ছোট পর্দার অভিনেত্রী
পল্লবীর মৃত্যুর পর ক’দিন যেতে না যেতেই
এবার বিদিশা দে মজুমদার নামের কলকাতার আরও এক অভিনেত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল
বুধবার কলকাতার নাগেরবাজারের রামগড় কলোনির বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার
করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে
খবর, গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বিদিশার দেহ। ঘরের দরজা
ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। বিদিশার দেহের পাশ থেকে মিলেছে একটি সুইসাইড নোটও।
একাধিক গণমাধ্যমের
খবরে বলা হয়েছে, বিদিশার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার কাঁকিনাড়ায়। মাস দেড়েক ধরে নাগেরবাজারের
রামগড় কলোনি এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে
খবর, বুধবার সন্ধ্যায় নাগেরবাজার থানায় ফোন করেন বিদিশার এক বান্ধবী। এরপর ফ্ল্যাটের
দরজা ভেঙে ওই অভিনেত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সুইসাইড নোটে অবশ্য নিজের
মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করেননি তিনি। বরং শারীরিক অসুস্থতার কথা উল্লেখ করেছেন।
অভিনেত্রীর বান্ধবীদের
দাবি, গত চার মাস ধরে ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা অনুভব বেড়া নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের
সম্পর্ক ছিল বিদিশার। কিন্তু ওই যুবকের সঙ্গে আরও অনেক মেয়ের সম্পর্ক ছিল। সে কারণেই
মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।
তবে ২১ বছর বয়সী
বিদিশা আত্মহত্যা করেছেন, নাকি তার মৃত্যুর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে, তা তদন্ত করে
দেখছে নাগেরবাজার থানার পুলিশ।
এর আগে পল্লবীর
অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন বিদিশা। বুধবার তার রহস্যমৃত্যুর
পর চর্চায় উঠে আসে অভিনেত্রীর সেই ফেসবুক পোস্ট। সেখানে বিদিশা লিখেছিলেন, ‘মানে কী এ সব’। ফেসবুকে পল্লবীর ছবি শেয়ার করে পোস্ট
করেছিলেন বিদিশা। তাতে তিনি এ-ও লিখেছিলেন, ‘মেনে নিতে পারলাম
না’।
ওই ঘটনার ১০ দিনের
মধ্যেই নাগেরবাজারের ফ্ল্যাট থেকে বিদিশার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হলো। ইতোমধ্যেই বিদিশার
দেহ ময়নাতদন্তের জন্য সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে
বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে গত ১৫
মে গড়ফা ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় টেলি অভিনেত্রী পল্লবী দে’র ঝুলন্ত মরদেহ। দেড় বছর ধরে সাগ্নিক
নামে এক যুবকের সঙ্গে লিভইন সম্পর্কে ছিলেন তিনি। অভিনেত্রীর মৃত্যুর পর সাগ্নিককে
গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেই ঘটনার ধোঁয়াশা কাটতে না কাটতেই ফের শহরে আরও এক রহস্যমৃত্যু।