আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

প্রাণঘাতী হামলার মুখে যে সমস্ত রাষ্ট্রনায়ক

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রাষ্ট্রনায়ক,মানেই বিপুল ক্ষমতার অধিকারী। একটা গোটা দেশের ক্ষমতার সূর্য তিনি। তবু সেই সূর্য কখনও-কখনও অসহায় হন। মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কিছু করার থাকে না তাঁর।

আসলে পদমর্যাদার সঙ্গে যেমন ক্ষমতা হাতে আসে, তেমনই বিপুল দায়িত্বের কাঁটার মুকুটও চেপে বসে মাথায়। সেই মুকুট সামলাতে আঁচড় তো লাগবেই। কিন্তু কোনও কোনও আঁচড় দগদগে ঘা হয়ে প্রাণঘাতীও হয়ে ওঠে। ২০২২ সালের ৮ জুলাই জাপানের প্রাক্তন এবং দীর্ঘতম সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেরও সম্ভবত তা-ই হল।

শিনজোকে হত্যা করলেন টেটসুয়া ইয়ামাগামি। যিনি নিজের বয়ানে জানিয়েছেন, শিনজোর কাজে সন্তুষ্ট ছিলেন না তিনি। তাই তাঁকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। হত্যা করেওছেন।

দেশের বর্তমান বা প্রাক্তন রাষ্ট্রপ্রধানকে ব্যক্তিগত বা সমষ্টিগত ক্ষোভ থেকে হত্যার ঘটনা হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসছে। আধুনিক কালে যখন তাঁদের রক্ষা করতে রাষ্ট্র অত্যাধুনিক নিরাপত্তার নিশ্ছিদ্র বেড়া তৈরি করে দিয়েছে, তার পরও ঠেকানো যায়নি হামলাকারীদের।

শিনজোর মতোই প্রাণঘাতী হামলার শিকার হয়েছে বহু রাষ্ট্রনায়ক। রাষ্ট্রনেতা। দেশনেতা।

আব্রাহাম লিঙ্কন:

আব্রাহাম লিঙ্কন ছিলেন আমেরিকার ষোড়শ প্রেসিডেন্ট। তাঁকে ১৮৬৫ সালের ১৪ এপ্রিল, একটি থিয়েটারে মাথার পিছন থেকে গুলি করে খুন করেন জন ওয়াইকস বুথ। সন্ধে ৬টা নাগাদ লিঙ্কনের উপর হামলা হয়। পরের দিন সকাল ৭টায় মৃত্যু হয় তাঁর।

লিঙ্কনের মৃত্যুর কারণ হিসেবে তাঁর দাসপ্রথা বন্ধের আইনকেই দায়ী করেন বিশেষজ্ঞরা। ১৮৬৫ সালে হত্যা করা হয় লিঙ্কনকে। তার তিন বছর আগে ১৮৬২ সালে দাস প্রথা বন্ধের আইন প্রণয়ন করেন লিঙ্কন। তাঁর হন্তক বুথ ছিলেন দাস প্রথার অন্যতম সমর্থক।

মারি ফ্রাসোঁয়া সাদি:

১৮৯৪ সালে ফরাসি প্রেসিডেন্ট মারি ফ্রাসোঁয়া সাদি কার্নটকে ছুরি মেরে খুন করেন তাঁর হন্তক সাঁতে জেরোনিমো সিজেরিও। রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে ফরাসি প্রেসিডেন্ট কার্নট তখনও সাত বছর পূর্ণ করেননি। অথচ এরই মধ্যে জনতার বিপদে-আপদে তাঁর যথা সময়ের উপস্থিতি তাঁকে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে দেয়। লোকের মুখে মুখে কার্নটের সততা, নীতিপরায়ণতার কথা। সেই সময়েই একটি জনসভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে খুন হন কার্নট।

হত্যাকারী কার্নটের সামনে গিয়ে তাঁর পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেয়। ১৮৯৪ সালের ২৪ জুন এই ঘটনার পরের দিনই মারা যান কার্নট। তদন্তকারীরা জানান, এক ফরাসি নৈরাজ্যবাদীর মৃত্যুদণ্ডের প্রতিশোধ নিতেই ওই হামলা করা হয় কার্নটের উপর। খুনি সিজেরিও নিজেও ছিলেন সেই নৈরাজ্যবাদীদেরই একজন।

লিওন ট্রটস্কি:

লেনিনের ভাবশিষ্য ছিলেন মার্কসবাদী বিপ্লবী লিওন ট্রটস্কি। তিনি ছিলেন রুশ বিপ্লবের প্রথম সারির নেতা। ১৯৪০ সালের ২১ অগস্ট তাঁকে হত্যা করা হয়। জাইমে রেমন মার্সেডার ডেল রিয়ো নামে এক স্প্যানিশন কমিউনিস্ট কর্মী তাঁকে হত্যা করেন বরফ কাটার কুড়ুল দিয়ে।

ট্রটস্কিকে অবশ্য তার আগেও বহু বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। সোভিয়েতের এক নায়ক জোসেফ স্টালিন নিজে তাঁকে হত্যার চেষ্টায় বিভিন্ন সংগঠনকে কাজেও লাগিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। কিন্তু বার বারই বেঁচে যাচ্ছিলেন ট্রটস্কি। ১৯৪০ সালের ২১ অগস্ট যখন তাঁকে হত্যা করা হয় তখন ট্রটস্কি মেক্সিকোতে। তাঁকে তাঁর পড়ার ঘরে ঢুকে মাথায় কুড়ুল দিয়ে আঘাত করে খুন করেন রেমন। তবে তার পরও এক দিন বেঁচে ছিলেন ট্রটস্কি।

লুথার কিং:

মার্টিন লুথার কিং ছিলেন আমেরিকান ব্যাপ্টিস্ট মন্ত্রী এবং আফ্রিকান-আমেরিকান মানবাধিকার কর্মী। আমেরিকায় কৃষ্ণাঙ্গদের সামাজিক অধিকার প্রতিষ্ঠার গণআন্দোলনের নেতা ছিলেন মার্টিন। ভারতের মহাত্মা গান্ধীর অহিংসা আন্দোলন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি আমেরিকায় কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি শ্বেতাঙ্গদের বৈষম্যমূলক আচরণের বিরোধিতা করে আন্দোলন শুরু করেন। ১৯৬৮ সালে মার্টিনকে সামনে থেকে গুলি করে খুন করে জেমস আর্ল রে নামে এক শ্বেতাঙ্গ যুবক।

জেমস ছিল দাগী আসামি। বহু বার জেল খেটেছে, জেল থেকে পালিয়েওছে। ১৯৬৮ সালের ৪ এপ্রিল মার্টিনকে খুন করে জেমস। মার্টিন একটি মোটেলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলেন তখন। জেমস ছিলেন হোটেলের গা ঘেঁষা অন্য একটি বাড়ির লাগোয়া ঘরে।

মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী:

নাথুরাম গডসের হাতে খুন হন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। রাষ্ট্রনেতা না হলেও গান্ধী দেশনেতা। জাতির জনক। তাঁকে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের পুরোধা মনে করেন দেশের একটি বড় অংশ। গান্ধী দিল্লিতে তাঁর সান্ধ্যকালীন প্রার্থনাসভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি। তাঁকে সামনে থেকে বুকে পর পর তিনটি গুলি করেন হিন্দুত্ববাদী নাথুরাম।

গান্ধীর বেশ কিছু নীতির বিরোধী ছিলেন নাথুরাম। তাঁর বক্তব্য ছিল গান্ধী হিন্দুদের থেকে মুসলিমদের বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি মন্দিরে কোরান পড়ার কথা বলেছেন অথচ মসজিদে ভগবৎ গীতা পড়তে বলেননি। বহু বছর পর নাথুরাম বলেছিলেন তিনি গান্ধীকে সামনে থেকে গুলি করার আগে তাঁর সামনে মাথা ঝুঁকিয়ে প্রণাম জানিয়েছিলেন। নাথুরামের গুলিতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় গান্ধীর।

জন এফ কেনেডি:

আমেরিকার ৩৫ তম প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডিকে হত্যা করা হয় ১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বর ডালাসে। হুড খোলা গাড়িতে সওয়ারি ছিলেন সস্ত্রীক প্রেসিডেন্ট। তাঁর হন্তক লি হার্ভে ওসওয়াল্ড রাস্তার ধারের একটি বাড়ির ছতলা থেকে প্রেসিডেন্টের মাথা লক্ষ্য করে তিনটি গুলি চালান।

প্রমাণ না হলেও কেনেডির হত্যাকাণ্ডে তাঁর দলেরই অন্তর্ঘাতের অভিযোগ উঠেছিল। ওসওয়াল্ডকে অবশ্য এই ঘটনার দুদিনের মধ্যেই গুলি করে হত্যা করেন টেক্সাসের এক নাইট ক্লাবের মালিক।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান:

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। ওই দিন ভোরে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সদস্যরা মুজিবকে তাঁর ধানমণ্ডি ৩২ এর বাসভবনে আক্রমণ করেন। মুজিবকে মোট ১৮টি গুলি করা হয়েছিল। হত্যা করা হয়েছিল তাঁর স্ত্রী, ভাই এবং দুই পুত্রবধূকেও।

বেনজির ভুট্টো:

পাকিস্তানের প্রথম এবং একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো। ১৯৮৮ এবং ১৯৯৩ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। মাঝে প্রায় নবছর আড়ালে থেকে আবার ২০০৭ সালে দেশে ফেরেন ভুট্টো। ঠিক করেন নির্বাচনে লড়বেন। প্রচারও শুরু করে দেন। কিন্তু ভোটের ঠিক দুসপ্তাহ আগে একটি জনসভায় হত্যা করা হয় ভুট্টোকে।

২০০৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর রাওয়ালপিন্ডিতে একটি জনসভায় বক্তৃতা দিয়ে তার বুলেটপ্রুফ গাড়ির কাচ সরিয়ে হাত নাড়ছিলেন ভুট্টো। এক যুবক তাঁকে লক্ষ্য করে প্রথমে তিনটি গুলি করে। তারপর আত্মঘাতী বিস্ফোরণও ঘটায়। তদন্তে জানা যায়, ওই হামলার নেপথ্যে আদতে পাক তালিবান বাইতুল্লা মেহসুদের ষড়যন্ত্র ছিল।

২০০৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর রাওয়ালপিন্ডিতে একটি জনসভায় বক্তৃতা দিয়ে তার বুলেটপ্রুফ গাড়ির কাচ সরিয়ে হাত নাড়ছিলেন ভুট্টো। এক যুবক তাঁকে লক্ষ্য করে প্রথমে তিনটি গুলি করে। তারপর আত্মঘাতী বিস্ফোরণও ঘটায়। তদন্তে জানা যায়, ওই হামলার নেপথ্যে আদতে পাক তালিবান বাইতুল্লা মেহসুদের ষড়যন্ত্র ছিল।

ইন্দিরা গান্ধী:

ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে হত্যা করেন তাঁরই দুই দেহরক্ষী সতবন্ত সিংহ এবং বিয়ন্ত সিংহ। ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর সকাল ৯টা ২০ মিনিটে তাঁর সফদরজং রোডের বাসভবনের বাগানে হাঁটছিলেন ইন্দিরা। বাড়ি থেকে এক ব্রিটিশ সাংবাদিককে সাক্ষাৎকার দিতে তাঁর আকবর রোডের অফিসে যাওয়ার জন্য রওনা হয়েছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী। ঠিক সেই সময়েই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালান তাঁর রক্ষীরা।

ইন্দিরার হত্যার মাস খানেক আগেই পঞ্জাবের স্বর্ণমন্দিরে অপারেশন ব্লু-স্টার চালিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। শিখদের ধর্মীয় নেতা জার্নেল সিংহ ভিন্দ্রনওয়ালে এবং তাঁর অনুগামীদের মন্দির থেকে বিতাড়িত করতে চালানো হয়েছিল ওই অভিযান, যা শিখদের মধ্যে ইন্দিরাকে নিয়ে অসন্তোষ তৈরি করে বলে অভিযোগ। যার জেরেই তাঁকে হত্যা করা হয় বলেও অনুমান।

রাজীব গান্ধী:

রাজীব গান্ধী ভারতের প্রধানমন্ত্রী ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত। তাঁকে হত্যা করা হয় ১৯৯১ সালের ২১ মে। রাজীব তখন ভোটের প্রচারে দক্ষিণ ভারতে। তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুমবুদুরে একটি জনসভা ছিল। সভাস্থলে পৌঁছে বুলেটপ্রুফ গাড়ি থেকে নেমে ডায়াসের দিকে এগোচ্ছিলেন রাজীব। একের পর এক শুভার্থীরা মালা পরিয়ে দিচ্ছিলেন তাঁকে। তাঁর হত্যাকারী তেনমোজি রাজারত্নমও এগিয়ে আসেন তাঁর দিকে। শুভেচ্ছা জানিয়ে পা ছোঁওয়ার পরই কোমরে বাঁধা আরডিএক্স বেল্টে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটান। ঠিক ১০টা বেজে ১০ মিনিটে।

রাজীবের হত্যায় ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব দেয় তদন্তকারী দল। রাজীবকে হত্যার ঘটনার নেপথ্যে তামিল উগ্রপন্থী সংস্থা এলটিটিই-র ভূমিকা রয়েছে বলেও জানান গোয়েন্দারা। তাঁরা এ-ও বলেছিলেন যে, ওই এলটিটিই গোষ্ঠীর সদস্যদের সে সময় তামিলনাড়ুর ডিএমকে সরকার আশ্রয় দিয়েছিল।


আরও খবর



২২ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪১ কোটি ডলার

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

চলতি মাসের প্রথম ২২ দিনে দেশে ১৪১ কোটি ৪৪ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এ হিসাবে প্রতিদিন গড়ে ৬ কোটি ৪৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে।

রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, মার্চের ২২ দিনে ১৪১ কোটি ৪৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৮ কোটি ২৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার।

বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ১৫ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১২০ কোটি ৪৭ লাখ ৮০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৭ লাখ ১০ হাজার ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, মার্চের ১৬ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছে ৩৯ কোটি ৫৪ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। ৯ থেকে ১৫ মার্চ দেশে এসেছে ৫০ কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া ১ থেকে ৮ মার্চ এসেছে ৫১ কোটি ২৯ লাখ ১০ হাজার ডলার।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে এসেছে ২১৬ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স, যা চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ।


আরও খবর



শাহজালালে ৪০ স্বর্ণবারসহ নভোএয়ারের গাড়িচালক আটক

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৪০টি স্বর্ণবারসহ বেসরকারি এয়ারলাইন্স কোম্পানি নভোএয়ারের গাড়িচালকসহ দুজনকে আটক করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)। আজ শনিবার তাদের আটক করা হয়।

আটক দুজন হলেন নভোএয়ারের গাড়িচালক মো. হেলাল (৫১) ও রিসিভার কামাল হোসেন (২৯)। হেলালের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার বসুরহাট থানার চরকাগা গ্রামে। কামাল হোসেনের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের হাইমচর থানার দক্ষিণ বগুলা গ্রামে।

আজ বিকেলে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বর্ণ চোরাচালান প্রতিরোধে বিমানবন্দর এপিবিএনের গোয়েন্দা সদস্যরা কাজ করছেন। সেই ধারাবাহিকতায় নভোএয়ারের গাড়িচালক মো.হেলালকে নজরদারিতে রেখেছিল বিমানবন্দর এপিবিএন ও এনএসআই। নভোএয়ারের গাড়িচালক মো. হেলাল অন্যান্য দিনের মতো আজকেও ডিউটিতে আসেন। এরপর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের আগমনী গেইট দিয়ে বের হন।

জিয়াউল হক বলেন, এরপর এপিবিএন ও এনএসআই সদস্যরা নভোএয়ারের গাড়িচালককে নজরদারিতে রাখেন। এ সময় নভোএয়ারের গাড়িচালক হেলালকে ডমেস্টিক টার্মিনালের ড্রাইভওয়ে থেকে একজন সহযোগীসহ সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠতে দেখা যায়। পরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের সামনে এপিবিএনের গোয়েন্দা সদস্যরা অটোরিকশার গতিরোধ করেন এবং তাদেরকে এপিবিএন অফিসে নিয়ে আসেন।

তিনি বলেন, এরপর জিজ্ঞাসাবাদের পর রিসিভার কামাল হোসেনের সঙ্গে থাকা ব্যাগের ভেতর থেকে কালো স্কচটেপে মোড়ানো ৪০টি স্বর্ণবার পাওয়া যায়। যার ওজন প্রায় ৪ কেজি ৬৪০ গ্রাম। এ স্বর্ণের বাজার মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা।

বিমানবন্দর এপিবিএনের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে কামাল হোসেন জানিয়েছেন নভোএয়ারের গাড়িচালক হেলাল তাকে এই স্বর্ণ দেন। এই স্বর্ণ নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারলে তার ১০ হাজার টাকা পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই তিনি আটক হন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।


আরও খবর



কুমিল্লায় বিজয় এক্সপ্রেসের ৯ বগি লাইনচ্যুত

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে চট্টগ্রাম থেকে জামালপুর যাওয়ার পথে বিজয় এক্সপ্রেসের ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। রবিবার (১৭ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে নাঙ্গলকোট উপজেলার ঢালুয়া ইউনিয়নের তেজের বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি এটা বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন। হাসানপুর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে নাঙ্গলকোটের আগে ঘটনাটি ঘটেছে। ইঞ্জিন লাইনে আছে। তবে ৬ থেকে ৭টি কোচ লাইনচ্যুত হয়েছে। আমরা প্রাথমিকভাবে এ বিষয়টুকু জেনেছি। রিলিফ ট্রেন পাঠানোসহ আরো কিছু প্রাথমিক কাজ আছে, সেগুলো আমরা এই মুহূর্তে করছি। প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর জানা যায়নি।

লাকসাম রেলওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুরাদ উল্ল্যাহ বাহার বলেন, ঘটনার পর থেকে আপলাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল করবে। ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। বিস্তারিত পরে জানাতে পারব।

তবে দুর্ঘটনার বেশ কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে ট্রেনটির কয়েকটি বগি ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।


আরও খবর



খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ল

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়িয়েছে সরকার। বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

গত ২৫ মার্চ থেকে তার সাজা স্থগিত কার্যকর হয়। এ সময় তিনি নিজ বাসায় থেকেই চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করবেন। চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে পারবেন না।

এর আগে, গত ২০ মার্চ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে আগের দুটি শর্তেই মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানো হচ্ছে। সে সময় আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে মত দেওয়া হয়। এরপর খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে করা আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হয়।

হার্টের সমস্যা, লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন খালেদা জিয়া। এরইমধ্যে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।

প্রসঙ্গত, দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দী হন। এরপর দেশে করোনা শুরু হলে ২০২০ সালের মার্চে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। তখন থেকে তিনি গুলশানের বাড়িতে রয়েছেন এবং প্রতি ছয় মাস পরপর সরকার থেকে তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।


আরও খবর



শাকিবের জন্মদিনের বিশেষ চমক থাকছে না বুর্জ খলিফায়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

সংবাদ সম্মেলন করে বেশ জাঁকালো ঘোষণা দেওয়া হয়- শাকিব খানের জন্মদিনে বুর্জ খলিফায় রাজকুমার সিনেমার ট্রেলার প্রকাশিত হবে। আর এটি হবে সুপারস্টারের জন্মদিনের বিশেষ চমক!

তখন শাকিব খানও বলেছিলেন, এমন আয়োজন দেখলে যে কোনো বাংলাদেশিরই বুক গর্বে ভরে উঠবে!

গেল ২০ মার্চ গুলশান ক্লাবে এমন ঘোষণা দেন রাজকুমারর প্রযোজক আরশাদ আদনান। তার কথায়, বুর্জ আল খলিফায় ট্রেলার প্রচারের চেষ্টা করা হয়েছে। ৯৯.৯৯ শতাংশ নিশ্চিত সেখানে আমরা ঢালিউড কিং শাকিব খানের জন্মদিন উদযাপন করব। প্রচার হবে রাজকুমারের ট্রেলার।

আজ বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ঢালিউডের শীর্ষ নায়কের জন্মদিন। কিন্তু জানা গেল, বুর্জ খলিফাতে হবে না আয়োজন। কারণটা নিয়ে মুখ খুলছে না সিনেমা সংশ্লিষ্টরা।

প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ভার্সেটাইল মিডিয়া চেষ্টা করছে, ১ এপ্রিলের ট্রেলারটি দেখানোর। থাকবে না শাকিবের জন্মদিন নিয়ে বিশেষ কিছু। তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই রমজানে সিনেমার ট্রেলার দেখাতে পারবে না। সিডিউল মিলবে ঈদের পর।

বিষয়টি নিয়ে সিনেমার পরিচালক হিমেল আশরাফ ও প্রযোজক আদনানকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও, তারা ফোন রিসিভ করেননি।

উল্লেখ্য, নব্বই দশক থেকে বেশ জোরেসরে সুউচ্চভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে দুবাই। ভারতীয় উপহমহাদেশ থেকে বহু কর্মী তারা টেনে নেয়। টাকার টানে গিয়েছেন বাংলাদেশি ও পাকিস্তানিরাও।

ভারতীয় প্রবাসীদের কাছে কিং খান শাহরুখ যেন এক ঈশ্বর। দুবাই আমিরাত বিষয়টি টের পায়, শাহরুখকে তারা বানিয়ে নেন তাদের শুভেচ্ছাদূত। কিং খানের সিনেমার ট্রেলার সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা গেছে বুর্জের গায়ে। এসেছে রণবীরসহ অনেকেরই ট্রেলারও।

গত কয়েক বছরে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু এ টাওয়ারে পালিত হয়ে আসছে জন্মদিনও। আর একই পথে হাঁটতে চেয়েছেন শাকিব খান। আজ তার জন্মদিনে সেই আয়োজনটি করার পরিকল্পনাও ছিল। তবে সেটা আর হলো না।


আরও খবর