এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে বিদেশ থেকে মালামাল আমদানি করে দেওয়ার কথা বলে মানুষের টাকা
আত্মসাৎ করে আসছিল একটি চক্র। চক্রটির দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত
বিভাগ (সিআইডি)।
বুধবার (২৫ মে)
সকালে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের এই বিশেষ ইউনিটের
অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন এ তথ্য জানান।
সিআইডি’র কাছে
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করলে বিষয়টি অনুসন্ধান শুরু করে তারা। অর্থ আত্মসাতের সত্যতা পায়।
সিআইডির ঢাকা মেট্রো-পশ্চিমের একটি টিম এএসপি মো. জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা
করে যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে চক্রের মূলহোতা ও ইকোম্যাক্স কার্গোর কথিত চেয়ারম্যান আরাফাত
হোসাইন (৪০) এবং ভুয়া ওই প্রতিষ্ঠানের অর্থ পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিনকে (৪২) গ্রেফতার
করে।
ইমাম হোসেন বলেন,
‘প্রতারণা করে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে
তারা মোটা অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করেছে। তিন সদস্যের ওই চক্রটি “ইকোম্যাক্স” নামক এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যবসার
নামে একটি ভুয়া প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। তারা যাত্রাবাড়ী এলাকায় অফিস ভাড়া করে ব্যবসা
পরিচালনা করে আসছে। অল্প সময়ে এবং কম খরচে চীন থেকে যেকোনও ধরনের পণ্য এনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি
দিয়ে ৫০ শতাংশ মূল্য অগ্রিম গ্রহণ করতো। পরে চট্টগ্রাম পোর্টে মালামাল পৌঁছে যাওয়ার
কথা বলে বাকি ২০ শতাংশ টাকা নিয়ে নিতো।’
চক্রটি আস্থা
অর্জন করার জন্য মানুষের সঙ্গে চুক্তিপত্র করতো। তাদের প্রতিশ্রুত পণ্যের মধ্যে আছে
গার্মেন্টস এক্সেসরিজ, কম্পিউটার যন্ত্রাংশ, মেডিক্যাল সরঞ্জাম, বাইক, কাপড়, সিলিকাজেল,
লোগো ইত্যাদি। তারা ভাড়া করা মার্কেটিং অফিসারদের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে
চীন থেকে চাহিদা অনুযায়ী পণ্য এনে দেওয়ার অফার দিতো। মোটা অঙ্কের টাকা সংগ্রহ শেষে
বিভিন্ন সমস্যার অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করে অফিস ও মোবাইলফোন নম্বর বন্ধ করে গা ঢাকা দিতো।
ইমাম হোসেন বলেন,
‘চক্রের এক সদস্য ইতোপূর্বে চীনে পড়াশুনা
করতো বলে জানা যায়। আরেক সদস্য মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট ক্রয়ের জন্য চীনে যাতায়াত করতো।
চক্রটির ৩৫ জনের কাছ থেকে আনুমানিক তিন কোটি টাকা আত্মসাতের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া
গেছে।’