আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

পঞ্চগড়ে নৌকাডুবির ঘটনায় মৃত বেড়ে ২৯, নিখোঁজ ৬৫

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় আরও পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৯ জনে। সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে করতোয়ায় দুটি, দিনাজপুরের খানসামার আত্রাই নদীতে একটি এবং আরও দুটি মরদেহ ভেসে ওঠে। পরে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে জানালে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করা মরদেহগুলোর নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

বিষয়টি  নিশ্চিত করে পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার তুষার কা‌ন্তি রায় বলেন, আজ সকালে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের করতোয়ায় দুটি, দিনাজপুরের খানসামার আত্রাই নদীতে একটি এবং আরও দুটি মরদেহ ভেসে ওঠে। পরে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে আমাদের জানালে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। ভোর ৬টা থেকে রংপুর, কুড়িগ্রাম ও রাজশাহীর তিনটি ডুবুরি ইউ‌নিট উদ্ধার কাজ করছে। ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হবে।

এদিকে এ ঘটনায় জরুরি তথ্যকেন্দ্র খোলা হয়েছে। তথ্যকেন্দ্রের তথ্য মতে, প্রতিনিয়ত নিখোঁজ ব্যক্তির সংখ্যা বাড়ছে। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী এখনও ৬৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া দুর্ঘটনায় মৃত ২৫ জনের নাম ও পরিচয় জানানো হয়েছে। এদের মধ্যে ১২ নারী, আট শিশু ও পাঁচ পুরুষ রয়েছেন। তাদের বাড়ি পঞ্চগড় জেলার বোদা, দেবীগঞ্জ ও ঠাকুরগাঁও জেলায়।

নৌকাডুবিতে এখন পর্যন্ত মৃতরা হলেন- শ্যামলী রানী (১৪), লক্ষী রানী (২৫), অমল চন্দ্র (৩৫), শোভা রানী (২৭), দীপঙ্কর (৩), পিয়ন্ত (২.৫), রুপালী ওরফে খুকি রানী (৩৫), প্রমিলা রানী (৫৫), ধনবালা (৬০), সুনিতা রানী (৬০), ফাল্গুনী (৪৫), প্রমিলা দেবী (৭০), জ্যোতিশ চন্দ্র (৫৫), তারা রানী (২৫), সনেকা রানী (৬০), সফলতা রানী (৪০), হাশেম আলী (৭০), বিলাস চন্দ্র (৪৫), শ্যfমলী রানী ওরফে শিমুলি (৩৫),  উষশী (৮), তনুশ্রী (৫), শ্রেয়শী, প্রিয়ন্তী (৮), সনেকা রানী (৬০) ও ব্রজেন্দ্রনাথ (৫৫)। তিনজনের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

এর আগে রবিবার পঞ্চগড়ের করতোয়া নদীতে নৌকা ডুবে শিশু, নারীসহ ২৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বোদা উপজেলার মাড়েয়া ইউনিয়নের আউলিয়ার ঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মহালয়া উপলক্ষে জেলার বোদা, পাঁচপীর, মাড়েয়া, ব্যাঙহারি এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নৌকায় করে বোদার বড়শশী ইউনিয়নের বদেশ্বরী মন্দিরে (নদীর অপর পাড়ে) যাচ্ছিলেন। অতিরিক্ত যাত্রী থাকায় নদীর মাঝ পথে উল্টে যায় নৌকাটি। কিছু মানুষ সাঁতরে নদীর তীরে আসলেও ২৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয় এবং নৌকায় থাকা ৬৫ যাত্রী এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। পরে উল্টে যাওয়া সেই নৌকা উদ্ধার করে তীরে রাখেন স্থানীয়রা। ফায়ার সার্ভিস আসার পরে আশপাশে কোনো বড় নৌকা না পাওয়ায় দুর্ঘটনাকবলিত সেই নৌকা দিয়েই উদ্ধার কাজ শুরু করে ডুবুরি দল।

পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম বলেন, এ জেলার ইতিহাসে ভয়াবহ নৌকাডুবি এটি। এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দিপঙ্কর রায়কে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সবগুলো মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সৎকারের জন্য পরিবারগুলোকে দেওয়া হয়েছে ২০ হাজার করে টাকা।

নিউজ ট্যাগ: নৌকাডুবি

আরও খবর



রহমত শেষে শুরু হলো মাগফিরাতের দশদিন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

চলছে পবিত্র রমজান মাস। এই পবিত্র মাসকে রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতে ভাগ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দশম রমজানের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে রহমতের দশদিন। শুরু হলো মাগফেরাতের দশদিন।

মাগফেরাত অর্থ মার্জনা, আল্লাহ তায়লার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা ও গুনাহ থেকে নিষ্কৃতি লাভ। এই সময়ে আল্লাহ বান্দাদেরকে বেশি হারে ক্ষমা করে থাকেন।

গুনাহ করা মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় মানুষ গুনাহ করে থাকে। এটি খুবই স্বাভাবিক বিষয়। তবে অস্বাভাবিক বিষয় হলো গুনাহর ওপর অটল থাকা ও আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা না করা। যারা শয়তানের কুপ্ররোচনায় গুনাহ করে এবং তা থেকে ক্ষমা লাভ করতে পারে না তাদের জন্য বিশেষ সুযোগ হলো মাগফেরাতের দশদিন।

মাগফিরাতের এই সময়ে বান্দাগণ অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করলে তিনি ক্ষমা করেন। আল্লাহ হলেন পরম ক্ষমাশীল এবং তিনি ক্ষমা করতে ভালোবাসেন।

পুরো রমজান মাস জুড়েই আল্লাহর পক্ষ থেকে মুমিন বান্দাদের জন্য দোয়া কবুলের সুসংবাদ দেয়া হয়েছে। মহানবী সা. বলেন, তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেয়া হয় না। ন্যায়পরায়ণ বাদশা, রোজা পালনকারী যতক্ষণ না সে ইফতার করে এবং মজলুম।


আরও খবর
ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




জয়ের উত্তাপ ছড়িয়ে সিরিজ হারল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

সিলেটে অলিখিত ফাইনালে বাংলাদেশকে ২৮ রানে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিল শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্তরা, সেটি স্বপ্ন হয়েই থাকল।

শ্রীলঙ্কার দেওয়া ১৭৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় পাওয়ারপ্লেতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। ২৫ রানেই ৫ উইকেট হারায় স্বাগতিকেরা। ৩২ রানে হারায় ষষ্ঠ উইকেট। বিপর্যয়ে রুখে দাঁড়িয়ে লড়াই করেছেন লেজের ব্যাটার রিশাদ হোসেন। তিনি ছক্কার রেকর্ড গড়ে ৩০ বলে ৫৩ রানে ফিরলে বাংলাদেশের হারও প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। শেষ দিকে ছোটখাটো ঝড় তোলেন তাসকিন আহমেদ। তবে দলের জয়ের জন্য সেটি যথেষ্ট ছিল না। বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৪৬ রানে।

মাতিশা পাতিরানার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে মাঠে নামা তুশারাই যেন ম্যাচটির ফল গড়ে দিলেন। ২০ রানের বিপরীতে ৫ উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কার জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এই পেসারের। তাঁর বোলিং অ্যাকশনও অনেকটা চোটে ছিটকে যাওয়া পাতিরানার মতোই। পাওয়ারপ্লেতে হ্যাটট্রিকসহ বাংলাদেশের ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে এনে দলকে।

তৃতীয় ওভারে ধসের শুরুটা হয় ধনাঞ্জয়া ডি সিলাভার হাত ধরে। তিনিও সুযোগ পাননি আগের দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচে। ৭ রানে ফেরান ওপেনার লিটন দাসকে। চতুর্থ ওভারে তুশারার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিকে ধসে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার। সেই ওভারের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বলে যথাক্রমে ফেরাননাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। শান্ত ও হৃদয়কে বোল্ড করার পর মাহমুদউল্লাহকে ফেরান এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে।

নিজের পরের ওভারে এসে আরেক ওপেনার সৌম্য সরকারকেও বোল্ড করেছেন। ১০ বলে ১১ রান আসে সৌম্যর ব্যাট থেকে। আগের দুই ম্যাচে নিষেধাজ্ঞার কারণে খেলতে পারেননি শ্রীলঙ্কার নিয়মিত অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। তবে ফেরার ম্যাচে ৯ম ওভারে জাকের আলী অনিককে ৪ রানে ফিরিয়ে ম্যাচ থেকেই বাংলাদেশকে একরকম ছিটকে দেন লঙ্কান অধিনায়ক।

সপ্তম উইকেটে শেখ মেহেদী হাসান ও রিশাদের ৩১ বলে ৪৪ রানের জুটি বাংলাদেশকে ১০০ পেরোনোর সুযোগ করে দেয়। মেহেদীর ব্যাট থেকে আসে ১৯ রান। কিন্তু অষ্টম উইকেটে তাসকিন-রিশাদের ২১ বলে ৪১ রানের জুটি ম্যাচে উত্তেজনা ফেরায়। লঙ্কান বোলারদের ওপর ছক্কার ঝড় বইয়ে ২৬ বলে ফিফটি তুলে নেন রিশাদ। তাঁর ৫৩ রানের ইনিংসে ছিল ৭টি ছক্কা। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এটাই বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ছক্কা। ২১ বলে ৩১ রান করেছেন তাসকিন।

শ্রীলঙ্কার হয়ে ৫ উইকেট নেওয়া এ ম্যাচের আগে তুশারা খেলেছেন সাতটি টি-টোয়েন্টি। নামের পাশে উইকেট ছিল ৬ টি। সেরা বোলিং গত বছরের সেপ্টেম্বরে এশিয়ান গেমসে, আফগানদের বিপক্ষে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর ইকোনমি ছিল ১০ ছুঁই ছুঁই। বাংলাদেশের বিপক্ষে এ ম্যাচে তাঁর ইকনোমি ৫.০০।

তার আগে এই ম্যাচেও টস জিতে আগে লঙ্কানদের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে পেলেই কুশল মেন্ডিস জ্বলে ওঠেনএই তো হয়ে আসছে তাঁর ক্যারিয়ারের শুরু থেকে। আজ সিলেটে সেই পুরোনো দৃশ্য দেখা গেল আবারও। তাঁর দুর্দান্ত ফিফটিতেই বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেটে ১৭৪ রানের সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা। ৫৫ বলে ৮৬ রান আসে মেন্ডিসের ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে রিশাদ ও তাসকিন নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পর ওয়ানডে সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের। টি-টোয়েন্টিতে তিন ম্যাচেই টস জিতলেও চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টসভাগ্য সহায় হয়নি নাজমুল হোসেন শান্তর।

শ্রীলঙ্কার টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাই ফিল্ডিংয়ে নামতে হবে বাংলাদেশকে।

এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা দুই দল মুখোমুখি হয়েছে মোট ৫৪ বার। তাতে ১০ জয় বাংলাদেশের। শ্রীলঙ্কা জিতেছে ৪২ ম্যাচে। আর বাকি ২ ম্যাচে আসেনি কোনো ফল।

তবে সবশেষ মুখোমুখি দেখায় লঙ্কানদের হারিয়েছে বাংলাদেশ। সবমিলিয়ে সর্বশেষ ৫ ম্যাচে টাইগারদের জয় ২টি, শ্রীলঙ্কার ৩টি। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে খুব বেশি পিছিয়ে নেই বাংলাদেশ।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




জয়পুরহাটে যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি, দুর্ঘটনার ঝুঁকি

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

লাইসেন্স ছাড়াই জয়পুরহাটে যত্রতত্র চলছে এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা। সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই বিভিন্ন দোকানে এসব সিলিন্ডার বিক্রির ফলে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে সাধারণ মানুষ। ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা বলছেন এসব লাইসেন্স বিহীন গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসার কারণে যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

জয়পুরহাট জেলা শহর ছাড়াও পাঁচটি উপজেলার গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন হাট বাজারের তিন শতাধিক দোকানে দেদারছে চলছে এলপি গ্যাস সিল্ডিারের ব্যবসা। অথচ জেলায় এলপি গ্যাস ব্যবসার লাইসেন্স রয়েছে মাত্র ১শ টির মতো। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই বিভিন্ন দোকানে এসব সিলিন্ডার বিক্রির ফলে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে সাধারণ মানুষ। লাইসেন্স ছাড়া অরক্ষিত অবস্থায় এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির কারণে যে কোন সময় বিস্ফোরণ ঘটে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষ। অনুমোদন ছাড়া খোলা বাজারে গ্যাস বিক্রিতে ক্ষুব্ধ স্থানীয় অনুমোদন ভুক্ত ব্যবসায়ীরা। লাইসেন্স ছাড়া এসব গ্যাস বিক্রি বন্ধের জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।

জয়পুরহাট সদর উপজেলার নতুনহাট এলাকার শামীম হোসেন জানান, গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির ক্ষেত্রে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি দরকার। নজরদারি না থাকায় যত্রতত্র চলছে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি। ফলে সাধারণ মানুষ মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

জয়পুরহাট সদর উপজেলার তেঘর বিশা এলাকার দুলাল হোসেন বলেন সরকার নির্ধারিত দামে আমরা কখনো গ্যাস সিলিন্ডার পাইনা। সরকার দাম বেঁধে দেয় একটা আর খুচরা বাজারে বিক্রি হয় বেশি দামে। সরকারের হস্তক্ষেপে আমরা এর প্রতিকার চাই।

এ প্রসঙ্গে উপ-সহকারী পরিচালক ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স জয়পুরহাট মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, লাইসেন্স ছাড়া অরক্ষিত অবস্থায় এমন দেদারছে গ্যাস ব্যবসার কারনে এসব এলপিগ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কারণে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আর এতে করে সাধারণ ক্ষয়-ক্ষতিসহ প্রাণহানির আশঙ্কাও রয়েছে।

ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর বলেন, বর্তমানে গ্যাস সিলিন্ডার নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য। এই পণ্য বাংলাদেশ বিতরণ এবং সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী শুধুমাত্র লাইসেন্সধারী ব্যক্তিগনই বিক্রয় করতে পারেন। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই এর ব্যত্রয় ঘটে। এ রকম যেন ব্যত্রয় না ঘটে এ জন্য জেলা প্রশাসক জয়পুরহাট প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে জেলার সাধারণ মানুষকে রক্ষায় এমন যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি বন্ধে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। এ ছাড়াও এ জেলার সচেতন নাগরিকগণ দ্রুত অবৈধ সিলিন্ডার গ্যাসের ব্যবসার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।


আরও খবর



কোনো দুর্নীতি না করার প্রতিশ্রুতি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্যের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নিজের অবস্থান সব সময় সেন্টারে থাকবে, প্লাস-মাইনাস হবে না বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক।

তিনি বলেছেন, আমার ভুল হতে পারে। কিন্তু আমি কোনো অন্যায় করবো না। ভুল হলে আপনারা শুধরে দেবেন। আমি কোনো অন্যায় আবদার শুনবো না।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে দায়িত্ব গ্রহণ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক নূরুল হক বলেন, আমি কোনো অন্যায় আবদার শুনবো না। এখানে শ্রম দেওয়া প্রতিটি মানুষকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চাই। আমি আপনাদের বন্ধু-ভাই হয়ে কাজ করতে চাই। প্রশাসনের ক্ষমতা খাটাতে চাই না। আপনারা আমাকে দলনেতা হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। আমি সব সময় আপনাদের পাশে চাই। আপনারা যদি নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেন, এতেই আমি খুশি। অন্য কোনোভাবে আমাকে খুশি করা যাবে না। যে যেই দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করতে পারবেন, তাকেই দায়িত্ব দিতে চাই। আমি চার বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃশ্যমান পরিবর্তন করতে চাই।

কারও উদ্বেগের কোনো কারণ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, আমাকে যেভাবে সংবর্ধনা দিয়ে গ্রহণ করা হয়েছে তা অবিশ্বাস্য। এটা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠতম দিন। আমাকে নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা অনুভব করবেন না। আমাকে কোনো গ্রুপে যুক্ত করার চেষ্টা করবেন না। যারা ভালো কাজ করবে, তারাই আমার লোক।

এসময় সাবেক উপাচার্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অধ্যাপক দীন মোহাম্মদ বলেন, সাবেকদের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। বর্তমান উপাচার্য শারফুদ্দিন সাহেব আমাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন। আমিও তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। তিনি আমার বন্ধু মানুষ। আমরা দীর্ঘদিন একসঙ্গে কাজ করছি। একই ক্লিনিকে প্র্যাকটিস করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে কাজ করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন আমার খুবই কাছের বড় ভাই। শেখ হাসিনা বার্ন হাসপাতাল করার সময় আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ওই জায়গা খালি করেছি। উনার সঙ্গে কাজ করে হাসপাতাল দাঁড় করিয়েছি। তিনি এখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীও আমার কাছের বোন। আমরা তিনজন মিলে দেশকে একটা অসাধারণ স্বাস্থ্যখাত উপহার দিতে চাই। আমি অন্যায় করবো না, কিন্তু আমার ভুলকে পুঁজি করে আমাকে অনুৎসাহিত করবেন না। আমি সাংবাদিক ভাইদের থেকে এ বিষয়ে সাহায্য চাই।

তিনি আরও বলেন, চিকিৎসক ও শিক্ষকদের সমস্যা আমার থেকে ভালো কেউ জানে না। এই বিশ্ববিদ্যালয় সারাদেশের মেডিকেল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য শিক্ষক তৈরি করে। এ প্রক্রিয়া যেন স্বচ্ছ থাকে তা আমি নিশ্চিত করবো। গবেষণা ছাড়া মেডিকেল শিক্ষা চলতে পারে না। আমাদের প্রধানমন্ত্রী গবেষণায় উৎসাহী। আমরা তার এই স্বদিচ্ছাকে কাজে লাগাতে চাই। গবেষণার জন্য যা যা প্রয়োজন আমি তা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এনে দিতে পারবো বলে আমার বিশ্বাস।

সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) নেতা ডা. টিটো বলেন, তিন বছরের দুর্নীতির তদন্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা চাই, ভবিষ্যতে যেন কেউ এমন অন্যায় অত্যাচার ও দুর্নীতি করার সাহস না করেন।


আরও খবর