আজঃ বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

প্রার্থিতা ফিরে পেলেন না কাউন্সিলর মানিক, যাবেন উচ্চ আদালতে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে ঢাকা-৭ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হাসিবুর রহমান মানিকের (কাউন্সিলর মানিক) আপিল নামঞ্জুর করেছে নির্বাচন কমিশন।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনের অডিটোরিয়ামে শুনানি শেষে তার আপিল নামঞ্জুর করে কমিশন। ফলে তিনি তার প্রার্থিতা ফিরে পেলেন না।

আপিল শুনানি শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের স্বাক্ষর আইডিসহ আমি জমা দিয়েছিলাম নির্বাচন কমিশনে। এছাড়া ঋণখেলাপির বিষয়ে যে অভিযোগ আনা হয়েছিল, আমার দুটি ব্যাংকের, সেগুলো আমি পরিশোধ করে সেই কাগজও জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু আপিল শুনানিতে আমার প্রার্থিতা বাতিল করে দিলো। আমার কোনো কথাই তারা শুনল না। এই রায়ের বিরুদ্ধে আমি অবশ্যই উচ্চ আদালতে যাব। আশা করছি আমি সেখানে আমার প্রার্থিতা ফিরে পাব। সে সঙ্গে আমি নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করব বলে আশা করছি।

হাসিবুর রহমান মানিক বলেন, আমি ঢাকা-৭ আসনের ৩ হাজার ৪০০ ভোটারের স্বাক্ষর আইডিসহ জমা দিয়েছি। সেখানে ছোটখাটো কিছু ভুল ছিল, সেগুলোও আমি সংশোধন করে পরবর্তীতে জমা দিয়েছি। আমি একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। নির্বাচন কমিশন আমার কোন কথাই শুনল না। অথচ আমার আইনগত সবকিছুই ঠিক ছিল। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী আমার নির্বাচন করার অবশ্যই অধিকার আছে। আইন সবার জন্য সমান, তাই আমি সুষ্ঠু বিচার পেতে উচ্চ আদালতে যাব।


আরও খবর



ভোজ্যতেলের দাম বাড়বে কি না জানা যাবে আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

ভোজ্য তেলের দাম লিটার প্রতি ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। সে বিষয়ে সিন্ধান্ত নিতে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে বৈঠকে বসছে ট্যারিফ কমিশন, বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সার্বিক দিক বিবেচনা করে মিল মালিক ও ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে আজ এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। ব্যবসায়ীদের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব ট্যারিফ কমিশন নাকচ করলেও ভোজ্য তেলের মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে কমিশন তার নিজস্ব পর্যালোচনা অব্যাহত রেখেছে। ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা হায়দার চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে আরও আলোচনা হবে ট্যারিফ কমিশন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে। এখনই ভোজ্য তেলের বর্ধিত মূল্য কার্যকর হবে না এবং মিল মালিকরাও বর্ধিত মূল্যের লেবেল সংবলিত তেলের বোতল বাজারে ছাড়বেন না। অর্থাৎ, গত ১৬ এপ্রিল থেকে ভোজ্য তেলে লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, সেটি আপাতত স্থগিত থাকবে। তবে সরকার যেহেতু ৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফের মেয়াদ আর বাড়ায়নি এবং ইতোমধ্যে বিশ্ববাজারেও বাড়তে শুরু করেছে সয়াবিন-পামওয়েলের দাম, তাই ব্যবসায়ীদের দাবি বিবেচনা করে দ্রুত ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে।’

এদিকে বিশ্ববাজারে গত টানা ৫ মাস দাম কমেছে সয়াবিন তেলের। প্রতি টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম বিশ্ববাজারে গত নভেম্বরে ছিল ১ হাজার ১১৮ ডলার। সর্বশেষ গত মার্চ মাসে সে দাম কমে হয়েছে ৯১০ ডলার। অর্থাৎ গত ৫ মাসে বিশ্ববাজারে টনপ্রতি সয়াবিন তেলের দাম কমেছে ২০৮ ডলার। অথচ দেশের বাজারে ঘটছে ঠিক তার উল্টো চিত্র। ৫ শতাংশ ভ্যাট ছাড়ের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা বলে ভোজ্য তেল শোধনকারী মিল মালিকরা সয়াবিন তেলের দাম এক লাফে লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন। গত মঙ্গলবার থেকে এ দাম কার্যকর করারও ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।

গত সোমবার বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের চিঠিতে আবারও সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। লিটার প্রতি ১০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় ১৭৩ টাকা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে লেখা চিঠিতে বলা হয়, আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, ভোজ্য তেলের কাঁচামাল আমদানি, উৎপাদন পর্যায়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারিতে জারি করা এসআরওদ্বয়ের মেয়াদ ১৫ এপ্রিলে শেষ হচ্ছে। তাই আগামী ১৬ এপ্রিল থেকে বাজারে ভোজ্য তেল (পরিশোধিত পাম তেল ও পরিশোধিত সয়াবিন তেল) সরবরাহে ভ্যাট অব্যাহতি পূর্ববর্তী মূল্যে পণ্য সরবরাহ হবে।’

চিঠিতে ১৬ এপ্রিল থেকে বোতলজাত ১ লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৭৩ টাকা, ৫ লিটার ৮৪৫ টাকা এবং খোলা ১ লিটার পাম তেলের দাম ১৩২ টাকা প্রস্তাব করা হয়। ট্যারিফ কমিশন প্রস্তাব নাকচ করায় আপাতত এ দাম কার্যকর হয়নি।


আরও খবর



ঢাকার মঞ্চ মাতালেন আতিফ আসলাম

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের দর্শক মাতাতে তৃতীয়বারের মতো ঢাকায় আসলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম।

রাজধানীর বসুন্ধরা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে মঞ্চে উঠেন তিনি। ভক্তদের গেয়ে শোনান তেরা হোনে লাগা হু, দুরিআদাতের মতো তার জনপ্রিয় কিছু গান।

কনসার্টটি আয়োজন করেছে ব্লুজ কমিউনিকেশন। এর আগে ২৮ মার্চ আতিফের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে ঢাকায় আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেন এ গায়ক নিজেই।

ওই দিন বিকেলে ফেসবুকে ১২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করেন আতিফ। যেখানে তার ছবি, মিউজিকের সঙ্গে লেখা ছিল- বাংলাদেশ, চলো একসঙ্গে সংগীত উপভোগ করি।

২০১৩ সালে বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতে প্রথম ঢাকায় এসেছিলেন আতিফ আসলাম। পরে ২০১৬ সালে এটিএন এন্টারটেইনমেন্টের আমন্ত্রণে দ্বিতীয়বার ঢাকায় আসেন।

পাকিস্তানের পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদে জন্ম নেয়া উপমহাদেশের তুমুল জনপ্রিয় গায়ক আতিফ আসলাম ক্যারিয়ার শুরু করেন ২০০৩ সালে, জাল ব্যান্ডের মাধ্যমে। মূলত উর্দু ভাষায় গাইলেও তিনি হিন্দি, পাঞ্জাবি, বাংলা, পশতুসহ অনেক ভাষায় নিজের দক্ষতা প্রকাশ করেছেন। জেহের সিনেমার ওহ লামহে ওহ বাতে গান দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি।

এরপর একে একে উপহার দিয়েছেন অনেক জনপ্রিয় গান। তারমধ্যে উল্লেখ্য পেহলি নাজার ম্যায়, বাখুদা তুমহি হো, তু জানে না, দুরি, ম্যায় রং শরবতো কা, দিল দিয়া গাল্লা সহ প্রায় শতাধিক গান।


আরও খবর



পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা পাওয়ার রেকর্ড

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে এবার রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এখন চলছে গণনার কাজ। শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় ৪ মাস ১০ দিন পর এ দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, ৪ মাস ১০ দিন পর শনিবার সকালে পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়েছে। এবার দিন বেশি হওয়ায় একটি ট্রাংক দেওয়া হয়েছিল। পরে মসজিদের দোতালায় এনে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়েছে। তিন মাস পর পর দানবাক্সগুলো খোলা হলেও এবার রমজানের কারণে ৪ মাস ১০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হবে।

টাকা গণনা কাজে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মহুয়া মমতাজ, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা আনোয়ার পারভেজসহ মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাসহ মোট ২২০ জনের একটি দল অংশ নিয়েছেন।

এর আগে ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর তিন মাস ২০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ২৩টি বস্তায় ছয় কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। ঐতিহাসিক এ মসজিদের দানবাক্সে একসঙ্গে এত টাকা পাওয়াটা তখন ছিল নতুন রেকর্ড। এবার সে রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মসজিদটিতে নিয়মিত হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অসংখ্য মানুষ।


আরও খবর



দুবাইয়ে ধনকুবেরদের গোপন সম্পদ, তালিকায় ৩৯৪ বাংলাদেশি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিলাসবহুল জীবনযাপনের শহর দুবাই। সেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার মানুষের বিপুল পরিমাণ গোপন সম্পদের পাহাড় গড়ে উঠেছে। বিশেষ করে ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে পলাতক ব্যক্তি, অর্থপাচারকারী এবং অপরাধীরা সেখানে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। এসব সম্পদের তথ্য উঠে এসেছে বৈশ্বিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার প্রকল্প দুবাই আনলকড-এ। এই তালিকায় রয়েছেন ৩৯৪ বাংলাদেশি।

অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট (ওসিসিআরপি) ও নরওয়ের সংবাদমাধ্যম ই-টোয়েন্টিফোরের নেতৃত্বে এই অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। এতে ৫৮টি দেশের ৭৪টি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা দীর্ঘ ৬ মাস ধরে অনুসন্ধান চালিয়েছেন।

মঙ্গলবার দুবাই আনলকড শিরোনামে প্রতিবেদনটি নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে ওসিসিআরপি। সেখানে উঠে এসেছে, কীভাবে দুবাই সারা বিশ্বের ধনীদের জন্য শীর্ষ পছন্দের শহর হয়ে উঠেছে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, শহরটিতে ১২.৫ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের সম্পদ গড়েছেন কিছু পাকিস্তানি নাগরিক। দেশটির রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারির তিন সন্তান, প্রয়াত জেনারেল পারভেজ মোশাররফ, এমনকি পাকিস্তানের প্রাক্তন সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার ছেলের মতো লোকেরা এই তালিকায় রয়েছেন। ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। আর্থিক সাহায্যের দাবিতে দৌড়াদৌড়ি চলছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, তাদের রাজনীতিবিদ এবং সামরিক নেতাদের নগদ অর্থের সংকট নেই।

তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ফাঁস হওয়া নথিতে ১৭ হাজার পাকিস্তানি নাগরিক দুইবাইয়ে তালিকাভুক্ত সম্পদের মালিক। শহরটিতে আবাসিক সম্পত্তির পাকিস্তানি মালিকের প্রকৃত সংখ্যা ২২ হাজার। এটি পাকিস্তানের এমন পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে- যখন দরিদ্ররা আকাশচুম্বী মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, ধনীরা অভিনব অ্যাপার্টমেন্টগুলো নিয়ে উচ্চ জীবন উপভোগ করছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, দুবাই বর্তমানে ধনীদের পছন্দের শীর্ষে পরিণত হয়েছে। অপরাধী, পলাতক ব্যক্তি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং বৈধ ব্যক্তিরাও সেখানে অর্থ লুকিয়ে রাখতে চাইছে। প্রকৃতপক্ষে দুবাইয়ের এসব মালিকদের অনেকেই অস্ত্র ব্যবসায়ী এবং মাদক সম্রাট।

উদাহরণস্বরূপ, প্রাক্তন আফগান সরকারি কর্মকর্তা এবং অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী আসাদুল্লাহ খালিদ দুবাইকে বাড়ি বানিয়েছেন। তাছাড়া বাশার আল-আসাদের চাচাতো ভাই রামি মাখলুফ ও তার ভাই ইহাবও সেখানে সম্পত্তির মালিক। উরুগুয়ের গ্যাং স্টার সেবাস্তিয়ান মার্সেত, যাকে দক্ষিণ আমেরিকাজুড়ে মাদক পাচারের জন্য খোঁজা হচ্ছে- তিনিও দুবাইয়ে বাড়ির মালিক।

এছাড়া মাদক পাচারের অভিযোগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা ৩২ বছর বয়সী জোসেফ জোহানেস লিজডেকার্স, যিনি 'নিটোল জোস' নামেও পরিচিত- তারও দুবাইয়ে কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জের গ্র্যান্ডিউর রেসিডেন্সে একটি বাড়ি রয়েছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, দুবাইয়ে আবাসিক সম্পত্তির হওয়ার দিক দিয়ে ভারতীয়রা তালিকার শীর্ষে রয়েছে। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন পাকিস্তানিরা। এই তালিকায় রাজনীতিবিদ, সামরিক নেতা থেকে শুরু করে আমলারাও রয়েছেন।

দুবাইয়ে গোপন সম্পদের বিষয়ে ফাঁস হওয়া তথ্যে ৩৯৪ বাংলাদেশির তালিকা থাকলেও তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। রিপোর্ট বলছে, শহরে গোপনে সম্পদ গড়েছেন অন্তত ৩৯৪ জন বাংলাদেশি। বাংলাদেশিদের মালিকানায় রয়েছে ৬৪১টি সম্পত্তি। বাংলাদেশিদের মালিকানায় থাকা এসব সম্পত্তির মূল্য ২২ কোটি ৫৩ লাখ ডলারেরও বেশি।

দুবাইয়ে বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনকুবের ও তাদের সম্পদের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা যায়- ভারতের মুকেশ আম্বানির রয়েছে ১১ হাজার ২০ কোটি ডলারের সম্পদ, ভারতের এম এ ইউসুফ আলী ও তার পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ৭৮০ কোটি ডলার, ভারতের শামশীর ভায়ালিলের রয়েছে ৩৫০ কোটি ডলারের সম্পদ, ওমানের সুহাইল বাহওয়ানের আছে ১৯০ কোটি ডলারের সম্পদ, রাশিয়ার আন্দ্রেই মলচানভ ও তার পরিবারের ১৩০ কোটি ডলারের সম্পদ, সাইপ্রাসের বিনোদ আদানির ২ হাজার ২২০ কোটি ডলারের সম্পদ, কানাডার চ্যাংপেং ঝাওয়ের ৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের সম্পদ, যুক্তরাজ্যের সকেট বর্মনের ১৫০ কোটি ডলারের সম্পদ, সাইপ্রাসের নাগরিক ইগোর মাকারোভের ২১০ কোটি ডলারের সম্পদ এবং মিসরের নাগরিক নগিব সাবিরিস ও তার পরিবারের ৩৮০ কোটি ডলার পরিমাণ সম্পদ রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: ধনকুব দুবাই

আরও খবর



গরম কমাতে কী কী করেছেন, জানালেন চিফ হিট অফিসার

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গরমের তীব্রতা বাড়ায় শনিবার থেকে সারা দেশে চলছে তিন দিনের হিট অ্যালার্টের সতর্কতা। সোমবার সেটি আরও ৭২ ঘণ্টার জন্য বাড়ানো হয়েছে। তীব্র গরমে রাজধানী ঢাকাসহ গোটা দেশের মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্ন উঠছে, কী করছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন?

এক বছর আগে দায়িত্ব নেওয়া বুশরা দেশের একটি টিভি চ্যানেলের মুখোমুখি হয়ে নিজের কাজ ও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, সবাইকে একসাথে নিয়ে হিট মোকাবিলা করবো, এটাই আমার কাজ। তবে আমি স্বাধীনভাবে কাজ করছি না, আমাকে সিটি করপোরেশনের অধীনে কাজ করতে হচ্ছে। উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে প্রায় ৩০ মিলিয়নের বেশি মানুষের বসবাস, শহর খুব দ্রুত বড়ো হচ্ছে। পরিস্থিতিও খুব দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে, হিট নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে এখানে প্রচুর বিনিয়োগের প্রয়োজন।

অনুন্নত এলাকায় গরমের প্রকোপ বেশি জানিয়ে তিনি বলেন, গত বছর আমরা শহরের অনুন্নত অন্তত ১৫টি এলাকায় সবুজায়ন প্রোগ্রাম করেছি। যেখানে পাঁচ হাজারেরও বেশি বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদেরকে সবুজায়নের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও সচেতনতা সৃষ্টির কাজ করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের আমরা বুঝিয়েছি, নিজে ও পরিবারের সদস্যদের কীভাবে তীব্র গরম থেকে বাঁচাতে পারবো।

গত বছর হিট মওসুমে নিয়োগ হওয়ায় তখন বেশি কাজ করতে পারেননি জানিয়ে বুশরা বলেন, কাজ শুরু করলে রাতারাতি পরিবর্তন হবে না। আস্তে আস্তে এই পরিবর্তনের ফল পাওয়া যাবে। তবে পরিকল্পনা তিনি নিজে বাস্তবায়ন করতে না পারায় সময় বেশি লাগছে বলে দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের বরাদ্দ পেলেও টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ করতে বেশি সময় লেগে যায়। এছাড়া আমলাতন্ত্রও কাজের ক্ষেত্রে বড় বাধা বলে জানান বুশরা।

চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন তীব্র গরম থেকে বাঁচতে জীবনযাত্রায় পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি চাইলেও একরাতে সব পরিবর্তন করে দিতে পারবো না। গরমে বেশি বেশি পানি পান ও শরীরের প্রতি নজর রাখতে হবে। যেহেতু এমন গরম আগে বাংলাদেশে ইতিহাসে হয়নি, তাই এই পরিস্থিতি মানিয়ে নিতে আগের অভ্যাস বাদ দিতে হবে।

মানুষকে সচেতন করতে একটি সহজ ভাষায় ছবি সম্বলিত বুকলেট প্রকাশের কাজ চলছে বলে জানান এই চিফ হিট অফিসার। তিনি বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তন হবে, এমন প্রত্যাশা করা উচিত হবে না। আমি মনে করি, সব আলোচনাই ইতিবাচক। সমালোচনার দিকে নজর না দিয়ে কাজ করেই সময় পার করছেন বলেও জানান বুশরা আফরিন।

নিউজ ট্যাগ: বুশরা আফরিন

আরও খবর