সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে গোয়েন্দা নজরদারিসহ
বিভিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর অংশ হিসেবে
পরীক্ষাকেন্দ্রের আশপাশে সেলফোনের নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন রাখতে জ্যামার বসানোরও সিদ্ধান্ত
হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন বলেন, সেলফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহার
করে যাতে কেউ পরীক্ষার হলে অসদুপায় অবলম্বন করতে না পারে সে জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রের
এলাকাগুলোতে জ্যামার বসানো হবে। পরীক্ষা শুরুর ১৫ মিনিট আগে থেকে পরীক্ষা শেষ না হওয়া
পর্যন্ত মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন রাখতে এসব জ্যামার বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ ছাড়া গোয়েন্দা নজরদারিও অব্যাহত থাকবে।
প্রাথমিক শিক্ষা
অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও প্রশ্নপত্র
ফাঁসের গুজব ঠেকাতে বিটিআরসি ও গোয়েন্দা সংস্থা যৌথভাবে কাজ করছে। এ ছাড়া পরীক্ষায়
অনিয়ম বন্ধে প্রতিটি কেন্দ্রের দায়িত্বে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। ম্যাজিস্ট্রেটের
তত্ত্বাবধানে প্রশ্নপত্র ও অন্যান্য কাগজপত্র ঢাকা থেকে জেলার ট্রেজারি সংরক্ষণ এবং
উত্তরপত্র পৌঁছানো হবে। যেকোনো ইলেকট্রনিক কমিউনিকেটিভ ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষার্থীরা যাতে
কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে মেটাল ডিটেক্টর বসানো
হবে। প্রার্থীদের কানে কোনো ডিভাইস আছে কি
না, তা কঠোরভাবে যাচাই করা হবে।
সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষা আগামী শুক্রবার ২২ জেলায়
অনুষ্ঠিত হবে। এই পরীক্ষার মাধ্যমে ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কথা রয়েছে। প্রাথমিকের
ইতিহাসে এখন পর্যন্ত এটিই সবচেয়ে বড় নিয়োগ হতে যাচ্ছে। ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর অনলাইনে
আবেদন শুরু হয়। এতে আবেদন করেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ প্রার্থী।
প্রথম ধাপের পরীক্ষার্থীরা রোববার (১৭ এপ্রিল) থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।