মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই হচ্ছেন সকল ধর্মালম্বীদের নিরাপদ আশ্রয়ের নেতা। শেখ হাসিনাই হচ্ছেন সনাতন ধর্মীয় জনগনের সঠিক আশ্রয়স্থল। সনাতন ধর্মের জন্য যাবতীয় নিরাপত্তা ও শান্তির প্রয়োজন তিনি তা নিশ্চিত করেন।
আজ শুক্রবার দুপুরে পিরোজপুরের নাজিরপুরের শ্রীরামকাঠি হরিসভা মঠে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পরে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করা হয়েছিলো। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরে সেটাকে সংশোধন করে বলেছেন সকল ধর্ম সমান সুযোগ পাবে। কোন বিশেষ ধর্ম কোন বিশেষ সুবিধা পাবে না। এই সাহস একজন মুসলিম হয়েও শেখ হাসিনাই দেখাতে পেরেছেন। অতীতে আর কোউ এমন সাহস দেখায় নাই।
মন্ত্রী আরও বলেন, সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদকে সংশোধন করে ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি শুরু করে ধর্ম নিরপেক্ষতাকে বিসর্জন দিয়ে ছিলো যারা শেখ হাসিনা সেটাকে পুনরায় স্থাপন করেছিলেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের অনাকাক্ষিত ভাবে যে সব সম্পত্তি অর্পিত সম্পত্তি করেছিলো তা সব বাতিল করে ট্রাইব্যুনাল করে দিয়েছেন। ট্রাইব্যুনালে যে রায় হবে সে রায়ের উপর কোন আপিলও হবে না। অর্থাৎ সনাতন ধর্মালম্বীরা বা তার আত্মীয় স্বজনরা পূর্বপুরুষরা দেশের বাইরে থাকলেও তাদের সম্পত্তি বেহাত হবে না। হিন্দু কল্যাণ ট্র্রাষ্টে ২০ কোটি টাকা মূলধন ছিলো সেটা এখন ২০০ কোটিতে রুপান্তর হয়েছে।
তিনি আরো যোগ করেন, মুসলমানরা হজ্জ্ব করতে সরকারি সাহায্য পেতো। এখন হিন্দুদের জন্য পূর্নার্থে গয়া, কাশি, বিন্দাবনে যেখানে যেতে চায় সেখানে যাওয়ার তাদেরকেও আর্থিক সহয়তা দেয়া হয়। একটা সময় বাংলাদেশে হিন্দুরা ছিলো উপেক্ষিত। তাদের পুজা বাদ দিয়ে ঘট পূজা দেয়া লাগতো। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি কিন্তু আজকে আর নেই। আজকে শান্তির সঙ্গে সবাই সমভাবে ধর্ম পালন করছে। শেখ হাসিনা মানবরূপে তিনি কোন দেবীর মত আপনাদের মাঝে আবির্ভূত হয়েছেন কারণ তিনি মনে করেন হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রীষ্টান সকলেই মানুষ। রাষ্ট্রের দায়িত্ব সকলকে নিরাপত্তা দেয়া এবং প্রাণ ভরে তারা যাতে ধর্ম পালন করতে পারেন সেই সুযোগ করে দেয়া এবং সেটা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা করে দিয়েছেন। শেখ হাসিনা সনাতন ধর্মালম্বীদের কাছে মানুষ রূপে, মানবী রূপে, দেবী রূপে, পরিত্রাণকত্রী রূপে আবির্ভূত হয়েছেন। তার সঙ্গে থাকলেই আমরা সকলে ভালো থাকবো। আলোচনা সভা শেষে তিনি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্ডার খায়রুল ইসলাম, নাজিরপুর থানার ওসি হুমায়ূন কবির, জেলা পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুরঞ্জন হালদার, উপজেলা পুজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি চঞ্চল কান্তি বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক তিমির হালদার তিমির ও নির্জন কান্তি বিশ্বাস, জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোপাল চন্দ্র বসূ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নাজিরপুর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান পরিষদের নেতৃবৃন্দ।