আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

পিরোজপুরে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ঃ কিছু বিবেচনা

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
সবুজ ও নিবিড় জলাশয়ের সম্মিলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ধরণের গহনতাই কাম্য। পাখির কলতান, জ্যোৎস্নার প্রাচুর্য এবং সকল রকম প্রাকৃতিক ঐশ্বর্য থাকতে হয় সেখানে

কাজী মসিউর রহমান

গত ৯ অক্টোবর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পিরোজপুর জেলায় সরকারি অর্থায়নে একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এরকম একটি উদ্যোগের জন্য বর্তমান সরকারের সংশ্লিষ্ট সকলকে কৃতজ্ঞতা জানাই। একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ও স্বার্থকতা কামনা করি। স্বার্থকতার কথা বলতে গিয়ে জোড় দিয়ে বলা দরকার যে, বিশ্ববিদ্যালয় কিন্তু একটি গুণবাচক ধারণা ও প্রতিষ্ঠান মানুষের জীবনের উৎকর্ষ সাধন এবং মুক্ত মানুষের মুক্ত সমাজ গড়ার জন্য জ্ঞান উৎপাদন ও চর্চাই এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান উদ্দেশ্য । কিন্তু সৃষ্টিশীল উৎপাদনের পূর্বশর্ত হলো স্বাধীনতা। স্বাধীনতা ছাড়া কোনো সৃজন হতে পারে না। স্বাধীনতাহীনতায় প্রাপ্ত জ্ঞান বড় জোর দক্ষ শ্রমিক উৎপাদন করতে সক্ষম, আত্মমর্যাদাশীল মানুষ নয়; জ্ঞানী তো নয়ই  স্বাধীনতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিমূর্ত ধারণার অংশ।

বিশ্ববিদ্যালয় মূলত একটি বিমূর্ত প্রতিষ্ঠান, যাকে জড়িয়ে থাকে মূর্ত নানা উপকরণ। যেমন- শিক্ষার্থী, শিক্ষক, প্রশাসন, ভৌগোলিক এলাকা, আড়াআড়ি বা খাড়াখাড়ি বিস্তৃত ভৌত অবকাঠামো ইত্যাদি। কিন্তু এসব বিষয়ের গভীরে অদৃশ্য জ্যার মতো একটি আত্মা থাকে। যাকে পঞ্চইন্দ্রিয় দিয়ে চিহ্নিত করা না গেলেও সংবেদনশীল চৈতন্য দিয়ে বেশ অনুভব করা যায়। ওই আত্মাটিই সমস্ত জাহিরি উপকরণের ভেতর দিয়ে একটি সুললিত সুর তৈরি করে গড়ে তোলে বিশ্ববিদ্যালয়।

সাধারণত দুই ধরণের বিশ্ববিদ্যালয় পাওয়া যায়- পাঠদানকেন্দ্রিক ও গবেষণাভিত্তিক। তবে সবচেয়ে বহুল প্রচলিত প্রকরণ হলো এদুয়ের মিশ্রণ। স্নাতক স্তরে প্রধানত আন্তঃশাস্ত্রীয় পাঠদানের ওপর গুরুত্ব দেয়া এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে গবেষণাকে জোর দেয়া। আন্তঃশাস্ত্রীয় পাঠদান কেন জরুরী? আন্তনিও গ্রামসি, নোয়াম চমস্কি, টমাস কুন ও ফায়ারাবেনসহ অগণন তাত্ত্বিক মনে করেন- জ্ঞান বিজ্ঞানের বিকাশ প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে হয় না। বরং এর বিকাশ সংশ্লিষ্ট জ্ঞানের মধ্যকার বিরাজমান স্ববিরোধিতা চিহ্নিত করার মধ্য দিয়ে আসে। শুধুমাত্র প্রায়োগিক বা কারিগড়ি দিক গুরুত্ব পেলে কারগড়ি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মানোন্নয়নের মাধ্যমেই সেটি সম্ভব।

বিশ্বে হাজিরথাকা সাম্প্রতিকতম বিজ্ঞান-প্রযুক্তি এবং ব্যবসায়ে শিক্ষার বৈচিত্র্যময় সকল বিষয়ের পাশাপাশি বিশ্ববিদায়লয়ে মৌলিক মানবিক ও কলা বিদ্যার বিষয়গুলো থাকতে হবে। কারণ উচ্চতর জ্ঞান অবশ্যই আন্তঃশাস্ত্রীয় হতে হবে। গবেষণায় দেখা গেছে- বিষয় কেন্দ্রিক জ্ঞান অন্যান্য বিষয়ে অজ্ঞতা তৈরির সম্ভাবনা রাখে। এমন কি বিশেষজ্ঞরা নিজের বিষয়ের বাইরে জগত-জীবনের অপরাপর বিষয়ে অজ্ঞ থাকার কারণে বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। আর শুধু বিশেষায়িত জ্ঞান মানুষকে বিভাজিতও রাখে।

আন্তঃশাস্ত্রীয় ও গবেষণামূলক পাঠদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিমূর্ত সত্ত্বাটিকে কিন্তু আশ্রয় নিতে হয় বিস্তৃত আর নিবিড় কোনো প্রাকৃতিক পরিসরে। এর কারণ হিসেবে বলা যায়, প্রতিবেশের সঙ্গে মানুষের রয়েছে এক বর্ণাঢ্য বন্ধুতা। যদি পরিবেশ হৃদয়গ্রাহী হয়, সেখান থেকে পাওয়া যায় ইতিবাচক আবেগের প্রবহ, প্রাণোচ্ছ্বাস আর সততা নির্মাণের নির্মল প্রেরণা। এর মধ্য দিয়ে ব্যক্তির সঙ্গে অন্যান্য সৃষ্টির এবং মহাজাগতিক আবহের মাঝে এক গভীর সখ্য সৃষ্টি হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। চাপমুক্ত এ রকম পরিসরে চৈতন্য তীব্রতর বিকশিত হতে পারে। শুধু তাই নয়, প্রতিবেশ কাঠামো স্বাস্থ্যকর ও আধ্যাত্মিক হয়ে উঠলে শিক্ষার্থীর চিন্তাচেতনায় আরও বোধগত উন্মেষ ঘটে, আচরণে ইতিবাচকতা নির্মিত হয়, সামাজিকতার আঙ্গিক ও বহুমাত্রিকতার বিবেচনা বিকশিত হয়, যোগাযোগ দক্ষতা হয়ে ওঠে পরিশীলিত, কাঙ্ক্ষিত আবেগের স্ম্ফুরণ ঘটে এবং মস্তিস্কের মটর-নিউর বেশি সক্রিয় হয়। অর্জিত জ্ঞানের গাজন আর প্রতিফলন হতে পারে বিশুদ্ধ প্রকৃতিতেই।

সবুজ ও নিবিড় জলাশয়ের সম্মিলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ধরণের গহনতাই কাম্য। পাখির কলতান, জ্যোৎস্নার প্রাচুর্য এবং সকল রকম প্রাকৃতিক ঐশ্বর্য থাকতে হয় সেখানে। আর এসবের জন্য প্রয়োজন হয় বিশাল ভৌগোলিক পরিসর। কারণ ভৌত, সামাজিক, মানসিক, প্রাকৃতিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ইত্যাদি সম্পদের তুলনায় তার ওপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ভবিষ্যতে বেড়ে গেলে সামান্য সম্পদে কর্তৃত্ব বা দাবী প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষ আগ্রাসী ও স্বজাতিবিনাশী (Cannibalistic) হয়ে উঠতে পারে। সেখানে অনিবার্যভাবেই তৈরি হয় ধ্বংসের প্রতিযোগিতা। নিরাপত্তাহীনতার বোধ ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে শিক্ষা-গবেষণার পরিবেশ।  তাই শিক্ষার্থী-শিক্ষকের আদর্শ অনুপাত রক্ষার আন্তরিকতা থাকতে হবে শুরু থেকেই। আদর্শ অনুপাতই নয় শুধু- নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থানীয়তাকে মূলত প্রাধাণ্য দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কসমোপলিটান পরিসর পঙ্গু ও ভঙ্গুর হতে পারে।

একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়াস হলেন উপাচার্য। বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে উপাচার্যগণ সীমাহীন ক্ষমতার অধিকারি। অথচ ক্ষমতা ও সম্পদের ন্যায়ভিত্তিক বণ্টন না হলে সেখানে স্বেচ্ছাচার তীব্রতর হয়ে ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয় স্বৈরাচারী হয়ে উঠলে জনকরে পরিচালিত মুক্তিকামী উচ্চশিক্ষার আদর্শ পরাজিত হয়। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নিরঙ্কুশ ক্ষমতায় ভারসাম্য সৃষ্টি করে উচ্চশিক্ষাক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের অনুশীলন বাড়াতে হবে।  উপাচার্য  যদি হন সৎ মানুষ, প্রজ্ঞাবান দার্শনিক ও জনবুদ্ধিজীবী তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্থক হবার সম্ভবনা বাড়ে। তাই উপাচার্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে সরকারের অন্যান্য সকল নিরীক্ষণের পাশাপাশি আরও একটি বিশেষ উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে- প্রার্থীদের কাছ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ভবিষ্যৎ স্বপ্ন ও কর্মপরিকল্পণার ওপর ধারণাপত্র আহ্বান করা যেতে পারে। প্রাপ্ত ধারণাপত্র শিক্ষাবিদ ও বিশেষজ্ঞদের মাঝে উপস্থাপন করানোর আয়োজন করা গেলে যোগ্য ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন উপাচার্য বাছাই করার সুযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে।

পরিশেষে বলতে চাই, পিরোজপুরের জন্য অনুমোদনপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়টি জনগণের আশা-আকাংক্ষার প্রতি সুবিচার করুক। আন্তঃশাস্ত্রীয় মুক্ত জ্ঞান অনুশীলনের মাধ্যমে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারসম্মৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর-স্বপ্নের-সোনার-বাংলা বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করুক। দেশকে এনে দিক জ্ঞানবিজ্ঞানে বৈশ্বিক পরিচিতি আর মানুষের জন্য নিয়ে আসুক ৭ই মার্চের প্রস্তাবিত সেই কাঙ্ক্ষিত মুক্তি

লেখক: শিক্ষক

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

গোপালগঞ্জ।

[email protected]


আরও খবর



ঈদে সংবাদপত্রেও মিলতে পারে টানা ৬ দিনের ছুটি

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এবারের ঈদুল ফিতরে টানা ৬ দিনের ছুটি পেতে পারেন। বিষয়টি নিয়ে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) আলোচনা চলছে।

নোয়াবের কোষাধ্যক্ষ ও মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ঈদের ছুটির মধ্যে একদিনের ব্যবধানে পহেলা বৈশাখ পড়েছে। তাই মাঝে ১৩ এপ্রিল বিশেষ ছুটি দেওয়া যায় কি না তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।

সাধারণত সংবাদপত্র কর্মচারীরা সরকারি ছুটির সঙ্গে মিলিয়ে ছুটি ভোগ করেন। সেই হিসেবে এবার ঈদে সরকারি ছুটি ১০ থেকে ১২ এপ্রিল। তবে, ঈদযাত্রায় ভোগান্তি কমাতে সরকারি ছুটি একদিন বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। সেটি হলে ৯ এপ্রিল থেকে ঈদের ছুটি শুরু হয়ে ১২ এপ্রিল শেষ হবে। এরপর ১৩ এপ্রিল সংবাদপত্রে অফিস খোলা থাকলেও ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের ছুটি। এ অবস্থায় নোয়াব যদি ১৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে তাহলে ৯ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৬ দিন ছুটি পাবেন সংবাদকর্মীরা।

এদিকে, এবার সরকারি চাকরিজীবীরা টানা ১০ দিন ঈদে ছুটি পেতে পারেন। অর্থাৎ সরকারি ক্যালেন্ডারে ঈদের ছুটি ধরা হয়েছে ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল। ঈদের ছুটির পর ১৩ এপ্রিল শনিবার ও ১৪ এপ্রিল নববর্ষের ছুটি।

এ ছাড়া ঈদের আগে ৫ ও ৬ এপ্রিল সাপ্তাহিক ও ৭ এপ্রিল শবে কদরের ছুটি। ফলে ৮ ও ৯ এপ্রিল ছুটি পেলে সরকারি চাকরিজীবীরা টানা ১০ দিন পাবেন। এরমধ্য ঈদযাত্রায় ভোগান্তি কমাতে ৯ এপ্রিল ছুটি রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।


আরও খবর



শ্রমিক বিক্ষোভ: ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় রণক্ষেত্র মোংলা ইপিজেড

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আবু বকর সিদ্দিক, মোংলা প্রতিনিধি

Image

ঈদের আগে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মোংলা ইপিজেড। কারখানার প্রধান ফটক বন্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গেলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে; রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ইপিজেড এলাকা।

সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মোংলা ইপিজেডের প্রধান ফটকে এ ঘটনা ঘটে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে অবস্থান নেয়া শ্রমিকদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। এ সময় দুই শ্রমিক আহত হয়।

শ্রমিকরা জানান, মোংলা ইপিজেডে দেশি-বিদেশি প্রায় ৩৪টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তার মধ্যে ৯টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে ভিআইপির। সেই কোম্পানির কয়েকটি কারখানা থেকে আজ সকালের শিফটে প্রায় দুই হাজার শ্রমিকের কাছ থেকে কাগজে স্বাক্ষর নেয়া হয়। কিছুক্ষণ পর কিছু বুঝে ওঠার আগেই পূর্ব ঘোষণা ছাড়া তাদের কারখানা থেকে চলে যেতে বলেন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।

ভিআইপি কর্তৃপক্ষ বলেন, একে একে ছাটাই করা শ্রমিকরা ইপিজেডের সামনে জড়ো হন এবং ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রধান গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মূলগেটে অবস্থান নেয়া শ্রমিকদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় শ্রমিকরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় দুই শ্রমিক আহত হয়েছেন।

শ্রমিকদের দাবি, পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই তাদের ছাটাই করে প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন শ্রমিকরা।

এ নিয়ে ভিআইপি কর্তৃপক্ষ জানায়, রফতানি পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়ায় কিছু শ্রমিককে ছাটাই করা হয়েছে। তবে তাদের আগাম এক মাসের বেতন, ঈদ বোনাস ও তাদের সব পাওনা বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

অহেতুক কিছু শ্রমিক প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট করার জন্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করেছে। এ সময় অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার স্বার্থে জেলা থেকে ৬ প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন করেছে ইপিজেড কর্তৃপক্ষ।

এ দিকে শ্রমিকদের দাবি, রমজান মাস চলছে, এ ছাড়া সামনে পবিত্র ঈদ। এই মুহূর্তে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ছাটাই করলে আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। গত বছরও একই সময় অহেতুক প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক ছাটাই করেছিল এই ভিআইপি নামের প্রতিষ্ঠানটি।

এ বিষয়ে মোংলা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার জানান, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, সমঝোতার জন্য মালিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছিল, কিন্তু কিছু শ্রমিক উত্তেজিত হয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে তুলে। এ সময় পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয় এবং সবাইকে শান্ত হয়ে বাড়ি চলে যেতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



অরিত্রীর আত্মহত্যা : দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মামলার রায় ফের পেছালো

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় ওই প্রতিষ্ঠানের সাময়িক বরখাস্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখা প্রধান জিন্নাত আক্তারের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় চতুর্থ দফার মত পিছিয়েছে। আগামী ৩ জুন রায়ের তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ-১২ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ঘোষণার জন্য আগামী ৩ জুন নতুন দিন ধার্য করেন আদালত।

গত ২৭ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের তারিখ ২১ জানুয়ারি ধার্য করেন। তবে, ওই দিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তা পিছিয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি ধার্য করা হয়। ওই দিনেও রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তারিখ পিছিয়ে ৩ মার্চ ধার্য করা হয়। একই কারণে রায় ঘোষণার দিন পিছিয়ে ৯ এপ্রিল ধার্য করেন আদালত।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

২০১৯ সালের ২০ মার্চ এ দুই শিক্ষককে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার। আসামিদের নির্দয় ব্যবহারে অরিত্রী আত্মহত্যায় প্ররোচিত হয় বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনাকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়।

একই বছরের ১০ জুলাই এ দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ২৫ নভেম্বর এ মামলার বাদী ও অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারীর জবানবন্দির মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এরপর ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট অরিত্রী মা বিউটি অধিকারী আদালতে সাক্ষ্য দেন। এ মামলার ১৮ সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষা চলাকালে অরিত্রীর কাছে মোবাইলফোন পান শিক্ষক। মোবাইলফোনে নকল করেছে-এমন অভিযোগে অরিত্রীর মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। দিলীপ অধিকারী তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। এসময় অরিত্রী দ্রুত অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে শান্তিনগরে বাসায় গিয়ে তিনি দেখেন, অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে।


আরও খবর
পরীমণিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




নাবিকদের মুক্তি : প্রধানমন্ত্রীর শুকরিয়া আদায়

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও জিম্মি ২৩ নাবিকের মুক্তির খবরে শুকরিয়া আদায় করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এ কথা জানান। এ সময় অন্যদের মধ্যে নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর এম মাকসুদ আলম উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, নাবিকদের মুক্তির সংবাদটি যখন প্রধানমন্ত্রীকে দেই, তিনি শুকরিয়া আদায় করেন। এত অল্প সময়ের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা (জিম্মি থেকে উদ্ধার) ফায়সালা করা নজিরবিহীন। নববর্ষের প্রথম দিনে হয়েছে, আমরা আনন্দিত। শুধু তাদের আত্মীয়স্বজন নয়, পুরো দেশবাসী খুবই আনন্দিত। আমরা আমাদের নাবিকদের মুক্ত করতে পেরেছি।

তিনি বলেন, বিশ্ব মেরিটাইম সেক্টরে যারা যারা আছেন, সবাই যোগাযোগ রেখেছেন বিষয়টি ফায়সালা করার জন্য। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর ও আন্তর্জাতিক মেরিটাইম উইং তৎপর ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা নাবিকদের মুক্ত করতে তৎপর ছিলাম।

দীর্ঘ এক মাসের বেশি সময় ধরে তৎপরতার মধ্য দিয়ে জাহাজ ও নাবিকদের মুক্ত করতে পেরেছি। এখন তারা আরব আমিরাতের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।


আরও খবর



দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন ২ মে

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন আগামী ২ মে আহ্বান করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের লেজিসলেটিভ সাপোর্ট উইং আইন শাখা।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির নিম্নলিখিত আদেশটি সাধারণ অবগতির জন্য প্রকাশ করা হলো বলেও জানিয়েছে সংসদ সচিবালয়।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালামের সই করা চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংসদ সচিবালয় জানায়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ২ মে বিকেল ৫টায় ঢাকার শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত জাতীয় সংসদ ভবনের সংসদ কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন আহ্বান করেছেন।


আরও খবর