ভারতে আবার এক
অভিনেত্রীর রহস্যমৃত্যু। অভিনেত্রী পল্লবী দে এবং মডেল বিদিশা দে মজুমদারের পর এ বার
টলিপাড়ার আর এক অভিনেত্রী মঞ্জুষা নিয়োগীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল তাঁর পাটুলির বাড়ি
থেকে। পরিবার সূত্রে খবর, বিদিশার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন মঞ্জুষা। তাঁর মায়ের দাবি, বিদিশার
মৃত্যুর পরই হতাশায় ভুগতে শুরু করেছিলেন অভিনেত্রী। তার জেরেই আত্মহত্যা। যদিও পুলিশ
এই ঘটনায় কোনও সুইসাইড নোট পায়নি। অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত শুরু হয়েছে।
মঞ্জুষা টলিউডে
কাজ করছেন বহু দিন ধরেই। একটি টিভি চ্যানেলে ধারাবাহিকে অভিনয় করতেন। পাশাপাশি থিয়েটারেও
অভিনয় করতেন তিনি। বিদিশার মৃত্যুর ঠিক দু’দিনের মাথায় তাঁর
বন্ধু মঞ্জুষার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার মধ্যে কোনও যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে
দেখছে পুলিশ।
কয়েক দিনের ব্যবধানে
এ নিয়ে বিনোদন জগতের তৃতীয় অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা এটি। এর আগে গরফায় পল্লবীর ঝুলন্ত
দেহ উদ্ধার হয়েছিল। বুধবার মডেল বিদিশারও ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায় নাগেরবাজার থেকে। দু’টি ঘটনাতেই মৃ্ত্যুর নেপথ্যে ব্যক্তিগত
সম্পর্কের তত্ত্ব প্রকাশ্যে এসেছে। মঞ্জুষার মৃত্যুর নেপথ্যেও তেমন কোনও ঘটনা রয়েছে
কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পরিবার সূত্রে
খবর, দিন তিন-চারেক আগে পাটুলিতে বাপেরবাড়িতে এসেছিলেন মঞ্জুষা। বৃহস্পতিবারও ফটোশ্যুট
করেছেন তিনি। সে দিন তাঁর স্বামী তাঁকে নিতে এসেছিলেন। কিন্তু মঞ্জুষার মা তাঁর জামাইকে
বলেন, কিছু দিন মেয়েকে বাপেরবাড়িতে রেখে যেতে। এরই মধ্যে বুধবার বিদিশার মৃত্যুর খবর
পান তাঁর বন্ধু মঞ্জুষা। তার পর থেকেই অবসাদে ভুগতে থাকেন। মঞ্জুষার মায়ের দাবি, পল্লবী
দের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল অভিনেত্রীর।
মঞ্জুষার বাবার
নাম মন্টুরাম নিয়োগী। তিনি সরকারি চাকরি করতেন। মা বাসন্তী নিয়োগী বলেন, ‘‘বিদিশার মৃত্যুর
পর থেকে ও হতাশায় ভুগছিল। ওরা এক সঙ্গে অনেক কাজ করেছে। বাবা-মা ছাড়াও মঞ্জুষার এক
ভাই রয়েছে। সে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী।
সূত্রের খবর, মঞ্জুষার বিয়েতে আপত্তি ছিল তাঁর পরিবারের। শ্বশুরবাড়ি বেহালা। মঞ্জুষার স্বামীর নাম রামনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আমদানি-রফতানির ব্যবসা রয়েছে।