প্রত্যেক ঈদ উৎসবেই দেখা যায় বেতন-বোনাস নিয়ে মালিকরা সমস্যা সৃষ্টি করেন। ঈদের দিনেও শ্রমিকদের বেতন-বোনাসের জন্য কারখানায় অবস্থান করতে হয়
দেশব্যাপী আগামী ২১ জুলাই পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হবে। এ উপলক্ষে ২০ থেকে ২২ জুলাই এই তিনদিন সরকারি ছুটি থাকবে। তবে পোশাক খাতের শ্রমিকরা ছুটি পাচ্ছেন ১৮ জুলাই থেকেই।
ঈদে শ্রমিকরা যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজ বাড়িতে ফিরতে পারেন মূলত এজন্য তাদের ১৮ জুলাই থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত ধারাবাহিক ছুটির ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র একাধিক সদস্যভুক্ত কারখানা মালিকরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিকেএমইএ’র সহ-সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, আমরা চাই আমাদের শ্রমিকরা নিরাপদে থাকুক। তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিবারের সাথে ঈদ করবে, এটাই আমাদের চাওয়া। শ্রমিকরা যাতে দল বেধে নিজ নিজ বাড়িতে না যান এ জন্য পর্যায়ক্রমে ১৮ জুলাই থেকে কারখানায় ছুটি দেবো।
এদিকে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন বোনাস পরিশোধ করার আহ্বান জানিয়েছে শ্রমিক সংগঠনগুলো। আর মালিকপক্ষ বলছে, তৈরি পোশাক কারখানায় ইতোমধ্যে বেতন দেয়া শুরু হয়েছে। আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে বেতন ও ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে বোনাস পরিশোধ করবেন মালিকরা। সরকারি সিদ্ধান্ত না হলেও মালিকরা নিজেদের উদ্যোগেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করছেন।
শ্রমিক সংগঠনগুলো বলছে, প্রত্যেক ঈদ উৎসবেই দেখা যায় বেতন-বোনাস নিয়ে মালিকরা সমস্যা সৃষ্টি করেন। ঈদের দিনেও শ্রমিকদের বেতন-বোনাসের জন্য কারখানায় অবস্থান করতে হয়। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ওএসকে গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ দত্ত বলেন, আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যেই সব কারখানায় সম্পূর্ণ বেতন-বোনাস পরিশোধ করার আহ্বান থাকবে আমাদের। অনেক কারখানা ১৮/১৯ তারিখে বেতন-বোনাস পরিশোধের কথা বলছে। এর ফলে দেখা যাবে ব্যাংকের ঝামেলার কথা বলে শ্রমিকদের বেতন বোনাস অনিশ্চিত করে তুলবে মালিকরা।
ফতুল্লা অ্যাপারেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফজলে শামীম এহসান বলেন, পোশাক কারখানাগুলোতে গত সপ্তাহে বেতন দেয়া শুরু হয়েছে। অধিকাংশ কারখানা মালিক বেতন দেয়া শেষ করেছেন এখন তারা বোনাস দেয়ার চিন্তা করছেন। আশা করছি, কারখানা ছুটির আগেই সব শ্রমিক বেতন-বোনাস নিয়েই নিজ পরিবারের সাথে ঈদ করতে পারবেন।