খাদ্যমন্ত্রী
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, প্রধানন্ত্রীর নির্দেশে কৃষককে ন্যায্য মূল্যে দিতেই সরকার
এবার ২৭ টাকা কেজি দরে সাড়ে ৬ লাখ মেট্রিক টন ধান ও ৪০ টাকা কেজি দরে ১০ লাখ টন সিদ্ধ
চাল ও ৩৯ টাকা দরে দেড় লাখ মেট্রিক টন আতপ চালের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, অনেকেই
বরাদ্দ বাড়ানোর কথা বলেছেন।
আগে আমরা দেখবো
যদি কৃষকেরা নায্যমূল্যে থেকে বঞ্চিত হন তাহলে বরাদ্দ বাড়ানো হবে। তবে আগে আমাদের কাঙ্ক্ষিত
লক্ষে পৌঁছাতে হবে। কোনো ক্রমেই এই লক্ষে পৌঁছাতে গাফলতি করা যাবে না।
বুধবার (২৮ এপ্রিল)
দুপুরে নওগাঁ, বগুড়া, দিনাজপুর, নেত্রকোনাসহ ৯টি জেলায় ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সে
যুক্ত হয়ে বোরো ধান ক্রয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
খাদ্য বিভাগের
কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, কৃষক ও মিল মালিকদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে
দেশের খাদ্য মজুদ গড়ে তুলতে হবে। এছাড়াও কোনো কৃষক যাতে গুদামে ধান দিতে এসে হয়রানির
ও নির্যাতনের শিকার না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। লেবাররা যেন কৃষকের থেকে অতিরিক্ত ধান
না নেয় সেদিকেও আমাদের তীক্ষ্ণ নজর রয়েছে। তবে ধান-চালের কোয়ালিটির সঙ্গে কোনো আপোস
নেই।
মন্ত্রী বলেন,
অনেক আড়তদার ব্যবসা করেন। কিন্তু তাদের পূর্বের লাইসেন্স নেই। যাদের পূর্বের লাইসেন্স
নেই তাদের অবশ্যই পূর্বের লাইসেন্স করে নিতে হবে এবং সাতদিন পরপর খাদ্য নিয়ন্ত্রকের
কাছে তাদের রিটার্ন দাখিল করতে হবে। সাতদিনে কতো ধান ক্রয় করলো, কোনো মিল মালিকের কাছে
বিক্রি করলো সেই নাম ও নম্বর উল্লেখ করে রিটার্ন দাখিল করতে হবে। তাহলে আমরা একটা ধারণা
পাব কোনো মিলে কত ধান মজুদ রয়েছে। না হলে আমরা হিসাব পাই না। গত বছর তথ্য বিভ্রান্তের
কারণে আমরা একটু বিপদে পড়েছিলাম। তাই সেই বিপদে আমরা আর পড়তে চাই না। তাই আমরা আগে
থেকেই সতর্ক থাকতে চাই।