আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

প্রবাসীর স্ত্রীর পরকীয়ায় প্রতিবাদ করায় কুপিয়ে জখম

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ মার্চ ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ মার্চ ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে প্রতিবাদ করায় প্রকাশ্যে পিস্তল ঠেকিয়ে তুলে নিয়ে মজিবার রহমান নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। বেধড়ক পিটিয়ে আহত করা হয়েছে তারই চাচাতো ভাই খোকন আলীকে।

মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আননাস আলী নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

আহতরা হলেন- নতিপোতা গ্রামের দক্ষিণপাড়ার মৃত শমসের আলীর ছেলে মজিবর রহমান (৪৫) ও একই গ্রামের আনসার আলীর ছেলে খোকন আলী (৪০)। তাদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বছর খানেক ধরে নতিপোতা গ্রামের বসতিপাড়ার এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে একই গ্রামের দক্ষিণপাড়ার মজিবরের ছেলে জিনারুলের অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি গ্রামে জানাজানি হলে অলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। এই নিয়ে মঙ্গলবার রাতে এলাকার চায়ের মোড়ের একটি দোকানে জিনারুলের সাথে খোকনের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে বিষয়টি স্থানীয়রা মিটিয়ে দেন।

আহত খোকন আলী জানান, বিষয়টি স্থানীয়রা মিটিয়ে দিলেও কিছুক্ষণ পর বাড়ি ফেরার সময় দক্ষিণপাড়া মসজিদের সামনে থেকে মজিবরের ছেলে জিনারুল আমাকে ও আমার চাচাতো ভাই মজিবরকে পিস্তল দেখিয়ে জোরপূর্বক ধরে তাদের বাড়ি নিয়ে যায়। এসময় জিনারুলের বাবা মজিবর ও তার দুই ভাই জিল্লু ও মিনারুল, দুলালের ছেলে রাজা ও কালিয়াবকরী গ্রামের মৃত পাথারের ছেলে মিজারসহ বেশ কয়েকজন আমাদের দুজনকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে। এক পর্যায়ে জিনারুল ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মজিবরের মাথায় কোপ দিলে গুরুতর জখম হয় মজিবর। পুলিশ আসতে দেখে আমাকে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায় তারা। পরে মজিবর ও আমাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয় স্বজনরা। এ ঘটনায় আজ সকালে থানায় গিয়ে আমরা মামলা করবো। তারা এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী। তাদের কাছে পিস্তল ও শটগানসহ ভারী অস্ত্র আছে।

সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাকিল আর সালান জানান, মজিবরের মাথায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কোপ মেরে জখম করা হয়েছে। এখনি শঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না। তার মাথায় অসংখ্য সেলাই দেওয়া হয়েছে। সিটি স্ক্যানের পর বোঝা যাবে তিনি শঙ্কামুক্ত কিনা।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ। পরে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আননাস আলীকে আটক করে পুলিশ। তবে, এখনও পর্যন্ত কেউ থানায় এসে অভিযোগ করেনি। নতিপোতা গ্রামের জিনারুল ইসলাম ও তার ফুফাতো ভাই মিজার পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও চিহ্নিত চাঁদাবাজ। তাদের নামে দামুড়হুদা মডেল থানা, মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: চুয়াডাঙ্গা

আরও খবর



গাজায় শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ১৪

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার একটি শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। এতে চার শিশুসহ অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে বোমা হামলা চালালে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। এছাড়া হামলায় আরও অনেকে আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি বর্বর এই হামলার শিকার বাড়িটি ছিল আবু ইউসুফ পরিবারের।

এর আগে, গত মাসেও গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়ে ১৩ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। নিহতদের সবাই ছিল নারী ও শিশু।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর গাজার ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন মানুষকে হত্যা করে হামাস। পাশপাশি জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে। এরপর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।

দখলদারদের এমন হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে। এরমধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই ২৪ হাজারের বেশি। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ২০ লাখ মানুষ। ২২৯টি মসজিদ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।


আরও খবর



দক্ষিণ গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে ইসরায়েল

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুদ্ধের ছয়মাস পর খান ইউনিসসহ দক্ষিণ গাজা উপত্যকা থেকে স্থল সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। তবে উপত্যকাটির অন্য অঞ্চলগুলোতে তাদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সেনা কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে তারা।

যুদ্ধাবস্থার মধ্যে বিচ্ছিন্নতার মাত্রা, সময়কাল সম্পর্কে পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদনের মধ্যে দক্ষিণ গাজা উপত্যকা থেকে স্থল সৈন্য প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় ইসরায়েল।

রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।

রোববার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, আইডিএফ-৯৮ কমান্ডো ডিভিশন খান ইউনিসে নিজেদের মিশন শেষ করেছে। এ বাহিনীর গাজা ছেড়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য, ভবিষ্যতের অভিযানের জন্য প্রস্তুত ও পুনরুদ্ধার করা।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আইডিএফ-১৬২ কমান্ডো ডিভিশন ও নাহাল ব্রিগেডের নেতৃত্বে একটি উল্লেখযোগ্য বাহিনী গাজা উপত্যকায় কাজ করে চলেছে। আইডিএফ তাদের কাজের স্বাধীনতা ও সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা ভিত্তিক অপারেশন পরিচালনার ক্ষমতা রক্ষা করবে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি সেনা। তবে বিশদ বিবরণ না দিলেও রয়টার্সকে তারা একটি ব্রিগেড গাজায় রেখে দেওয়া কথা জানিয়েছে। একটি ইসরায়েলি ব্রিগেড সাধারণত কয়েক হাজার সৈন্য দ্বারা গঠিত।

এদিকে খান ইউনিস থেকে সেনা প্রত্যাহার হলেও দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে দীর্ঘ ও হুমকিপূর্ণ অনুপ্রবেশ বিলম্বিত হবে কিনা, সেটি স্পষ্ট হয়নি। কেননা, ইসরায়েল শুরু থেকেই হামাসকে নির্মুলের কথা বলে আসছেন।

অন্যদিকে দক্ষিণ গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের আংশিক প্রত্যাহারের বিষয়ে হোয়াইট হাউসের মন্তব্য যে, সিদ্ধান্তটি সম্ভবত সৈন্যদের "বিশ্রাম ও সংস্কার" করার একটি সুযোগ হতে পারে।


আরও খবর



দুর্নীতির দায়ে এক বছরের মাথায় ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট ভো ভ্যান থুং পদত্যাগ করেছেন। দুর্নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার দায়ে এক বছরের বেশি কিছু সময়ের মাথায় পদত্যাগ করলেন তিনি।

তার বিরুদ্ধে দলীয় নিয়ম ভঙ্গ এবং নেতিবাচকভাবে দলের সুনাম ক্ষতিগ্রস্ত করার কথা জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাত্র এক বছর দায়িত্ব পালনের পর পদত্যাগ করেছেন ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট ভো ভ্যান থুং। বুধবার দেশটির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির বৈঠকের পর সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, তিনি দলীয় নিয়ম ভঙ্গ করেছেন এবং দলের সুনামকে নেতিবাচকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন।

বিবিসি বলছে, ভো ভ্যান থুং তার নিজ প্রদেশে দুর্নীতি কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত থাকার কারণে পদত্যাগ করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। দুর্নীতির কারণে পদত্যাগে বাধ্য হওয়া অন্য একজন প্রেসিডেন্টের স্থলাভিষিক্ত হতে গত বছর তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

মূলত ভিয়েতনামের ক্ষমতাসীন দলের নেতৃত্ব দুর্নীতিকে একটি সমস্যা হিসেবে অগ্রাধিকার দিয়েছে এবং সমাধান করা প্রয়োজন বলে তারা মনে করছে। ভিয়েতনামের নেতৃত্বের পরিবর্তন সাধারণত সাবধানে পরিকল্পিত এবং নিয়ন্ত্রিতভাবে করা হয়।

সুতরাং মাত্র এক বছরের মধ্যে দুজন প্রেসিডেন্টকে হারানো এবং উভয়ই দুর্নীতি কেলেঙ্কারির কারণে পদত্যাগ করার বিষয়টি এটিই দেখায় যে, দেশের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিতে দুর্নীতি মোকাবিলা করা কমিউনিস্ট পার্টির জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

বিবিসি বলছে, ভিয়েতনামের রাজনীতির শীর্ষে থাকা চারটি স্তম্ভের একজন প্রেসিডেন্ট। কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক চারটি পদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী, যদিও ক্ষমতা কাঠামোতে প্রেসিডেন্টেরও গুরুত্বপূর্ণ কর্তৃত্ব রয়েছে। বাকি দুজন হলেন- প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় পরিষদের চেয়ারম্যান।

গত বছর যখন ভো ভ্যান থুংকে নির্বাচিত করা হয়েছিল তখন তাকে একজন দক্ষ ব্যক্তি এবং অপেক্ষাকৃত তরুণ প্রেসিডেন্ট হিসাবে দেখা হয়েছিল। মূলত দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রচারণার নেতৃত্বদানকারী শক্তিশালী পার্টি প্রধান নগুয়েন ফু ট্রংয়ের সমর্থন সেসময় পেয়েছিলেন তিনি। আর এখন পূর্বসূরি নগুয়েন জুয়ান ফুকের মতো ভো ভ্যান থুংকেও তার নিজ প্রদেশে অজ্ঞাত কেলেঙ্কারির সাথে সংশ্লিষ্টতার কারণে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। যদিও সরকার গোপনীয়ভাবে কেবলমাত্র সেই ত্রুটিগুলোর কথাই উল্লেখ করেছে যা পার্টির ভাবমূর্তিকে জনসাধারণের কাছে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

বিবিসি বলছে, থুংয়ের পদত্যাগের জন্য জাতীয় পরিষদের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন প্রয়োজন। আর এ জন্য জাতীয় পরিষদ বৃহস্পতিবারই বৈঠকে বসছে।

প্রসঙ্গত, মাত্র কয়েক দিন আগে পুলিশ মধ্য ভিয়েতনামের কোয়াং এনগাই প্রদেশের একজন সাবেক নেতাকে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তারের কথা ঘোষণা করে। ভো ভ্যান থুং সেখানে দলীয় প্রধান থাকাকালীন ওই নেতা সেখানে দায়িত্বপালন করেছিলেন।


আরও খবর



ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: নিহত ১৭

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউক্রেনের ঐতিহাসিক শহর চেরনিগিভে বুধবার কয়েক দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ওই শহরে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ১৭ জন নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা এরই মধ্যে মিত্র দেশগুলোর কাছ থেকে আরও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। খবর এএফপির।

বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, শহরের রাস্তা-ঘাট রক্তাক্ত হয়ে আছে। উদ্ধারকর্মীরা জীবিতদের উদ্ধারে কাজ করছেন। এছাড়া আহতদের উদ্ধার করে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে আরও সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। অপরদিকে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ অবশেষে একটি বিশাল আকারের নতুন সামরিক সহায়তা প্যাকেজের ওপর ভোটাভুটির ঘোষণা দিয়েছে। এতে ৬১ বিলিয়ন ডলারের দীর্ঘ সময়ের সামরিক সহযোগিতা অন্তর্ভূক্ত থাকছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন জেলেনস্কি।

চেরনিগিভের বাসিন্দা ওলগা সামোইলেঙ্কো এএফপিকে বলেন, প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি যখন বিস্ফোরিত হলো তখন তিনি তার সন্তানদের নিয়ে তাদের অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের করিডোরে অবস্থান করছিলেন।

৩৩ বছর বয়সী ওলগা বলেন, আমাদের প্রতিবেশীরাও ইতোমধ্যেই সেখানে অবস্থান করছিলেন। আমরা চিৎকার করে সবাইকে মেঝেতে শুয়ে পড়তে বলেছিলাম। সবাই তাই করেছিল এবং এর মধ্যেই আরও দুটি বিস্ফোরণ ঘটে। তারপরেই আমরা পার্কিং লটে ছুটে যাই।

এদিকে জরুরি সেবা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, তিন শিশুসহ ৬০ জন রুশ হামলায় আহত হয়েছে। শহরের মেয়র ওলেকসান্দর লোমাকো জানিয়েছেন, ডজনখানেকের বেশি ভবন আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যান্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ডজনখানেক যানবাহন এবং মেডিকেল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এই হামলার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, রুশ হামলা প্রতিহত করতে পশ্চিমা দেশগুলোর উচিত ইউক্রেনকে আরও সহায়তা দেওয়া।

তিনি বলেন, ইউক্রেন যদি পর্যাপ্ত বিমান প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পেত এবং রাশিয়ার সন্ত্রাসী হামলা প্রতিহত করার জন্য বিশ্বের দৃঢ় সংকল্প থাকত তবে তারা এভাবে হামলা চালাতে পারত না। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার (৯০ মাইল) উত্তরে অবস্থিত চেরনিগিভ শহরটি। যুদ্ধের আগে ওই শহরের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ২ লাখ ৮৫ হাজার।


আরও খবর



পাকিস্তানে ভারী বর্ষণ ও বজ্রপাতে নিহত ৩৯

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কয়েক দিন ধরে অস্বাভাবিক ভারী বর্ষণ ও বজ্রপাতে অন্তত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের অনেকেই মাঠে গম চাষের সময় বজ্রাহত হয়েছিলেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে বৃষ্টির পানিতে ডুবে থাকা ফসলের মাঠ দেখা যায়। আকস্মিক বন্যার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও পরিবহন ব্যবস্থায়ও বিঘ্ন দেখা দিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পাকিস্তানে চরম আবহাওয়া বিপর্যয় বেড়ে চলেছে।

২০২২ সালে আকস্মিক বন্যায় দেশটির বেশ কয়েকটি এলাকা সম্পূর্ণ পানিতে ডুবে যায়। এতে ১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয় এবং আহত হয় আরও কয়েক হাজার। ওই সময় বন্যার কারণে কয়েক লাখ মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে এবং কয়েক মাস ধরে সুপেয় পানির অভাবে ভুগতে থাকে।

খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তানসহ ২০২২ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কিছু এলাকা সাম্প্রতিক ঝড়ের কারণে আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আগামী কয়েক দিনে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়ার পূর্বাভাসের সঙ্গে ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যার হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।

পাকিস্তানের সবচেয়ে জনাকীর্ণ প্রদেশ পাঞ্জাবে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি নিহতের ঘটনা ঘটেছে। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন অনুসারে, গত শুক্রবার থেকে রোববারের মধ্যে প্রদেশটিতে বজ্রপাতে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির সর্ব পশ্চিমের প্রদেশ বেলুচিস্তানে অন্তত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রদেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল সোমবার ও আজ মঙ্গলবার বেলুচিস্তানের স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

বেলুচ উপকূলীয় শহর পাসনির বেশির ভাগ এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।

শহরের মিউনিসিপ্যাল কমিটির চেয়ারম্যান নূর আহমেদ কালমাতি পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডনকে বলেন, বসতি এলাকায় এবং প্রধান বাণিজ্যিক অঞ্চলে আকস্মিক বন্যা দেখা দেওয়ায় পাসনিকে এই মুহূর্তে একটি বড় হ্রদের মতো দেখাচ্ছে।

পার্শ্ববর্তী দেশ আফগানিস্তানেও ভারী বন্যার খবর পাওয়া গেছে। গত রোববার আফগান কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃষ্টির কারণে অন্তত ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শত শত বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, পাকিস্তানে ২০২২ সালের বন্যায় বৈশ্বিক উষ্ণায়নেরও ভূমিকা ছিল। জাতিসংঘের গ্লোবাল ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেক্স অনুসারে, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য পঞ্চম সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে স্থান পেয়েছে পাকিস্তান।


আরও খবর