীপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর ওঝার
মেয়ে।
স্থানীয় সূত্র
ও সুরভীর মা ডলি বেগম জানান, সুরুভী আক্তারের সঙ্গে সোনামুখী গ্রামের মৃত মজিদ তালুকদারের
ছেলে ও একই স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র আল-আমিনের
প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি বিষয়টি আল-আমিনের পরিবার জানলে তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে
দেয়। তবে সুরুভীর পরিবার বিষয়টি জানতো না।
বৃহম্পতিবার সকালে
আল-আমিনের মা পারভিন বেগম ও বড়ভাই সেনাবাহিনীর সদস্য পারভেজ তালুকদার স্কুলে গিয়ে সুরভীকে
অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও জুতাপেটা করে। পরে অসুস্থতার কথা বলে ছুটি চাইলে সুরভীকে স্কুলের
দপ্তরি বাড়ি পৌঁছে দেন। এরপর সুরভী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ বিকেলে
ঘটনাস্থলে পৌঁছে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়।
এ ঘটনার পর আল-আমিনের বাড়ির সবাই পলাতক রয়েছেন।
সুরভীর মা ডলি
বেগম বলেন, আল-আমিনের মা পারভীন আমার মেয়েকে জুতা পেটা করেছে। ওর বড় ভাই পারভেজ তালুকদার
অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। আমার মেয়ে সেই অপমান সহ্য করতে না পেরে মনের কষ্টে আত্মহত্যা
করেছে। আমি এর বিচার চাই।
এ ব্যাপারে সুবচনী
উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন বলেন, ওই ছাত্রী শরীর অসুস্থ বলায় আমি
দপ্তরিকে দিয়ে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি। পরে তার মৃত্যুর খবর পাই, বিষয়টি দুঃখজনক।
আর পালং থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের
জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এ ঘটনা মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্তদের
গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।