আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

‘প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ঝুঁকির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ব-দ্বীপ পরিকল্পনা’

প্রকাশিত:বুধবার ২০ ডিসেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ ডিসেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ঝুঁকির কারণে কাক্সিক্ষত উন্নয়নের দীর্ঘমেয়াদি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ নামে একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। দেশের কাক্সিক্ষত আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি অর্জনের লক্ষ্যে কৃষি, মৎস্য, বনায়ন, পানি ব্যবস্থাপনা, জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিবেচনায় নিয়ে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ এ মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে।

রাজধানীর গ্রীন রোডস্থ পানি ভবনের মাল্টিপারপাস হলরুমে গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০: সম্ভাবনা, বাস্তবায়ন ও অংশীজন সমন্বয় শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান।

মুখ্য সচিব বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে অভিঘাতসহিষ্ণু সমৃদ্ধশালী ব-দ্বীপ গড়ে তোলার রূপকল্প বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদূরপ্রসারী কল্যাণ চিন্তার একটি প্রতিফলন। পানি, পরিবেশ, জলবায়ু, ভূমির টেকসই ব্যবস্থাপনার স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘ মেয়াদি অংশীজন সমন্বয়সমুহকে বিবেচনা করে বিনিয়োগ এই পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। শতবর্ষী এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল-বিনিয়োগ পরিকল্পনার প্রণয়ন ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন। বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার পরিকল্পনা প্রেক্ষাপটে বিদ্যমান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দালিলিক ভিত্তিসমূহ যেমন- SDG, Perspective plan 2021-2041, National Adaptation Plan 2023-2050, 8g cÂevwl©Kx cwiKíbv 2021-2025,  climate change & other cross cutting issues.

পর্যালোচনায় দেখা যায়, ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নকল্পে বহুমুখী বিনিয়োগ কার্যক্রম (স্থানীয়/বৈদেশিক/উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা হতে প্রাপ্ত) গ্রহণ প্রয়োজন বলেন  তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।

তিনি আরো বলেন, যেহেতু ব-দ্বীপ পরিকল্পনা একটি শতবর্ষব্যাপী চলমান মহাকর্মপরিকল্পনা, সেহেতু এটি বাস্তবায়নে ১৪টি ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী মন্ত্রণালয় এবং আওতাধীন সংস্থা পর্যায়ে আন্তঃসমন্বয়সাধন একান্ত প্রয়োজন। অধিকন্তু, জলকেন্দ্রিক, টেকনো-ইকোনমিক এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের ধারা অব্যহত রাখা ও সামগ্রিক কার্যক্রম সুসংহত করার লক্ষ্যে প্রকল্প প্রণয়ন, বাস্তবায়ন এবং পরিবীক্ষণখাতে যথাযথ সমন্বয়, সংযোগ স্থাপন ও কর্মবন্টন করা আবশ্যক।

বিশ্বের সর্ববৃহৎ ব-দ্বীপ বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব হতে সুরক্ষা প্রদান, প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সম্পদের উন্নয়ন করাসহ অমিত সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী ব-দ্বীপ উন্নয়নে বিদ্যমান সময়োপযোগী প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশগত ভারসাম্য অটুট রেখে ব-দ্বীপ উন্নয়নে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ এবং ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী মন্ত্রণালয়সমূহের মধ্যে সুষমভাবে বন্টন করা প্রয়োজন।

মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া আরো বলেন, ভূ-প্রাকৃতিক অবস্থানগত কারণে দুর্যোগ প্রবণ বাংলাদেশের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা করার পাশাপাশি ব-দ্বীপ উন্নয়ন খাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা এবং অংশীজনের সমন্বয় একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে, সুনির্ধারিত কর্মপরিকল্পনা, আন্তঃসমন্বয়, দাতা সংস্থার সহযোগিতা এবং বিভিন্ন চুক্তির আওতায় প্রাপ্ত ঋণ/অনুদানের সময়াবদ্ধ যথাযথ বণ্টন করা হলে প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের জন্য ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সহজতর হবে।

এ কর্মশালার অন্যতম উদ্দেশ্য হল ব-দ্বীপ ২১০০ বাস্তবায়নকারী মন্ত্রণালয়সমূহের কর্মপরিধির সাথে সম্পর্কিত কর্মসূচি/প্রকল্প বাস্তবায়নকালে অর্জিত অভিজ্ঞতা বিনিময়, আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় ও পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সকলের অভিমত গ্রহণ। বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা: সম্ভাবনা, বাস্তবায়ন ও অংশীজন সমন্বয়' শীর্ষক উপস্থাপনা করেন মালিক ফিদা এ খান, নির্বাহী পরিচালক, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল এন্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সি ই জি আই এস); মুক্ত আলোচনা সঞ্চালনা করেন মল্লিক সাঈদ মাহবুব, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন), পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য করেন মোঃ শাহ্য়িার কাদের ছিদ্দিকী সচিব, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ; ড. মোঃ খায়েরুজ্জামান মজুমদার সচিব, অর্থ বিভাগ; ড. ফারহিনা আহমেদ সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়; মুহম্মদ ইব্রাহিম সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ; মোঃ কামরুল হাসান এনডিসি সচিব, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়; ড. মোঃ কাওসার আহমেদ সদস্য (সচিব), সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ, পরিকল্পনা কমিশন; সত্যজিত কর্মকার সচিব, পরিকল্পনা বিভাগ, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় অনুষ্ঠানের শেষভাগে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এস, এম, শহিদুল ইসলাম মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড।


আরও খবর
রমজানে যেসব কাজ বেশি বেশি করবেন

বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩




সুন্দরবনে হরিণ ও শূকরের ৪০ কেজি মাংসসহ শিকারী আটক

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

পূর্ব সুন্দরবন থেকে ইয়াসিন হাওলাদার নামে এক হরিণ শিকারীকে আটক করেছে বনরক্ষীরা। তাঁর কাছ থেকে ২০ কেজি হরিণ ও ২০ কেজি শূকরের মাংস উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া বিপুল পরিমাণ নাইলনের দড়ির ফাঁদ ও হরিণ শিকারের অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আটক এই চোরা শিকারীরর বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটার চরদোয়ানি এলাকার আলম হাওলাদারের ছেলে। আটক শিকারীদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়েরর পর বুধবার সকালে বাগেরহাট আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাকে করাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান জানান, পাথরঘাটার চরদুয়ানি এলাকার একটি চোরা শিকারী দল চরখালীর গহীন বনে হরিণ শিকারে লিপ্ত হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চরখালী টহল ফাঁড়ির বনরক্ষীরা জানতে পেরে অভিযান চালিয়ে চরদুয়ানি এলাকার আলম হাওলাদারের ছেলে ইয়াসিনকে আটক করেন।

এসিএফ আরও জানান, বনরক্ষীদের টের পেয়ে শিকারী দলের আরো চার সদস্য পালিয়ে যায়। তাদের নাম ঠিকানা পাওয়া গেছে। আটক শিকারীর নৌকা তল্লাশি করে ২০ কেজি হরিণ ও ২০ কেজি শূকরের মাংস এবং এক বস্তা ফাঁদ পাওয়া। শিকারীদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পলাতক শিকারীদের আটকের চেষ্টা চলছে। চোরা শিকারীরা শূকরের মাংস হরিণের মাংসের সাথে মিশিয়ে বিক্রি করে বলে জানা গেছে।


আরও খবর



ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১৩ কিলোমিটার যানজট

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

ঈদে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষের যানবাহনের চাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশে ১৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এবং কুমিল্লার দাউদকান্দি অংশেও যানজট রয়েছে বলে জানা গেছে।

সরেজমিন শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকাল ১০টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের বাউশিয়া পাখির মোড় এবং তেতৈতলা হাস পয়েন্ট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ঢাকামুখী লেনে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও কুমিল্লামুখী লেনে যান চলাচল প্রায় বন্ধ। গজারিয়া অংশের ১৩ কিলোমিটার এলাকায় যানজট রয়েছে। এ ছাড়া কুমিল্লার দাউদকান্দি এবং নারায়ণগঞ্জের অংশেও যানজট রয়েছে।

ফেনীগামী প্রাইভেটকারচালক বলেন, কাঁচপুর থেকেই জ্যামে পড়ি আমরা। কাঁচপুর থেকে গজারিয়ার ভবেরচরে আসতে ২ ঘণ্টার বেশি সময় লেগে গেল। রাস্তায় কোথাও এক্সিডেন্ট হয়েছে বা গাড়ি নষ্ট হয়েছে এ রকম কিছু দেখলাম না, কিন্তু রাস্তায় প্রচুর যানবাহন।

গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবির বলেন, যানজট নয়; তবে যানবাহনের ধীরগতি রয়েছে। মহাসড়কে একটি গাড়ি বিকল হয়েছিল তা আমরা সরিয়ে দিয়েছি। মূলত ঈদযাত্রা শুরু হওয়ায় যানবাহনের অত্যাধিক চাপই ধীরগতির কারণ। পাশাপাশি কুমিল্লার দাউদকান্দির বলদাখাল এলাকায় মহাসড়কের এক পাশ দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে, সে জন্যও গাড়ি চলাচলের সময় লাগছে। হাইওয়ে পুলিশ যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।


আরও খবর



পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল রেকর্ড পৌনে ৮ কোটি টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে এবার রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া গেছে। যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।

২২০ জনের একটি দল দীর্ঘ সাড়ে ১৮ ঘণ্টায় এ টাকা গণনা কাজে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও দানবাক্সে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে।

গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় মসজিদের ৯টি লোহার দানবাক্স খুলে পাওয়া রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা মসজিদের দোতলায় এনে গণনার কাজ চলে।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। টাকাগুলো পুলিশি নিরাপত্তায় রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখায় পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

মসজিদ পরিচালনা কমিটির সূত্রে জানা গেছে, ৪ মাস ১০ দিন পর শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়। এবার দিন বেশি হওয়ায় একটি ট্রাঙ্ক দেওয়া হয়েছিল। পরে মসজিদের দোতালায় এনে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়ে। তিন মাস পরপর দানবাক্সগুলো খোলা হলেও এবার রমজানের কারণে ৪ মাস ১০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।


আরও খবর



উত্তেজনার মধ্যেই ইরান সফরে উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধি দল

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের গাজাযুদ্ধ এবং ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মধ্যেই ইরান সফর করছে উত্তর কোরিয়ার একটি প্রতিনিধি দল।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশটির একটি প্রতিনিধি দল ইরান সফর করছে।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, দেশটির বৈদেশিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রী ইউন জং হোর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ইরান সফরের উদ্দেশ্যে বিমানে করে মঙ্গলবার পিয়ংইয়ং ত্যাগ করে। তবে ওই প্রতিবেদনে এর বেশি কিছু জানানো হয়নি।

পশ্চিমাদের সন্দেহ, উত্তর কোরিয়া এবং ইরান দীর্ঘদিন ধরে পরস্পরকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে সহযোগিতা করছে। তাদের ধারণা, এই ধরনের বিধ্বংসী অস্ত্র তৈরিতে প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং তৈরির বিভিন্ন উপাদান পরস্পরের মধ্যে বিনিময় করছে এই দুই দেশ।

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ইরান রাশিয়াকে বিপুল সংখ্যক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে বলে গত ফেব্রুয়ারিতে প্রতিবেদনে দাবি করে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।

উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র ও কামান সরবরাহ করেছে বলেও সন্দেহ করা হয়, যদিও উভয় দেশই এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি তথ্যানুযায়ী, উত্তর কোরীয় মন্ত্রী ইউন জং হো এর আগে সিরিয়ার সাথে তার দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি রাশিয়ার সাথে উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান আদান-প্রদানে সক্রিয় ছিলেন। কেসিএনএ’র তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসের শুরুতেও মস্কো সফরে একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন তিনি।


আরও খবর



বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমলো

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের সুদহার দ্রুত কমছে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান জেরোমি পাওয়েল। ফলে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমতে শুরু করেছে। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত স্পট মার্কেটে স্বর্ণের আউন্স ২ হাজার ৩৭৭ দশমিক ৪০ ডলারে কেনাবেচা হচ্ছে স্বর্ণ। এর আগে প্রতি আউন্স স্বর্ণ ২ হাজার ৪০০ ডলারের মাইলফলক ছাড়িয়েছিল।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) মার্কিন ও কানাডিয়ান অর্থনীতি বিষয়ক এক প্যানেল আলোচনা হয়। এতে মূল্যস্ফীতির বর্তমান চিত্রে নিয়ে আস্থাহীনতায় ভোগার কথা জানান পাওয়েল।

জেরোমি পাওয়েল জানান, যতদিন মূল্যস্ফীতি চড়া থাকবে, প্রয়োজনে ততদিন বর্তমান সুদের হার ধরে রাখা হবে। বর্তমানে ৫ দশমিক ২৫ থেকে ৫ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে যে সুদহার স্থির আছে আছে যা বিগত ২৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

তিনি জানান, এই সুদহার সহসা কমানো হবে না, যার প্রধান কারণ চড়া মূল্যস্ফীতি। অর্থাৎ ঋণ নিতে আরও কয়েক সপ্তাহ চড়া সুদহার দিতে হবে।

জানা গেছে, সুদহারে কাটছাঁটের ধারণার ওপর এতদিন বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ঊর্ধ্বমুখী ছিল। তবে ফেড চেয়ার জেরোমি পাওয়েল সুদহার কমানো নিয়ে কোনো তাড়াহুড়ো করতে চান না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। এ সংবাদে কমছে স্বর্ণের দাম।


আরও খবর