আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

পল্লীকবি রাধাপদ সরকারের ওপর হামলা, হাসপাতালে ভর্তি

প্রকাশিত:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মাসুদ রানা, কুড়িগ্রাম

Image

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে রাধাপদ সরকার (৮০) নামের এক স্বভাবকবি খ্যাত পল্লীকবির ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় রাধাপদ সরকারের ছেলে শ্রী জুগল রায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নাগেশ্বরী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

রোববার (১ অক্টোবর) রাতে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাগেশ্বরী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুর রহমান। পল্লীকবি রাধাপদ সরকার নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের গোদ্ধারের পাড় গ্রামের বাসিন্দা। তার নিজ এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

মামলা এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে পথরোধ করে গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে পল্লীকবি রাধাপদ সরকারের ওপর আক্রমণ চালায় মো. রফিকুল ইসলাম ও কদুর আলী নামের দুই ভাই। এসময় তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কবির শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করান। সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। অভিযুক্তরা একই ইউনিয়নের কচুয়ারপাড় এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলী দুই ছেলে।

গুরুতর আহত পল্লীকবি রাধাপদ সরকারের ছেলে শ্রী জুগল রায় বলেন, পরিকল্পিতভাবে আমার বাবার ওপর হামলা চালায় রফিকুল ইসলাম ও কদুর আলী। পরে বাবাকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। আমার বৃদ্ধ বাবাকে তারা যেভাবে আহত করেছে তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে ন্যায় বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে ওসি আশিকুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে তাকে দেখার জন্য হাসপাতালে গিয়েছি। সেখানে বেড পায়নি, পরে বেডের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, রাধাপদ সরকার জীবনে বেশি দূর পড়ালেখা করতে পারেননি। পড়েছেন মাত্র পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত। নিজের লেখা গান, কবিতা মানুষকে শুনিয়ে সামান্য উপার্জনে চলে তার সংসার। আঞ্চলিক ভাষায় তার লেখা গান ও কবিতাগুলো বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।  ইতিমধ্যে তার লেখা কবিতা কেয়ামতের আলামত জানি কিন্তু মানি না। শিরোনামে কবিতাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও ভাইরাল হয়েছে। এখন পর্যন্ত রাধাপদ সরকারের নিজের লেখা আঞ্চলিক ভাষায় শতাধিক গান ও কবিতা রয়েছে।


আরও খবর



বাংলাদেশকে ৪৯৫ টাকায় গরুর মাংস দিতে চায় ব্রাজিল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশকে ৪৯৫ টাকায় গরুর মাংস দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ব্রাজিল। আগামী রবিবার (৭ এপ্রিল) ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসবেন। তখন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে বলে কূটনীতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে। ২০২৩ সালে বিশ্বের ১২৬টি দেশে গরুর মাংস রপ্তানি করেছিল ব্রাজিল। গত বছর ব্রাজিল ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গরুর মাংস রপ্তানিকারক দেশ।

ঢাকা ও ব্রাজিলের কূটনৈতিক সূত্রে জানা যায়, মাউরো ভিয়েরার সফরকে সামনে রেখে গত মঙ্গলবার পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে আলোচনা করেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস। এ সময় তিনি গরুর মাংস রপ্তানির বিষয়টি আলোচনায় তুলেছেন। ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে সে দেশের গরুর মাংস রপ্তানিকারক সমিতির একাধিক জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধির ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।

দুই দিনের সফরে ঢাকা এসে আগামী রবিবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন মাউরো ভিয়েরা। সোমবার (৮ এপ্রিল) তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এই প্রথম ব্রাজিলের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা সফরে আসছেন।

বিভিন্ন খাতে সহযোগিতার বিষয়ে ব্রাজিল এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১১৮টি দেশের সঙ্গে একটি রূপরেখা চুক্তি সই করেছে। এবারের সফরে বাংলাদেশের সঙ্গে কারিগরি সহযোগিতার ওই রূপরেখা চুক্তি সই হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, চুক্তিতে কোন কোন খাতে সহযোগিতা হবে, তা চিহ্নিত করা হবে। পরে নির্দিষ্ট খাতের আওতায় প্রকল্প নিয়ে সেগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে ব্রাজিলের কারিগরি সহযোগিতার রূপরেখা চুক্তিতে রয়েছে কৃষি, জ্বালানি, পানিসম্পদ, বনায়ন, শিক্ষ ও মৎস্যসম্পদ খাত।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম ঢাকা সফরে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর বিষয়ই মূলত প্রাধান্য পাবে। ব্রাজিলের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য তিন বছরের মধ্যে ১৫০ কোটি ডলার থেকে বেড়ে এ মুহূর্তে ২৭০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ভোজ্যতেল, চিনি ও তুলার আমদানিতে অধিকাংশ ব্যয় হয়েছে। ব্রাজিলের পক্ষ থেকে এ সফরে ইথানল রপ্তানি, তুলার রপ্তানি বাড়ানো, পোলট্রি ও ফিশ ফিড ও গরুর মাংস রপ্তানির বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে।


আরও খবর



উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

নাজিরপুরে জনপ্রিয়তার দৌড়ে এগিয়ে সাংবাদিক এস.এম. নুরেআলম সিদ্দিকী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফাহাদ মশিউর রহমান

Image

আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) প্রতীক বরাদ্দের মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা। চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের মাঠে জনপ্রিয়তার দৌড়ে এগিয়ে আছেন সাংবাদিক ও সমাজসেবক এস.এম. নুরেআলম সিদ্দিকী (শাহিন)।

নাজিরপুর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ঘুরে ভোটারদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, সৎ-পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি হিসেবে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনের এলাকায় রয়েছে ব্যপক গ্রহণযোগ্যতা। বয়োজ্যেষ্ঠ, তরুণ ও নতুন ভোটারদের কাছেও সমান জনপ্রিয় তিনি।

নাজিরপুরের বাসিন্দা শেখ রাসেল বলেন, আমরা তরুণ ভোটার, আর শাহিন ভাই তারুণ্যের প্রতীক, তাই আমার পরিবার স্বজন ও বন্ধুদের ভোট তিনিই পাবেন। নির্বাচিত হয়ে তিনি এলাকার উন্নয়নে অবদান রাখবেন। তাই অধিকাংশ ভোটার তাকেই ভোট দিবেন। এছাড়া তার বিকল্প কেউ নেই।

সাংবাদিক সাকিল আহমদ অরণ্য বলেন, ২০০৭ সালের ১১ নভেম্বর এ অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যায় প্রলয়ঙ্কার ঘূর্ণিঝড় সিডর। সেই সময় শাহিন ভাই নিজের পকেটের টাকা ব্যয় করে দুস্থ মানুষের পাশে যেভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তা ভুলে যাওয়ার নয়। মানুষের সেবা করার জন্য মন থাকতে হয়, যা তাঁর রয়েছে। একারণেই নাজিরপুরবাসী আগামী ৮ মে দোয়াত কলম প্রতীকে ভোট দিয়ে তাঁকে নির্বাচিত করবেন।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তুহিন হালদার তিমির বলেন, শাহিন ভাই একজন মানবিক মানুষ, যাকে বিশ্বাস করে ভোট দেওয়া যায়। তিনি জনগণের আমানতের প্রতিদান অবশ্যই দিবে।

নামপ্রকাশ না করা শর্তে এক ছাত্রনেতা জানান, বিগত সময়ে যারা এই দায়িত্বে ছিলেন তারা ব্যস্ত ছিল নিজের ও পরিবারের উন্নয়ন নিয়ে। কিন্তু শাহিন ভাই ব্যতিক্রম। আমি তাঁকে খুব কাছ থেকে দেখেছি, তিনি নিজের উন্নয়নে বিশ্বাস করেন না, তিনি বিশ্বাস করেন নাজিরপুরের উন্নয়ন। শাহিন ভাই মনে করেন নাজিরপুরের সবাই ভালো থাকলে তিনিও ভালো থাকবেন।

রুহুল আমীন হাওলাদার নামে একজন প্রবীন বলেন, তাকে (এস.এম. নুরেআলম সিদ্দিকী) ছোট থেকে বড় হতে দেখেছি, কিন্তু তার ভিতরে কখনও অহংকার বা কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করতে দেখিনি। জীবনের শেষ বয়সে এসে ভোট-টা তাকেই দিব।

নামপ্রকাশ না করা শর্তে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা জানান, শাহিনের পিতা ও তিন ভাই মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। তার পরিবার অনেক আগে থেকেই প্রতিষ্ঠিত, চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে তার ভাগ্য বদলাতে হবে না। তাকে নির্বাচিত করলে এলাকায় প্রকৃত উন্নয়ন হবে, মানুষ ভালো থাকবে।

উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এম খোকন কাজী জানান, চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিনকে ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন এবং সিডর, আইলা, করোনাসহ সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দলের সংকটকালে নেতা-কর্মীদের কাছে পেয়েছি। তাই তাকে নিয়ে মাঠে নেমেছি।

চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম নূরে আলম সিদ্দিকী (শাহিন) বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও তাঁর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্ন নাজিরপুর উপজেলায় বাস্তবায়ন করতে চাই। বাংলাদেশের মধ্যে দুর্নীতি-মাদকমুক্ত মডেল উপজেলা হবে নাজিরপুর উপজেলা। উপজেলা পরিষদ থেকে অর্থ নিয়ে আমার বা পরিবারের ভাগ্য উন্নয়নের প্রয়োজন নেই, আমি চাই নাজিরপুরের মানুষ ভালো থাকুক।  

নাজিরপুর উপজেলা তথ্য বাতায়ন সূত্রে দেখা যায়, ৯টি ইউনিয়ন ৬৮টি মৌজা ও ১৭১টি গ্রাম নিয়ে গঠিত নাজিরপুর উপজেলার মোট ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ২৩ হাজার ১ শ ১৩ জন। তার মধ্যে ৬২ হাজার ৮শ ৪০ জন পুরুষ ও ৬০ হাজার ২শ ৭৩ জন নারী।

উল্লেখ্য, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হিসাবে ওই উপজেলার ৭২টি কেন্দ্রে ইভিএমএর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।  


আরও খবর



সিলেটে উপজেলা নির্বাচন

ভোটের মাঠে আ.লীগ ও জামায়াত, সংকেতের অপেক্ষায় বিএনপি

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

৮ মে প্রথম ধাপে সিলেটের চারটি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত ২১ মার্চ তফসিল ঘোষণার পরপরই এসব উপজেলায় সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা প্রচারণায় নেমে পড়েছেন। তবে আওয়ামী লীগ ও জামায়াত ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের এখনো মাঠে দেখা যাচ্ছে না। তারা রমজান মাসকে কেন্দ্র করে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ভোটারদের দোয়া চাইছেন।

রাজনৈতিক দলগুলোর সূত্র জানিয়েছে, এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী দেবে না। অন্যদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপি এ নির্বাচনও বর্জন করেছে। তবে জামায়াতের নেতারা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা ঘোষণা করে মাঠে নেমেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেট সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সুজাত আলী রফিক, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি এজাজুল হক এজাজ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক মিল্লাত চৌধুরী এবং আওয়ামী লীগ নেতা ও মোগলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল হক প্রার্থী হতে তৎপর আছেন। এ উপজেলায় জামায়াত নেতা ইসলাম উদ্দিন প্রার্থী হবেন।

দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় আওয়ামী লীগের চারজন নেতা প্রার্থী হতে মাঠে আছেন। তারা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শামীম আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক বদরুল ইসলাম, সদস্য মইনুল ইসলাম এবং যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমদ। এ উপজেলায় জালালপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সাবেক আমির ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা সোলেমান হোসাইন প্রার্থী হতে মাঠে আছেন।

গোলাপগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের চারজন প্রচারণা চালাচ্ছেন। তারা হলেন বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লুৎফুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাহিদুর রহমান চৌধুরী এবং আওয়ামী লীগ নেতা আবু সুফিয়ান। এখানে গোলাপগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাফিজ নাজমুল ইসলাম প্রার্থী হতে তৎপর আছেন।

বিশ্বনাথ উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মো. নুনু মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলতাব হোসেন, যুক্তরাজ্যের ডরসেট আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল রোশন, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সদস্য শমসাদুর রহমান রাহিন এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলীর নাম সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে শোনা যাচ্ছে। এ উপজেলায় জামায়াতের উপজেলা শাখার আমির নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকীও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

সিলেট জেলা উত্তর জামায়াতের আমির হাফিজ আনোয়ার হোসেন বলেন, দলীয়ভাবে জামায়াত নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। তবে কেউ ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রার্থী হলে বাধাও দেবে না।

সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খান খান বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে আমাদের কোনো পছন্দ নেই। নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। এতে যিনিই বিজয়ী হবেন, তাকেই আমরা স্বাগত জানাব। 


আরও খবর



উদ্ধার হয়েছে লাইনচ্যুত যমুনা এক্সপ্রেস

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনগামী যমুনা এক্সপ্রেস লাইনচ্যুতের ঘটনায় ৩ ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। লাইনচ্যুত হওয়া ট্রেনটির উদ্ধার কাজ শেষ হয়েছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) বেলা ১১টা ২০ মিনিটে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সকাল ৮টা ৫ মিনিটে ঢাকার কারওয়ান বাজারে লাইনচ্যুত হয় ট্রেনটি। ফলে ঢাকার কমলাপুরের সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল আপাতত এক লাইনে সামলাতে হচ্ছিল।

মাসুদ সারওয়ার বলেন, লাইনচ্যুত হওয়া ট্রেনটির উদ্ধার কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: যমুনা এক্সপ্রেস

আরও খবর



ব্লগার নাজিম হত্যা মামলা : আট বছরেও শুরু হয়নি বিচার

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ব্লগার নাজিমুদ্দিন সামাদ। আজ থেকে আট বছর আগে ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল ক্লাস শেষে মেসে ফেরার পথে লক্ষ্মীবাজারের একরামপুর মোড়ে জঙ্গিরা হত্যা করেন তাকে। সেই ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচার ৮ বছরেও শুরু হয়নি।

চার বছর তদন্ত শেষে চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট। পরবর্তী সময়ে আরো সাড়ে তিন বছর কেটে গেলেও আলোচিত এ হত্যা মামলার বিচার শুরু হয়নি।

এদিকে আসামিদের আদালতে হাজির না করায় এ মামলার বিচার শুরু করতে পারেননি বলছেন রাষ্ট্রপক্ষ। তবে আশা করছেন, অতি শিগগিরই মামলার বিচার শুরু হবে এবং এ মামলার আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে।

নাজিমুদ্দিনকে হত্যার পরদিন সূত্রাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালতে অভিযোগ গঠন শুনানির পর্যায়ে রয়েছে। সর্বশেষ গত ২৫ মার্চ এ মামলার অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে ওইদিন নিরাপত্তা জনিত কারণে কারাগারে আটক থাকা আসামিদের আদালতে না পাঠিয়ে কারা কর্তৃপক্ষ চিঠি পাঠান। পরে আদালত অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ১৬ মে দিন ধার্য করেন।

মামলা সম্পর্কে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম ছারোয়ার খান জাকির বলেন, ব্লগার নাজিমুদ্দিন হত্যা মামলাটি অভিযোগ গঠন শুনানির পর্যায়ে রয়েছে। আসামিদের আদালতে হাজির করতে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য না পাওয়ায় কয়েক দফায় তাদের আদালতে হাজির করতে পারেনি কারা কর্তৃপক্ষ। এজন্য মামলায় অভিযোগ গঠনে শুনানি হচ্ছে না। আশা করছি, আগামী তারিখে আসামিদের আদালতে হাজির করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হবে। পরে দ্রুত সাক্ষ্য নিয়ে মামলাটি নিষ্পত্তি করা হবে। বিচার দ্রুত শেষ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।

জানা যায়, ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শেষে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার মেসে ফেরার পথে লক্ষ্মীবাজারের একরামপুর মোড়ে জঙ্গিরা কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করেন ব্লগার নাজিমুদ্দিনকে। এ ঘটনায় পরদিন সূত্রাপুর থানার উপ-পরিদর্শক নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন।

২০২০ সালের ২০ আগস্ট বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হক জিয়াসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। আসামিদের মধ্যে আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন, মো. ওয়ালিউল্লাহ ওরফে ওলি ওরফে তাহেব ওরফে তাহসিন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক ও মাওলানা জুনেদ আহাম্মেদ ওরফে সাব্বির ওরফে জুনায়েদ ওরফে তাহের পলাতক রয়েছেন। এছাড়া অপর চার আসামি রশিদুন নবী ভূইয়া ওরফে টিপু ওরফে রাসেল ওরফে রফিক ওরফে রায়হান, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, মো. আরাফাত রহমান ও মো. শেখ আব্দুল্লাহ কারাগারে আটক রয়েছেন।

এরপর ২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি মেজর জিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। পলাতক পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। একই বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি পলাতক পাঁচজনের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন আদালত।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ব্লগে লেখালেখি করার কারণে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যরা নাজিম উদ্দিনকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের শীর্ষ নেতা ও সামরিক শাখার প্রধান সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কৃত মেজর জিয়ার পরিকল্পনায় নাজিম উদ্দিনকে হত্যা করা হয়। আসামি মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মনের নেতৃত্বে একটি টিম নাজিম উদ্দিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার অবস্থান রেকি করে। মো. শেখ আব্দুল্লাহ এ হত্যার ভিডিও ধারনের জন্য এবং হত্যাকারীদের হত্যাকাণ্ড সংঘটেনর পর পালাতে সহযোগিতার জন্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকেন। হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার পর জিয়াকে জানানো হয়।

আসামিপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম বলেন, মামলাটি অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য থাকলেও আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয় না। যেকারণে এ মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানি আটকে রয়েছে। আদালতের উচিত মামলাটি ত্বরান্বিত করা। অনেক দিন তো হয়ে গেছে। আসামিরাও হয়রানির শিকার হচ্ছে। বাদীপক্ষও বিচার দেখার অপেক্ষায় আছে।


আরও খবর
আজ বিশ্ব পানি দিবস

শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪