আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

প্লেব্যাক সম্রাট এন্ড্রু কিশোরের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলা গানের কিংবদন্তি শিল্পী এন্ড্রু কিশোরের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ মঙ্গলবার (০৬ জুলাই)। তিনি প্লেব্যাক সম্রাট হিসেবেও সমাদৃত। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে সুরের জাদুতে সংগীতপ্রেমীদের মাতিয়ে রেখে ২০২০ সালের ৬ জুলাই না ফেরার দেশে চলে যান প্লেব্যাক সম্রাট খ্যাত এন্ড্রু কিশোর।

মানুষের সুখ-দুঃখ, হাসি-আনন্দ, প্রেম-বিরহ সব অনুভূতির গানই তার কণ্ঠে পেয়েছে অনন্য মাত্রা। তার শত শত কালজয়ী গান এখনো মানুষের মুখে মুখে। এরমধ্যে আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি, হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস দম ফুরাইলে ঠুস, ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে, কারে দেখাব মনের দুঃখ গো বা তুমি আমার জীবন-আমি তোমার জীবন, আমি চিরকাল প্রেমের কাঙাল, এক জনমের ভালবেসে ভরবে না মন সহ অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান আজও তাকে বাঁচিয়ে রেখেছে।

শারীরিক অসুস্থতার জন্য ২০১৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর এন্ড্রু কিশোরকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানে যাওয়ার পর ১৮ সেপ্টেম্বর তার শরীরে ধরা পড়ে ক্যান্সার। সেখানে তিনি কয়েক মাস চিকিৎসা নেন। পরে চিকিৎসকরা হাল ছেড়ে দিলে তাকে নিজের ইচ্ছেতেই ২০২০ সালের ২০ জুন রাজশাহীতে আনা হয়।

এরপর তিনি মহানগরীর মহিষবাথানে বোন ডা. শিখা বিশ্বাসের বাসায় বসবাস শুরু করেন। ৬ জুলাই সন্ধ্যায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

১৫ জুলাই রাজশাহী সার্কিট হাউস সংলগ্ন খ্রিস্টান কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।

১৯৫৫ সালের ৪ নভেম্বরে রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। রাজশাহীতে জন্ম নেওয়া কিশোর সেখানেই বেড়ে ওঠেন। পড়াশোনা করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। এন্ড্রু কিশোরের বাবা ক্ষীতিশ চন্দ্র বাড়ৈ এবং মাতা মিনু বাড়ৈ রাজশাহী মহানগরীর বুলনপুর মিশন গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। মায়ের কাছেই তার পড়াশোনার হাতেখড়ি। তার মা ছিলেন সংগীত অনুরাগী, তার প্রিয় শিল্পী ছিলেন কিশোর কুমার। প্রিয় শিল্পীর নামানুসারে সন্তানের নাম রাখেন কিশোর। মায়ের স্বপ্নপূরণ করতেই সংগীতাঙ্গনে পা রাখেন এন্ড্রু কিশোর।

আব্দুল আজিজ বাচ্চুর অধীনে প্রাথমিকভাবে সংগীতে পাঠ গ্রহণ শুরু করেন এন্ড্রু কিশোর। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর নজরুল সংগীত, রবীন্দ্র সংগীত, আধুনিক, লোকসংগীত ও দেশাত্মবোধক গানের শিল্পী হিসেবে রাজশাহী বেতারে তালিকাভুক্ত হন।

এন্ড্রু কিশোর চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক শুরু করেন ১৯৭৭ সালে আলম খান সুরারোপিত মেইল ট্রেন চলচ্চিত্রের অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তার কেউ গানের মধ্য দিয়ে। তার রেকর্ডকৃত দ্বিতীয় গান বাদল রহমান পরিচালিত এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী চলচ্চিত্রের ধুম ধাড়াক্কা। তবে এ জে মিন্টু পরিচালিত ১৯৭৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রতিজ্ঞা চলচ্চিত্রের এক চোর যায় চলে গানটি গেয়ে শ্রোতাপ্রিয়তা লাভ করেন।

বড় ভালো লোক ছিল (১৯৮২) চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন এন্ড্রু কিশোর। মহিউদ্দিন পরিচালিত এই চলচ্চিত্রে সৈয়দ শামসুল হকের লেখা হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস গানটিতে কণ্ঠ দেন তিনি। এ গানের জন্য শ্রেষ্ঠ পুরুষ কণ্ঠশিল্পী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। ১৯৮৪ সালে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের কথা ও সুরে নয়নের আলো চলচ্চিত্রের তিনটি গানে কণ্ঠ দেন। গানগুলো হলো—‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি, আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিনআমার বুকের মধ্যে খানে। এমন অসংখ্য চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এই শিল্পী, যা এখনো মানুষের মুখে মুখে ফেরে।

বাংলা গানের কিংবদন্তি এই সংগীতশিল্পী প্লেব্যাক সম্রাট নামেও পরিচিত। বাংলা চলচ্চিত্রের গানে তাকে বলা যেতে পারে এক মহাসমুদ্র। যেখানে তিনি সাঁতার কেটেছেন কয়েক দশক ধরে।

আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই কণ্ঠশিল্পী দীর্ঘ ১০ মাস ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে মৃত্যুবরণ করেন।  তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে আরও রয়েছে, পৃথিবীর যত সুখ আমি তোমার ছোঁয়াতে খুঁজে পেয়েছি, সবাইতো ভালোবাসা চায়, বেদের মেয়ে জোসনা আমায় কথা দিয়েছে, তুমি আমার জীবন আমি তোমার জীবন, ভালো আছি ভালো থেকো, তুমি মোর জীবনের ভাবনা, চোখ যে মনের কথা বলে ইত্যাদি।

১৯৮৭ সালে আহমাদ ইউসুফ, আনোয়ার হোসেন বুলু, ডলি জহুর, দিদারুল আলম বাদল, শামসুল ইসলাম নান্টুর সঙ্গে টিভি নাটক, বাণিজ্যিক এবং অন্যান্য প্রযোজনার জন্য প্রবাহ নামে একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন এন্ড্রু কিশোর। ব্যক্তিগত জীবনে লিপিকা এন্ড্রু ইতির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এন্ড্রু কিশোর। এ দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে। প্রথম সন্তানের নাম সংজ্ঞা আর দ্বিতীয়জনের নাম সপ্তক। দুজনেই এখন বিদেশে পড়াশোনা করছেন।


আরও খবর



নির্বাচনি সহিংসতায় যুবক নিহত: চেয়ারম্যানসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

গোপালগ‌ঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ওসিকুর ভূঁইয়া (২৭) নামের এক যুবক নিহতের ঘটনায় বিজয়ী চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান ভূঁইয়াসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্প‌তিবার রাতে নিহতের বোন পারুল বেগম বাদী হয়ে এ হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আজ শুক্রবার গোপালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ওসি বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তী সহিংসতায় বিজয়ী প্রার্থী কামরুজ্জামান ভূঁইয়ার সমর্থকের গুলিতে পরাজিত প্রার্থী বি এম লিয়াকত আলীর সমর্থক মো. ওসিকুর ভূঁইয়া নিহত হন। এ ঘটনায় কামরুজ্জামান ভূঁইয়াসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ৫০ জনকে আসামি করে নিহতের বোন একটি হত্যা মামলা করেন। তবে এ ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

অন্যদিকে, হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আগামী রবিবার গোপালগঞ্জ ডিসি অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন বি এম লিয়াকত আলী।


আরও খবর



সকালে ৩৩ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ‘ফিলস লাইক’ ৪২

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে সোমবার (২৯ এপ্রিল) আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছিল, আজ মঙ্গলবার গরমের তীব্রতা বেশি থাকবে। বাতাসে জ্বলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে অস্বস্তিও বেশি বিরাজ করবে বলে জানিয়েছিল সংস্থাটি।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র গরম অনুভূত হতে দেখা গেছে। সকাল ১০টায় গুগল সার্চ ইঞ্জিনে রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস দেখালেও ফিলস লাইক’-এ দেখাচ্ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি হলেও গরম অনুভূত হচ্ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো। এসময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৫৫ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ছিল ১৩ কিলোমিটার।

বেশিরভাগ মানুষ গুগল সার্চ ইঞ্জিনের সহায়তায় তাপমাত্রা দেখেন। তবে গুগলে তাপমাত্রা দেখার সময় দুই রকম তথ্য সামনে আসে। নির্দিষ্ট এলাকার তাপমাত্রা জানতে সার্চ করলেই বিরাজমান তাপমাত্রা বড় করে দেখানো হচ্ছে। বড় অক্ষরে লেখা ওই তাপমাত্রার নিচে ছোট করে লেখা থাকে ফিলস লাইক’...। যেটি মূলত অনুভূত হওয়া তাপমাত্রা নির্দেশ করে। কোনো এলাকায় তাপমাত্রা যদি ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়, তবে ফিলস লাইক’-এ তার চেয়ে তিন থেকে চার ডিগ্রি বেশি দেখানো হয়।

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান বলেন, আমরা যেভাবে তাপমাত্রা রেকর্ড করি তাতে ফিলস লাইক’ বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ, আমরা সরাসরি রোদের মধ্যে তাপ মাপি না। আমরা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত পদ্ধতিতে তাপমাত্রা রেকর্ড করি। স্বীকৃত পদ্ধতি হলো স্টিভেনসন স্ক্রিনের মাধ্যমে তাপমাত্রা রেকর্ড করা। সে পদ্ধতিতে থার্মোমিটার থেকে বাতাসের তাপমাত্রা নেওয়া হয়।

তিনি বলেন, যদি আমরা সরাসরি রোদের তাপমাত্রা রেকর্ড করতাম, তাহলে প্রকৃত তাপমাত্রা আরও বেশি হতো। রোদে গেলে যেটা ফিল’ হচ্ছে সেটাকেই গুগল ফিলস লাইক’ বলছে। এছাড়া বর্তমানে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি। এজন্য গরমে বেশি অস্বস্তি অনুভূত হচ্ছে।


আরও খবর



আমতলী উপজেলা নির্বাচন: ১২ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

বরগুনা আমতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ পদে ৪ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন সহ মোট ১২ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিনে নির্ধারিত সময় বিকাল ৪টা পর্যন্ত আমতলী উপজেলা নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রার্থীরা মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।

চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করা প্রার্থীরা হলেন- আমতলী উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাড. এম এ কাদের মিয়া, গোলাম সরোয়ার ফোরকান, আলতাফ হাওলাদার, এলমান উদ্দিন আহমেদ সুহাদ, অ্যাড. মোশাররফ হোসেন মোল্লা।

নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন তিনজন। তারা হলেন- আমতলী উপজেলা পরিষদের বর্তমান নারী ভাইস চেয়ারম্যান তামান্না আফরোজ মনি, জেসিকা তারতিলা জুথী, মাকসুদ আক্তার জোছনা।

এছাড়া পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা, কমান্ডার একেএম শামসুদ্দিন শানু, মোয়াজ্জেম হোসেন খান, নাজমুল হাসান সোহাগ, অ্যাড. মঈন পহলান।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, আমতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনটি পদে ১৭ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন।

আগামী ১২ মে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে তিনটি পদে দাখিলকৃত প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। ১৩ ও ১৫ মে প্রার্থীদের আপীল, ১৬ থেকে ১৮ মে প্রার্থীদের আপীল নিস্পত্তি, ১৯ মে প্রার্থীতা প্রত্যাহার, ২০ মে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ ও ৫ জুন ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি


আরও খবর



রাজা চার্লসের আনুষ্ঠানিক রাজকীয় ছবি উন্মোচন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের লাল রঙের এক অদ্ভুত আনুষ্ঠানিক রাজকীয় ছবি উন্মোচন করা হয়েছে। লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসে বুধবার (১৫ মে) রাজা তৃতীয় চার্লস নিজেই ছবিটি উন্মোচন করেন।

রাজ্যাভিষেকের পর এটাই তার প্রথম আনুষ্ঠানিক রাজকীয় ছবি। গত বছরের মে মাসে লন্ডন ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবিতে এক জাঁকজমকপূর্ণ অভিষেক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাজমুকুট পরেন রাজা চার্লস।

তেলরঙে আঁকা ছবিটির উন্মোচন অনুষ্ঠানের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করা হয়। প্রকাশের পরপরই তা ছড়িয়ে পড়ে।

ছবিতে ওয়েলশ গার্ডের ইউনিফর্ম পরা ব্রিটিশ রাজাকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। এতে লাল রঙের ব্যাপক ব্যবহার করা হয়েছে যা সাধারণ রাজকীয় প্রতিকৃতির থেকে অনেকটাই আলাদা। যে কারণে এই ছবি এখন বেশ আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

২৩০ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্য ও ১৬৫.৫ সেন্টিমিটার (৭.৫ ফুট বাই ৫.৪ ফুট) ক্যানভাসে তৈলচিত্রটি এঁকেছেন জোনাথন ইয়েও নামে এক চিত্রশিল্পী। তিনি এর আগে ২০১৪ সালে চার্লসের স্ত্রী ক্যামিলা এবং ২০০৮ সালে তার বাবা প্রিন্স ফিলিপের ছবিও এঁকেছিলেন।

ছবিটিটে বর্তমানে ক্যান্সারের চিকিৎসাধীন রাজাকে লাল পটভূমিতে ওয়েলশ গার্ডের লাল ইউনিফর্মে দেখানো হয়েছে। প্রতিকৃতিতে আরও দেখা যায়, তার কাধ বরাবর উড়ছে এক লাল প্রজাপতি। শিল্পীর মতে, ক্ষুদ্র এই জীবটি রাজা তৃতীয় চার্লসের পরিবেশ রক্ষার উদ্যোগের প্রতীক।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে চার্লসের ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর থেকেই জনসমক্ষে সব ধরনের দায়িত্ব পালন থেকে বিরত ছিলেন তিনি। তবে চলতি মাসের শুরুতেই আবারও তিনি দায়িত্বে ফিরেছেন।


আরও খবর



নারীবাদ নিয়ে নোরা ফাতেহির মন্তব্যে ক্ষুদ্ধ নেটিজেনরা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় ড্যান্সার ও অভিনেত্রী নোরা ফাতেহি। সম্প্রতি মাডগাঁও এক্সপ্রেস সিনেমায় নজর কাড়েন তিনি। এবার এক সাক্ষাৎকারে নারীবাদ নিয়ে এমন এক কথা বলে বসলেন তিনি, যাতে তার ওপর রেগে আগুন নেটিজেনরা।

সম্প্রতি একটি পডকাস্টের সাক্ষাৎকারে নোরা বলেছেন, নারীবাদ আসলে সমাজটাকে ধ্বংস করে ফেলেছে। আমি বলছি না যে মেয়েরা পড়াশোনা করবে না বা চাকরি করবে না; অবশ্যই করবে। তবে, এর একটা মেয়াদ বা সময়কাল আছে। পুরুষ চাকরি করবে, টাকা উপার্জন করবে, খাবার আনবে ও পরিবারকে রক্ষা করবে।

তিনি বলেন, অন্যদিকে নারী মা হবে, সন্তানের দেখাশোনা করবে, রান্না করবে, ঘরের কাজ করবে। নারীপুরুষের ভূমিকা এমনই হওয়া উচিত। এতে খারাপ কী! আমি এভাবেই চিন্তা করি। শুনলে মনে হবে, আমি হয়তো এখনো আদ্যিকালেই পড়ে আছি বা ওল্ড স্কুল। তবে, এটাই আমার বিশ্বাস।

নোরার কথা শুনে কার্যত অবাক সবাই। তিনি নিজে দাপিয়ে কাজ করছেন বহির্বিশ্বে, অথচ তিনি মেয়েদের বাড়ির কাজে বাঁধতে চাইছেন। নোরার কথা বিরক্ত হয়ে এক ব্যক্তি লেখেন, উনি কেন এখনো বিয়ে করে বাচ্চা লালনপালন না করে বেপর্দা হয়ে নাচানাচি করে বেড়াচ্ছেন? সিনেমায় যতই নায়িকা হন না কেন, ব্যক্তিগত জীবনে আপনি আসলে একটা খলচরিত্র।

অন্য আরেক ব্যক্তি লেখেন, এত ফালতু কথা আমি জীবনে শুনিনি। বুঝেছি, উনি কাদের খুশি করতে এসব কথা বলছেন! ওনার ভক্তরা তো সাধারণত পুরুষ। উনি আসলে ওনার পুরুষ ভক্তদের খুশি করতে চান।


আরও খবর