কাজের জন্য সাত বছর আগে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান যুবক রায়হান মন্ডল। সেখানে পরিচয় হয় নূর শাহীদা নামে এক তরুণীর সঙ্গে। পরিচয় থেকে প্রণয়। তাদের তিন বছরের ভালোবাসা আরও দীর্ঘ করতে নেন বিয়ের সিদ্ধান্তও। তাই রায়হানের বাড়ি ছুটে এসেছেন মালয়েশিয়ান ওই তরুণী।
প্রেমিক রায়হান মন্ডল পাবনার সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের তারাবাড়িয়া নতুনপাড়া গ্রামের সামাদ মন্ডলের ছেলে। নূর শাহীদা মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর শহরের মোহাম্মদ চিমার উদ্দিনের মেয়ে। ১৬ জুলাই এক মাসের ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে আসেন ওই তরুণী। সোমবার (১৭ জুলাই) রায়হানের বাড়ি এসে তারা বিয়ে করেন।
রায়হান মন্ডল
বলেন, আমি আগেই বাড়ি চলে আসি। বিমানবন্দর থেকে সোমবার নূর শাহীদাকে বাড়ি নিয়ে এসেছি।
দুই পরিবারে সম্মতিতেই ওইদিন আমাদের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের দেনমহর নির্ধারণ হয়েছে এক লাখ
টাকা। কিছুদিন পর আমরা মালয়েশিয়া যাবো।
মালয়েশিয়ান
তরুণী নূর শাহীদা বলেন, রায়হান আমাকে ভালোবাসে। আমিও রায়হানকে ভালোবাসি। বাংলাদেশে
এসে পরিবারের সম্মতিতে দুজন বিয়ে করেছি। আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি। এখানকার সবাই ভালো
ও আন্তরিক। রায়হানের বাবা-মাসহ পরিবারের অন্য ভাইবোনরাও আমাকে আপন করে নিয়েছেন।
রায়হান মন্ডলের
বাবা সামাদ মন্ডল বলেন, আমার পুত্রবধূ ভালো মনের মানুষ। আমাদের পরিবার ও আগত মানুষজনের
সঙ্গে সহজেই মিশে গেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা
সাতবাড়ীয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল বাছেত বাচ্চু বলেন, প্রেম মানে না শাসন-বারণ।
প্রেমানুভূতির কোনো সীমানা নেই। প্রেমিক-প্রেমিকের মিলনেই যেন সার্থকতা। এবার সে তালিকায়
নাম লেখালেন মালয়েশিয়ান তরুণী নূর শাহীদা।
এ বিষয়ে সুজানগর
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন, এটা আমার উপজেলার ঘটনা। বিষয়টি
শুনেছি।