দেশে গ্যাস সরবরাহে ঘাটতি থাকায় ইউরিয়া সারের উৎপাদন কম হচ্ছে। এরফলে সরকারকে কয়েকগুণ বেশি দামে সার আমদানি করতে হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে দাম বৃদ্ধি হওয়ার কথা থাকলেও তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাইছেন না বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন,
‘দেশে
ডিএপি (ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট) এবং টিএসপি (ট্রিপল সুপার ফসফেট) সারে কোনও সংকট নেই।
তবে গ্যাসের সরবরাহে ঘাটতি থাকায় ইউরিয়া উৎপাদনে সমস্যা হচ্ছে। এর ফলে এ বছর ৫ থেকে
৬ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার কম উৎপাদন হবে।’
ঘাটতি মেটাতে
ইউরিয়া সার আমদানি করতে হবে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সার পেতে কোনও সমস্যা হবে না, সমস্যা
যেটা হবে দামের ক্ষেত্রে। সরকারকে কয়েকগুণ বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে। ক্ষমতাধর দেশগুলো
সারের উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় এই সমস্যায় পড়তে হয়েছে, যেটা খুবই অমানবিক।’
সারের চাহিদার
কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে ইউরিয়া সার প্রয়োজন ২৫ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ১০ লাখ মেট্রিক
টন সার দেশেই উৎপাদন হয়। তবে এবার ৬ থেকে ৭ লাখ মেট্রিক টন উৎপাদন না হবে না, যা আমদানি
করতে হবে।’
ভর্তুকি দেওয়ায় সারের দাম বাড়বে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘সেটা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আলাপ-আলোচনা চলছে।
তবে প্রধানমন্ত্রী চান সারের দাম যেন না বাড়ে। আগামী বোরো মৌসুম পর্যন্ত সারের কোনও
সংকট হবে না। সারের সরবরাহ নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।’