মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার কবলে পড়েছে দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড় ও দিনাজপুর। তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি নামায় সেখানে বইছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। ফলে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন এই দুই জেলার মানুষ।
রবিবার সকাল ৬টায় পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সময়ে দিনাজপুরেও রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা।
পঞ্চগড়ের প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ তাপমাত্রা রেকর্ডের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এটি চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন। এর আগে গত শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিনাজপুরের আবহাওয়া অফিস বলছে, তাপমাত্রার পারদ নেমে যাওয়ায় জেলায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। এতে কনকনে শীতে জনজীবনে নেমে এসেছে জনদুর্ভোগ। চলমান শৈত্যপ্রবাহের কারণে দিনাজপুরের তাপমাত্রা ওঠানামা করলেও ১০ ডিগ্রির নিচে থাকছে প্রায়শই।
ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন রয়েছে সীমান্ত জনপদ পঞ্চগড়। কনকনে শীত, ঘন কুয়াশা আর হিমশীতল বাতাসে নাকাল সর্ব উত্তরের সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ের মানুষ। আঞ্চলিক সড়ক ও গ্রামীণ সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে যানবাহনগুলোকে। শীতের তীব্রতায় জর্জরিত শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধরা। চরম দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। কাজকর্ম কমে যাওয়ায় অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে কাটছে তাদের সংসার।
তেঁতুলিয়ায় বাতাসের গতিবেগ রয়েছে ঘণ্টায় ৩ থেকে ৫ কিলোমিটার এবং বাতাসে আর্দ্রতা ১০০ শতাংশ।
সামর্থ্যবান পরিবারের মানুষ বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হলেও জীবিকার তাগিদে বের হতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ। শীত উপেক্ষা করে কাজে বের হলেও তেমন কাজ পাচ্ছে না তারা।
এদিকে শীতের তীব্রতায় বাড়ছে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগ। জেলা ও উপজেলা সদরের হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে রোগীর চাপ। স্থান সংকুলান না হওয়ায় হাসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকে।