আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

পোলাওয়ের চাল-গুঁড়া দুধের দাম বেড়েছে

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রমজানের দ্বিতীয় সপ্তাহ চলছে। এখনই নিত্যপণ্যের বাজারে ঈদের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। পোলাওয়ের চাল, চিনি, গুঁড়া দুধ, আদাসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। তবে বিপরীত চিত্রও রয়েছে। কমেছে পেঁয়াজ, রসুন, ফার্মের ডিমসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম। অন্যদিকে দাম কমলেও এখনো ভোজ্য তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি বলে জানা গেছে।

শনিবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ, শান্তিনগর, মগবাজার, বৌ-বাজারসহ বেশকিছু বাজারে নিত্যপণ্যের দামের এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

বিক্রেতারা বলছেন, ঈদকে সামনে রেখে যেকোনো ব্রান্ডের পোলাওয়ের চালের দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়েছে। অন্যদিকে খোলা চালের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। চাহিদা বেশি থাকায় চিনি, গুঁড়া দুধ ও আদার দামও বেড়েছে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭৮ থেকে ৮০ টাকায়। আর প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা কেজি দরে।

দেশি ও বিদেশি দুই ধরনের আদার দামই বেড়েছে। দেশি আদা ৫-১০ টাকা বেড়ে ১০০ টাকা এবং আমদানি করা আদা ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে দেশি আদা ৯০-১০০ ও বিদেশি আদা ১১০-১২০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। প্যাকেটজাত গুঁড়া দুধের দামও বেড়েছে। বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজিতে। দোকানিদের দাবি, এক সপ্তাহের ব্যবধানে গুঁড়া দুধ কেজিতে অন্তত ২০ টাকা বেড়েছে। আর লিটার প্রতি ৮ টাকা কমানো হলেও বাজারে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। অধিকাংশ দোকানেই মিলছে না কিংবা খুব কমা পাওয়া যাচ্ছে সয়াবিন তেল।

রামপুরা বাজারের দোকানদার মাহিম বলেন, ঈদকে সামনে রেখে কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। তবে অধিকাংশ পণ্য আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আগে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অনেক অফার কিংবা ডিসকাউন্ট পাওয়া যেতে। বর্তমানে এসব বন্ধ। আমাদের মতো ছোট ব্যবসায়ীদের বাজারে টিকে থাকা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাজারে দেশি ও আমদানি উভয় পেঁয়াজের দামই কমেছে। মানভেদে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। গত সপ্তাহে যা ছিল ৩৫ টাকা। দেশি রসুন ৬০-৭০ টাকা ও আমদানি করা রসুন ১২০-১৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতা উজ্জ্বল বলেন, পেঁয়াজের পাইকারি দর ১৮ থেকে ২২ টাকা। খুচরা পর্যায়ে ২৫ থেকে ৩০ টাকা বিক্রি করছি। বাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যে গত বেশকিছু ধরেই পেঁয়াজের দাম কম।

এদিকে রোজার আগে ডিমের ডজন ১১৫ থেকে ১২০ টাকা থাকলেও রোজা শুরুর পর থেকে ডিমের দাম কমতে শুরু করে। খুচরা বাজারে প্রতি ডজন ডিম ১০৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। কমেছে ব্রয়লার মুরগির দামও। ১০-১৫ টাকা দাম কমে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা কেজিতে। তবে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে সোনালী ও লেয়ার মুরগি। সোনালী ৩০০-৩২০ ও লেয়ারের কেজি ২৪৫-২৫৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, অন্যান্য সময়ে তুলনায় রোজায় ডিমের চাহিদা কমে যায়। বিভিন্ন হোটেল-রেস্টুরেন্ট দিনেও বন্ধ থাকে, বিস্কুট ও রুটির ব্যবহার নেই বললেই চলে। তাছাড়া সামাজিক অনুষ্ঠান কমে গেছে। ফলে ডিমের চাহিদা কম, তাই দামও কম। আর কাঁচাবাজারে লম্বা বেগুন এখনও ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। শিম ১০০ ও কাঁচামরিচ ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। টমেটো ২৫-৩৫ টাকা, শসা ৩০-৪০ ও গাজর ৫০-৬০টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এ বিষয়ে ক্রেতা বৌ-বাজারের বাসিন্দা জুবায়ের বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকারের কঠোর নজরদারি নেই বলে মনে হয়। জিনিসপত্রের দাম হঠাৎ বেড়ে যায়। একবার বাড়লে কমতে চায় না। এভাবে টিকে থাকা আমাদের মতো নিন্ম মধ্যবিত্তের খুবই কষ্টকর।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




মশা নিয়ন্ত্রণে গবেষণা প্রয়োজন: চসিক মেয়র

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

বর্তমান সময়ে ঔষধ মেরেও মশা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছেনা। মশা নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

তিনি বলেন, অনেকের ধারণা টনকে টন মশার ঔষধ মারলেই মশা কমবে, এটা ঠিক নয়। আমাদেরকে পরিবেশগত ভারসাম্যের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। একসময়ে শহরে ব্যাঙ পাওয়া যেত, যেটা মশার লার্ভা খেয়ে মশা কমাতে সহায়তা করত। বিভিন্ন ধরনের উপকারী কীট-পতঙ্গ পাওয়া যেত যা পাওয়া যাচ্ছেনা এখন। মশার ঔষধের প্রতি মশার প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি হয়েছে।

এ সময় তিনি মশার প্রকোপ কমাতে আগামী ৩১ মার্চ থেকে কার্যক্রম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে লালদিঘী পাড়স্থ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত চসিকের ৬ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৩৮তম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে চসিক মেয়র আরও বলেন, ঢাকার মতো চট্টগ্রামেও মশা দ্রুত বাড়ছে। আগামী সপ্তাহ থেকে স্প্রেম্যান থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট লোকবল বাড়িয়ে মশা নিধনে প্রতিটি ওয়ার্ডে আরো ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। ডেঙ্গু প্রকোপ প্রতিরোধে এখনই উদ্যোগ  গ্রহণ করতে হবে। কাউন্সিলরদের মাঠে থেকে তদারকি করতে হবে এ কার্যক্রম।

জনগণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের পরিচ্ছন্ন বিভাগ নালা-গুলো পরিস্কার করছে। অনেক সময় দেখা যায় নালায় ডাবের খোসা থেকে লেপ-তোষক সব ফেলা হয়েছে যা জলাবদ্ধতা তৈরি করে মশার প্রজননক্ষেত্রে পরিণত হচ্ছে। জনগণ সচেতন না হলে মশার প্রকোপ কমানো কঠিন হবে। জনগণ বাড়িতে থাকা জমা পানি প্রতি তিনদিনে একদিন ফেলে দিলে এবং যত্রতত্র ময়লা ফেলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি থেকে জনগণকে বিরত রাখতে পারলে পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটবে। সিডিএ ৩৬টা খালে যে জলাবদ্ধতা নিরসণ প্রকল্প করছে সেগুলোতে বাধ দিতে হয়েছে। সিডিএ বর্ষার আগে বাধ ও খালের মাটি অপসারণ করলে জলাবদ্ধতা ও মশার প্রকোপ কমবে।

আর্থিক সমস্যায় চট্টগ্রামের উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে জানিয়ে মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম দেশের দ্বিতীয় শহর। চট্টগ্রামকে ঘিরে বে-টার্মিনাল, শিল্পপার্ক, গভীর সমুদ্র বন্দরসহ অনেকগুলো বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পগুলোকে সফল করতে যে ধরনের অবকাঠামো চট্টগ্রামের দরকার তা কেবল শুধু হোল্ডিং ট্যাক্স আর ট্র্রেড লাইসেন্সের আয় দিয়ে তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণ করা সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, আমরা বন্দরের আয়ের ১ শতাংশ চেয়েছিলাম। আইনের গ্যাড়াকলে তা হয়নি। অথচ বন্দরের ৩০ থেকে ৪০ টনের লরি চলাচল করে শহরের রাস্তা নষ্ট করে ফেলছে। প্রতিদিন যে কন্টেইনার খালাস হচ্ছে তা থেকে আয়ের একটি অংশ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে দেয়া উচিৎ। চসিকের ভবনগুলোকে ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের মাধ্যমে আয়বর্ধন করতে হবে। এ বিষয়ে আমরা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করব। চসিকের রাজস্ব বিভাগকেও আয় বহুমুখীকরণে মনোযোগ দিতে হবে। সিডিএ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বানাচ্ছে। সিডিএ টোল আদায় করবে কিন্তু চসিকের হিস্যা কী হবে তা আলাপ করা উচিৎ ছিল। কারণ সিটি কর্পোরেশনের জায়গায় এক্সপ্রেসওয়ে বানাবেন, সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা দিয়ে গাড়ি উঠা-নামা করবে, আমরা সড়ক সংস্কারে ব্যয় করব অথচ আমাদের কোন হিস্যা থাকবেনা তা হবেনা।

নগরীতে আলোকায়ন প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, চসিকের বিদ্যুৎ উপ-বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছিলাম রমজানে সড়কে, মসজিদে, কবরস্থানে আলোকায়ন করতে। কিন্তু আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি অনেক রাস্তায়, গলিতে বাতি জ্বলে না। কাউন্সিলররা নিজ নিজ এলাকার বিদ্যুতের ইন্সপেক্টরদের নাম্বার রাখবেন। কোন সড়কে বাতি না জ্বললে জানতে চাইবেন কেন বাতি জ্বলছেনা। কেউ রেসপন্স না করলে লিখিত অভিযোগ দিবেন। পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীরা অনেক সময় শোনা যায় এক-দুই ঘন্টা কাজ করে চলে যায়। এদের ব্যাপারেও অভিযোগ দিবেন। তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে বরখাস্ত করে দিব।

হকার উচ্ছেদ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও র‌্যাবের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অবৈধ হকার উচ্ছেদ হওয়ায় মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। মানুষ খুবি খুশি। মানুষের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ নিরসণ হয়েছে। গরীব হকারদের জন্য হলিডে মার্কেটের ব্যবস্থা করব। তবে হকারদের নিয়ে কাউকে চাঁদাবাজি করতে দেয়া হবে না। অলিতে-গলিতে হকার বসিয়ে মানুষকে কষ্ট দেয়া বন্ধ করব। রেলওয়ে ও গণপূর্তর সাথে আমরা যোগাযোগ করছি। পরিত্যক্ত ভূমিতে কেবল সপ্তাহে দুদিন হলিডে মার্কেট চালু করা হবে।

হলিডে মার্কেট প্রসঙ্গে গণপূর্ত অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী রমিজুর রহমান জানান, চসিকের উচ্ছেদ অভিযানে বায়েজিদ বোস্তামীতে দুটি ভূমি অবৈধ দখল থেকে মুক্ত হয়েছে। বায়েজিদ এলাকায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের উদ্ধারকৃত জায়গায় হকারদের জন্য হলিডে মার্কেট স্থাপনের বিষয়ে মন্ত্রনালয়ে প্রতিবেদন দিতে হবে। জনস্বার্থ বিবেচনায় হলিডে মার্কেট বাস্তবায়নে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।

চসিকের প্রকৌশল বিভাগের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, শুস্ক মৌসুমে ফুটপাত রং করা, জ্যাব্রাক্রসিং এবং রোডমার্কিং এর কাজ একমাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। কিছুদিন আগে একজন জানালো একটা রাস্তা বানানোর মধ্যে রাস্তাটা কেটে ফেলেছে। সমন্বয় করলে রাষ্ট্রের সম্পত্তির এ অপচয় রোধ করা যাবে। আমাদেরকে কিছু কিছু সড়কে ব্লক দিয়ে নির্মাণ করা যায় কিনা তা ভাবতে হবে। প্রয়োজনে পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।

ঈদের সময় নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীগুলোকে ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান মেয়র।

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানান, স্থায়ী কমিটির পরামর্শ অনুসারে ১ জুলাই থেকে অস্থায়ী কর্মচারীদের বেতন বাড়ানো হবে। চসিকের অস্থায়ী কর্মচারীদের স্থায়ীকরণের কার্যক্রমও অনেকটুকু এগিয়ে গেছে।

সভায় ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুর রউফ জানান, গ্রীস্মে কিছু এলাকায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। আমরা পানি সরবরাহ ও লিকেজ মেরামতের জন্য ভিজিল্যান্স টিম গঠন করেছি। সহসাই পানির সংকটের সমাধান হবে।

সভায় ট্রাফিক বিভাগের এডিসি মো. কাজী হুমায়ুন রশীদ বলেন, অবৈধ হকার উচ্ছেদ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সর্বাত্মক সহায়তা করেছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। তবে উচ্ছেদ অভিযান বিকালে পরিচালনা করলে আরো বেশি সুফল পাওয়া যাবে। কারণ হকাররা মূলত বিকালে সড়ক-ফুটপাত দখল করে নিচ্ছে যা নগরীতে তীব্র যানজট সৃষ্টি করছে। নির্বিঘ্নে রাস্তা পারাপারের স্বার্থে নগরীজুড়ে জেব্রা ক্রসিং গড়ে তুলতে হবে।

সভায় বিগত সাধারণ সভার কার্যবিবরণী, দরপত্র কমিটির কার্যবিবরণী এবং স্ট্যান্ডিং কমিটির কার্যবিবরণী অনুমোদিত হয়। স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতিগণ তাদের নিজ নিজ স্ট্যান্ডিং কমিটির কার্যবিবরণী পেশ করেন। সভায় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, প্যানেল মেয়রবৃন্দ, কাউন্সিলরবৃন্দসহ চসিকের বিভাগীয় ও শাখা প্রধানগণ এবং নগরীর বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



হঠাৎ ডায়রিয়া রোগীর ভিড় জয়পুরহাটের হাসপাতালে

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটে হঠাৎ ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছেন রোগীরা। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ বেশি। রোগীরা শয্যা না পেয়ে হাসপাতালের মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

রবিবার (১৭ মার্চ) ও সোমবার (১৮ মার্চ) জয়পুরহাট ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিন দেখা যায়, হাসপাতালের উত্তর পাশের নিচতলায় ডায়রিয়া ওয়ার্ডের শয্যায় এবং মেঝেতে রোগীর ভিড়। গত তিন দিনে এখানে শিশুসহ দুই শতাধিক রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। রোববার দুপুর পর্যন্ত ৭০ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।

হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন জেলার মঙ্গলবাড়ি গ্রামের ১৯ মাস বয়সের শিশু হোসাইন, ২২ মাস বয়সের ছিরাইয়া রানী, ক্ষেতলাল উপজেলার দাশড়া গ্রামের ৮ মাস বয়সের নুশরাত বেগম ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। শিশুদের মায়েরা জানান, হঠাৎ করে গত দুই-তিন দিন আগে থেকে পানির মতো বারবার পাতলা পায়খানা হচ্ছে। সঙ্গে দু-একবার বমি হওয়ায় সন্তানদের হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করান তারা।

সদর উপজেলার হেলকুন্ডা গ্রামের কৃষক আইয়ুব আলী, শহরের সবুজ নগর মহল্লার মাহফুজ রায়হান বলেন, হঠাৎ করে পাতলা পায়থানা ও বমি এবং এতে শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়েছে। এসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।

জয়পুরহাট ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল কর্মকর্তা এবং ডায়রিয়া ওয়ার্ডে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফাতেমা বেগম বলেন, গত কয়েক দিন থেকে ডায়রিয়ার রোগী বেশ বেড়েছে। শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো কখনোই বন্ধ করা যাবে না। খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। প্রয়োজনে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করে শিশুদের খাবার দেওয়ার পরামর্শ দেন এ চিকিৎসক।

আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে শিশুদের ডায়রিয়া হয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সরদার রাশেদ মোবারক বলেন, হঠাৎ করে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী বাড়ছে। শয্যার তুলনায় রোগী অনেক বেশি হওয়ায় মেঝেতে রেখে চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে। সাধ্যের মধ্যে সবচেয়ে ভালো সেবা দিচ্ছেন বলে তিনি দাবি করেন।


আরও খবর



স্থায়ী হলো দ্রুত বিচার আইন, সংসদে বিল পাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে প্রণীত দ্রুত বিচার আইন স্থায়ী করেছে সরকার। আইনটি এতদিন বিভিন্ন মেয়াদে সময় বাড়িয়ে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এবার সময় বাড়ানোর পরিবর্তে স্থায়ী রূপ দিতে জাতীয় সংসদে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) বিল পাস করা হয়েছে। এসময় বিরোধী দলের নেতারা সমালোচনা করে সংসদে আইনটি স্থায়ী না করার প্রস্তাব দিলেও কণ্ঠভোটে তা নাকচ হয়ে যায়।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিলটি পাসের জন্য সংসদে তোলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

২০০২ সালে প্রথম এই আইনটি করা হয়েছিল দুই বছরের জন্য। এরপর ৭ দফা এই আইনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ২০১৯ সালে আইনটি সংশোধন করে মেয়াদ বাড়ানো হয়। আগামী ৯ এপ্রিল এই আইনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এর মধ্যে আইনটির মেয়াদ না বাড়িয়ে তা স্থায়ী করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। গত ২৯ জানুয়ারি মন্ত্রিসভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেদিন মন্ত্রিসভায় বিলের খসড়া অনুমোদনের পর মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত বিল সংসদে পাস হলো। বিলে আইনটি স্থায়ী করা ছাড়া অন্যকোনো সংশোধনী আনা হয়নি।

বিল পাসের আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক বলেন, ২০০২ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকার যখন আইনটি করেছিল তখন আপনারা (তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ) বলেছিলেন এটি নিপীড়নমূলক ও কালো আইন। এই আইনটা রাজনৈতিক কারণ বা সরকার চাইলে যেকোন কারণে নাগরিককে হয়রানি করতে পারে। সে আইনটা আপনারা রেখেছেন। আমি জানি না কেন রেখেছেন?

চুন্নু বলেন, যখন আপনারা ক্ষমতায় থাকবেন না, স্থায়ীভাবে আইনটা করবেন, অন্য কেউ ক্ষমতায় আসবেন, তখন উদ্দেশ্য তো ভালো নাও থাকতে পারে। আপনারা কি এটা বলতে চান, বিএনপি যে আইনটা এনেছিল তা ভালো ছিল? এটাই আজকে স্বীকার করুন। র‌্যাবের যখন গঠন করা হয়েছিল আওয়ামী লীগসহ অনেক রাজনৈতিক দল বিরোধিতা করেছিল। সেই র‌্যাব এখন টিকে আছে, তারা কাজ করছে। সরকারের কাছে অনুরোধ, যদি প্রয়োজন পড়ে এক/দুই বছর আইনের মেয়াদ বাড়ান। কিন্তু আইনটা স্থায়ী করবেন না, করলে ভবিষ্যতে একদিন আপনাদের এমন অবস্থা হবে, সেদিন আফসোস করবেন।

জাতীয় পার্টির আরেক সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, আইনটি আনা হয়েছিল বিএনপির সময়। ওই সময় আমরা ও আজকের আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধিতা করেছিলাম। তারপরও আইনটি পাস হয়েছিল। আজকেও পাস হবে। আমার প্রশ্ন হলো যার জন্য গর্ত খুঁড়বেন, নিজেকেই সেই গর্তে পড়তে হয়। আজকে বিএনপি সেই গর্তে পড়েছে। এখন আওয়ামী লীগ আইনটিকে স্থায়ী করতে নিয়ে এসেছে। দিন এক রকম থাকবে না। তিনি আইনটিকে স্থায়ী না করে পাঁচ/চার বছর মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করেন।

বিরোধী দলের সমালোচনার জবাবে আইনটি করার সময় বাংলাদেশে অরাজক পরিস্থিতি ছিল বলে দাবি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সেসময় নানা ধরনের অপরাধ হতো, তাই হয়ত আইনটি তৎকালীন সরকার করেছিল। আমি মনেকরি আইনটি করার উদ্দেশ্য ছিল তাৎক্ষণিক বিচার যেন মানুষ পায়। দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীরা যাতে শাস্তি পায় সেটাই মূল উদ্দেশ্য ছিল।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সংসদ সদস্যরা অনেক সময় আমাদের কাছে পাঠান যেন এ আইনের মাধ্যমে বিচার হয়। শুধু সংসদ সদস্য না, অনেকেই আইনটি ব্যবহার করার জন্য আমাদের কাছে সুপারিশ পাঠান। কারণ একটাই যাতে দ্রুত বিচারের মাধ্যমে অপরাধীরা শাস্তি পায়। সংসদ সদস্যদের কেউ বলেনি আইনটি বাতিল করে দেন। কেউ বলেননি আইনটি যথাযোগ্য নয়। তারা সময় বৃদ্ধি করে দিয়ে আইনটি চালু থাকার কথা বলেছেন। আইনটি একই রকম আছে আমরা কোনো রকম সংশোধন করি নাই। কাউকে উদ্দেশ্য করে বা ক্ষতি করার জন্য আইনটি হয়নি। কোনো রাজনৈতিক নেতা বলতে পারবেন না, এ আইনের মাধ্যমে শাস্তি হয়েছে।

সংশোধনীর আলোচনায় মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্ববিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন আইনটি ভালো। তাহলে বিএনপি যখন আইনটি করেছিল আপনারা তার বিরোধিতা করেছিলেন কেন? এখন ভালো হয়ে গেল! আপনি বলেছিলেন, অপপ্রয়োগ হয় কিনা যারা আন্দোলন করছে তারা বলতে পারবে। আমরা যদি কখনো আপনাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যাই তখন বলতে পারব অপপ্রয়োগ হচ্ছে কিনা।

পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, আইনটি কখন আনা হয়েছিল তা মুখ্য উদ্দেশ্য নয়। শান্তির পরিবেশ তৈরির জন্য আইনটি স্থায়ী করা হচ্ছে।


আরও খবর



শ্রমিক বিক্ষোভ: ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় রণক্ষেত্র মোংলা ইপিজেড

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আবু বকর সিদ্দিক, মোংলা প্রতিনিধি

Image

ঈদের আগে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মোংলা ইপিজেড। কারখানার প্রধান ফটক বন্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গেলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে; রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ইপিজেড এলাকা।

সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মোংলা ইপিজেডের প্রধান ফটকে এ ঘটনা ঘটে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে অবস্থান নেয়া শ্রমিকদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। এ সময় দুই শ্রমিক আহত হয়।

শ্রমিকরা জানান, মোংলা ইপিজেডে দেশি-বিদেশি প্রায় ৩৪টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তার মধ্যে ৯টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে ভিআইপির। সেই কোম্পানির কয়েকটি কারখানা থেকে আজ সকালের শিফটে প্রায় দুই হাজার শ্রমিকের কাছ থেকে কাগজে স্বাক্ষর নেয়া হয়। কিছুক্ষণ পর কিছু বুঝে ওঠার আগেই পূর্ব ঘোষণা ছাড়া তাদের কারখানা থেকে চলে যেতে বলেন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।

ভিআইপি কর্তৃপক্ষ বলেন, একে একে ছাটাই করা শ্রমিকরা ইপিজেডের সামনে জড়ো হন এবং ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রধান গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মূলগেটে অবস্থান নেয়া শ্রমিকদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় শ্রমিকরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় দুই শ্রমিক আহত হয়েছেন।

শ্রমিকদের দাবি, পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই তাদের ছাটাই করে প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন শ্রমিকরা।

এ নিয়ে ভিআইপি কর্তৃপক্ষ জানায়, রফতানি পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়ায় কিছু শ্রমিককে ছাটাই করা হয়েছে। তবে তাদের আগাম এক মাসের বেতন, ঈদ বোনাস ও তাদের সব পাওনা বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

অহেতুক কিছু শ্রমিক প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট করার জন্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করেছে। এ সময় অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার স্বার্থে জেলা থেকে ৬ প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন করেছে ইপিজেড কর্তৃপক্ষ।

এ দিকে শ্রমিকদের দাবি, রমজান মাস চলছে, এ ছাড়া সামনে পবিত্র ঈদ। এই মুহূর্তে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ছাটাই করলে আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। গত বছরও একই সময় অহেতুক প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক ছাটাই করেছিল এই ভিআইপি নামের প্রতিষ্ঠানটি।

এ বিষয়ে মোংলা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার জানান, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, সমঝোতার জন্য মালিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছিল, কিন্তু কিছু শ্রমিক উত্তেজিত হয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে তুলে। এ সময় পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয় এবং সবাইকে শান্ত হয়ে বাড়ি চলে যেতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



ঢাকা-কক্সবাজার রুটে জুনে যুক্ত হচ্ছে নতুন ৩ জোড়া ট্রেন

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে আগামী জুনে নতুন ৩ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালু হবে। একই সময়ে চালু করা হবে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার কমিউটার ট্রেন। পদ্মা সেতু হয়ে খুলনার পথে আরও দুটি ট্রেন চলবে। এছাড়া বুড়িমারী এক্সপ্রেস নামে নতুন আন্তঃনগর চলবে আগামী ১২ মার্চ থেকে।

শনিবার রাজধানীর রেলভবনে বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালন ও উন্নয়ন শীর্ষক কর্মশালায় এসব তথ্য জানিয়েছেন রেলের মহাপরিচালক কামরুল আহসান। রেলপথ মন্ত্রণালয় ও রেলওয়ের সঙ্গে যৌথভাবে এ কর্মশালা আয়োজন করে ঢাকায় কর্মরত সড়ক, রেল ও যোগাযোগ অবকাঠামো বিষয়ে কাজ করা সাংবাদিক সংগঠন রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোড (আরআরআর)। 

আরও পড়ুন>> হজে গিয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বললেন ধর্মমন্ত্রী

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধির চেষ্টা করছি। এবারের ঈদ যাত্রা এবং টিকিট বিক্রির কার্যক্রম আরও ভালো হবে। কোনো টিকিট কালোবাজারি হবে না। একই সঙ্গে রেলকে নিরাপদ বাহন করতে যা যা করার করছি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রেল সচিব ড. হুমায়ুন কবীর বলেন, রেলওয়েতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রয়েছে এটা সত্য। তবে সামগ্রিকভাবে রেলওয়ের সবকিছুই খারাপ, তা বলা ঠিক হবে না। রেলে অনিয়ম আছে, ভুল আছে, চ্যালেঞ্জ আছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা বসে নেই।

কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোড সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম। কর্মশালায় রেলের বাণিজ্যিক বিষয়ক তথ্য উপস্থাপন করেন সংস্থার অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী।

এ সময় অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) মো. আরিফুজ্জামান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (রোলিং স্টক) পার্থ সরকার, রেল মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) জালাল উদ্দিন আহম্মেদ, প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা এসএম সলিমুল্লাহ বাহারসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর