আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
মুক্তিপণে সন্তুষ্ট জলদস্যুরা, কততে নির্ধারিত হল জিম্মি জাহাজ ও ২৩ নাবিকের জীবন? সেতু থেকে খাদে পড়ে ৪৫ বাসযাত্রীর মৃত্যু, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল শিশু ‘নির্বাচনে খরচ ১ কোটি ২৬ লাখ, যেভাবেই হোক তুলবো’ সপ্তাহের ব্যবধানে ৫৩ কোটি ডলার রিজার্ভ কমল চট্টগ্রামে আর্টিকেল ১৯ এর দিনব্যপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত চার বছরে মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমেছে ১০ লাখ কংগ্রেস থেকে শিবসেনায় যোগ দিলেন গোবিন্দ পরিবেশ দূষণে বছরে অকাল মৃত্যু হচ্ছে পৌনে ৩ লাখ বাংলাদেশির প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার ৭০ হাজার সরকারি কর্মী ছাঁটাই করতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা

প্রধানমন্ত্রীর দেশ পরিচালনা নিয়ে বাংলায় বই প্রকাশ হচ্ছে

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১২ বছরের দেশ পরিচালনা বিষয়ে বাংলায় একটি বই প্রকাশ করবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে (বিআইডিএস) বইটি প্রকাশের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ত্রৈ-মাসিক সমন্বয় সভায় এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

সভা প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ১২ বছরে কী কী প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে সেই বিষয় বইয়ে উঠে আসবে। প্রধানমন্ত্রীর শাসন আমলে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিকসহ নানা অঙ্গনে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বিষয়গুলো একত্রিত করে আমরা বই বের করব। বাংলাদেশের ওপর সামষ্টিক রিপোর্ট থাকবে। চলতি বছরের ১৫ এপ্রিলের মধ্যেই বইটি বের হবে।

অবাধ তথ্যপ্রবাহ প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সভা করেছি। সচিব থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বলেছি সাংবাদিকরা যেন অবাধে তথ্য পেতে পারে। সাংবাদিকদের কাজে যেন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা না হয়। আমরা কয়েকটি বিভাগ নিয়ে সভা করেছি। আমাদের অনেক ক্ষেত্রে অগ্রগতি অনেক ভালো হয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।

বাংলায় রিপোর্ট প্রণয়ন প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের প্রত্যেক কপি বাংলায় বাধ্যতামূলক করতে হবে। সাধারণ মানুষকে বোঝাতে হলে বাংলায় রিপোর্ট লিখতে হবে। বিআইডিএস-এর প্রধানকে বলা হয়েছে প্রতি তিন মাস পর বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের রিপোর্ট দেওয়ার জন্য। আমরা টেম্পারিং রিপোর্ট চাই না, আমরা প্রকৃত রিপোর্ট চাই।


আরও খবর



সাংবাদিক রানার মুক্তির দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার শেরপুরের নকলা উপজেলা সংবাদদাতা শফিউজ্জামান রানাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদণ্ড দেওয়ার প্রতিবাদ ও আইন অপব্যবহারকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিকরা।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে বালিয়াডাঙ্গী শহরের চৌরাস্তায় ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন পালন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অনতিবিলম্বে সাংবাদিক রানাকে মুক্তি দিতে হবে। নয় তো আরও কঠোর আন্দোলন শুরু হবে। সেই সাথে ইউএনও এবং এ্যাসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করতে হবে। সেই মামলায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, জেলের ভয় দেখিয়ে সাংবাদিকদের কলম আটকানো যাবে না। ইতিপূর্বে জিডিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে সাংবাদিকদের হয়রানী করা হয়েছে। এখন ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার দেখিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কলম চলবে। মামলা ও জেলের ভয় করিনা। মামলায় ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিকদের ক্ষতিপূরণ দাবি করেন বক্তারা।

এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, দেশ রূপান্তরের ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতা ফিরোজ আমিন সরকার রাসেল, ইত্তেফাকের তানভীর হাসান তানু, দীপ্ত টেলিভিশনের মঈনুদ্দিন তালুকদার হিমেল, দৈনিক বাংলার সোহেল রানা, দৈনিক কালেরকণ্ঠের হারুন অর রশিদ, আজকের পত্রিকার আল মামুন জীবন, অধিকারের মাজেদুল ইসলাম হ্নদয়, ইলিয়াস আলী, আনোয়ার হোসেন আকাশসহ অন্যান্য সংবাদকর্মীরা।


আরও খবর



পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলেই ভোট বন্ধ: ইসি আলমগীর

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলেই ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।

তিনি বলেন, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা সিটির সঙ্গে ৯ মার্চ পৌরসভা, জেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনও আছে। পরিস্থিতি ভালো আছে। তবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে।

বুধবার (৬ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, যেসব জায়গা থেকে চাহিদা এসেছে, সেখানে বেশি ফোর্স দিয়েছি। অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেটও দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমাদের মূল্যায়ন, পরিবেশ ভালো। আশা করি নির্বাচন ভালোভাবেই হবে। আমাদের প্রস্তুতি সবদিক থেকেই ভালো।

ভোটের ক্ষেত্রে উত্তেজনা থাকেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, সব প্রার্থীই চায় নির্বাচনে জিততে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হবে- এ ধরনের তথ্য আমাদের কাছে নেই। তারপরও সতর্কতা হিসেবে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন থেকে তারা যে অতিরিক্ত ফোর্স চেয়েছে, সেভাবে দিয়েছি। নিয়ন্ত্রণের বাইরে পরিস্থিতি চলে গেলে কেন্দ্রের নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা বন্ধ না করলে আমরা (কমিশন) বন্ধ করে দেবো।


আরও খবর



গাজায় যুদ্ধবিরতির আশা আলোচনা শুরু আজ

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার আগেই ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি হতে পারে। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের অন্যতম মধ্যস্থতাকারী দেশ মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শৌকরি এ আশার কথা শুনিয়েছেন।

রয়টার্স জানায়, আন্তর্জাতিক জোট আনতালিয়া ডিপ্লোমেসি ফোরামের সম্মেলনে যোগ দিতে তুরস্কে গেছেন শৌকরি। সেখানে গত শুক্রবার এক ভাষণে তিনি বলেন, আমি আপনাদের বলতে পারি যে এই যুদ্ধের সব পক্ষ, অর্থাৎ আমরা সবাই ইতিমধ্যে সমঝোতার একটি পয়েন্টে পৌঁছাতে পেরেছি। আশা করছি, রমজানের আগেই গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি হস্তান্তর শুরু হবে।

সামেহ শৌকরি জানান, প্রস্তাবিত চুক্তি অনুযায়ী গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হতে পারে ১০ কিংবা ১১ মার্চ। এ সময়েই রমজানের শুরু হতে পারে। এই যুদ্ধবিরতি হলে ৪০ দিনের জন্য গাজায় অভিযান বন্ধ রাখবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এবং সেখানে প্রতিদিন প্রবেশ করবে ত্রাণ ও খাদ্যপণ্যবাহী ট্রাক। সেই সঙ্গে প্রতি ইসরায়েলি জিম্মির বিনিময়ে ১০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এদিকে আজ রোববার মিসরের রাজধানী কায়রোতে গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা আবার শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। গতকাল শনিবার মিসরের নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে সৌদি গণমাধ্যম আল-আরাবিয়া।

নিরাপত্তা সূত্রটি বলছে, উভয় পক্ষই যুদ্ধবিরতির সময়সীমার পাশাপাশি জিম্মি ও বন্দীদের মুক্তির বিষয়ে একমত হয়েছে।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষও আশা করছে রমজানের আগে যুদ্ধবিরতি হতে পারে। গতকাল ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল-মালিকি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। গতকাল আনতালিয়া ডিপ্লোমেসি ফোরামে তিনি বলেন, আমরা আশা করি, রমজানের আগেই যুদ্ধবিরতি অর্জন করতে সক্ষম হব, আমরা গতকাল এবং আজ এটি অর্জনে ব্যর্থ হয়েছি। তবে আমরা আশাবাদী।

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে চাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মালিকি।

একই আশাবাদ জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। গত শুক্রবার তিনি বলেন, আমরা আশা করছি মুসলিমদের পবিত্র মাসের শুরুতেই গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সম্মত হবে ইসরায়েল। এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে আমরা ব্যাপকভাবে চেষ্টা চালাচ্ছি।

চার মাসের বেশি সময় ধরে চলমান ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭০ হাজার। এ ছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর গোলায় বাড়িঘর হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে আরও লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।

আল জাজিরা জানিয়েছে, গতকাল গাজার দেইর এল-বালাহ এবং জাবালিয়া এলাকায় তিনটি বাড়ি লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ হামলায় অন্তত ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত এবং কয়েকজন আহত হয়েছে।

এর আগে খাদ্য সহায়তার অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর গত বৃহস্পতিবার হামলার ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করে জাতিসংঘের একটি দল। তাঁরা জানিয়েছেন, হামলায় আহত অনেককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দেখা গেছে।

নিউজ ট্যাগ: রমজান

আরও খবর



খালেদা জিয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে ফের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন তার পরিবার। একইসঙ্গে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর সাজা স্থগিত করে স্থায়ী মুক্তির আবেদনও করা হয়েছে।

তবে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আর নির্বাহী আদেশে খালেদার সাময়িক মুক্তির মেয়াদ আবার ৬ মাস বাড়ানো হতে পারে।  সোমবার সচিবালয়ে নিজের দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, আবেদন হাতে পেলেও এখনো ভালোভাবে পড়ে দেখার সুযোগ তার হয়নি। ফাইল পড়ে দেখে মঙ্গলবার তিনি সিদ্ধান্ত জানাবেন। খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে না। তাকে বিদেশ থেকে ডাক্তার এনে চিকিৎসা করার অনুমতিও দিয়েছিলাম। ডাক্তার তাকে চিকিৎসাও করেছিলেন, ডাক্তার তাকে সুস্থও করেছেন। খালেদা জিয়ার এবারের মেয়াদ ছয় মাস হয়, নাকি আরও বেশি হয়, সেটা জানার জন্য আগামীকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

গত ৬ মার্চ পরিবারের পক্ষে খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম সাত্তার আবেদনের চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেন। রোববার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, আবেদনপত্রে ম্যাডামের স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। ম্যাডামের ছোটভাই (শামীম ইস্কাদার) অসুস্থ থাকায় আমি চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দিয়েছি। আবেদনপত্রে শামীম ইস্কাদার বলেন, বেগম জিয়ার জীবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষায় দরকার দেশের বাইরে চিকিৎসা।

আবেদন পত্রটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেছে। সোমবার সাংবাদিকরা এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আইনমন্ত্রী বলেন, মেয়াদ বৃদ্ধি করার আইনি সুযোগ আছে, কিন্তু বিদেশে যাওয়ার অনুমতি বা অন্য কিছু করার আইনি সুযোগ নাই।

আনিসুল হক বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কিন্তু মুক্ত। তাকে দুটো শর্ত দেওয়া হয়েছে। একটা হচ্ছে তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না, দ্বিতীয় শর্ত হচ্ছে তিনি ঢাকায় থেকে চিকিৎসা নেবেন। তাকে কিন্তু চলাফেরা বা চিকিৎসা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো অনুমতি নিতে হয় না এবং তিনি অনুমতি নেনও না। সেই ক্ষেত্রে খালেদা জিয়াকে আবার মুক্তির কথা বলাটা একটু ইরিলেভেন্ট।

কেন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া যাবে না, সেই প্রশ্নে পুরোনো ব্যাখ্যা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, একটা জিনিস আমি বুঝতে পারছি না। বহুবার আমি আইনের ব্যাখ্যা দিয়েছি। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার বাইরে গিয়ে আমাদের কিছু করার নেই। তারপর প্রতিবারই তারা প্রথম যে চিঠি লিখেছিল সেই আকারেই আবেদন করছে।

সরকারপ্রধান চাইলে খালেদা জিয়াকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিতে পারে কিনা জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, সরকারপ্রধান মানে হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। তিনি যেহেতু এটা নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন, এখন এটা পরিবর্তন করার আইনি কোনো বিধান নেই। সরকার প্রধানকে আইনের ভেতরে থেকে মানবিক বিবেচনা করতে হবে। আইনের বাইরে গিয়ে তিনি মানবিক কারণ দেখাতে পারবেন না। প্রথম বার থেকেই মানবিক কারণে খালেদা জিয়াকে জামিন (নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি) দেওয়া হচ্ছে। এখন সেই মেয়াদ বারবার রিনিউ হচ্ছে, সেটা কিন্তু মানবিক কারণেই হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দেন আদালত। সেই থেকে প্রায় দুই বছর জেলে ছিলেন তিনি। পরে মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পেলে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে দুটি শর্তে সরকারের নির্বাহী আদেশে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।

প্রথমটি হলো, তাকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। দ্বিতীয় শর্তটি হলো, তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। তখন করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে তার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ৬ মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর থেকে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছয় মাস অন্তর অন্তর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।

সর্বশেষ গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৪ মার্চ।


আরও খবর



ঈদে গার্মেন্টস কারখানায় ৮ দিন ছুটির দাবি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ঈদুল ফিতরে গার্মেন্টস কারখানায় আট দিন ছুটি ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় কমিটির সভাপতি মো. শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এক বিবৃতিতে এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সরকার ও বিজিএমইএ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।

জাতীয় কমিটির নেতারা বলেন, যাতায়াতের বিড়ম্বনা এড়াতে গার্মেন্টস কারখানায় আট দিন ছুটি ঘোষণা করলে ৩৫ লাখ শ্রমজীবী মানুষ ধাপে ধাপে বাড়ি যেতে পারবে। তাই এ সুপারিশ বাস্তবায়নের জোর দাবি জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতি ঈদে প্রায় এক কোটি মানুষ বৃহত্তর ঢাকা ছাড়ে। এর মধ্যে গার্মেন্টস শ্রমিক প্রায় ৩৫ লাখ। ঈদের আগে মাত্র এক সপ্তাহে ঘরমুখী এক কোটি যাত্রী পরিবহণের সক্ষমতা সড়ক, রেল ও নৌপরিবহণ খাতে নেই। এর ফলে প্রতি ঈদেই সড়ক ও রেলপথে বিশৃঙ্খলা এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়।


আরও খবর