এনজিও ঋণ পরিশোধ
ও পারিবারিক বিরোধের জেরে পিরোজপুর সদর উপজেলায় স্ত্রী তাহমিনা বেগমকে (৪৪) কুপিয়ে
হত্যা করেছেন স্বামী সত্তার শেখ। হত্যাকারী স্বামী আব্দুস সত্তার শেখ (৫০) শিকদার মল্লিক
ইউনিয়নের জুজখোলা গ্রামের মৃত আলী শেখের পুত্র।
শুক্রবার (২২
অক্টোবর) ভোরে হত্যাকারী স্বামীকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাতে শিকদার
মল্লিক ইউনিয়নের জুজখোলা গ্রামে এ হত্যার ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন পিরোজপুর সদর
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আ জা মো. মাসুদুজ্জামান।
নিহত তাহমিনার
ছেলে রবিউল ইসলাম জানান, মায়ের নামে স্থানীয় বিভিন্ন এনজিও ও ব্যক্তিদের কাছ থেকে ৫
থেকে ৬ লক্ষ টাকা সুদে ঋণ নিয়েছিল বাবা। এই ঋণ পরিশোধ নিয়ে বিভিন্ন সময় বাবা মা তাহমিনাকে
মারধর করতেন। বৃহস্পতিবার তাদের একটি অটোরিকশা বাবা বিক্রি করার জন্য নিয়ে গেলে বাধা
দিয়ে পরিবারের অন্যরা ফিরিয়ে নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় বাবা
সত্তার মাকে সন্ধ্যা থেকেই নানা হুমকি দিয়ে আসছিল বলে রাতে তার মা তাহমিনা তাদের জানান।
রাত ১২টা পর্যন্ত তার মায়ের সঙ্গে কথা বলে তিনি পাশেই তার অন্য ঘরে ঘুমাতে যায়।
পরে সকালে তার
বোন সনিয়া মাকে ডাকলে সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরের সামনে থেকে তালা মারা দেখতে পায়। পরে স্থানীয়রা
ঘরের তালা খুলে দেখতে পায় তার মায়ের রক্তাক্ত দেহ খাটের ওপর পড়ে আছে। পরে স্থানীয় লোকজন
পুলিশকে খবর দেয়।
ওই ইউনিয়নের সাবেক
চেয়ারম্যান ও স্থানীয় কামরুজ্জামান চান সরদার জানান, আব্দুস সত্তার বিভিন্ন এনজিও ও
ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ করতে না পেরে ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়েন। এ কারণে পরিবারের মধ্যে
কলহ লেগে থাকত। হয়তো এর জেরে সে তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে। পরে শুক্রবার ভোরে ঘাতক
স্বামী তার ছোট কন্যা সাদিয়া আক্তারকে (৬) সাথে নিয়ে থানায় হাজির হন।
পিরোজপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আ জ মো মাসুদুজ্জামান জানান, সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেন স্বামী। হত্যাকারী স্বামীকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তে পাঠানো হচ্ছে।