পিরোজপুরে আলোচিত নৌকার এজেন্ট ও জেলা
মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মলীগের সভাপতি ফয়সাল আকনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার ঘটনায় গতকাল বুধবার
(২ ফেব্রুয়ারি) রাতে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের
করা হয়েছে। আহত ফয়সালের বাবা মোহাম্মদ মোফাজ্জল আকন বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলো- প্রধান আসামি উত্তর নামাজপুরের লিটন শিকদারের ছেলে মিজান শেখ, পার কুমারখালীর দেলোয়ার হোসেনের ছেলে জামাল হোসেন শেখ, ভাইজোড়া এলাকার জব্বার ফকিরের ছেলে সাইদুল ফকির, উত্তর নামাজপুরের আব্দুল মোতালেবের ছেলে আল-আমীন, একই এলাকার আশরাফ আলীর ছেলে সোহেল হাওলাদার, মোহাম্মদ আউয়ালের ছেলে মোহাম্মদ হাসান, একই এলাকার সোবহান সিকদারের ছেলে জুয়েল সিকদার। এছাড়া অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলার ৭ নং আসামি জুয়েল সিকদারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন>> মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগ সভাপতির উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে বিক্ষোভ
উল্লেখ্য, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে পিরোজপুর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের নামাজপুর এলাকায় ফয়সাল আকনকে স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম আউয়ালের ঈগল প্রতীকের সমর্থক (ক্যাডার) মিজান শেখ, জামাল শেখ, সাইদুল ফকির, আল-আমীন, সোহেল হাওলাদার, মোহাম্মদ হাসান ও জুয়েল সিকদারসহ আরও ৭/৮ জনের সন্ত্রাসী দল ধারালো দা, চাইনিজ কুড়াল, জিআই পাইপ ও লোহার রড দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়।
এতে ফয়সালের মাথা, গাল, পিঠের নিচের অংশ ও হাতের আঙ্গুল গুরুতরভাবে জখম হয় এবং পেটের ভুঁড়ি বের হয়ে যায়। ঘটনার পর এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফয়সালকে খুলনা প্রেরণ করে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। আহতের ঘটনায় পিরোজপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পিরোজপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আসিকুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় আহতের পিতা মোহাম্মদ মোফাজ্জল আকন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। আমরা ৭ নং আসামি জুয়েল সিকদারকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকি আসামি গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।