প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ
হাসিনা দেশের অব্যাহত উন্নয়নে বিদেশে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে আগামী নির্বাচনে
তার দলের নির্বাচনী প্রতীক নৌকার পক্ষে ভোট চেয়েছেন।
কোনো লুটেরা যেন দেশকে ধ্বংস করার জন্য
আবার ক্ষমতায় আসতে না পারে, সে জন্য বাংলাদেশের জনগণকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) দক্ষিণ আফ্রিকায়
প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশকে সমৃদ্ধির
পথে এগিয়ে নিতে নৌকায় ভোট চাওয়ার পাশাপাশি আমরা আপনাদের সবার সহযোগিতা চাই।’
তিনি বলেন, ‘দেশকে লুটেরাদের
হাতে ছেড়ে দেবেন না, অন্যথায় দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে এবং নিশ্চিত করুন যে, দেশের উন্নয়নের
যাত্রা কোনো বাধা বিপত্তি ছাড়াই অব্যাহত থাকবে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘দেশবাসী নৌকায়
ভোট দিয়ে দেশের স্বাধীনতা পেয়েছে এবং অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল হয়েছে অথচ বিএনপিকে ভোট দিয়ে
লুটপাট, দুর্নীতি ও হত্যা করেছে।’
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘আমরা জনগণের কল্যাণের
জন্য রাজনীতি করছি, তাদের দুঃসময়ে পাশে থাকি এবং তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করছি।’
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘উল্টো বিএনপি-জামায়াত
জোট মানুষকে পুড়িয়ে মারার রাজনীতি করছে, টাকা কামাচ্ছে। দুর্নীতি, আগ্নেয়াস্ত্র চোরাচালান,
অর্থ পাচার, লুটপাট ও সারাদেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি জানি না কোথা
থেকে তারা অর্থ পাচ্ছেন যা ব্যবহার করে আবার পুলিশের গাড়ি ও যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়ে
তারা ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করেছে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত
চক্র ২০১৩-২০১৫ সাল পর্যন্ত অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে ৫শ’ জনকে জীবন্ত
পুড়িয়ে মেরেছিল। কিন্তু জনগণের প্রতিবাদের মুখে তারা অগ্নিসন্ত্রাস বন্ধ করতে বাধ্য
হয়েছে।’
‘এতিমের টাকা আত্মসাতের কারণে খালেদা জিয়াকে
সাজা দেওয়া হয়েছে, তার ছেলে তারেক রহমান ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা,
১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা এবং দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত এবং তারেকের স্ত্রী দুর্নীতি
মামলায় সাজাপ্রাপ্ত।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণ তাদের ভোট
দেবে না। জনগণ বিএনপিকে ক্ষমতায় আসার জন্য ভোট দেবে না। জনগণ অগ্নিসন্ত্রাসীদের আর
ক্ষমতায় আনবে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এক সময় বাংলাদেশকে
দরিদ্র ও প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হলেও এখন আওয়ামী লীগের সরকারের
অক্লান্ত পরিশ্রমে বিশ্ব বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার
বাংলাদেশকে ডিজিটাল দেশে রূপান্তরিত করেছে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ
ও স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘প্রবাসী কল্যাণ
ব্যাংক থেকে কোনো গ্যারান্টি ছাড়াই ঋণ নিয়ে দেশে ফিরে প্রবাসীরা বাংলাদেশে ব্যবসা করতে
পারবেন। এই ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে চাকরির জন্য বিদেশে ও যেতে পারেন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি
ডা. লুৎফর রহমান রূপকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল
আউয়াল তানসেন।