মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনি বিশ্বাস করেন অসহায় মানুষদের ভাগ্যেও পরিবর্তন করা। আমরা যারা ভালো আছি তারা তো ভালোই আছি। যে মানুষগুলো ভালো নেই তাদেরকে কিভাবে ভালো রাখা যায় সেভাবে কাজ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী ১০৯ ধরনের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর সুযোগ পাচ্ছে অস্বচ্ছল, বয়স্ক, বিধবা, স্বামী পরিত্যাক্তা, প্রতিবন্ধী, বেদেসহ অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর লাখ লাখ নারী-পুরুষ-শিশু মানুষদের ভাগ্যের পরিবর্তন করেছেন। সে লক্ষ নিয়ে তিনি বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেন। অসহায় মানুষদের ভাতা দেওয়া মনটা সবার থাকে না যেটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রয়েছে।
মন্ত্রী আজ শনিবার (১৭জুন) দুপুর ১২টায় তার নির্বাচনী এলাকার পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের সুফলভোগীদের মাঝে উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, করোনার সময় অসহায় মানুষদের দ্বারে দ্বারে খাবার পৌঁছে দেয়া হয়েছে। বিনা মূল্যে করোনার টিকা দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে ছাড়া পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এইভাবে টাকা, চিকিৎসা, অসহায় মানুষদের হাঁস, মুরগী ভেড়া, গরু, ছাগল কেউ দেয় নাই। এই দেয়ার জন্য একটা মন থাকতে হয়। এই বিশাল মনে অধিকারি একজন মানুষ যিনি মায়ের আসনে বসে আছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী যে কর্মসূচি গুলো নিয়েছেন অতীতে কোন সরকার প্রধানরা নিতেন না। যাদের বাড়ি ঘর নাই। তাদেরকে ঘর শুধু না ২ শতাংশ জায়গা বিদ্যুতের সংযোগ দিয়ে বিনামূল্যে দেয়া এটা কোন সরকারের মাথায় তো এটা আসলো না। শেখ হাসিনার মাথায় এসেছে। এইরকম দরদী মানুষ পাওয়া যাবে না।
সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার মোঃ গোলাম মোস্তফা এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান পিপিএম সেবা এবং জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ তরুন কান্তি সিকদার।
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তা-চেতনাই হচ্ছে কাউকে পিছে রেখে নয়- সকলকে সমান সুযোগ-সুবিধা দিয়ে তাদের নিয়ে এগিয়ে যাওয়া, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বির্নিমান।
তিনি বলেন, এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে উপকূলীয় চরাঞ্চলে দরিদ্র পরিবারের পুষ্টি ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, নারীদের আর্থিকভাবে স্বর্নিভর করে গড়ে তোলা, লিঙ্গ বৈষম্য হ্রাস করা এবং মুরগী-হাঁস-ভেড়ার ক্ষুদ্র খামার স্থাপনের মাধ্যমে ডিম ও মাংসের উৎপাদন বৃদ্ধি করা। পিরোজপুর সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ২ হাজার ৫শত ৩০ জন দরিদ্র পরিবার সরাসরি এই প্রকল্পের সুফলভোগী হিসেবে উপকৃত হচ্ছে। প্রতি ইউনিয়নে ১শত জন ভেড়া পালন সুফলভোগী নির্বাচন করা হয়েছে। এদের ৩ দিনের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে এবং প্রত্যেককে ৩টি করে ভেড়া, ৭৫ কেজি ৬শত গ্রাম ভেড়ার খাবার, ১টি করে ভেড়ার ঘর এবং ভেড়ার রোগ বালাই ও চিকিৎসার জন্য ঔষধ ও ভেকসিন দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।