আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

প্রধানমন্ত্রীর নিবন্ধ : জাপান আমাদের বিশ্বস্ত উন্নয়ন অংশীদার

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

জাপানকে বাংলাদেশের দীর্ঘকালের পরীক্ষিত বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীনতা অর্জনের দুই মাসের মধ্যেই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া কয়েকটি দেশের মধ্যে এই দেশটি আমার হৃদয়ের খুব কাছের। জাপান আমাদের বিশ্বস্ত উন্নয়ন অংশীদার। বাংলাদেশ তার উন্নয়নের জন্য জাপানের অবিচল সমর্থন পেয়েছে এবং আমাদের স্বাধীনতার পর জাপানের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে সরকারি উন্নয়ন সহায়তা পেয়েছে।

জাপান আমাদের হৃদয়ে বিশেষ স্থান করে নিয়েছে শিরোনামে নিজের লেখা একটি নিবন্ধে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। তার চার দিনের টোকিওতে সরকারি সফরের দ্বিতীয় দিন সে দেশের বৃহত্তম ও প্রাচীন ইংরেজি দৈনিক পত্রিকা দ্য জাপান টাইমস-এ এই নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা লাভের দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশকে দ্রুত স্বীকৃতি দেওয়া কয়েকটি দেশের মধ্যে জাপান অন্যতম। এমনকি ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও জাপান অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়েছে, যা আমরা কখনো ভুলিনি বা ভুলব না। সবচেয়ে অবিস্মরণীয় ঘটনা ছিলজাপানি স্কুলের শিশুরা তাদের টিফিনের টাকা জমা করে সেই টাকা ঘূর্ণিঝড় এবং যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত আমাদের লোকদের জন্য সাহায্য করেছিল।

তিনি বলেন, তারপর থেকে জাপান আমাদের দীর্ঘকালে পরীক্ষিত বন্ধু হিসেবে রয়ে গেছে। জাপান আমার হৃদয়ের খুব কাছের একটি দেশ, ঠিক যেমন এটি আমার পরিবার এবং আমাদের জনগণের কাছে।

জাপানের প্রতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সফরকে স্মরণ করে ও জাপানের প্রতি বঙ্গবন্ধুর স্পর্শকাতরতার উত্তরাধিকার লালন করার পাশাপাশি দেশটির বিস্ময়কর উন্নয়নের প্রতি তার গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমি জাপানের অমূল্য অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে বারবার এখানে আসি। এগুলো আমাকে এই মহান দেশের ভাবমূর্তির মতো বাংলাদেশকে গড়ে তোলার জন্য আমার শরীর ও আত্মাকে কাজে লাগাতে এবং আত্মনিয়োগ করতে উৎসাহিত করে। এখন আমি অনুভব করি যে, আমাদের দুদেশের সম্পর্ক একটি ঈর্ষণীয় স্তরে জোরদার করা হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি যে, আমাদের ব্যাপক অংশীদারত্ব থেকে একটি কৌশলগত অংশীদারত্বের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে।

জাপানি বিনিয়োগ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগ ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। সাম্প্রতিক ওডিএ ঋণ প্যাকেজে জাপান বাংলাদেশকে অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি সহজ শর্তে ২ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে। আমাদের দ্বিমুখী দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে।

এ ছাড়া তিনি বলেন, ঢাকায় ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ট্রেনলাইন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর, ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল এবং আড়াইহাজারে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ জাপান বাংলাদেশের কয়েকটি বড় অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

বাংলাদেশে এমআরটি লাইনের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় কাজ করার সময় কিছু জাপানি প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ২০১৬ সালের জুলাই মাসে ঢাকায় সন্ত্রাসীদের হাতে মর্মান্তিকভাবে নিহত হন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা নিবন্ধে লিখেছেন, এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে অন্ধকার পর্বগুলোর একটি। আমি অনেক দুঃখের সঙ্গে তাদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করছি এবং আবারও তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। এই দুঃখজনক ঘটনা সত্ত্বেও আমাদের জাপানি বন্ধুরা প্রকল্প থেকে সরে আসেননি বরং এর পরিবর্তে নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

রোহিঙ্গা ইস্যু সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী নিবন্ধে লিখেছেন, গণহত্যার মুখে রোহিঙ্গা নামে পরিচিত এই লোকদের বাংলাদেশ মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছিল। তাদের দীর্ঘ উপস্থিতি স্থানীয় সম্প্রদায়ের জীবন ও জীবিকাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে। এখন তারা বাংলাদেশসহ সমগ্র অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠছে। জাপান এই অঞ্চলে তার ফলপ্রসু প্রভাবের মাধ্যমে মধ্যস্থতা করতে পারে এবং এই রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে তাদের স্বদেশে ফিরে যেতে সাহায্য করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও জাপান উভয়ই শান্তিপ্রিয় দেশ, বৈশ্বিক শান্তি, স্থিতিশীলতা, টেকসই উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি সমুন্নত রাখতে আন্তর্জাতিক ফোরামে সহযোগিতা করছে। , আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের সহযোগিতা এবং বন্ধুত্ব উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে এবং সমৃদ্ধ হবে।

বাংলাদেশ ও জাপানের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫১তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ও বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে টোকিওতে আগমন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি মহামান্য সম্রাট নারুহিতো এবং সম্রাজ্ঞী মাসাকোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং আমাকে আমন্ত্রণের জন্য প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাকে ধন্যবাদ জানাই। আমি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকেও শ্রদ্ধা জানাই। শেখ হাসিনা বলেন, আবে ছিলেন বাংলাদেশের একজন মহান বন্ধু।


আরও খবর



পটুয়াখালীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
পটুয়াখালী প্রতিনিধি

Image

পটুয়াখালী সদর উপজেলার ১২নং বড় বিঘাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আবু জাফর হাওলাদারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে অনাস্থা দিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন সাত ইউপি সদস্য।

সোমবার (২৫ মার্চ) জেলা প্রশাসক কার্যালয় বিঘাই ইউনিয়নের সদস্য মাঈনুল আহসান জিয়া, মো. জামাল হোসেন মিন্টু মৃধা, মো. মিজানুর রহমান, মো. জামাল হোসেন হাওলাদার, মো. কাওসার আকন, সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য মোসা. বিউটি বেগম ও মোসা. মনিরা আক্তার মিলে অনাস্থার অভিযোগ দায়ের করেছেন।

জেলেদের ৮০ কেজির পরিবর্তে ৬০ কেজি চাল দেয়া, টিআর, কাবিখা, কাবিটাসহ বেশ কিছু প্রকল্প সম্পর্কে ইউপি সদস্যদের অবহিত না করাসহ বেশকিছু বিষয়ে অভিযোগ করা হয়েছে আবেদনে। অভিযোগের বিষয় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ট্যাগ অফিসার উপজেলা সমাজসেবা অফিসারের উপস্থিতিতে প্রতি জেলেকে ৮০ কেজি করেই চাল বিতরণ করছেন চেয়ারম্যান আবু জাফর হাওলাদার।

তবে এ বিষয় কথা হলে উপস্থিত জেলেরা বলেন, আসলে ওই সকল ইউপি সদস্যরা তাদের নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যই আমাদের ৮০ কেজির পরিবর্তে ৬০ কেজি চাল বিতরণ করতে বলেছিলো। কিন্তু চেয়ারম্যান বিষয়টি না মানায় তার উপরে ক্ষিপ্ত হয়েই মূলত তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানির চেষ্টা করছে কতিপয় স্বার্থলোভী ইউপি সদস্য।

বড়বিঘাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবু জাফর হাওলাদার বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসকল অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আসলে টিসিবির মালামাল প্রকৃত কার্ড ধারিরা পেতো না কারন ইউপি সদস্যরা বিভিন্ন লোকের ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে ছাড়িয়ে নিতো। যা তারা বাহিরে বিক্রি করত। আর এসবে বাঁধা দেয়ায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনেন তারা।

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



গাজায় ত্রাণ নিতে আসা জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি, নিহত ১০৪

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজা উপত্যকার দক্ষিণ-পশ্চিমে খাবারের জন্য অপেক্ষা করছিলেন ফিলিস্তিনিরা। এ সময় ইসরায়েল খাবারের জন্য অপেক্ষারত ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্বিচারে হামলা চালায়। এতে অন্তত ১০৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং অন্তত ৭০০ জন আহত হয়েছে। কিন্তু গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১১২ জন এবং  আহত হয়েছেন ৭৫০ জনেরও বেশি। গাজা শহরের পশ্চিমে আল-নাবুসি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় ফিলিস্তিনি নেতারা এবং প্রতিবেশী দেশগুলো গাজায় সহায়তা সংগ্রহকারী নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্যবস্তু করায় ইসরায়েলের নিন্দা করেছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কার্যালয় বলেছে, ইসরায়েলি দখলদার সেনাবাহিনী কুৎসিত গণহত্যা চালিয়েছে।

আব্বাসের অফিসের উদ্ধৃতি দিয়ে ওয়াফা বার্তা সংস্থা বলেছে, এই বিপুল সংখ্যক নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের যারা হত্যা করেছে তারা গণহত্যামূলক যুদ্ধের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এর সম্পূর্ণ দায় দখলদার ইসরায়েলের এবং আন্তর্জাতিক আদালতে তাদের জবাবদিহি করতে হবে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বেসামরিকদের রক্ষা করার একমাত্র উপায় হিসেবে, যুদ্ধবিরতি জারি করার জন্য জরুরি হস্তক্ষেপ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছে। এদিকে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস এই হামলাকে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে অপরাধী ইহুদিবাদীদের জঘন্য গণহত্যা বলে অভিহিত করেছে।

এক বিবৃতিতে এই গোষ্ঠীটি বলেছে, সাহায্য-প্রার্থীদের ওপর মারাত্মক আক্রমণ যুদ্ধাপরাধের ইতিহাসে নজিরবিহীন।

গাজায় গণহত্যা, জাতিগত নির্মূল এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন বন্ধ করতে ইসরাইলকে বাধ্য করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এবং আরব রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হামাস।

স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী এএফপিকে বলেন, গাজা শহরের পশ্চিম নাবুলসি গোলচত্বরে ত্রাণের ট্রাকের দিকে খাবারের জন্য মরিয়া হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসেন। সেই সময় এই সহিংসতার ঘটনা ঘটে। নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ত্রাণ-বোঝাই ট্রাকগুলো কিছু সেনা ট্যাংকের খুব কাছাকাছি চলে আসে। ওই সময় হাজার হাজার মানুষ ট্রাকের দিকে ছুটে আসেন। তারা ট্রাকগুলোতে হামলে পড়েন। লোকজন ট্যাংকের খুব কাছে চলে আসায় ইসরায়েলি সেনারা ভিড় লক্ষ্য করে গুলি চালায়।

পরে ইসরায়েলি একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে এএফপিকে বলেছে, লোকজন এমনভাবে ইসরায়েলি বাহিনীর কাছাকাছি এসেছিল, যা সেনাদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। পরে গুলি ছুড়ে হুমকি মোকাবিলা করা হয়েছে।

তবে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেন, ওই এলাকায় কোনো ধরনের গোলাবর্ষণের কথা তাদের জানা নেই। পরে সেনাবাহিনী বলেছে, উত্তর গাজায় ত্রাণ পরিবাহী ট্রাক এলে ধাক্কাধাক্কি ও পদদলিত হয়ে কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি একটি সূত্র জানিয়েছে, দেশটির সশস্ত্রবাহিনী ভিড়ের মাঝে হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করে কয়েকজন ব্যক্তির ওপর গুলি চালিয়েছিল।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, একাধিক ট্রাকে করে অনেক মৃতদেহ পরিবহন করা হচ্ছে এবং অনেক আহত ব্যক্তিকে দেখা যায়। তবে ভিডিওটির সত্যতা নিশ্চিত করেত পারেনি। আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি হাসপাতালের মেঝেতে আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



এনআইডি সংক্রান্ত দুর্নীতিতে কোনো ছাড় দেব না: সিইসি

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংক্রান্ত দুর্নীতিতে আমরা কোনো ছাড় দেব না। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করতে দ্বিধান্বিত হব না।

শনিবার (২ মার্চ) জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন হুঁশিয়ারি দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

তিনি বলেন, এনআইডির গুরুত্ব অনেক বেড়েছে। এটা এখন অপরিহার্য। সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে অনেক সময় সংকট দেখা যায়। এটা এখনো যায়নি। তবে আগের চেয়ে এনআইডি এখন অনেকটাই সুষ্ঠু অবস্থায় এসে পৌঁছেছে। এটা ছাড়া অনেক কাজ এখন আমিও করতে পারব না।

সিইসি বলেন, খুব বেশি নয়, যারা অতি চালাক তারা একাধিক কার্ড করে ফেলেন। তাই আমাদের কর্মকর্তারা সতর্কতার সঙ্গে কাজ করবেন। সম্পত্তি বেহাত করার জন্য যে এনআইডি কার্ড করা হয় আমি হয়তো ভুল করে দিতে পারি। কিন্তু সচেতনভাবে অপরাধের সঙ্গে অংশ হিসেবে যদি এটা আমরা করে থাকি তাহলে আমাদের টলারোন্স জিরো হবে। আমরা ওই ধরনের কর্মকর্তাদের পুলিশে হস্তান্তর করতে দ্বিধান্বিত হব না।

তিনি বলেন, এখন এনআইডিরই বাই প্রোডাক্ট হয়ে গেছে ভোটার কার্ড। এনআইডি বিষয় আজ নয়, আজ ভোটার দিবস। কীভাবে এটি বর্তমান পর্যায়ে এলো এটি ইতিহাসের একটা বিষয়।

সভায় অন্যদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান, মো. আলমগীর, রাদেশা সুলতানা, ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমসহ সংস্থাটির সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ধনকুবের পুত্রের বিয়েতে নেচে মাতালেন তিন খান

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ধনকুবের মুকেশ আম্বানির ছোট ছেলে আনান্ত আম্বানি ও তার হবু স্ত্রী রাধিকা মার্চেন্টের প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণে হলিউড -বলিউড সহ বিশ্বের নামী সব ব্যক্তিত্বদের আগমনে গুজরাটের জামনগরে বর্তমানে যেন চাঁদের হাট বসেছে।

সেখানেই জমিয়ে নাচলেন বলিউডের তিন খান। শাহরুখ, সালমান ও আমিরের নাচের বিরল এই দৃশ্য সামাজিক মাধ্যমে এখন ভাইরাল।

ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী , অস্কার প্রাপ্ত নাটু নাটু গানে হাসি মুখে একে অপরের সঙ্গে নাচে পা মেলালেন। আবার একে অপরের সিগনেচার পোজ নকলও করলেন তারা।

নাটু নাটু ছাড়াও সালমান, আমির এবং শাহরুখকে ছাইয়া ছাইয়া, মুজসে শাদি করোগি থেকে টাওয়াল ডান্স, জিনে কে হ্যায় চার দিন আর রং দে বাসন্তি-এর মাস্তি কি পাঠশালা-গানের স্টেপে নাচতে দেখা যায়।

শাহরুখ, সালমান এবং আমির ছাড়াও বলিউডের আরও বেশ কয়েকজন তারকাকেও দেখা গিয়েছে এই অনুষ্ঠানে। তাদের মধ্যে ছিলেন সিদ্ধার্থ মালহোত্রা, কিয়ারা আদভানি, সাইফ আলি খান, কারিনা কাপুর খান, বরুণ ধাওয়ান, অনিল কাপুর, সারা আলি খান, ইব্রাহিম আলি খান, অনন্যা পান্ডে এবং আদিত্য রায় কাপুর। রানী মুখার্জি, দীপিকা পাড়ুকোন, রণবীর সিং, রণবীর কাপুর এবং আলিয়া ভাটকে দেখা যায় অনুষ্ঠানে।

১-৩ মার্চ গুজরাটেরর জামনগরে রিলায়েন্স গ্রিনস-এ অনন্ত ও রাধিকার প্রাক-বিবাহের একাধিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রয়েছে নাচ-গানের আয়োজন। বহু প্রতীক্ষিত এই প্রাক-বিবাহ আসরের প্রথম সন্ধ্যায় মূল আকর্ষণ ছিল পপতারকা রিহানার পারফরম্যান্স। তবে দ্বিতীয় সন্ধ্যায় মঞ্চ মাতিয়েছেন বলিউড তারকারা। হবু দম্পতি অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের চার হাত এক হবে আগামী ১২ জুলাই।


আরও খবর



তিন বছরের সর্বনিম্নে নেমেছে খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক দাম

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিশ্বজুড়ে খাদ্যপণ্যের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে। সবশেষ ফেব্রুয়ারিতে এসব পণ্যের গড় দাম কমে তিন বছরের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মাসভিত্তিক মূল্যসূচক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বাজার পর্যবেক্ষকরা বলছেন, শীর্ষ রফতানিকারক দেশগুলোয় কৃষিপণ্যের উৎপাদন পরিস্থিতি ইতিবাচক দিকে মোড় নিয়েছে। চলতি মৌসুমে খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক উৎপাদন রেকর্ড স্পর্শ করতে পারে বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল গ্রেইনস কাউন্সিল (আইজিসি)।

বিশেষ করে দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোয় প্রত্যাশার চেয়েও ভুট্টা উৎপাদন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি দাম কমার ক্ষেত্রে প্রধান প্রভাবকের ভূমিকা পালন করছে।

ফেব্রুয়ারিতে এফএওর খাদ্যপণ্যের মূল্যসূচক টানা সপ্তম মাসের মতো কমেছে। এর পেছনে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে প্রধান খাদ্যশস্যগুলো। এসব পণ্যের দাম লক্ষণীয় মাত্রায় কমেছে। তবে চিনি ও মাংসের দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায়।

এফএওর মূল্যসূচক মূলত বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি বেচাকেনা হওয়া খাদ্যপণ্যের দামের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়। ফেব্রুয়ারিতে এ সূচকমান ছিল গড়ে ১১৭ দশমিক ৩ পয়েন্টে, আগের মাসে যা ছিল ১১৮ দশমিক ২ পয়েন্ট।

এফএওর তথ্যমতে, খাদ্যশস্যের মূল্যসূচক আগের মাসের তুলনায় ৫ শতাংশ কমেছে। এছাড়া গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে ২২ দশমিক ৩ শতাংশ। মূলত দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোয় বড় পরিসরে ভুট্টা উৎপাদনের প্রত্যাশা এবং ইউক্রেনের ভুট্টার প্রতিযোগিতামূলক রফতানি মূল্য এক্ষেত্রে রসদ জুগিয়েছে।

ফেব্রুয়ারিতে উদ্ভিজ্জ তেলের দাম জানুয়ারির তুলনায় ১ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারির তুলনায় কমেছে ১১ শতাংশ। দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোয় পর্যাপ্ত সরবরাহ দাম কমতে সহায়তা করেছে। এছাড়া সরিষা ও সূর্যমুখী তেলের দামও পর্যাপ্ত রফতানির কারণে কমেছে।

তবে বিপরীত প্রবণতায় ছিল চিনি ও মাংসের বাজার। এর মধ্যে ফেব্রুয়ারিতে এফএওর চিনির মূল্যসূচক আগের মাসের তুলনায় ৩ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। শীর্ষ উৎপাদক ব্রাজিলে নতুন মৌসুমের উৎপাদন নিয়ে উদ্বেগ তীব্র আকার ধারণ করায় মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। এছাড়া থাইল্যান্ড ও ভারতে উৎপাদন কমে যাওয়ার পূর্বাভাসও মিলেছে।

গত বছরের আগস্ট থেকেই খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক দাম অব্যাহত কমছে। ওই মাসে এফএও খাদ্যপণ্য মূল্যসূচক ২ দশমিক ১ শতাংশ কমে গিয়েছিল। তবে চালের দাম বেড়ে ১৫ বছরের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে।

রাবোব্যাংক ২০২৪ সালে দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির আশঙ্কা করছে, যা কৃষিপণ্যের চাহিদা বৃদ্ধিকে মন্থর করে দেবে। রাবোব্যাংকের কৃষিপণ্যবিষয়ক প্রধান কার্লোস মেরা জানান, তিন বছর ধরে বিশ্বব্যাপী কৃষিপণ্যের দাম অত্যন্ত অস্থিতিশীল ছিল। উৎপাদনকারীরা এখনো যুদ্ধ, খারাপ আবহাওয়া, অন্যান্য খরচ বৃদ্ধি ও দুর্বল চাহিদার প্রভাবগুলোর সঙ্গে লড়াই করছে। তবে ২০২৪ সালে অবস্থা কিছুটা স্বাভাবিকতার দিকে ফিরতে পারে।

কয়েক বছর ধরে রাবোব্যাংক প্রধান ১০টি কৃষিপণ্যের দিকে নজর রাখছে। এটি পূর্বাভাস দিয়েছে ভুট্টা, সয়াবিন, চিনি ও কফির দাম তুলনামূলকভাবে কমবে। তবে আবহাওয়া ও রফতানির অনিশ্চয়তার কারণে গমের দাম এখনো অনিশ্চয়তার মধ্যে।

নিউজ ট্যাগ: খাদ্যপণ্য

আরও খবর