আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

পরীক্ষা কেন্দ্রে ঘুমাচ্ছিলেন শিক্ষক: দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নোয়াখালী প্রতিনিধি

Image

চলমান এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার কক্ষে বসে ঘুমাচ্ছিলেন দায়িত্বে থাকা দুই শিক্ষক। সেই সুযোগে পরীক্ষার্থীরা পরস্পর দেখাদেখি ও কথা বলে খাতায় লিখছিল। এমন সময় কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

আজ মঙ্গলবার মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিলের ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা চলাকালে এমন ঘটনা ঘটেছে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মল্লিকা দিঘীরপাড় ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে। অভিযুক্ত দুজন শিক্ষক হলেন খোয়াজের ভিটি ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী মৌলভি আবদুস শহীদ ও মমিনপুর দাখিল মাদ্রাসার সহকারী মৌলভি মো. মুজ্জাম্মিল। দুজনকেই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন<< স্থগিত এসএসসি পরীক্ষা ২৭ ও ২৮ মে

চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া কালবেলাকে বলেন, সংশ্লিষ্ট দুজন কক্ষ প্রত্যবেক্ষককে দায়িত্বে অবহেলার কারণে চলতি বছরের পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।


আরও খবর



ছাত্রলীগের বাইরে নিয়োগ বাতিল: চবি রেজিস্ট্রারকে নেতার হুমকি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ছাত্রলীগ কর্মী ছাড়া অন্য সবার নিয়োগ বাতিল করতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) রেজিস্ট্রারকে হুমকি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা। সহকারী প্রক্টরদের উপস্থিতিতেই রেজিস্ট্রার কক্ষে উচ্চ বাচ্য করে তাকে শাসিয়েছেন চবি ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা।

বুধবার (২০ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমদের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রেজিস্ট্রার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরকে মৌখিকভাবে বিষয়টি অবহিত করেছেন।

এর আগে রেজিস্ট্রার কক্ষে চাকরিতে যোগদান করতে আসা ইয়াহিয়া টিপু নামে এক যুবককে মারধর করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তাকে ৫৫০ টাকা দৈনিক মজুরির শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগে কম্পিউটার ল্যাব সহকারী হিসেবে নিয়োগ দিয়ে যান সদ্য সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।

ছাত্রলীগ কর্মীদের বাইরে সব নিয়োগ ক্যান্সেল করতে রেজিস্ট্রারকে প্রথমে শাসাতে থাকেন শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়ের একাংশের নেতা ওয়াহিদুল ইসলাম। তিনি রেজিস্ট্রারের দিকে আঙুল উঁচিয়ে বলতে থাকেন, এখনও পিছনে বসে আছে ও। ও ছাত্রলীগ করে না। তবুও ওরে চাকরি দিয়েছেন। ওর কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ খাইছে ভিসি ম্যাম।

এ বিষয়ে জানতে সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এরপর শাসাতে থাকেন একই গ্রুপের নেতা শাখা ছাত্রলীগের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোরশেদুল আলম রিফাত। এসময় তিনি রেজিস্ট্রারকে বলতে থাকেন, ছাত্রলীগের বাইরের এগুলা ক্যান্সেল। ছাত্রলীগ কর্মী না। ছাত্রলীগের বাইরের নিয়োগ ক্যান্সেল। ছাত্রলীগের পোলারে নিয়োগ দিলে সমস্যা নাই। ছাত্রলীগের বাইরে যেগুলা, ওইগুলা ক্যান্সেল। ছাত্রলীগের পোলাপাইনের চাকরি নেওয়ার অধিকার আছে। বাইরের পোলাপাইনের কী অধিকার! ছাত্রলীগের বাইরে সব ক্যান্সেল।

তার সঙ্গে এসময় উপস্থিত সব ছাত্রলীগ নেতাকর্মী রেজিস্ট্রারকে শাসাতে থাকেন। আর ভিসিকে এসব নিয়োগের ব্যাপারে বলার জন্য তাদের পক্ষে রেজিস্ট্রারকে বুঝাতে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. সুমন মামুন, সাধারণ সম্পাদক মো. মনসুর আলী।

এসময় রেজিস্ট্রার অফিসে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নাজেমুল আলম মুরাদ, মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন, আব্দুল মান্নান ও শঙ্কর বড়ুয়া।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এক নূর আহমদ বলেন, আমার অফিসে এসে তারা এরকম আচরণ করেছে। এটা আমার জন্য অপমানজনক! আমি তো তাদের নিয়োগ দিতে পারব না। নিয়োগ দেবেন ভিসি। তবুও তারা আমার এখানে এসে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে। আমি ভিসি মহোদয় ও প্রক্টর এই বিষয়ে মৌখিকভাবে অবহিত করেছি। প্রয়োজনে প্রক্টরকে লিখিত অভিযোগ দিব।’

এই বিষয়ে জানতে চাইলে চবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. নূরুল আজিম সিকদার প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, রেজিস্ট্রার মৌখিকভাবে বিষয়টি অবহিত করেছেন। দেখি আমরা কী করতে পারি। পরে এ বিষয়ে জানানো হবে।’


আরও খবর



বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিলো ভারত

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত। বাংলাদেশের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতেও ১৪ হাজার ৪০০ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করার অনুমতি দিয়েছে মোদী সরকার।

সোমবার (৪ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মহাপরিচালকের দপ্তর (ডিজিএফটি) এই তথ্য জানিয়েছে। শনিবার (২ মার্চ) বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম বলেছিলেন, এই সপ্তাহেই ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আসবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, বন্ধুপ্রতীম কিছু দেশে নির্দিষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। এসব দেশের অনুরোধের ভিত্তিতেই অনুমতি দিয়েছে নয়াদিল্লি। আর এই রপ্তানি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেডের (এনসিইএল) মাধ্যমে।

এনসিইএল ভারতের একটি আন্তঃরাজ্য সমবায় প্রতিষ্ঠান। এর মধ্য়ে গুজরাট কো-অপারেটিভ মিল্ক মার্কেটিং ফেডারেশন, ইন্ডিয়ান ফার্মার্স ফার্টিলাইজার কো-অপারেটিভ লিমিটেড, কৃষক ভারতী কো-অপারেটিভ লিমিটেডসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান এই সমবায়ের আওতায় রয়েছে।

এর আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে সীমিত পরিমাণে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেয় ভারত। বাংলাদেশের সঙ্গে সঙ্গে শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, বাহরাইন ও মরিশাসেও পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেয় বিজেপি সরকার। তবে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি নয়াদিল্লি।

এর আগে, পবিত্র রমজান মাসে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমাতে নির্দিষ্ট পরিমাণে চিনি ও পেঁয়াজের অনুমতি দিতে ভারতকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। ১৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সচিবালয়ের নিজ দপ্তরে বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু সাংবাদিকদের জানান, রোজার আগেই ভারত থেকে দেড় লাখ টন চিনি ও পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। এর মধ্যে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ ও ১ লাখ মেট্রিক টন চিনি।

বিশ্ব বাজারের দ্বিতীয় বৃহত্তম পেঁয়াজ রপ্তানিকারক ভারত। গত বছরের ডিসেম্বরে স্থানীয় বাজার স্থিতিশীল রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশটির সরকার। জাতীয় নির্বাচনের আগে ভারতের বাজারে ক্রমবর্ধমান মূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ ও পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে দ্বিতীয় দফায় আগামী মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ায় দেশটি।

রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে দেশটির সরকার প্রথমে পেঁয়াজের ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। তারপরও আশানুরূপ ফল না পাওয়ায় পেঁয়াজের রপ্তানি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে ভারত। সেসময় ভারত সরকার বলে, পেঁয়াজ রপ্তানির এই নিষেধাজ্ঞা ওই বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। দেশটির সরকার গত বছরের অক্টোবরে ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে খুচরা বাজারে ভর্তুকি দিয়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৫ রুপিতে বিক্রির লক্ষ্যে মজুত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ভারতের সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। ওই বছরের ২৮ অক্টোবর দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি টন পেঁয়াজের সর্বনিম্ন মূল্য ৮০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে দেয়। সেই সময় নতুন এই মূল্যসীমা ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




দুই শিক্ষক নেতার কর্মকাণ্ডে বারবার অস্থিতিশীল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শিক্ষক সমিতির পদে থাকা অবস্থাতেই বারবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ অস্থিতিশীল করার অভিযোগ অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের ও মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে। পূর্বের ধারাবাহিকতায় এবারও শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আসীন হয়েই উপাচার্যের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন তারা।

সম্প্রতি ১৯ ফেব্রুয়ারি কুবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে জয়ের পরই ঐদিন বিকালে উপাচার্যকে ঘেরাও করে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পরেন তারা। এছাড়া উপাচার্যকে নব্য আলী জিন্নাহ বলেন সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান। ৬ মার্চ উপাচার্যকে সবার সামনে পদত্যাগ করতে বলেন ও ডাস্টবিন বলেও সম্বোধন করেন।

এর আগেও সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. আলী আশরাফের সময়ে ২০১৭ সালের ১০ মার্চ অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৫তম সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও মহামান্য রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে সিন্ডিকেট সভায় যোগ দিতে আসেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান। এ সময় সিন্ডিকেট সভাস্থল ভিসি বাংলোর মূলফটকে গাড়িসহ প্রবেশে চেয়ারম্যানকে বাধা দেওয়া এবং সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণে জড়িত ছিলেন তিনি। এতে তৎকালীন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক ও মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসানসহ তৎকালীন শিক্ষক সমিতির আরো সাত সদস্যকে ইউজিসির চিঠির প্রেক্ষিতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।

একই বছরের শেষে উপাচার্যের বিরুদ্ধে অনিয়ম এনে ইউজিসি বরাবর চিঠি দেয় তৎকালীন শিক্ষক সমিতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম, দুর্নীতির বিচারসহ ১৪ দফা দাবিতে ১৫ অক্টোবর উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দেয় শিক্ষক সমিতি।

নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে উপাচার্য ওই দাবি পূরণ করেননি অভিযোগ এনে পরদিনই (১৬ অক্টোবর) উপাচার্যের দপ্তরে তালা দেন তারা। প্রায় তিন সপ্তাহ উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে না আসায় অস্থিতিশীলতা শুরু হয় একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজে। এছাড়া একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি ও একটি সিমেন্ট কোম্পানিতে কাজ করার ঘটনাও রয়েছে তার কর্মজীবনে। বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সিমেন্ট কোম্পানি থেকে আয়ের এক-চতুর্থাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগারে জমা দেয়ার কথা বললেও এখন পর্যন্ত তিনি জমা দেননি।

সর্বশেষ ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী ফেলোশীপ নিয়ে অস্ট্রেলিয়া গিয়ে এক বছরে নির্ধারিত সংখ্যক কোর্স শেষ করতে না পারায় বাতিল করা হয় মেহেদী হাসানের ফেলোশিপ। সম্প্রতি বিষয়টি গণমাধ্যমে আসলে জানা যায়, তিনি দেড় বছরের মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য প্রথমে দুই বছরের ছুটি ভোগ করেন। পরবর্তীতে বিনা বেতনে এক বছরের ছুটি ভোগ করেন। সর্বশেষ ১০ মাস ২৬ দিনের অসাধারণ ছুটি কাটান তিনি। পরবর্তীতে তিনি আরও ছুটি চাইলে কুবির সিন্ডিকেট সভায় তা নাকচ হয়। এরপর থেকেই ছুটি ভাগিয়ে নিতে উঠেপড়ে লাগেন তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, শিক্ষক সমিতিকে বারবার উপাচার্য পতনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয় সাধারণ শিক্ষকদের সেন্টিমেন্ট নিয়ে। এবারও ব্যতিক্রম নয়। নানা কাজে বিতর্কিতরা এবার সবাই এক ছাদের নিচে এসেছে। মেহেদী হাসানকে যদি ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় তিনি আর শিক্ষক সমিতি নিয়র ভাববেন না। তখন আর আন্দোলন, সংগ্রাম হবে না। সবাই সবার ব্যক্তিস্বার্থ উদ্বারের জন্য এক হয়েছে।

এ বিষয়ে বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন জানান, আমরা মাস্টার্সের জন্য দুই বছর শিক্ষা ছুটি দিয়ে থাকি। তারপরও তার সমস্যার কথা বিবেচনা করে আরও প্রায় দুই বছর ছুটি দেওয়া হয়। কিন্তু এখন উনি আরও যে ছুটি চাচ্ছেন তা নিয়মানুযায়ী দেয়া যায় না বলেই আমি সিন্ডিকেটে পেশ করি। সিন্ডিকেট তা বাতিল করে দিলে আমার এখানে কিছু করার থাকে না। এজন্য সে এখন আমার নামে আজেবাজে কথা বলে বেড়ায়।

এ বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি প্রায় এক বছর পর শিক্ষক সমিতি গঠনের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত এক সাধারণ সভায় মেহেদী হাসান উপাচার্যকে নব্য জিন্নাহ সম্বোধনে বক্তব্য দেন।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের এক শিক্ষক জানান, উপাচার্য থেকে অযাচিত ছুটি বাগিয়ে নিতে না পারায় এখন কিছু শিক্ষকদের সাথে একত্রিত হয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছেন তিনি।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু তাহেরের নামেও আছে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ ও বিতর্ক।

২০১১ সালে ৪৯ লাখ ৬৯ হাজার টাকা ব্যয়ে ৮ দশমিক ৪ কিলোওয়াটের একটি সোলার প্যানেল স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক ছিলেন তৎকালীন রেজিস্ট্রার ড. তাহের। ঐ বছরই সোলার প্যানেলটি অকেজো হয়ে পড়লেও ড. আবু তাহের তাদের দিয়ে তা মেরামত না করিয়ে বাকি অর্থ দিয়ে দেয়। তখনই বাংলাদেশ অল্টারনেটিভ এনার্জি সিস্টেম লিমিটেড নামে নিম্নমানের একটি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিয়ে এ প্রকল্পের সিংহভাগ টাকা আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সরেজমিন অভিযানেও প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে বলে ২০২৩ সালে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছিলেন দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক।

এছাড়াও ২০২২ সালের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে ১১ মার্চ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হেডকোয়ার্টারে সেনাবাহিনীর পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আলী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে স্বাক্ষর করেছিলেন রেজিস্ট্রার ড. মো. আবু তাহের। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করার কথা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামানের। কিন্তু দুর্নীতি করার সুবিধার্থে কোষাধ্যক্ষকে এই প্রকল্পের বাইরে রাখার অংশ হিসেবে রেজিস্ট্রার নিজেই আইনবহির্ভূতভাবে এ স্বাক্ষর করেন বলে তখন অভিযোগ করছিলেন সংশ্লিষ্টরা।

বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তা জানান, প্রায় ১ হাজার ৭ শত কোটি টাকার এই প্রকল্পকে ঘিরে উপাচার্য ড. এমরান কবির চৌধুরী ও রেজিস্ট্রার ড. মো. আবু তাহের দুর্নীতির সুবিধার্থে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কাজে নিজের গ্রুপের ঘনিষ্ঠ লোকজনকে যুক্ত করেছেন। এর অংশ হিসেবেই সেনাবাহিনীর সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তিতে বেআইনীভাবে স্বাক্ষর করেছিলেন তৎকালীন রেজিস্ট্রার। এছাড়া রেজিস্ট্রার থাকাকালীন অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দেয়ার ঘটনা সামনে আসে।

এছাড়া পছন্দের কর্মকর্তা-কর্মচারী, নিজ কোরামের শিক্ষকদের পদোন্নতি দ্রুত দিলেও অপছন্দের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতিতে গড়িমসি করতেন। এছাড়াও ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ড. আবু তাহের ইউনিট কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। সে বছর ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল।

এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, সে সময় ঐ উপাচার্য যেসব ভবনগুলো প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনায় শুরু করেছিলেন তা তো ৬-৭ বছরেও হস্তান্তর হচ্ছে না। তখন সেগুলো নিয়েই তো কথা বলেছিলাম। এদিকে ঐদিন (৬ মার্চ) উপাচার্য সবার সামনে শিক্ষকদের বলেন তারা রিসার্চ করতে পারেন না। এটা তো শিক্ষকদের জন্য চূড়ান্ত অপমান। এসব করলে তো দেশে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান ক্ষুণ্ন করছেন। আর ২০১৭ সালে ও এবারের কমিটিতে হতে পারে আমি ও তাহের স্যার কমিটিতে আছি, সেটা তো গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হয়েছি। পূর্বের ঘটনা আর এবারের ঘটনা আলাদা বিষয়। আগের বারও আমি আর তাহের স্যার ছিলাম এটা হতেই পারে।

অভিযোগের বিষয়ে সভাপতি ড. মো. আবু তাহের বলেন, আগের ঘটনার সাথে এ ঘটনা মিলালে তো হবে না। উপাচার্য অনিয়ম, দুর্নীতি করলে আমরা সচেতন শিক্ষকরা এর প্রতিবাদ তো জানাবোই। আমরা সাধারণ শিক্ষকদের ম্যান্ডেট নিয়েই এসেছি। এক বছর কমিটি না থাকায় তাদের দাবি-দাওয়া যে তারা বলতে পারছেন না সেটা তারা এখন আমাদের মাধ্যমে জানাচ্ছেন। এখন উপাচার্য যদি এসব অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধ করেন তাহলে আমরা তার সাথে থাকবো।


আরও খবর



অস্বাস্থ্যকর বায়ু নিয়ে ঢাকা আজ সপ্তম স্থানে

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বায়ুদূষণের শীর্ষে উঠে এসেছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই। দূষণ মাত্রার দিক থেকে তালিকায় আজ রাজধানী ঢাকার অবস্থান সপ্তম। শনিবার (১৬ মার্চ) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এ তথ্য।

তালিকার শীর্ষে অবস্থান করা চিয়াং মাইয়ের বায়ুর মানের স্কোর হচ্ছে ২৩৭ অর্থাৎ সেখানকার বায়ু খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। শহরটির স্কোর হচ্ছে ২২৭, অর্থাৎ সেখানকার বায়ুর মানও খুবই অস্বাস্থ্যকর।

সূচকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি এবং শহরটির স্কোর হচ্ছে ১৮৯। এর অর্থ দাঁড়ায় সেখানকার বায়ুর মানও অস্বাস্থ্যকর।

দূষণের তালিকায় ঢাকার অবস্থান সপ্তম। রাজধানী ঢাকার দূষণমাত্রার স্কোর হচ্ছে ১৬৩ অর্থাৎ এখানকার বায়ুর মান অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে।

স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।

নিউজ ট্যাগ: বায়ুদূষণ

আরও খবর
ঢাকার বায়ু আজও অস্বাস্থ্যকর

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এম এ রহিম, বেনাপোল (যশোর)

Image

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আজ রোববার দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে সব ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। তবে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দর পরিচালক রেজাউল করিম ও বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান।

রেজাউল করিম বলেন, রোববার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় পেট্রাপোল ও বেনাপোল বন্দর দিয়ে কোনো আমদানি-রপ্তানি হবে না। সোমবার সকাল থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলবে।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।

এ ছাড়া বন্দর থেকে আমদানি পণ্য খালি করা ট্রাক ফেরত যাওয়ার জন্য চেকপোস্ট কার্গো শাখা খোলা থাকবে।


আরও খবর