আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুর

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আন্দোলনকারীরা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে। সোমবার (৫ আগস্ট) বিকাল ৫টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, আন্দোলকারীদের বড় একটা অংশ দেয়াল টপকে ১৯ হেয়ার রোডে অবস্থিত প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ঢুকে পড়েন। এ সময় সেখানে থাকা বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন আন্দোলনকারীরা। ভেতর থেকে চিৎকার, হইহুল্লোড় ও ভাঙচুরের শব্দ শোনা যাচ্ছিল।

এর আগে শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর লাখো মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। তারা উল্লাস প্রকাশের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালায়। এ সময় গণভবনে ঢুকেও লুটপাট করা হয়।

এদিকে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে। সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি একথা বলেন।

সেনাপ্রধান বলেন, রাজনৈতিক ক্রান্তিকাল চলছে। একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে। সব হত্যার বিচার হবে। সেনাবাহিনীর ওপর আস্থা রাখেন। আমরা রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি।

জনগণের উদ্দেশে সেনাপ্রধান বলেন, দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখেন। আপনারা আমার ওপর আস্থা রাখেন, একসঙ্গে কাজ করি। দয়া করে সাহায্য করেন। মারামারি সংঘাত করে আর কিছু পাব না। সংঘাত থেকে বিরত থাকুন। সবাই মিলে সুন্দর দেশ গড়ব।


আরও খবর



বিএসএমএমইউর নতুন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিটোম্যাটারনাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার।  স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

 প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও আচার্য এঁর অনুমোদনক্রমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯৮ এর ১৬ ধারা অনুযায়ী অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার, চেয়ারম্যান, ফিটোম্যাটারনাল মেডিসিন বিভাগ, বিএসএমএমইউ, ঢাকাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ এর শূন্য পদে নিয়োগ দেয়া হল। কোষাধ্যক্ষ হিসেবে তাঁর নিযুক্তির মেয়াদ হবে ৪ (চার) বছর।

অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার ১৯৮৫ সালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রী অর্জন করেন। বিএএফ শাহীন স্কুল এবং হলি ক্রস কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১৯৯৫ সালে ডিজিও ডিগ্রী এবং ১৯৯৮ সালে বিসিপিএস থেকে এফসিপিএস ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ১৯৮৭ সালে চিকিৎসক হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি ২০০৩ সালে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস এন্ড গাইনী বিভাগে তাঁর শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন। অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিটোম্যাটারনাল মেডিসিন উইং এ ২০০৬ সালে সহযোগী অধ্যাপক ও ২০১৫ সালে ফিটোম্যাটারনাল মেডিসিন বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার ২০২০ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত উক্ত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। গুণী এই শিক্ষক এর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রায় অর্ধশত প্রকাশনা রয়েছে। তিনি বিভিন্ন সময়ে গবেষণা কার্যক্রমে গাইড হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন সম্মেলনে প্রবন্ধ উপস্থান করেছেন।

অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার বিসিপিএস, অবসট্রেটিক্যাল এন্ড গাইনেকোলজিক্যাল সোসাইটি অফ বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ সোসাইটি অফ কল্পোস্কপি এন্ড সার্ভিক্যাল প্যাথলজি এর আজীবন সদস্য। এছাড়াও তিনি ফিটোম্যাটারনাল মেডিসিন সোসাইটি অফ বাংলাদেশ এর সহ সভাপতি এবং বাংলাদেশ প্যারিনেটাল সোসাইটির কার্যকরী সদস্য। 

নিউজ ট্যাগ: বিএসএমএমইউ

আরও খবর



অডিশনের নামে যৌন হেনস্তা, পরিচালকের কেলেঙ্কারি ফাঁস করলেন শিল্পা

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

সম্প্রতি হেমা কমিটির রিপোর্ট সামনে আসার পর যৌন হেনস্থা নিয়ে উত্তাল মালায়ালম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। এসব নিয়ে আলোচনা সমালোচনা যখন তুঙ্গে ঠিক তখনই বলিউড নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী শিল্পী শিন্ডে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ক্যারিয়ারের শুরুর দিনগুলো নিয়ে মুখ খুলেছেন শিল্পা।

জানিয়েছেন, সে সময় হিন্দি ছবির এক পরিচালক তাকে যৌন দৃশ্যে অডিশন দেওয়ার নামে কীভাবে যৌন হেনস্তা করেছিলেন।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শিল্পা জানান, একটি ছবির অডিশনে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে নিজের যৌন আবেদন ফুটিয়ে তুলতে বলা হয় তাকে। শিল্পা রাজিও হয়ে যান।

অভিনেত্রী জানান, সেই সময় তার বয়স অল্প। স্বাভাবিকভাবেই খুব সহজ-সরল ছিলেন। বুঝতে পারেননি, পরিচালক আসলে কী চাইছেন। অভিনেত্রীর কথায়, 'আমার ক্যারিয়ারের গোড়ার দিকের কথা। ১৯৯৮-৯৯ সাল হবে। আমি নাম বলব না। আমাকে একটা পোশাক পরতে বলা হয়েছিল। সেই পোশাক আমি পরিনি। পরিচালক বলেন- একটি দৃশ্যে অভিনয় করে দেখাতে হবে। দৃশ্যটি হল, তিনি আমার কর্মকর্তা। তার সামনে আমার নিজের যৌন আবেদন ফুটিয়ে তুলতে হবে। আমি খুবই সহজ-সরল ছিলাম। ওই দৃশ্যে আমি অভিনয় করেও দেখাই।

এখানেই শেষ নয়। ওই পরিচালক নাকি শারীরিক হেনস্তা করেন শিল্পাকে। অভিনেত্রী বলেন, সেই পরিচালক আমার শরীরের ওপরে উঠে আসতে চান। আমি ভয় পেয়ে যাই। সঙ্গে সঙ্গে আমি তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেই এবং সেখান থেকে পালিয়ে যাই। নিরাপত্তারক্ষীরাও বুঝতে পারেন, কী ঘটেছে। ওরাও আমাকে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। ওরা ভেবেছিল, আমি হয়তো বিষয়টি নিয়ে সমস্যা তৈরি করব।

এই পরিচালক নাকি হিন্দি ছবির দুনিয়ায় অভিনেতা হিসেবেও পরিচিত। শিল্পা বলেন, আমি মিথ্যে বলছি না। কিন্তু ওর নাম আমি বলতে পারব না। এই ব্যক্তির ছেলেমেয়েরা বয়সে আমার থেকে সামান্য ছোট। বেশ কয়েক বছর পরে এই ব্যক্তির সঙ্গে ফের দেখা হয় শিল্পার।

অভিনেত্রী বলেন, তিনি আমার সঙ্গে খুব ভদ্র ভাবেই কথা বলেন। তবে আমাকে চিনতে পারেননি। আমাকে ফের একটি ছবির প্রস্তাব দেন। কিন্তু সেই প্রস্তাব আমি ফিরিয়ে দেই।


আরও খবর
কমলা হ্যারিসকে সমর্থন জানালেন টেলর সুইফট

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




নিজ দেশের গণমাধ্যমের মিথ্যাচার ধরিয়ে দিলেন ইসরায়েলি নারী

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের বন্দিদশা থেকে মুক্ত হওয়া এক ইসরায়েলি নারী এবার নিজ দেশেরই গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। ইসরায়েলি গণমাধ্যম তার বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করায় এ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন আলোচিত ওই নারী নোয়া আরগামানি।

সম্প্রতি টোকিও গিয়ে জি-সেভেনের কূটনীতিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন আরগামানি। সেখানে তিনি ধনী দেশগুলোর জোটের কূটনীতিকদের কাছে নিজের বন্দিদশার বর্ণনা করেন। ওই ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ইসরায়েলি গণমাধ্যম কতটা ভুল তথ্য দিয়ে থাকে, তা ব্যাখ্যা করেন আরগামানি।

ইসরায়েলি মিডিয়া জানিয়েছিল, ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের কাছে জিম্মি থাকাকালে তাকে মারধর এবং মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছিল। তবে শুক্রবার আরগামানি বলেন, তার সঙ্গে এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এমনকি তিনি গাজায় থাকতে যে আহত হয়েছিলেন, সেটাও হয়েছেন ইসরায়েলি হামলার কারণে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ত্রিমুখী হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন। এ ঘটনায় কয়েকশ ইসরায়েলি নিহত হয়। ফিলিস্তিনিরা যোদ্ধা এ সময় প্রায় আড়াইশ ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে আসে। নোরা আরগামানিও কয়েক মাস জিম্মি থাকার পর চলতি জুনে ইসরায়েলি অভিযানে মুক্ত হন।


আরও খবর
জিতলে ওভারটাইমে কর বাদ দেবেন ট্রাম্প

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




কুমিল্লায় একই পরিবারের ৩ জনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রবিউল বাশার খান, কুমিল্লা

Image

কুমিল্লার হোমনায় মা-ছেলেসহ তিনজনকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার রাতে হত্যা করে শোবার ঘরের খাটের ওপর ফেলে যায় তারা। উপজেলার ঘাগুটিয়া ইউনিয়নের বড় ঘাগুটিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- উপজেলার বড় ঘাগুটিয়া গ্রামের শাহপরানের স্ত্রী মাহমুদা বেগম (৩৫), ছেলে সাহাব উদ্দিন (৯), এবং শাহপরানের ভাগনি তিশা আক্তার (১৪)। আজ (৫ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হোমনা থানার ওসি জয়নাল আবেদীন।

স্থানীয়রা জানান, বড় ঘাগুটিয়া গ্রামের মো. শাহপরান চাকরির সুবাদে ঢাকায় থাকেন। বুধবার রাতে তার স্ত্রী-ছেলে ও ভাগনি তিশা ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। রাতের কোনো এক সময় তাদেরকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে খাটের ওপর ফেলে রেখে যায়।

ওসি জয়নাল আবেদীন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে। মরদেহগুলোর মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে। ধারণা করা হচ্ছে তাদের হত্যা করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।


আরও খবর



বন্যায় কুমিল্লায় মৎস্যখাতে ৪০৪ কোটি টাকার ক্ষতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে কুমিল্লা। জেলার অন্যান্য খাতের মতো মৎস্য খাতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মাছ উৎপাদনে বেশ কয়েকবার প্রথম ও দ্বিতীয় হওয়া এ জেলায় ভয়াবহ বন্যায় মৎস্য খাতে মোট ক্ষতি হয়েছে ৪০৪ কোটি টাকার। যা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।

বুধবার (২৮ আগস্ট) জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানাগেছে।

কার্যালয়টি জানিয়েছে, চলমান বন্যায় জেলার মোট ২৩ হাজার ৪২টি খামার বা পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আয়তনে যা ৫ হাজার ৮৩৫ দশমিক ৬১ হেক্টর।

ক্ষতিগ্রস্ত এসব খামার থেকে ২৫ হাজার ৫৩৮ দশমিক ৫০ টন ফিন ফিশ, ১০ দশমিক ২৮ টন চিংড়ি, ১০ কোটি ১৭ লাখ সংখ্যক পোনামাছের ক্ষতি হয়েছে। বাজার মূল্যে হিসেবে, মাছে ৩৫৮ কোটি ১২ লাখ টাকা, চিংড়িতে ৫ কোটি টাকা, ১৭ কোটি ৮ লাখ ৯২ হাজার টাকার পোনা জাতীয় মাছের ক্ষতি হয়েছে।

এছাড়াও ২২ কোটি ৯৫ লাখ টাকার পুকুর, খামার বা স্লুইস গেটের অবকাঠামোর ক্ষতি এবং ৮০ লাখ টাকার মূল্যের জাল বিনষ্ট হয়েছে।

কার্যালয়টি আরও জানিয়েছে, জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বরুড়া উপজেলায়। এ উপজেলায় মোট ৩ হাজার ৭৪৯টি মাছের খামার বা পুকুর বিনষ্ট হয়েছে। আয়তনে যা ৯০৩ হেক্টর। এছাড়া ব্রাহ্মণপাড়া ১ হাজার ১০টি, বুড়িচংয়ে ১ হাজার ৮০০টি, নাঙ্গলকোটে ৩ হাজার ১৬২টি, লালমাইয়ে ২ হাজার ৭টি, মনোহরগঞ্জে ২ হাজার ৩৫০টি, আদর্শ সদরে ২ হাজার ৪৫২টি, মুরাদনগরে ৮০০টি, চান্দিনায় ২০০টি, লাকসামে ২ হাজার ৫০০টি, তিতাসে ২২ টি, দেবীদ্বারে ৪০০টি, চৌদ্দগ্রামে ১ হাজার ৮৪০টি এবং সদর দক্ষিণে ৬৬০টি মাছের খামার বা পুকুর তলিয়েছে।

এছাড়ায়ও জেলায় মৎস্যবীজ খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৫টি। আয়তনে যা ২ দশমিক ৬৯ হেক্টর। ক্ষতিগ্রস্ত এসবের মধ্যে জাঙ্গালিয়া, দেবিদ্বার, চান্দিনা, বুড়িচং, লাকসাম, হোমনা এবং চৌদ্দগ্রামের মৎস্যবীজ খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব খামারে ৬২ লাখ ৬৫ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন বলেন, বন্যায় মৎস্য খাতে ক্ষতির একটি প্রাথমিক তালিকা তৈরি করেছি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। বানের পানি নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সঠিকভাবে নিরূপণ করা যাবে।


আরও খবর